অফ পেজ এসইও কি? OFF-Page SEO করার সঠিক গাইডলাইন।

অফ পেজ এসইও কি । OFF-Page SEO করার নিয়ম: আমরা সবাই বর্তমানে অনেকেই আছি , ব্লগিং কিংবা ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে আয় করার ব্যাপারটি জানি। আর অনেকের কাছেই শুনে আসছি যে ব্লগিং কিংবা ওয়েবসাইট থেকে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা যায়।

একটি ওয়েবসাইট থেকে আয় করার পূর্ব শর্ত হলো সেই ওয়েবসাইটে অবশ্যই ট্রাফিক থাকতে হবে। আর ওয়েবসাইটের লেখা আর্টিকেলগুলো অবশ্যই ভালো মানের হতে হবে।  আর ট্রাফিক তখনই থাকবে যখন ওয়েবসাইটটি সার্চ ইঞ্জিনে রেংঙ্ক করবে।

আর আমাদের ওয়েবসাইটের সার্চ ইঞ্জিনে রেংঙ্ক করার জন্য দুটি উপায় আছে তাদের মধ্যে একটি হলো PPC (pay per click) এড আরেকটি হচ্ছে অর্গানিকলি রেংঙ্ক করা বা প্রোপার এসইও করে রেংঙ্ক করা।

আজকে আমরা আমাদের সাইট কিভাবে ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিনে রেঙ্ক করানো যায়, সেই এসইও’র একটি মূল্যবান বিষয় অফ পেজ এসইও (OFF-Page SEO) নিয়ে কথা বলব। চলুন আর দেরি নয় এখনই আমরা বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করছি, অফ পেজ এসইও নিয়ে কথা বলার আগে প্রথমেই এসইও কি তা জেনে নিই।

এসইও(SEO) কি

এসইও(SEO) কি: যেসব ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিনের এলগোরিদম গুলো প্রোপারলি মেনে চলবে তারাই রেংঙ্কিয়ে আগে থাকবে। আর এসব এলগোরিদম অনুযায়ী নিজের ওয়েবসাইটকে অপটিমাইজড করে রেংঙ্কিয়ে পাওয়াটাকেই এসইও বলে।

এসইও(SEO) এর পূর্ণরূপ হলো Search engine optimization। গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন গুলো কোন ওয়েবসাইটকে রেংঙ্ক দেয় তাদের কিছু এলগোরিদম অনুযায়ী।

এই এসইও(SEO) অনেক গভীর একটি বিষয়। এখন আমরা এসইও’র অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় অফ পেজ এসইও নিয়ে কথা বলবো এবং আলোচনা করব?

অফ পেজ এসইও কি?

আমরা একটু আগেই জেনে আসলাম কোন ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের এলগোরিদম অনুযায়ী অপটিমাইজ করাকে এসইও বলে। এই অপটিমাইজেশন করতে গেলে দুই ধরনের অপটিমাইজেশন করতে হবে আপনাকে।

এসইও হলো দুই রকম, প্রথমটি হলো অন পেজ আরেকটি হলো অফ পেজ। মূলত অফপেজ এসইও হলো এমন কিছু নিয়ম তা হল ওয়েবসাইট অপটিমাইজ করার, যেগুলো ওয়েবসাইটের বাইরে থেকে করতে হয়।

আরো পড়ুন..

অফ পেজ এসইও’র অনেক নিয়ম আছে। একটু পরেই আমরা অফ পেজ এসইও’র নিয়ম গুলো নিয়ে আলোচনা করব। তার আগে জেনে আসি অফ পেজ এসইও ও অনপেজ এসইও এর মধ্যে পার্থক্য গুলো।

অফ পেজ এসইও ও অনপেজ এসইও এর মধ্যে পার্থক্য?

এখন আমরা জানবো, অনপেজ এসইও করা হয় মূলত আর্টিকেলে,আর্টিকেল লিংকে, আর অফ পেজ এসইও করা হয় ডোমেইন,ওয়েবসাইট ইন্টাফেস এবং অন্যান্য প্লাটফর্ম গুলোতে।

অনপেজ এসইও’র মূল লক্ষ্য থাকে কন্টেন্ট ইউজার ফ্রেন্ডলি করা আর অফ পেজ এসইও’র লক্ষ্য থাকে। ডোমেইন অথরিটি বৃদ্ধি, এবং কন্টেন্ট সঠিক ভাবে অনলাইনে মার্কেটিং করা।

অনপেজ এসইওতে তেমন কোন টেকনিক্যাল ফেক্টর নেই কিন্তু অফ পেজ এসইও তে প্রচুর টেকনিক্যাল ফেক্টর রয়েছে। এগুলোই হলো মূলত কিছু বেসিক অফ পেজ এসইও ও অনপেজ এসইও এর পার্থক্য।

দর্শকদের প্রশ্ন, এখন হয়ত আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে কেন আপনার এই অফ পেজ এসইও করা দরকার বা অফপেজ এসইও’র উপকারীতা কি। তাহলে আর দেরি নয়, চলুন জেনে আসি বিস্তারিত বিষয়?

অফ পেজ এসইও কেন জরুরি?

