অনলাইনে ইনকাম ২০২৪ : আয় করার সেরা উপায়

২০২৪ এ অনলাইনে অর্থ উপার্জন করুন ১০ প্রাকটিক্যাল এবং সহজ উপায়: বর্তমান সময়ে অনলাইনে আয়ের একটি জনপ্রিয় আয়ের এর উৎস হিসেবে পরিণত হয়েছে, এখানে রয়েছে বিশাল সম্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ?

যেমন -উদাহরণ যদি বলি একটি সরকারি চাকরি একটি নির্দিষ্ট বেতন হয়ে থাকে, হয়তো বা ভাল কাজ করলে 1 থেকে 2000 টাকা বেশি পাওয়া যায়। কিন্তু অনলাইনে ব্যাপার এমন নয়? ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হওয়ার জন্য বিভিন্ন অনলাইন ফ্রীলান্সিং ওয়েবসাইটগুলোতে আবেদন করা যায় আরে না

অনলাইনে আয়ের এর কোন লিমিট নেই অনলাইনে আপনি আপনার স্কেল অনুযায়ী বিশাল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন যা একটি চাকরি তুলনায় রাত আর দিন পার্থক্য থাকবে।

অনলাইনে একটি কাজে যত দক্ষতা অর্জন করা যায় ইনকাম তত বাড়তে থাকে, আজকের এই পোস্টে আমি আপনাকে অনলাইনে ইনকামের মাধ্যম সহ অনলাইনের কোন কাজটি করলে আপনি দ্রুত সফলতা পাবেন এবং দীর্ঘস্থায়ী ভালো পরিমাণ অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন তার দিকনির্দেশনা দেব।

অনলাইন ইনকাম ২০২৪- online income

এই পোস্টে মোট ২৬ টি অনলাইন ইনকামের মাধ্যম শেয়ার করছি। আপনি এই কাজগুলো থেকে যেকোনো একটিকে নির্বাচন করে ভালোভাবে সেটি শিখে অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন।

যেমন- যদি শুরুতে আপনার কাছে একটু কঠিন মনে হতে পারে তাই বলে হাল ছেড়ে দিলে তো আর হলো না ধৈর্য ধরে একবার যদি ইনকাম শুরু করতে পারেন এই সকল ওয়েবসাইট থেকে তাহলে একটা সময় এগিয়ে আপনি ভালো পরিমাণ অর্থ ইনকাম করতে পারবেন।

অনলাইনে অর্থ উপার্জন ২০২৪

আর আপনার কাছে আমার আগে থেকেই একটা অনুরোধ রইলো পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়বেন এবং আপনার কাছে যদি পোস্টটি ভাল লাগে, তাহলে পোস্টটি আপনার পরিচিত অনলাইনে ইনকামের আগ্রহী ব্যক্তিদের সাথে শেয়ার করবেন।

যাতে এই পোষ্টটি পড়ে তারা অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানতে পারেন এবং সঠিক কাজটি নির্বাচন করতে পারেন অনলাইনে ইনকাম করার জন্য।

২০২৪ এ অনলাইনে অর্থ উপার্জন করুন ১০ প্রাকটিক্যাল এবং সহজ উপায়

প্রথমে, ওয়েবসাইট তৈরি করে/ব্লগিং করে অনলাইনে ইনকাম ২০২৪

ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম বা ব্লগিং করে অনলাইনে আয়ের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। আমার পরিচিত অনেকেই ব্লগিং এর মাধ্যমে অনলাইন হতে ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করছে। তার মধ্যে আবার কয়েকজনের প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ পর্যন্ত ইনকাম আছে যা একজন সাধারণ মানুষের পক্ষে বিশ্বাস করা সম্ভব নয়।

ওয়েবসাইট কি?

আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আমরা ওয়েবসাইট এর পরিচিতি এবং এর ব্যাসিক তথ্য গুলো নানান বিষয় সম্বন্ধে আলোচনা করবো। ওয়েবসাইট কি? ওয়েবসাইট থাকার ১০ টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ, এটি কিভাবে কাজ করে এবং কি কি ধরনের ওয়েবসাইট হতে পারে। এ বিষয় নিয়ে আজ আমরা আলোচনা করব চলুন জেনে নিয়।

ক্লিক করে আরও পড়ুন..

