অনলাইন বিজনেস কি | অনলাইনে ব্যবসা শুরু করার উপায়?

সম্মানিত প্রিয় পাঠক আজকে আমরা অনলাইন বিজনেস নিয়ে আলোচনা করব। অনলাইনের মাধ্যমে বিজনেস কিভাবে করবেন তা আজকে আমরা আলোচনা করব। অনলাইন বিজনেস কাকে বলে যেমন,অনলাইন কে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করাকে অনলাইন বিজনেস বলা যায়।

এখন প্রায় সব দেশেই অনলাইন বিজনেস চালু হয়েছে যেমন,আমাদের দেশের বিভিন্ন ই-কমার্স কোম্পানি যেমন দারাজ, রকমারি এরা অনলাইন বিজনেস করছে।

বর্তমানে এরা অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে মানুষের কাছে তাদের নানান জাতীয় পণ্য বিক্রয় করছে। এখন বর্তমানে অনলাইন বিজনেস কে সংক্ষেপে ই-কমার্স ও বলে থাকেন অনেকে। আজকে আমরা অনলাইন বিজনেস কি? কিভাবে শুরু করব? এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো আমাদের এই পোস্টে।

অনেক আগেই বলা হয়েছে যে অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে বিজনেস করাকেই অনলাইন বিজনেস বলে। অনলাইনের মাধ্যমে যেকোনো পণ্য তা যদি দেশের আইনের সাথে সাংঘর্ষিক না হয় তবে বিক্রয় করা যায়।

যেমন, ধরুন বাংলাদেশের বিভিন্ন রকম পণ্য খাদ্যদ্রব্য সহ প্রায় সব রকমের জিনিস অনলাইনের মাধ্যমে ক্রয় বিক্রয় করা হচ্ছে।

সুতরাং সহজ কথায় বলা যায় যে, দেশের আইনের সাথে যদি সাংঘর্ষিক না হয় তবে সব ধরনের পণ্য অনলাইনে বিক্রি করা যায়। দেশের আইনের সাথে সাংঘর্ষিক এরকম একটি পণ্যের উদাহরণ দেওয়া যায় যে বিভিন্ন ধরনের মাদক দ্রব্য বা ইয়াবা বিক্রয়।

মাদক দ্রব্য বা ইয়াবা বা ইয়াবা বিক্রয় করা বাংলাদেশের আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ। সুতরাং, মাদকদ্রব্য বা ইয়াবা কোন অনলাইনে পেজ বা ওয়েবসাইট বিক্রয় করাও বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ হবে।

সুতরাং অনলাইনে বিজনেস করতে গেলে আপনি দেশের আইনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে যে কোন ধরনের পণ্য বিক্রয় করতে পারবেন।

আমরা এতক্ষণ তো অনলাইন বিজনেস কি জানলাম। এখন জানব অনলাইন অফলাইন বিজনেস এর মধ্যে কি কি পার্থক্য আছে। অনলাইন বিজনেস বিভিন্ন রকমের হতে পারে।

আবার আমরা সাধারণত দোকানপাটে বা শপিংমলে যে ধরনের বিজনেস দেখি সে গুলোকে অনলাইন বিজনেস এর অন্তর্ভুক্ত বলা চলে। অর্থাৎ অনলাইন বিজনেস হচ্ছে এমন বিজনেস যেখানে ক্রেতা-বিক্রেতা উপস্থিত থেকে পণ্য ক্রয় বিক্রয় করে থাকে।

অফলাইন বিজনেস এবং অনলাইন বিজনেস এর মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। যেমন-

বর্তমানে এখন অফলাইন বিজনেস করার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট জায়গা লাগে। যেমন ধরুন কোন দোকানপাট বা শপিংমল বছরের পর বছর তারা একটি জায়গা থেকে ব্যবসা করে। এই ব্যবসা করার জন্য তাদেরকে এই দোকানটি বাড়ি ভাড়া নিতে হয়েছে বা কিনতে হয়েছে।

কিন্তু অনলাইন বিজনেস করার জন্য এমন কোনো সুনির্দিষ্ট জায়গার প্রয়োজন নেই। যে কেউ অনলাইনে তার পণ্য থাকলেই অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রয় করতে পারবে।