অফপেজ এসইও একটি ব্লগ সাইডে বা ওয়েবসাইট রেংঙ্কের জন্য অত্যন্ত দরকারী বিষয়। অফ পেজ এসইও ছাড়া কোন ওয়েবসাইটের এসইও পূর্ণতা পায় না তা জানার জন্য এই বিষয়। অফ পেজ এসইও সার্চ ইঞ্জিনকে বলে আপনার ওয়েবসাইটই অন্য সব ওয়েবসাইট থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

যদি অফ পেজ এসইও না থাকত তাহলে সার্চ ইঞ্জিন বুঝতে পারত না যদিও বিষয়টা সম্পূর্ণ অফ পেজ এসইও’র উপর নির্ভর করে তা না কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনপেজ এসইও দেখেও সার্চ ইঞ্জিন রেংঙ্ক দেয় আপনাদের ওয়েবসাইট।

কিন্তু আমাদের সবচেয়ে শক্তিশালী এসইও হলো অফ পেজ এসইও কারন যদি আপনার অনপেজ এসইও না থাকে শুধু অফ পেজ এসইও থাকে এবং হাই অথরিটি ডোমেইন থাকে তাহলে আপনি সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ওয়েবসাইট সহজেই রেংঙ্ক পাবেন।

অন্যদিকে যদি অফ পেজ এসইও না করে শুধু অনপেজ এসইও করেন তাহলে রেংঙ্ক পাওয়া অনেক কঠিন হয়ে দাড়াবে দাঁড়াবে আপনার ওয়েবসাইট। সুতরাং আপনারা বুঝতেই পেরেছেন অফ পেজ এসইও কতটা গুরুত্বপূর্ণ একটি ওয়েবসাইটের জন্য।

কাদের জন্য অফ পেজ এসইও বেশি দরকার?

অফ পেজ এসইও আমাদের সবার জন্যই দরকার। কিন্তু কিছু স্পেসিফিক সাইটের জন্য অফ পেজ এসইও অনেক বেশি দরকার। একবার আপনারা ই-কমার্স ওয়েবসাইট গুলোর কথা চিন্তা করুন তো।

তাদের অনপেজ এসইও করার সুযোগ খুবই কম। তাই তাদের রেংঙ্ক করার জন্য অফ পেজ এসইও করতেই হবে শুধু করলেই হবে না অনেক ভালো করে অফ পেজ এসইও করতে হবে।

তেমনি মনে করুন কিছু সাইট আছে শুধু একটি পেজের আবার কিছু কিছু টুল ওয়েবসাইট ও আছে যেখানে অনপেজ এসইও করার তেমন কোন সুযোগ নেই বা থাকেনা। অন্যদিকে অনেক নতুন ওয়েবসাইট আছে যাদের কন্টেন্ট কম তাদের জন্যও অফ পেজ এসইও খুব দরকার কারন তাদের ও অনপেজ এসইও করার সুযোগ কম।

আপনাদের ওয়েবসাইটে যদি কম কন্টেন্ট দিয়ে রেংঙ্ক করতে চাই অবশ্যই অফ পেজ এসইও অনেক ভালোভাবে করতে হবে আপনার ওয়েবসাইটে।

কিভাবে অফ পেজ এসইও করতে হয়?

অফ পেজ এসইও মূলত কয়েকটি বিষয়কে কেন্দ্র করে করা হয়। বিষয গুলো হলোঃ-

  • Link Building
  • Social authuority
  • E-A-T

চলুন বিষয়গুলো নিয়ে আরো বিস্তারিত জেনে নিই।

Link building

Link building বা অনেকে Backlink বলে থাকে তাহলে প্রথমেই জেনো নিই,

Backlink বা Link building কি?

বিষয়টি যদিও অনেক জটিল তাও আপনাদের একটু কষ্ট করে বিষয়টা জানতে হবে। শুধুমাত্র link building বা ব্যাকলিংক নিয়ে অনায়াসে একটি আর্টিকেল লিখা যাবে। একটু সহজ করে বলি অন্য কোন ওয়েবসাইট থোকে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য লিংক নেওয়াটাকেই ব্যাকলিংক বা Link building বলে। হতে পারে সেটি আপনার হোম পেজের জন্য ব্যাংকলিংক না হয় কোন স্পেসিফিক কন্টেন্টের জন্য ব্যাকলিংক।

এখন আপনি হয়ত ভাবছেন কেন ব্যাকলিংক করবেন?

উদাহরণ: ধরুন আপনি মার্কেটে গিয়েছেন কিছু জিনিস কিনতে তাহলে আপনি অবশ্যঅবশ্যই মার্কেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় দোকানটিতেই যাবেন, যেই দোকানটিকে সবাই চিনে জানে সবার মুখে একই কথা ঐ দোকান ভালো। আপনি কখনো এমন কোন দোকানে যাবেন না যেটি সম্পর্কে কেউ কিছু জানে না বা চিনেনা।

তেমনি আপনি যখন অন্যান্য সাইটে লিংক বিল্ডিং করবেন তখন ঐসব সাইটে ভিজিট করা মানুষগুলো আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে পারবে এবং আপনার ওয়েবসাইট সবার কাছে পরিচিতি লাভ করবে।

তখন একটা মার্কেটের মতন আপনার ওয়েবসাইট সকলেই চিনে থাকবে সকলের মুখে একই কথা থাকবে আপনার ওয়েবসাইটের?

অফ পেজ এসইও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো লিংক বিল্ডিং। লিংক বিল্ডিং প্রতিটি ওয়েবসাইটের জন্য অত্যন্ত দরকার। কিন্তু লিংক বিল্ডিং বিষয়টি সম্পর্কে প্রথমে যথাযথ জ্ঞান থাকতে হয়। কারণ জ্ঞান ছাড়া এগুলো কাজ আপনারা করতে পারবেন না।

যদি না বুঝেই লিংক বিল্ডিং শুরু করে তাহলে ওয়েবসাইটের ভালো হওয়ার পরিবর্তে ক্ষতিই বেশি হবে। এটি এসইও’র জন্য খুবই মূল্যবান বিষয় কারন এই লিংক বিল্ডিং এর উপর আপনার ওয়েবসাইটের ডোমেইন অথরিটি নির্ভর করবে আর ডোমেইন অথরিটির উপর রেংঙ্ক নির্ভর করবে।

পৃথিবীতে বড় বড় এসইও এক্সপার্টরা ওয়েবসাইটের কন্টেন্টের পরে দ্বিতীয় মূল্যবান বিষয বলেছেন লিংক বিল্ডিংকে। লিংক বিল্ডিং কয়েকভাবে করা যায়।