সাধারনত, ওয়েবসাইট হলো কোন নির্দিষ্ট ওয়েব সার্ভারে রাখা বিভিন্ন ধরনের ওয়েব পৃষ্ঠা, আপলোড কৃত ছবি, অডিও, ভিডিও ও অন্যান্য বিষয় যেমনঃ Infographic, GIP, Animation ইত্যাদি ডিজিটাল তথ্যের সমষ্টিকে বোঝায়, যা আমরা আজকাল ইন্টারনেট ব্যবহার করে কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা অন্যন্য স্মার্ট ডিভাইসের এর মাধ্যমে এক্সেস করে দেখতে পারি।

আর ইন্টারনেটে একটি ওয়েবসাইট অ্যাক্সেস করাতে হলে আপনাকে নিচের ৩ টি কাজের মধ্য দিয়ে সবাইকে এগোতে হবে।

১। প্রথমত, আপনাকে অবশ্যই একটি ডোমেইন নেম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

২। পছন্দের প্লান ও প্যাকেজ অনুযায়ী  ভালো মানের ওয়েব হোস্টিং কিনতে হবে।

৩। এবং সব শেষে ওয়েবসাইটটি ডিজাইন করতে হবে।

ওয়েব পেজ কি।

একটা ওয়েবসাইটে বেশ কিছু ওয়েব পেজ বা পৃষ্ঠা থাকে । ওয়েব পেজ বা পৃষ্ঠা মূলত একটি html document যা http protocol এর মাধ্যমে ওয়েব সার্ভার থেকে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ওয়েব ব্রাউজারে স্থানান্তরিত হয়ে থাকে। আর এই সমস্ত উন্মুক্ত ওয়েবসাইট গুলিকে সমষ্টিগতভাবে  “WWW” অর্থাৎ [ ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব বা বিশ্বব্যাপী জাল ] নাম বলা হয়ে থাকে।

যতই দিন যাচ্ছে প্রযুক্তির উন্নয়ন ও ব্যবহার ততই  বৃদ্ধি পাচ্ছে সারাবিশ্বে। তাই বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগের পাশাপাশি, ব্যবসায়ীক কাজের জন্যও ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়েই চলেছে।

প্রতিটি ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান নিজেদের পণ্য ও সেবা একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সবার সামনে প্রকাশ করছে ।

ফলে তারা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তাদের ব্যবসা প্রসার সহ নানাবিধ সুবিধা পাচ্ছে । ঠিক এইসব কথা মাথায় রেখে ওয়েবসাইট থাকার ১০ টি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধাসমূহ নিচে আলোচনা করা হলোঃ

জেনে নিয়ে যাক ওয়েবসাইট থাকার ১০ টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ:

১। খুব অল্প খরচে যে কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, ওয়েবসাইট ব্যাবহার করে তাদের ব্যবসার প্রসার করতে পারে।

২। যে কেউ যে কোন স্থান থেকে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিভিন্ন তথ্য যে কোন সময়ে দেখতে পারে।

৩। নির্দিষ্ট প্রসেস এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটে তাৎক্ষনিক তথ্য প্রকাশ করা যায়।

৪। ওয়েবসাইটে লেখা, অডিও, ভিডিও, স্থির চিত্র, অ্যানিমেশন ইত্যাদি যুক্ত করা সহ এছাড়াও আরও অনেক কাজ করা যায় একটি ওয়েবসাইটে।

৫। ওয়েবসাইট থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য ( যেমনঃ বিভিন্ন ছবি, অডিও, ভিডিও, পিডিএফ ফাইল ) ডাউনলোড করা যায়।

৬। সাধারনত প্রিন্ট মিডিয়ার চেয়ে অনেক কম খরচে আকর্ষণীয় ও ইউজার ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়।

৭। বড় বড় কর্পোরেশন ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলো আন্তর্জাতিকভাবে তাদের ব্যবসায়িক লেনদেনের ও পরিচিতি লাভের জন্য ওয়েবসাইটকে তাদের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন।

৮। একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে খুব দ্রুত ও সহজেই যেকোন ব্যবসা মানুষের কাছে পরিচিতি পাচ্ছে ও আস্থা গড়ে তুলতে সক্ষম হচ্ছে আজকাল সারা বিশ্ব।

৯। বিভিন্ন সরকারি ওয়েবসাইট থাকার ফলে আমরা সহজেই প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ ও জানতে পারি । যেমনঃ বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার রেজাল্ট, ভুমি বা জমি-জমা সংক্রান্ত তথ্য, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ইত্যাদি নানান বিষয়।

১০। আজ ওয়েবসাইটের ব্যবহার আছে বলেই  Amazon, Aliexpress, এবং Ebay এর মত বড় বড় ই-কমার্স সাইট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । এবং সেগুলো হতে আফিলিয়েশন এর মাধ্যমে নিজ সাইট গড়ে তুলে আজ মানুষ অনেক টাকা ইনকাম করে আসছে।

 ইউটিউব থেকে আয়

আমার জানা মতে অনলাইনে যত ইনকামের পথ রয়েছে তার মধ্যে ইউটিউব থেকে আয় অনেক সহজ এবং দীর্ঘস্থায়ী। আপনি চাইলে ইউটিউব ব্যবহার করে খুব সহজেই অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন?