অফলাইন বিজনেসে বিক্রেতা ক্রেতা কে সামনাসামনি পণ্য প্রদর্শন করে থাকে। বিক্রেতার উপস্থিতিতে ক্রেতা সামনাসামনি পণ্যের যাচাই বাছাই করে নেন।

কিন্তু অনলাইন বিজনেস এর পদ্ধতি আলাদা। এখানে পণ্য সামনাসামনি প্রদর্শন করা লাগেনা। কোন ফেসবুক পেজ বা কোন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখানে বিক্রেতা ক্রেতা কে তাকে তার পণ্য প্রদর্শন করে।

পরিচালনা পদ্ধতির দিক থেকে বিবেচনা করলে অনলাইনে বিজনেস করা অফলাইনে বিজনেস করার থেকে অনেক সুবিধাজনক। কারণ এখানে ঘরে বসে যে কেউ বিজনেস করতে পারে।

অপরদিকে অফলাইনে বিজনেস করতে হলে কাউকে দিয়ে বা নিজে উপস্থিত থেকে ব্যবসা করতে হয়।

অফলাইনে বিজনেস পরিচালনা করার বিষয়ে আগেই বলা হয়েছে যেখানে বিক্রেতা এবং ক্রেতা সামনাসামনি ক্রয় বিক্রয় করে। সুতরাং এখানে পণ্য যে হস্তান্তর হয় তা প্রায় সব ক্ষেত্রেই তাৎক্ষণিক হয়ে থাকে।

কিন্তু অনলাইন বিজনেস এর ক্ষেত্রে বিষয়টি এমন নয়। অনলাইনে বিজনেস বিক্রেতার স্থান থেকে ক্রেতার স্থানে পৌঁছাতে কিছু সময় লাগে। অর্থাৎ এখানে তাৎক্ষণিক পণ্য হস্তান্তর হয় না। এই সময়ের পরিমাণ বিক্রেতার স্থান থেকে ক্রেতার স্থানের দূরত্ব এর উপর নির্ভর করে।

যেমন বাংলাদেশে বসে বিদেশে অ্যামাজন থেকে পণ্য অর্ডার দেয় তবে তা আসতে প্রায় এক মাস সময় লাগে। আবার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য অর্ডার দিলে তা আসতে সর্বোচ্চ ১ সপ্তাহ লাগে।

আমরা অনলাইন এবং অফলাইন বিজনেস এর মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে জানলাম। অনলাইন এবং অফলাইন বিজনেস এর উদাহরণ দিতে বলা যায় যে যেমন দারাজ, রকমারি, বিক্রয় এসব বাংলাদেশ অনলাইন বিজনেস করছে।

আবার অফলাইন বিজনেস এর উদাহরণ আমাদের নিচের মুদি দোকান থেকে শুরু করে শোনা বসুন্ধরা শপিং মলসহ এরকম দোকান।

অনলাইন বিজনেস এর সুবিধা (Benefits of Online Business)

বর্তমানে অনলাইন বিজনেস করার অনেকগুলো সুবিধা আছে। যেমন অনলাইন বিজনেস যে কেউ যখন তখন শুরু করতে পারে। কিন্তু অফলাইন বিজনেসের ক্ষেত্রে বিষয়টি এমন নয়। যেমন ধরুন আপনি কোন খাদ্য দ্রব্য তৈরি করলেন।

এখন আপনি যদি তা সাধারণভাবে অফলাইনে বিক্রি করতে চান, তাহলে আপনার একটি দোকান খোঁজা লাগবে। তারপর সেই দোকানের ভাড়া পরিশোধ, কাগজপত্র তৈরি, ট্যাক্স এসব করা লাগবে আপনার পণ্য বিক্রি করার জন্য।

কিন্তু একই খাদ্যদ্রব্য আপনি অনলাইনে কোন ফেসবুক পেজ বা ওয়েবসাইট খুলে বিক্রয় করতে চান, তবে সাথে সাথে করতে পারবেন। তখন আপনার এত সব ঝামেলার মধ্যে দিয়ে যাওয়া লাগবেনা।

সেরা কয়েকটি অনলাইন বিজনেসের আইডিয়া (Online business)

এখন নীচে আমরা আপনাকে কিছু সেরা এবং লাভজনক অনলাইন বিজনেসের ধারণা সম্পর্কে সরাসরি বলব। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক অনলাইনে বিজনেস শুরু করার উপায়?