Natural link:– যদি আপনার আর্টিকেল অনেক ইনফরমেটিভ হয়, তাহলে অন্য কেউ আপনার আর্টিকেল পড়ে প্রাপ্ত ইনফরমেশন শেয়ার করার সময় সোর্স হিসেবে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক দিতে পারে সেটি হবে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য একটি ন্যাচারাল লিংক। মানে যে লিংক মানুষ নিজ থেকে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য তৈরি করবে সেটিই ন্যাচারাল লিংক।

Manually build link:– যদি আপনি কোন হাই অথরিটি ওয়েবসাইটকে টাকা দিয়ে তাদের ওয়েবসাইটে আপনার ওয়েবসাইট রিলেটেড আর্টিকেল দিয়ে সেই আর্টিকেল থেকে আপনার ওয়েবসাইট লিংক করান সেটি হবে manually build link।

Self-created link:- যদি আপনি বিভিন্ন গেস্ট পোস্ট, ফোরাম পোস্ট, ব্লগ কমেন্টিং এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক তৈরি করেন তাহলে সেটি হবে self created link।

আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত ন্যাচারাল লিংক বিল্ডিং এর উপর ফোকাস করা। আর যদি আপনি বেশি বেশি ন্যাচারাল লিংক পেতে চান তাহলে আপনার কন্টেন্টের মান অনেক বেশি উন্নত করতে হবে।

লিংক বিল্ডিং এর ক্ষেত্রে কোয়ান্টিটি থেকে কোয়ালিটিকে বেশি প্রাইওরিটি দিবেন। কারন আপনি যদি অনেক বেশি স্প্যাম স্কোর কোন ওয়েবসাইট থেকে লিংক নেন কিংবা কোন স্প্যামি ওয়েবসাইট থেকে লিংক নেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইটেরও স্প্যাম স্কোর বেড়ে যাবে আর যেটা রেংঙ্কিয়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে আপনার ওয়েবসাইটে।

আর অবশ্যই আপনার টপিক বা নিশ রিলেটেড ওয়েবসাইটেই লিংক বিল্ডিং করবেন। একদিনে অনেক বেশি লিংক তৈরি করবেন না অবশ্যই কথাটা মাথায় রাখবেন।

বরং অনেক সময় এবং ধৈর্য ধরে সময় নিয়ে লিংক বিল্ডিং করুন যদি আপনি একদিনেই অনেক লিংক বিল্ডিং করেন, তাহলে আপনার ডোমেইনের স্প্যাম স্কোর বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে আপনার ওয়েবসাইট ব্ল্যাক লিস্টেডও হয়ে যেতে পারে।

তাই অবশ্যই অবশ্যই লিংক বিল্ডিং সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান বুদ্ধি বা মেধা নিয়ে তবেই এই কাজটি করবেন । একটি আর্টিকেল হয়ত যথেষ্ট নয় লিংক বিল্ডিং শিখাতে। লিংক বিল্ডিং এর ক্ষেত্রে কি কি বিষয় মাথায় রাখতে হবে সেগুলো দেখে নিন?

ডোমেইন অথরিটি বা ডিএ ?

ডোমেইন অথরিটি বা ডিএ হলো মোজ কর্তৃক দেওয়া ওয়েবসাইটের জন্য একটি স্কোর। একটি ওয়েবসাইটের অভার অল পারফরমেন্স নিয়ে এই স্কোর দেওয়া হয়। একটি ওয়েবসাইটের এসইও স্ট্যাটাস যত ভালো তার ডিএ তত বেশি। একটি ওয়েবসাইটের ডিএ সর্বোচ্চ ১০০ হতে পারে।

আবার যদি একটি হাই ডিএ ওয়েবসাইট যদি আরেকটি লো ডিএ ওয়েবসাইটকে ডুফলো ব্যাকলিঙ্ক দেওয়ার মাধ্যমে তার ডোমেইন অথরিটি বৃদ্ধিতে অনেক সাহায্য করতে পারে।

তাই আপনাকে লিংক তৈরির সময় হাই ডিএ ওয়েবসাইট গুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। কিন্তু হাই ডিএ ওয়েবসাইট ছাড়া লিংক তৈরি করা যাবে না এমনটাও না। হাই ডিএ ওয়েবসাইট গুলোর ব্যাকলিঙ্ক খুব ইফেকটিভ হবে।

২) রিলেভেন্সি(relevance)?

শুধুই কি হাই অথরিটি সাইট থেকে ব্যাকলিঙ্ক নিলে হবে? সেটা এরকম বিষয়না। আপনি যে ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিঙ্ক নিবেন তার নিশ আপনার ওয়েবসাইটের নিশ সেইম হতে হবে। তারপরে আপনার ব্যাকলিঙ্কটি আরো বেশি কার্যকর হবে।

৩)সাইট ট্রাফিক

যে ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিঙ্ক নিচ্ছেন আগে আপনারা সেই ওয়েবসাইটের ট্রাফিক চেক করুন। কারন যদি সেই ওয়েবসাইটে ট্রাফিকই না থাকে তাহলে ব্যাকলিঙ্ক নিয়ে কোন লাভ হবে না, আশাকরি আপনারা বুঝতে পেরেছেন।

৪)লিংকের ধরণ( link type)

আপনি যখন কোন ওয়েবসাইটে লিংক তৈরি করেন তখন দেখবেন দুই ধরনের লিংক থাকে একটি হলো ডুফলো(dofollow) আরেকটি হলো নোফলো(nofollow)। চলুন এই ব্যাপারে আরো জেনে নেই।

ডুফলো লিংক(Dofollow link): - এটি হলো লিংকের ডিফল্ট ধরণ। ডুফলো লিংক বলতে ঐ সকল লিংককে বোঝায় যেগুলো ডেসটিনেশন লিংকে অথোরিটি পাস করার মাধ্যমে এসইওতে সাহায্য করে।

এই অথরিটি পাস করাকে link juice পাস করাও বলা হয়। এই ডুফলো লিংক গুলো ওয়েবসাইটের অথরিটি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

নোফলো লিংক(Nofollow link): - এগুলো হলো এমন লিংক যেগুলো অথরিটি পাস হতে দেয় না। ওয়েব স্প্যাম বন্ধ করার জন্যই নোফলো লিংক গুলো চালু হয়েছিল। এসব লিংক এসইওতে তেমন কোন প্রভাব ফেলে না।

আমাদের লিংক বিল্ডিং এর সময় অবশ্যই ডুফলো(Dofollow) লিংক তৈরি করতে হবে তা না হলে আমাদের এসইওতে তেমন প্রভাব পড়বে না লিংক গুলো।

কিভাবে লিংক বিল্ডিং করবেন?