যদিও ২০২৪ সালে এসে ইউটিউব কঠিন হয়ে গেছে, মনিটাইজেশন পাওয়ার জন্য ২০২২ সালের পূর্বে ইউটিউবে অনেক খুব সহজেই মনিটাইজেশন পাওয়া যেত। কিন্তু বর্তমান সময়ে ইউটিউব মনিটাইজেশন পাওয়া একটু কঠিন ব্যাপার।

কেননা একটি ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন পাওয়ার পূর্বে অনেক লম্বা পথ পাড়ি দিতে হয় যা শুধু কঠিন পরিশ্রমের অধৈর্য এর মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব। ইউটিউব মনিটাইজেশন মানেই ইউটিউবের গুগল এডসেন্স। আপনার ইউটিউব চ্যানেল যখন মনিটাইজেশন থাকবে তখন আপনার ইউটিউব ভিডিওতে এড দেখাবে। আপনার ইউটিউব ভিডিওতে এড দেখানোর মাধ্যমে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

তবে আপনার ইউটিউব ভিডিওতে মনিটাইজেশন পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে, যেমন- শর্তগুলো হচ্ছেঃ

  • গত এক বছরে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও ৪০০০ ঘন্টা দেখাতে হবে ও ১০০০ হাজার সাবস্ক্রাইবার অর্জন করতে হবে।
  • আপনার ইউটিউব ভিডিও গুগল অ্যাডভার্টাইজমেন্ট ফ্রেন্ডলি হতে হবে।

ইউটিউব থেকে আয় করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিচের পোস্টটি ক্লিক করে পড়ে দেখেনি: অনলাইন ইনকাম অনলাইনে ইনকাম মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ইনকাম কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করব অনলাইনে কিভাবে ইনকাম হয় অনলাইন ইনকাম অনলাইন ইনকাম আয় করার সেরা উপায়।

ইউটিউব কত ভিউ এ কত টাকা দেয়, ও কত সাবস্ক্রাইবারে কত টাকা দেয়

 ফেসবুক থেকে আয়

ফেসবুক হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোশ্যাল মিডিয়া পৃথিবী মানবের একটি বিশাল অংশ ফেসবুকের সাথে যুক্ত হয়ে আছে। প্রত্যেক সেকেন্ডে গড়ে ০৫ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে থাকে।

প্রতিমাসে ২.৫ বিলিয়ন একটিভ ফেসবুক ব্যবহারকারী রয়েছে। প্রতিদিন ১.৪৫ বিলিয়ন লোক তাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লগিন করে।

আপনি কিন্তু এই বিশাল সোশ্যাল মিডিয়াকে অনলাইনে ইনকামের জন্য ব্যবহার করতে পারে। অবশ্য ফেসবুক থেকে ইনকাম করাটা একটু কঠিন, তবে ধৈর্য ধরে সঠিক গাইডলাইন এগুলোতে থাকলেও খুব দ্রুত ফেসবুক থেকে ইনকাম করা সম্ভব।

ফেসবুক থেকে অনেক ভাবে ইনকাম করা যায়। তবে আমি জনপ্রিয় কয়েকটি মাধ্যম নিয়ে আলোচনা করব। যেগুলো আপনি ব্যবহার করে ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন।

ফেসবুক পেজ থেকে আয়

ইউটিউব এর মত ফেসবুক পেজে ভিডিও আপলোড দেওয়ার মাধ্যমে ফেসবুক থেকে টাকা আয় করা যায়। এটি সাধারণত ভিডিওতে এড দেখানোর মাধ্যমে টাকা ইনকাম হয়। তবে ফেসবুক পেজের ভিডিওতে এড আসার পূর্বে ফেসবুক পেজের কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে।