অনলাইন কাপড়ের ব্যবসা (online cloth store)

অনলাইনে সবচেয়ে বেশি চাহিদার পণ্য বা আইটেম হল কাপড়। সেটা ছেলেদের পোশাক হোক বা মেয়েদের বা শিশুদের পোশাক। আপনি যদি একটি অনলাইন কাপড়ের দোকান খোলেন তবে এটি একটি খুব ভাল ব্যবসা হিসাবে প্রমাণিত হতে পারে।

আপনি স্থানীয় প্রস্তুতকারক বা পাইকারের কাছ থেকে কাপড় কিনতে পারেন এবং তারপর আপনার নিজের লাভে বিভিন্ন অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে সেগুলি বিক্রি করতে পারেন।

সেই মাধ্যমটি হতে পারে আপনার নিজস্ব শপিং ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া বা বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করে।

অনলাইন কাপড়ের ব্যবসায় চাহিদা ও লাভ দুটোই বেশি। তবে, বিজনেসটি সঠিকভাবে শুরু করতে হবে।

আপনি নিজেই একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। অথবা, আপনি নিজের জন্য একটি অনলাইন ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য ওয়েব ডেভলপারের কাছ থেকে সাইট তৈরি করে নিয়ে, তা আপনি ওই ওয়েবসাইটে কাপড়ের বিজ্ঞাপন চালাতে পারবেন।

মেয়েদের imitation বা artificilat jewellery বিজনেস

আজকাল, মেয়েরা আসল গহনার চেয়ে আর্টিফিশিয়াল জুয়েলারি বা ইমিটেশন জুয়েলারি পছন্দ করে।

কারণ ওই ইমিটেশন জুয়েলারি বিভিন্ন জায়গায় গেলে বিভিন্ন পোশাকের সঙ্গে সহজেই মিলে যায়।

অনলাইন বাজারে ইমিটেশন জুয়েলারির চাহিদা অনেক বেশি এবং লাভও প্রায় বিপুল। সুতরাং, আপনি পণ্য ক্রয় করতে পারেন এবং তারপরে খুব কম খরচে বিভিন্ন অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে বাজারজাত করতে এবং বিক্রি করতে পারেন।

বর্তমান সময়ে জুয়েলারি বা ইমিটেশন জুয়েলারি বিজনেসটি অনেক চাহিদা সম্পন্ন চাইলে আপনি এই বিজনেসটি করতে পারেন।

নিজের Domain এবং Hosting business

যারা এখনকার সময়ে একটি অনলাইন ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান, তাদের প্রথমে একটি ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনতে হবে।

তাই, কম দামে ডোমেইন বা হোস্টিং প্যাকেজ কিনে এবং আপনার ক্লায়েন্টদের কাছে বিক্রি করে আপনার নিজের ডোমেইন এবং হোস্টিং ব্যবসাও শুরু করা উচিত।

সহজ কথায়, আপনাকে একটি ডোমেইন এবং হোস্টিং রিসেলার ব্যবসা শুরু করতে হবে।

এই অনলাইন ব্যবসায় লাভ অনেক বেশি। কিন্তু, প্রথমে আপনাকে মার্কেটিং করে নিজের ব্র্যান্ডের প্রচার করতে হবে এবং মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে।

Wholesaler বা manufacturer থেকে মাল কিনে বিক্রি

আপনি আপনার আশেপাশের পাইকারি দোকান বা প্রস্তুতকারকদের থেকে যেকোনো ধরনের পণ্য বা জিনিস কিনতে পারেন এবং তারপরে আরও লাভের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া, ফেসবুক মার্কেটপ্লেস বা বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারেন।

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের অনেক লোক এই মাধ্যমটি ব্যবহার করে অনেক কিছু অনলাইনে লাভে বিক্রি করে এবং তাদের বিজনেস চালিয়ে যাচ্ছে।

অনলাইন রেস্টুরেন্ট বিজনেস (Online restaurant business)

আজ মানুষ অনলাইনে সবকিছু অর্ডার করতে চায় এবং ঘরে বসেই এটি পেতে চায়। এ ক্ষেত্রে ভালো খাবার তৈরির অভিজ্ঞতা থাকলে অনলাইনে খাবারের দোকান বা অনলাইন রেস্টুরেন্ট বিজনেস শুরু করতে পারেন।