চলুন আমরা জেনে আসি কিভাবে হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক বা লিংক বিল্ডিং করবেন, বিস্তারিত জেনে নিন?

প্রাইভেট ব্লগ নেটওয়ার্ক (PBN) লিংক:– ওয়েবসাইট দ্রুত রেংঙ্ক করাতে পিবিএন খুব জনপ্রিয় একটি উপায়। যদিও অনেকে পিবিএনকে ব্ল্যাক হ্যাট বা গ্রে হেট এসইও বলে থাকে। পিবিএন কি সেটা একটু বুঝার চেষ্টা করি আমরা এতক্ষণ তো জানলাম অন্য ওয়েবসাইট থেকে লিংক পেলে ওয়েবসাইটের রেংঙ্কিয়ে ইম্প্রুভ হয় তাই আমরা নানা ওয়েবসাইটে আমাদের ওয়েবসাইটের লিংক দিতে চায়।

কিন্তু যদি আমরাই আমাদের নিশ রিলেটেড আরো কয়েকটা ওয়েবসাইট খুলে সেখান থেকে আমাদের মেইন ওয়েবসাইটকে ( যেটাকে রেংঙ্ক করাতে চাচ্ছেন) লিংক দিলে আমাদের আর কষ্ট করে অন্য ওয়েবসাইট এডমিনদের টাকা দিয়ে লিংক তৈরি করানো লাগবে না।

এভাবে একটি ওয়েবসাইটকে রেংঙ্ক করানোর জন্য সেই নিশে আরো কয়েকটি ওয়েবসাইট রেডি করে লিংক বিল্ডিংটাই হলো পিবিএন বা পার্সোনাল ব্লগ নেটওয়ার্ক আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন।

পিবিএন দিয়ে খুব সহজে রেংঙ্ক করা যায় কিন্তু পিবিএন খুব ব্যায়বহুল একটি পদ্ধতি। চলুন জেনে নিই কিভাবে নিজের একটি পিবিএন তৈরি করবেন।

ডোমেইন কেনাঃ– পিবিএনের জন্য প্রথমে আমাদের ডোমেইন কিনতে হবে অন্য ওয়েবসাইট গুলোর জন্য। আমরা জানি হাই অথরিটি ডোমেইন থেকে লিংক পেলে আমাদের ইম্প্রুভমেন্ট দ্রুত হবে তাই যদি আমাদের বাকি ডোমেইন গুলো (যেগুলো থেকে লিংক নিব) হাই অথরিটি হয় তাহলে আমাদের জন্য ভালো হবে।

সেজন্য আমরা ফ্রেশ ডোমেইন না নিয়ে এক্সপায়ার্ড ডোমেইন নিব। আর এক্সপায়ার্ড ডোমেইন নিলে অবশ্যই ডিএ ১৫ এর বেশি ডোমেইন নিতে হবে।

ডোমেইন গুলো সব একই নামে না নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানি থেকে ভিন্ন ভিন্ন নামে নিবেন এতে গুগল বুঝতে পারবে না এগুলো সব আপনার ডোমেইন।

ওয়েবসাইট তৈরি এবং কন্টেন্ট পাবলিশ?

ওয়েবসাইট তৈরির সময় খেয়াল রাখবেন যেনো সব ডোমেইনের আইপি একই না থাকে। ভিন্ন ভিন্ন হোস্টিং ব্যবহার করুন সব ডোমেইনের জন্য। তারপরে কয়েকটি কন্টেন্ট পাবলিশ করে অন পেজ এসইও শেষ করুন।

আরো পড়ুন..

লিংক বিল্ডিং

এবার আসবে লিংক বিল্ডিং এর ব্যাপার বা বিষয়। প্রথমেই বলেছিলাম এই উপায়টিকে অনেক জন ব্ল্যাক বা গ্রে হেট এসইও বলে তার কারন হলো অনেকেই পিবিএন থেকে প্রতিদিন ইচ্ছা মতো লিংক নিতে থাকেন। এটি করে আপনি রেংঙ্ক পেলেও বেশি দিন এই রেংকিং ধরে রাখতে পারবেন না কথাটা মাথায় রাখবে।

যদি রেংঙ্ক ধরে রাখতে চান তাহলে আপনাকে এমন ভাবে লিংক বিল্ডিং করতে হবে যেনো এটি ন্যাচারাল মনে হয়। প্রতিদিন ১/২ লিংক নিবেন এর বেশি লিংক দিবেন না। একদিনে একই ডোমেইন থেকে বেশি লিংক নিবেন না।

কোন ডোমেইন থেকে একটা লিংক নেওয়ার কয়েকদিন পরে আরেকটি লিংক নিবেন।এভাবে পুরো ব্যাপারটা যেনো ন্যাচারাল মনে হয় সেভাবে লিংক বিল্ডিং করতে হবে একটু সময় নিয়ে।

কিছু কিছু ওয়েবসাইট আছে যারা সবাইকে মুক্ত ভাবে তাদের সাইটে কন্টেন্ট পাবলিশ করতে দেয়। আবার কোন কোন সাইট তাদের সাবডোমেইন নিয়েও কাজ করার সুযোগ দেয় যেমন blogger, wordpress। এমন ফ্রি সাইট গুলোতে কন্টেন্ট পাবলিশ করে লিংক তৈরি করাকে Web 2.0 বলে।