  • একটা ফেসবুক পেজ থাকতে হবে
  • ফেসবুক পেজের ফলোয়ারের সংখ্যা ১০,০০০ বা এর বেশি হওয়া লাগবে।
  • পেজটির ভিডিও গুলোতে বিগত ৬০ দিনের কমপক্ষে (১ মিনিটের বেশি সময় ধরে দেখা হয়েছে এমন) ৩০,০০০ ভিউ থাকতে হবে। সে সকল ভিডিও ৩ মিনিটের বেশি সময়ের, শুধুমাত্র সেগুলোই এক্ষেত্রে হিসেবের ভেতরে পড়বে।

ফেসবুকের এই শর্তগুলো পুরন করার পর আপনার ফেসবুক পেজের ভিডিওতে এড আসার উপযোগী হবে। তারপর আপনার ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন এর জন্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে হবে।

তারা আপনার ফেসবুক পেজটি রিভিউ করে দেখবে যদি তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন এর উপযুক্ত হয়, তাহলে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আপনার ভিডিওতে এড দেবে। আর আপনার ভিডিও গুলোতে অ্যাড দেখানো মাধ্যমে আপনি ফেসবুকে পেজ দ্বারা অনলাইনে আয় করতে পারবেন।

ফেসবুক গ্রুপ থেকে ইনকাম

ফেসবুক গ্রুপ থেকে ইনকাম করা সম্ভব। আমি অনলাইনে অনেক ফেসবুক গ্রুপ দেখেছি, যেগুলিতে কোন ওয়েবসাইটের লিঙ্ক বা এড দেওয়ার জন্য টাকা দিতে হয়।

যেমন বাংলাদেশের কয়েকটি জনপ্রিয় ফেসবুক গ্রুপ রয়েছে। যেগুলোতে বাংলাদেশের অনেক চাকরির ওয়েবসাইট এর মালিকরা তাদের ওয়েবসাইটের লিঙ্ক শেয়ার করে। এবং শেয়ার করার জন্য ওই ফেসবুক গ্রুপ গুলির মালিকদের মাসিক টাকা দিতে হয়।

তবে একটা ফেসবুক গ্রুপ থেকে ইনকাম করতে গেলে সেই গ্রুপে প্রচুর পরিমাণে একটিভ সদস্য প্রয়োজন। যা কয়েকজন মিলে লম্বা সময় ধরে কাজ করলে সম্ভব।

একা একটি ফেসবুক গ্রুপে টাকা ইনকামের পর্যায়ে নিয়ে যেতে অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। তাই আপনার কাছের কয়েকজন বন্ধু-বান্ধব মিলে টাকা ইনকামের জন্য একটি ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করতে পারেন।

 ব্লগে/ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখে আয়

আপনি যদি ওয়েবসাইটের এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে পারেন, তাহলে সেই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আপনি অনলাইন হতে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

শুরুতে প্রথমে, একজন লোকের আর্টিকেল লেখা অনেক কঠিন। তবে আপনি যদি এটা নিয়ে ঘাটাঘাটি করেন তাহলে খুব দ্রুত এসইও ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট পোস্ট লেখা রপ্ত করতে পারবে।

আপনি কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে অনলাইনে বড় বড় মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারবেন। ফিন্যান্স আর এই অনলাইন মার্কেট গুলোতে অনেক বড় একটি ক্যাটাগরির রয়েছে কন্টেন্ট রাইটিং এর উপর।

আপনি যদি এস ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট লিখতে পারেন, বা শিখতে পারেন, তাহলে আপনি আমাদের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখে আয় করতে পারবেন।

ক্লিক করে আরও পড়ুন..

আমরা কিছুদিনের মধ্যেই এই অপশনটি আপনাদের মাঝে ওয়েবসাইট টি যোগ করে দেব। যারা আমাদের ওয়েবসাইটে পোস্ট দিবে তাদেরকে পোস্টের মান অনুযায়ী আমরা নির্দিষ্ট পরিমাণে অর্থ দেব?

 গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয়

গ্রাফিক্স যাকে বলা হয় “অংকন বিষয়ক জ্ঞান” গ্রাফিক ডিজাইন হলো এমন একটি সদৃশ্য মাধ্যম যার দ্বারা কোনো পৃষ্ঠার উপরে যেমন একটি ক্যানভাসে উপর ,একটি পর্দার উপর. একটি কাগজের, উপর কিংবা একটি দেওয়ালের এর উপর ছবি বা নকশা করাকেই বুঝাই, যা একটি নির্দিষ্ট অর্থ প্রকাশ করে এবং তা আমাদেরকে কোন ভাবার্থ বা বিনোদন অথবা সচিত্র ভাবে প্রকাশ করে।