একটি ওয়েবসাইট বা অ্যাপের মাধ্যমে, আপনার দোকানের খাবারের মেনু দেখে খাবার অর্ডার করতে পারে।

আমি এই অনলাইন রেস্টুরেন্ট ব্যবসা করার ধারণা পছন্দ এবং, যদি আপনি এই ধারণা নিয়ে কাজ করতে সফল হন, তাহলে আপনার ব্র্যান্ড খুব বিখ্যাত হবে এবং আপনি এটি থেকে লাভের পরিমাণ কল্পনা করতে পারবেন না।

কিন্তু, এই ব্যবসায়, খাবারের মান (স্বাদ), ডেলিভারির সময় এবং পরিমাণ সবই খুব গুরুত্বপূর্ণ। এবং, এগুলি এমন কিছু জিনিস যা আপনাকে ধ্যান করতে হবে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate marketing দ্বারা business)

আমি আমার আগের লেখায় বলেছি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হয়।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আজ অনলাইন আয়ের সবচেয়ে লাভজনক উপায় হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।

এই মাধ্যমটি ব্যবহার করে, আপনাকে তাদের পণ্য বা পরিষেবাগুলি বিভিন্ন অনলাইন স্টোর বা ইন্টারনেটের ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে (সোশ্যাল মিডিয়া, ব্লগ, ভিডিও) শেয়ার করতে হবে।

এবং, যখন কেউ আপনার শেয়ার করা লিঙ্কের মাধ্যমে সেই পণ্য বা পরিষেবা কেনে, আপনি একটি কমিশন পাবেন।

অর্জিত কমিশনের পরিমাণ বিক্রি পণ্যের মূল্যের উপর নির্ভর করে।

ব্লগিং অনলাইন বিজনেস (Blogging is a big online business)

যখন লাভজনক অনলাইন ব্যবসার কথা আসে, আমি সবার আগে ব্লগিং সম্পর্কে বলি। কারণ, আপনি যদি কোন টাকা ছাড়াই অনলাইনে ব্যবসা শুরু করতে চান, তাহলে ব্লগিংই সেরা এবং এর মাধ্যমে আয়ের সুযোগ অনেক বেশি।

আপনাকে একটি বিষয় বা টপিক সম্পর্কে একটি ব্লগ তৈরি করতে হবে এবং তারপরে আপনার niche সম্পর্কিত আর্টিকেল লিখতে হবে।

একবার আপনি সার্চ ইঞ্জিন থেকে আপনার ব্লগে ট্র্যাফিক বা ভিজিটর পেতে শুরু করেন, আপনি Google Adsense এর মাধ্যমে আপনার ব্লগে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারেন।

তাছাড়া, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এবং প্রোডাক্ট প্রমোশন হল ব্লগ থেকে সরাসরি আয় করার সেরা উপায়।

ব্লগিং ব্যবসা আজ মানুষ খুব পেশাদারভাবে করছে। কারণ, ভালোভাবে করা হলে, কোনো অনলাইন ব্যবসা আপনাকে সহজেই এর চেয়ে বেশি আয় দেবে না।

YouTube চ্যানেলের মাধ্যমে বিসনেস

যারা ক্যামেরার সামনে থাকতে ভালোবাসেন তাদের জন্য ইউটিউব ব্যবসা সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা হিসেবে প্রমাণিত হবে।

ইন্টারনেটে আজ মানুষ ভিডিওর মাধ্যমে যেকোনো কিছুর সমাধান পেতে চায়।

এই ক্ষেত্রে, লোকেরা তাদের নিজস্ব YouTube চ্যানেল তৈরি করে এবং তারপরে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করে একটি পেশাদার অনলাইন ব্যবসা হিসাবে আজ এটি করছে।

সুতরাং, আপনিও যদি বিনা খরচে এবং বিনামূল্যে একটি বিজনেস শুরু করতে চান, তাহলে ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করে টাকা উপার্জন করা একটি লাভজনক অনলাইন ব্যবসার ধারণা হিসাবে প্রমাণিত হবে।

আরো পড়ুন..