এটি মূলত পিবিএন এর মতোই কিছুটা কিন্তু এটি আরো বেশি সহজ এবং সম্পূর্ণ ফ্রিতেই আপনি এই মেথডটা ইমপ্লিমেন্ট করতে পারবেন। ওয়েব ২.০ করার জন্য প্রথমে আপনাকে ভিন্ন ভিন্ন জিমেইল দিয়ে এসব ফ্রি সাইটে নিজের সাইট বানাতে হবে। তারপরে সেখানে কন্টেন্ট পাবলিশ করে অন পেজ এসইও করে লিংক বিল্ডিং করবেন যেমনটা করেছিলেন পিবিএনে।

অনলাইনে এমন কিছু কিছু সাইট আছে যারা আপনাকে তাদের ওয়েবসাইটে যেকোন ডকুমেন্ট পাবলিশ করার সুযোগ দিবে। এসব ওয়েবসাইট থেকেও আপনি চাইলে নিজের সাইটের জন্য ভালো লিংক তৈরি করতে পারেন।

লিংক তৈরির জন্য প্রথমে আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটের নিশ রিলেটেড কোন ডকুমেন্ট ( স্লাইড, পিডিএফ, ভিডিও) তৈরি করতে হবে।

তারপরে ঐসব সাইটে গিয়ে আপনার একাউন্ট তৈরি করে আপনার ডকুমেন্টটি আপলোড দিবেন৷ সুন্দর একটি ডেসক্রিপশন দিবেন এবং সাথে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক দিবেন।

ব্যাস আপনি পেয়ে গেলেন একটি লিংক। এসব ডকুমেন্টস শেয়ারিং সাইট গুলোর অথরিটি হাই থাকে তাই এসব সাইটের ব্যাকলিংক গুলো খুব উপকারী।

আরো পড়ুন..

বর্তমানে আরেকটি জনপ্রিয় লিংক বিল্ডিংয়ের উপায় হলো প্রশ্ন উত্তর সাইট। এসব সাইটে মানুষ এসে নানা প্রশ্ন করে তাদের নানা সমস্যার সমাধান চায়। আপনার আর্টিকেল যেসব মানুষদের সমস্যা সমাধান করতে পারবে ঐ সব মানুষদের প্রশ্ন খুজুন তারপরে উত্তর দিয়ে লাস্টে আপনার ওয়েবসাইটের লিংকটি যুক্ত করে দিন।

একটি জনপ্রিয় প্রশ্ন উত্তর সাইট হলো quora.com। আপনাকে প্রথমেই এসব সাইটে গিয়ে নিজের একটা একাউন্ট তৈরি করতে হবে এবং নিজের প্রোফাইল সঠিক ইনফরমেশন দিয়ে সাজাতে হবে। চেষ্টা করবেন ২/৩ টা প্রশ্নের উত্তর লিংক ছাড়া দিতে তারপরে একটি উত্তরে লিংক দিতে অর্থাৎ প্রতি ২/৩ টা প্রশ্নের উত্তরের পর পর একটা উত্তরে লিংক ব্যবহার করবেন।

যদি সব উত্তরেই লিংক ব্যাবহার করেন তাহলে ওয়েবসাইট গুলো আপনাকে ব্যান করে দিবে। এনব প্রশ্ন উত্তর সাইট থেকে শুধু লিংকই না আপনি অনেক টার্গেটেড ট্রাফিকও পাবেন। তাই সব সময় এমন প্রশ্ন উত্তর সাইট গুলোই একটিভ থাকার চেষ্টা করুন।

বিশ্বের অনেক জনপ্রিয় কিছু ওয়েবসাইট আছে যেমন ফেসবুক, গুগল, পিন্টেরেস্ট, লিংকডিন ইত্যাদি। এসব ওয়েবসাইটে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক যুক্ত করাকেই সোশ্যাল বুকমার্কিং বলে।

সোশ্যাল বুকমার্কিং এর মাধ্যমে আপনি একদিকে যেমন প্রচুর ভিজিটরস পাবেন এসব ওয়েবসাইট থেকে অন্যদিকে আপনার ওয়েবসাইটটি আস্তে আস্তে একটি ব্র্যান্ডে পরিণত হবে। আপনি গুগোলে সার্চ দিলে অনেক বুকমার্কিং সাইট খুজে পাবেন৷

সোশ্যাল বুকমার্ক হলো অনেক জনপ্রিয় ওয়েবসাইটে লিংক যুক্ত করা ঠিক তেমনি ফোরাম সাবমিশন হলো অনেক জনপ্রিয় কিছু ফোরামে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক যুক্ত করা।

কিন্তু ফোরামে যদি লিংক যুক্ত করতে হয় প্রথমে আপনাকে আপনার নিশ রিলেটেড ফোরাম খুজে নিতে হবে তারপরে সেখানে মানুষ নানা সমস্যার কথা বলবে আপনি সেসব সমস্যার সমাধান দিবেন এবং আপনার ওয়েবসাইটের লিংক যুক্ত করবেন। ঠিক যেমনটা প্রশ্ন উত্তর সাইটে করতে হয়। এসব ফোরাম থেকে আপনি প্রচুর ভিজিটরস পাবেন এবং আপনার ওয়েবসাইটের পরিচিতি বাড়বে।

অনেক ওয়েবসাইট আছে যারা তাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে যেকোন ছবি আপলোড দেওয়ার সুযোগ দিবে। আপনি আপনার নিশ রিলেটেড একটি ছবি তৈরি করে এসব ওয়েবসাইটে আপলোড দিবেন।

এবং মজার বিষয় হলো এসব ওয়েবসাইট আপনাকে ছবির সাথে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক যুক্ত করারও সুযোগ দেয়। যার ফলে খুব সহজেই আপনি ব্যাকলিংক নিতে পারবেন। এমন পরিচিত একটি ইমেজ ওয়েবসাইট হলো পিনটেরেস্ট.কম।

একটি ওয়েবসাইটের জন্য ব্র্যান্ড সিগনাল অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। লিংক বিল্ডিং এর পরে সোম্যাল অথরিটিকেই প্রাধান্য দেওয়া হয় অফ পেজ এসইওতে।

Brand Signals কি?