আপনি যদি একজন ভাল মানের গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে পারেন তাহলে আপনি প্রতিমাসে হাজার ডলার অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন গুগলের সার্চ করে বা ইউটিউবে সার্চ করে টিউটোরিয়াল দেখে শিখতে পারেবেন।যদি আপনার এই কাজ শেখার প্রতি প্রবল আগ্রহ থাকে। তাছাড়া আপনি ইচ্ছা করলে কোন বিশস্ত আই টি কোম্পানির অধীনে গ্রাফিক ডিজাইনের উপর কোর্স করতে পারবেন।

ওয়েব ডিজাইন

ওয়েব ডিজাইনিং হল ওয়েবসাইটের জন্য লেআউট, কনটেন্ট প্রোডাকশন, ওয়েবপেজ ইত্যাদি ডিজাইন করে দেওয়া। ওয়েব ডিজাইনিং এর মূল্য বর্তমান বাজারে অনেক।

যতগুলি ওয়েবসাইট আছে প্রত্যেক ওয়েবসাইটে একটি ওয়েব ডিজাইনার প্রয়োজন হয়।

যদি প্রফেশনাল ওয়েবসাইট কেউ করতে চায় তাহলে তাকে অবশ্যই একজন ওয়েব ডিজাইনার সাহায্য নিতে হবে।

ভালো মানের ওয়েব ডিজাইনারের ফ্রীলান্সিং মার্কেটপ্লেসে অনেক মূল্য। কাজের দক্ষতা অনুযায়ী কাজের রেট ও অনেক বেশী হয়ে থাকে?

যদি আপনার এই কাজে শেখার প্রতি প্রবল আগ্রহ থাকে, তাহলে আপনি ওয়েব ডিজাইন গুগলের সার্চ করে বা ইউটিউবে সার্চ করে টিউটোরিয়াল দেখে শিখতে পারেন।

আর আপনি ইচ্ছা করলে কোন বিশ্বস্ত একটি আইটি কোম্পানির অধীনে ওয়েব ডিজাইনের উপর কোর্স করে শিখতে পারেন।

 প্রোগ্রামিং

প্রোগ্রামিং সংজ্ঞায় ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিকশনারি অনুসারে, প্রোগ্রামিং কম্পিউটার প্রোগ্রাম লেখার জন্য করা কিয়া কলাপ। কম্পিউটার কত রকমের কাজ করে, ছবি ভিডিও সেভ করা থেকে এক্সেল শিট এর হিসাব রাখা এসব কাজ কম্পিউটার করতে পারে। কিন্তু কম্পিউটার কি এসব নিজে থেকেই করতে পারে?

না, কম্পিউটার অবশ্যই এসব নিজে থেকে করে না এর জন্য তার মধ্যে অবশ্যই এই প্রোগ্রামগুলো সেট করে দিতে হবে।

মানুষ যেমন একে অপরের সাথে কথা বলার জন্য ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে, কম্পিউটারেও ঠিক নির্দেশনা দেয়ার জন্য সুনির্দিষ্ট ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করতে হয়। C++,python এরকম কিছু প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ যার সাহায্য কম্পিউটারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

একজন কম্পিউটার প্রোগ্রামার কম্পিউটারকে এমন ভাবে নির্দেশনা দেবে যার ফলে কম্পিউটার বিভিন্ন সফটওয়্যার এর অ্যাপ্লিকেশনকে কাজ করাতে পারবে।

 ডিজিটাল মার্কেটিং

অনলাইনে বিখ্যাত চাকরি ওয়েবসাইট লিংক ইন এর কথা আপনার অবশ্যই সবাই শুনেছে, এই ওয়েবসাইটে সবচাইতে বেশি যে চাকরির জন্য চাওয়া হয়েছে তা হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং এক কথায় সংবাদ দেওয়া কঠিন। তবে আমি আপনাদেরকে উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি বুঝিয়ে দিচ্ছি?

সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পোস্ট করে পণ্য প্রচারণা, ইমেইল মার্কেটিং, ইউটিউব এ বিজ্ঞাপন দিয়ে পণ্যের প্রচার করা এবং এসব স্ট্যাটেজি প্রণয়ন করা সম্পর্কিত বিষয় হল ডিজিটাল মার্কেটিং।

ডিজিটাল মার্কেটিং : পন্য বা সেবা সমূহকে বিজ্ঞাপনসহ বাজার গবেষনার মাধ্যমে বিক্রয় করার পক্রিয়াকেই বলে মার্কেটিং । আর অন্যদিকে ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে ডিজিটাল মিডিয়া ও ডিজিটাল প্রযুক্তি কে ব্যবহার করে অনলাইন বা ইন্টারনেট এর মাধ্যমে পণ্য বা সেবার বিক্রয় কাজ পরিচালনা করা।

পণ্যের গুণগত মান সম্বন্ধে অনলাইনে এসে সরাসরি পণ্য সামগ্রী ক্রেতার কাছে উপস্থাপন করা হয়। আমরা মার্কেটিং করার জন্য যতো ধরনের বা পদ্ধতি ব্যবহার করি এগুলোই হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং।

 ট্রানসলেশন

ট্রানসলেশন অনলাইনে বিভিন্ন রকম ফিন্যান্সিং ওয়েবসাইটগুলোতে ট্রান্সলেশন এর জন্য অনেক বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যায়। আমি প্রথমেই বলেছিলাম ক্বাওমী মাদরাসার ছাত্র দের জন্য এখানে বিশেষ করে অনলাইন থেকে ইনকাম করার উপায় বলা থাকবে।

তাদের জন্য অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য সবচেয়ে সহজ উপায় হল ক্বাওমী মাদরাসার দুটি ভাষা সাধারণত পড়ানো হয় বাংলা ভাষার সাথে। আরবি এবং উর্দু, সব জায়গায় পড়ানো না হলেও আরবি ভাষার ক্বাওমী মাদরাসার শিক্ষার্থীরা প্রায় সবাই জানে।

কাওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা এই আরবি থেকেই ইংরেজিতে অনুবাদ অথবা আরবী থেকে অন্যান্য ভাষায় অনুবাদ করে খুব সহজে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারে।

পাশাপাশি যাদের অন্য কোন ভাষায় দক্ষতা আছে যেমন জার্মান চাইনিজ জাপানি ভাষা থেকে তারা বিভিন্ন রকম ডুকুমেন অনুবাদ করে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারে অনেক টাকা।

ট্রানসলেশন অনলাইন থেকে ইনকাম এর জন্য একটি নির্ভরযোগ্য মাধ্যম।

আপনি যদি ভাষা জানেন তবে মোবাইলেই ট্রান্সলেশন করতে পারবেন। ল্যাপটপ বা পিসি দরকার পড়বে না এভাবে ট্রান্সলেট এর মাধ্যমে আপনি মোবাইলে টাকা আয় করতে পারবেন।

সহজ একটি সহজ মাধ্যম বললাম এই কারণে যে আপনি যদি ইংরেজি বলা এবং পাশাপাশি অন্য একটি ভাষা জানেন তাহলে আপনি খুব সহজেই ট্রান্সলেশন এর কোন কাজে পেয়ে যাবেন।

 ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হল এমন ধরনের কাজ যা একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজের মতই কিন্তু পার্থক্য হল ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ ঘরে বসেই করা যায়। ঘরে বসে চাকরি করা যায় ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে?

একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর যোগ্যতা তত বেশি হবে যত বেশি তার multi-tasking ক্ষমতা হবে।

একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট কে যা জানতে হবে তা হলঃ

  • ইমেইল এর ব্যবহার
  • যোগাযোগ করার দক্ষতা
  • বেসিক ডাটা এন্ট্রি স্কিল
  • মাইক্রোসফট ওয়ার্ড,

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজের ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে বিস্তৃত।

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হওয়ার জন্য বিভিন্ন অনলাইন ফ্রীলান্সিং ওয়েবসাইটগুলোতে আবেদন করা যায়।

যত বেশি কম্পিউটারে দক্ষ কেউ হবে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে তার নিয়োগ পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি থাকে কারণ কাজটি পুরোটা কম্পিউটার উপর নির্ভর করে।

তাই ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হতে চাইলে যত বেশি সম্ভব লিংক শিখুন। যেমন আপনি যদি টাইপিং এর কাজ খুব ভালো পারেন, তাহলে ফটোশপ এর কাজ শিখুন পাশাপাশি।

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট একটি ফিনান্সিং জব। আপনি বাংলাদেশে আমেরিকান কোন ক্লায়েন্টের সাথে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হতে পারেবেন।

এভাবে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হয়ে আপনি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন সহজেই।

অনলাইন ইনকাম সাইট: সিনিয়র বিডি এই সাইট থেকে আপনারা অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। seniorbd.com থেকে কিভাবে ইনকাম করবেন এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত দেখুন?

Leave a Comment