অনলাইন কোর্স বিক্রি (Online Course Selling)

আজকাল, অনলাইনে বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন এবং শেখা অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

এই ক্ষেত্রে, আপনি চাইলে, আপনি নিজের অনলাইন ভিডিও কোর্সও তৈরি করতে পারেন এবং ইন্টারনেটে বিক্রি করে ভাল পরিমাণ আয় করতে পারেন।

একবার আপনি যেকোন বিষয়ে একটি ভিডিও কোর্স তৈরি করে একই কোর্স বিক্রি করলে আপনি বছরের পর বছর প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন।

প্রকৃতপক্ষে, আমি ইতিমধ্যে অনলাইন কোর্স তৈরি এবং বিক্রি এবং একটি আয় করার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে একটি সম্পূর্ণ আর্টিকেল লিখেছি।

অনলাইন ই-কমার্স স্টোর (Online E-commerce Store)

আজকে সবাই বিভিন্ন ই-কমার্স স্টোরে গিয়ে অনলাইনে যেকোন জিনিস কেনে। টিভি, জামাকাপড়, মোবাইল, কম্পিউটার, ঘড়ি, জুতা ইত্যাদি থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটি পণ্যই এই অনলাইন স্টোরগুলিতে পাওয়া যায়।

এই ক্ষেত্রে, আপনি আপনার নিজস্ব অনলাইন ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন এবং আপনার পছন্দের যে কোনও পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি করতে পারেন। গত কয়েক বছর থেকে, অনেকে এই অনলাইন ব্যবসার ধারণা ব্যবহার করে প্রচুর টাকা ইনকাম করছেন।

FAQ:

অনলাইন ব্যবসা বলতে কি বুঝায়?

অনলাইন ব্যবসাকে ইলেকট্রনিক ব্যবসাও বলা যেতে পারে। সহজ কথায়, অনলাইন ব্যবসাকে মূলত এমন যেকোন ব্যবসা বলা যেতে পারে যেখানে ব্যবসা-সম্পর্কিত তথ্য শেয়ার করা হয় এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে পাওয়া যায়।

অনলাইনে বিভিন্ন পণ্য এবং পরিষেবা বিক্রি এবং কেনা একটি অনলাইন ব্যবসার প্রধান বৈশিষ্ট্য।

অনলাইন ব্যবসার কি কি সুবিধা বা লাভ আছে?

একটি অনলাইন ব্যবসা এবং একটি অফলাইন ব্যবসার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। যেমন, উভয় ব্যবসারই নিজস্ব সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। অনলাইন ব্যবসার প্রধান সুবিধা হল সহজ সেটআপ, কম খরচে শুরু করা, অনেক ক্ষেত্রে একা কাজ করা, পার্টটাইম হিসেবে শুরু করার সুবিধা ইত্যাদি।

কিভাবে শুরু করবেন নিজের অনলাইন ব্যবসা?

একটি অনলাইন ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। শুরুতে আপনাকে ব্যবসায়িক ধারণা, পরিকল্পনা, কত টাকা খরচ হবে এবং ব্যবসায় আপনার কত সময় বিনিয়োগ করতে হবে, এই জাতীয় জিনিসগুলি খুঁজে বের করতে হবে।

আপনি যদি একটি ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করেন, একটি ব্র্যান্ডের নাম চিন্তা করুন, একটি ডোমেন রেজিস্ট্রেশন করুন এবং একটি ওয়েবসাইট তৈরি করুন।

আমাদের কথা,

তো বন্ধুরা, অনলাইন বিজনেস মানে কি? কিভাবে অনলাইন বিজনেস শুরু করবেন? সেরা কয়েকটি লাভজনক অনলাইন বিজনেসেরর ধারণাগুলি কী কী, আমি এই পোস্টে আপনাকে সমস্ত ব্যাখ্যা করেছি।

আপনি যে মাধ্যমই ব্যবহার করুন না কেন, আয় উপার্জনের জন্য আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেকোনো পণ্য লোকদের মাঝে বিক্রি করতে বা প্রদান করতে পারেন এমন কোনো পরিষেবা বা পণ্য একটি অনলাইন ব্যবসা হিসাবে বিবেচিত হতে পারে।

এবং, এমন অনেক ধারণা আছে যেগুলো এখনো কেউ অনলাইন বাজারে আনেনি। সুতরাং, আপনাকে প্রথমে সেই বিজনেসের ধারণাগুলি নিয়ে ভাবতে হবে এবং অনলাইনে কাজ শুরু করতে হবে।

1 thought on “অনলাইন বিজনেস কি | অনলাইনে ব্যবসা শুরু করার উপায়?”

Leave a Comment