আপনি যদি এখন একটি জনপ্রিয় তারকার নাম গুগলে সার্চ দেন তাহলে কি হবে? দেখবেন ঐ তারকার ছবি, সোশ্যাল একাউন্ট, জন্ম সব কিছু বিস্তারিত চলে আসবে। আবার আপনি যদি গুগোলে টুইটার লিখে সার্চ দেন তাহলেও টুইটারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এবং তাদের ব্যাপারে সব কিছু চলে আসবে ইন ডিটেইলস।

এমনটা কেন হলো? তার কারন হলো ঐ তারকা এবং টুইটার নিজেদেরকে একটি ব্র্যান্ড বানিয়ে ফেলেছে। আপনাকে ঠিক এমন ভাবে নিজের ওয়েবসাইটকে ব্র্যান্ড বানিয়ে ব্র্যান্ড সিগনাল বাড়াতে হবে৷

ব্র্যান্ড সিগনালের প্রয়োজনীয়তা?

ব্র্যান্ড সিগনাল বা সোশ্যাল সিগনাল এর প্রয়োজনীয়তা কি, এটি করে কি খুব সহজে রেংঙ্ক করা যাবে? সোজা উত্তর হলো ব্র্যান্ড বা সোশ্যাল সিগনাল এর কোন প্রভাব এসইওতে নেই।

যদি এটির প্রভাব এসইওতে থাকতো তাহলে হয়ত এসইও করা খুব সহজ হতো কারন বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় তো লাইক কমেন্ট কিনতে পাওয়া যায়। যে কেউ তার সোশ্যাল প্রোফাইল গুলোর লাইক কমেন্ট বাড়িয়ে ভালো ব্র্যান্ড সিগন্যাল পেতে পারে।

তাহলে কেন আমরা ব্র্যান্ড সিগনাল নিয়ে কাজ করব, তা বিস্তারিত বলে দিচ্ছি? আপনাকে যদি জিজ্ঞেসা করা হয় আপনি কেন আপনার ওয়েবসাইটের এসইও করছেন? তাহলে আপনি বলবেন যাতে ভালো ভিজিটরস পেতে পারি তাই এসইও করছি।

হ্যাঁ যদি আপনি আপনার ব্র্যান্ড সিগনাল বাড়াতে পারেন তাহলে আপনিও ভালো পরিমান ভিজিটরস পাবে। মানুষ আপনার ওয়েবসাইটের নাম সার্চ দিয়ে আপনাকে খুজে খুজে নিবে যদি আপনার ব্র্যান্ড সিগনাল ভালো থাকে।

এছাড়াও ব্র্যান্ড সিগনাল সরাসরি এসইওতে প্রভাব না ফেললেও অন্যভাবে প্রভাব ফেলে তা নিয়ে একটু পরেই আলোচনা করব।

কিভাবে ব্র্যান্ড সিগনাল বাড়াবেন?

কিভাবে ব্র্যান্ড সিগনাল বাড়াবেন সেটি জানার আগে আপনাকে জানতে হবে আপনার ব্র্যান্ড সিগনাল এখন কত। কিভাবে জানবেন এটি তা বিস্তারিত বলে দিচ্ছি? আপনার ওয়েবসাইটের নাম লিখে সার্চ করুন (যেমনঃ- আমাদের ওয়েবসাইটের নাম Dailytk.com। দেখুন আপনার ওয়েবসাইটের নামটির সার্চ ভলিউম কত।

সার্চ ভলিউম যত বেশি আপনার ব্র্যান্ড সিগনাল তত বেশি। পৃথিবীতে যত বড় ব্র্যান্ড আছে সবারই অনেক বেশি সার্চ ভলিউম আছে। এবার আসুন জেনো নিই কিভাবে ব্র্যান্ড সিগনাল বাড়াবেন?

কিভাবে ব্র্যান্ড সিগনাল বাড়াবেন?

ব্র্যান্ড সিগনাল বাড়ানোর অনেকে উপায় আছে চলুন সমস্ত উপায়গুলো নিয়ে একটু বিস্তারিত জেনে নিন?

ব্র্যান্ড সিগনাল উইথ সোশ্যাল মিডিয়া

আপনার ব্র্যান্ড সিগনাল তখনই বৃদ্ধি পাবে যখন মানুষ আপনাকে অথবা আপনার ওয়েবসাইটকে চিনবে এবং জানবে। আর মানুষের সাথে পরিচিত হওয়ার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হলো বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া।

আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক বেশি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করি। তাই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিজের ওয়েবসাইটকে প্রমোট বা ব্র্যান্ডিং করা সহজ হবে।

যখন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ব্র্যান্ডিংয়ের কথা আসছে তখন সবার আগে যেই সোশ্যাল মিডিয়ার নাম নিতে হবে সেটি হলো ইউটিউব। ইউটিউবে প্রতিনিয়ত মানুষ ভিডিও দেখছে এবং ইউটিউবের মাধ্যমে অনেক অনেক ব্র্যান্ড নিজেদের প্রমোট করছে।

উদাহরণ যদি দিতেই হয় তাহলে নেইল পেটেলের উদাহরণ উৎকৃষ্ট হবে। তিনি একজন এসইও এক্সপার্ট। প্রথমে তিনি ইউটিউবে এসইও রিলেটেড নানা ভিডিও দিতেন এবং বর্তমানে তার ওয়েবসাইট নেইলপেটেল ডট কম একটি ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। আপনারা গুগলে সার্চ দিয়ে দেখে নিবেন? নেইলপেটেল ডট কম

আমরা কি-ওয়ার্ড রিসার্চের জন্য উবারসাজেস্ট হয়ত কম বেশি সবাই ব্যবহার করেছি। নেইল পেটেল সেই উবার সাজেস্ট এর মালিক। তাহলে ইউটিউবের মতো প্ল্যাটফর্মকে কেন আপনি ব্যবহার করছেন না?

আপনার ওয়েবসাইটের নামে একটি চ্যানেল খুলে আপনার ওয়েবসাইটের টপিক রিলেটেড কন্টেন্ট তৈরি করে শুরু করে দিন ব্র্যান্ডিং।

বর্তমানের সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া হলো ফেসবুক। আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটের নামে একটি ফেসবুক পেজ খুলে সেখানে ওয়েবসাইট লিংক যুক্ত করবেন। এবং নিয়মিত কন্টেন্ট পাবলিশ করবেন।

লিংকড-ইন মূলত জব খোজার একটি প্ল্যাটফর্ম তবে লিংকড-ইনে আর্টিকেল সাবমিট করার একটি ফিচার আছে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের নামে প্রোফাইল তৈরি করে আর্টিকেল সাবমিট করতে পারবেন।

মিডিয়াম হলো ফ্রী কন্টেন্ট পাবলিশিং ওয়েবসাইট। আপনি আপনার ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট গুলো মিডিয়ামে আপলোড করতে পারবেন। মিডিয়ামে অনেক ইউজার থাকায় আপনি ভালো ট্রাফিকও পাবেন।

বিশ্বে যত ছোট বড় কোম্পানি আছে তাদের সবারই মূলত একটি করে টুইটার একাউন্ট আছে। আপনার ওয়েবসাইটটি যেহেতু একটি কোম্পানির মতো কাজ করবে তাই আপনাকেও একটি টুইটার একাউন্ট খুলতে হবে।

বর্তমানে পিনটেরেস্ট অনেক জনপ্রিয় একটি ইমেজ শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম। এখানে বেশি ভিজিটরস আসে ইউএসএ থেকে। আপনার ওয়েবসাইট যদি ইউএসএ বেসড হয় প্রচুর ভিজিটরস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এখানে। শুধু আর্টিকেল রিলেটেড ছবি তৈরি করে আর্টিকেল লিংক সহ এখানে সাবমিট করতে পারবেন।

আরেকটি জনপ্রিয় ইমেজ শেয়ারিং ওয়েবসাইট হল ইনস্টাগ্রাম। এখানে ইমেজ, ভিডিও এবং লাইভ ও করা যায়৷ ফেসবুকের মতো একটি বিজনেস পেজ খুলে আপনি ইনস্টাগ্রামেও আপনার ওয়েবসাইটের প্রচারনা করতে পারবেন।

এমন আরো অনেক সোশ্যাল মিডিয়া আছে তবে যেগুলো শেয়ার করেছি, সেগুলো খুব দরকারি এবং জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া। আপনার ওয়েবসাইটের প্রতিটি পোস্ট এসব সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করবেন।

আস্তে আস্তে যখন আপনার সোশ্যাল প্রোফাইল গুলোর এনগেজমেন্ট বাড়বে। অনেক লাইক কমেন্ট আসবে তখন আপনার ওয়েবসাইটের সোশ্যাল অথরিটি বাড়বে।

যদি চান তাহলে এসব সোশ্যাল মিডিয়ায় পেইড মার্কেটিং করে এনগেজমেন্ট বাড়াতে পারবেন। এভাবেই মূলত সোশ্যাল অথরিটি বাড়াবেন আপনার ওয়েবসাইটের।

ব্র্যান্ড সিগনাল উইথ ফোরাম

বর্তমানে পৃথিবীতে বিভিন্ন নিশ রিলেটেড ফোরাম আছে যেখানে অনেক আলোচনা হয়। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন কিউএনএ সাইট যেখানে মানুষ নানা বিষয়ে প্রশ্ন করে এবং উত্তর দেয়।

আপনি আপনার ওয়েবসাইটের নামে ওসব ফোরাম গুলোই একাউন্ট খুলে মানুষের সাথে আলোচনা করুন এবং সবাইকে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দিয়ে উপকার করুন।

যার ফলে সবার মধ্যে আপনি একটি জনপ্রিয়তা পেয়ে যাবেন যেটা আপনার ওয়েবসাইটের ব্র্যান্ড সিগনাল অনেক বাড়াবে। কোরা, রেডিট এসব ওয়েবসাইটে বেশি বেশি প্রশ্নের উত্তর দিতে থাকবেন দেখবেন আস্তে আস্তে আপনার ওয়েবসাইটের জনপ্রিয়তা বাড়বে।

রাইট রিসার্চ বেসড আর্টিকেল

আপনি যদি নিজে কোন সার্ভে বা রিসার্চ করে একটি আর্টিকেল লিখেন তাহলে কিন্তু সেটা আপনার ব্র্যান্ড সিগনাল অনেক বৃদ্ধি করবে। কিন্তু অবশ্যই অবশ্যই আপনার রিসার্চটি মানুষের উপকারে আসে বা ইন্টারেসটিং হতে হবে। তারপর আপনার সেই রিসার্চ নিয়ে যখন কেউ কথা বলবে অবশ্যই তখন তারা আপনার ওয়েবসাইটের নাম উল্লেখ করবে, কারন রিসার্চটি আপনি করেছেন।

যেমন, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন রিসার্চ নিয়ে কথা বললে আমরা অবশ্যই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ করব। এমন রিসার্চ বেসড আর্টিকেল লেখা হয়ত সবার দ্বারা সম্ভব না।

তাই অনেকে ইনফোগ্রাফিও তৈরি করে কোন সার্ভে বা রিসার্চ এর উপর বেসড করে। এবং ইনফোগ্রাফিতে ওয়েবসাইটের নাম লিখে দেয়। যখন কেউ এই ইনফোগ্রাফি অন্যকে শেয়ার করবে তখন ঐ ওয়েবসাইটের ব্রেন্ডিং হয়ে যায়।

অফ পেজ এসইও এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি টার্মস হলো E-A-T। বর্তমান সময়ে ব্লগিং ইন্ডাস্ট্রিতে প্রচুর কম্পিটিশন চলে আসায় এই E-A-T টার্মসটি খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। আমরা অনেকেই এটি সম্পর্কে জানি না চলুন একটি বিস্তারিত জানি।

E-A-T কি?

E=Expertise/ দক্ষতা

A=Authoritativeness/প্রামাণ্য

T=Trustworthiness/বিশ্বাসযোগ্যতা।

কি কিছু বুঝতে পারছেন না? গুগল সেসব ওয়েবসাইটকে রেংঙ্ক করাবে যাদের কন্টেন্টের মধ্যে দক্ষতা, প্রামাণ্য বা সঠিক প্রমাণ এবং বিশ্বাসযোগ্যতা থাকবে।

যেমন ধরুন হেল্থ রিলেটেড একটা ব্লগ তৈরি করতে আপনার কোন মেডিকেল সাইন্সের উপর ডিগ্রি লাগবে না। আপনি হেল্থ রিলেটেড আর্টিকেলও লিখতে পারবেন।

আবার আরেকজন ডাক্তারও হেল্থ রিলেটেড আর্টিকেল লিখতে পারবে কিন্তু স্বাভাবিক মানুষ ডাক্তারের আর্টিকেলটাই পড়বে কারন তার আর্টিকেলের মধ্যে দক্ষতা, প্রামাণ্য এবং বিশ্বাসযোগ্যতা থাকবে।

ঠিক তেমনি গুগলও চাই তার অডিয়েন্স এমন আর্টিকেল গুলোই পড়ুক যেগুলোর মধ্যে উপরোক্ত ৩ টি বিষয় থাকবে। তাহলে কি আমাদের ওয়েবসাইট তৈরির জন্য ডিগ্রি অর্জন করতে হবে?

না তেমনটা না আপনাকে এমন কিছু করতে হবে, যাতে গুগোল আপনার মধ্যে উপরোক্ত বিষয়গুলো খুজে পায়। তাহলে চলুন জেনে আসি E-A-T কিভাবে বৃদ্ধি করব?

কিভাবে E-A-T বৃদ্ধি করবেন?

আমরা যখন এর ব্র্যান্ড সিগনাল নিয়ে কথা বলছিলাম তখন বলেছিলাম ব্র্যান্ড সিগনাল ইনডিরেকলি এসইওতে প্রভাব ফেলে। হ্যাঁ ব্র্যান্ড সিগনাল আপনার E-A-T বৃদ্ধি করতে অনেক বেশি সাহায্য করবে।

কারন আপনি যখন একটি ব্র্যান্ডে পরিণত হবেন তখন মানুষ আপনাকে বিশ্বাস করবে। আপনার লেখা পড়তে চাইবে যেমন ধরুন নেইল প্যাটেল।

সে নিজেকে একটি ব্র্যান্ডে পরিনত করছে অনেক বেশি ব্র্যান্ড সিগন্যাল রয়েছে তার। এখন যদি সে আপনাকে এসইও এর কোন ট্রিকস শেয়ার করে আপনি সেই ট্রিকসটা অবশ্যই ফলো করবেন।

কারন তার একটি বিশ্বাসযোগ্যতা রয়েছে আর সেটি অর্জনের জন্য তাকে ডিগ্রি নিতে হয়নি শুধু নিজের ব্র্যান্ড সিগনেল বাড়িয়েছেন। তাই ব্র্যান্ড সিগনাল আপনার E-A-T তে প্রভাব ফেলবে আর E-A-T অফ পেজ এসইও তে। চলুন E-A-T বৃদ্ধির আরো কিছু নিয়ম জেনে নিই।

লোকাল নিউজ পোর্টাল

আপনি যে লোকেশন টার্গেট করে ওয়েবসাইট বানাচ্ছেন সেই লোকেশনের যদি কোন জনপ্রিয় লোকাল নিউজ পোর্টাল থাকে তাহলে তাদের সাথে কথা বলে আপনার ওয়েবসাইট নিয়ে একটি আর্টিকেল পাবলিশ করতে বলুন। যদিও এটি ব্যায়বহুল তবে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য অনেক বেশি উপকার হবে।

ওয়েবসাইট রিভিউ সাইট

অনলাইনে নানা ওয়েবসাইট রিভিউ সাইট আছে যেখানে শুধু অন্য ওয়েবসাইট নিয়ে রিভিউ দেওয়া হয়। ওসব ওয়েবসাইট থেকে ভালো রিভিউ নেওয়া। কিছু কিছু ওয়েবসাইট আছে যারা অডিয়েন্সদের থেকে রিভিউ নিয়ে রেটিং দেই (যেমনঃ- ট্রাস্ট পাইলট) ।

আপনার ওয়েবসাইটের অডিয়েন্সদের বলতে পারেন ওসব সাইটে গিয়ে পজিটিভ রিভিউ দিতে। আবার কেউ কেউ নিজেরা রিভিউ লিখে সেক্ষেত্রে তাদের সাথে যোগাযোগ করে আপনার ওয়েবসাইটের একটি পজিটিভ রিভিউ লেখান।

চেষ্টা করবেন হাই অথরিটি সাইট থেকে রিভিউ নিতে। ফোরামগুলোতে আপনার ওয়েবসাইট নিয়ে বেশি বেশি আলোচনা করুন।

আমাদের কথা,

আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে অফ পেজ এসইও নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। কারন অফ পেজ এসইও অনেক গভীর একটি বিষয় ৷ কোন কিছু না বুঝলে অবশ্যই অবশ্যই কমেন্টে আমাদের বিস্তারিত জানাবেন। আমাদের ভুল ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

আর আপনারা অনলাইনে প্রতারণা শিকার না হন তাই,সঠিক দিকনির্দেশনা পান তাই আমাদের এই পোস্ট, যদি আপনাদের এই পোষ্ট ভালো লাগে অবশ্যই শেয়ার করবেন।ধন্যবাদ এতক্ষণ ধৈর্য ধরে এই পোস্টটি পড়ার জন্য।

Leave a Comment