পিকচার সাজানো সফটওয়্যার : কিভাবে ছবি সাজানো সফটওয়্যার ডাউনলোড করব ?

বন্ধুরা আপনারা কি ভালো কোনো ছবি সাজানোর সফটওয়্যার খুজছেন? – প্লিজ ওয়েট, আপনি একেবারে ঠিক সঠিক জায়গায় এসে পড়েছেন।

আপনাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলে আমি বেশ কিছু জনপ্রিয় পিকচার সাজানো সফটওয়্যার নিয়ে আলোচনা করবো। এবং আপনাদেরকে কয়েকটি সফটওয়্যার এর নাম বলবো এবং কিভাবে ছবি সাজাবেন তা বিস্তারিত বলবো তাই আপনারা মনোযোগ সহকারে এই পোস্ট টি পড়ে নিন।

আপনার প্রিয়জনদের সাথে, যার যার মাধ্যমে আপনি আপনার পছন্দের যে কোনো পিকচার কে সাজিয়ে নিতে পারবেন।

এই বর্তমান সময়ে আমরা এমন একটা অবস্থানে আছি। যেখানে আমরা সবাই আমাদের ভেতরে থাকা ব্যক্তিত্ব অন্যদের কাছে প্রকাশ করতে চাই।

তাই এই ব্যক্তিত্ব প্রকাশের উওম একটি মাধ্যম হলো পিকচার। যার মাধ্যমে অনেকেই তাদের নিজস্ব ব্যক্তিত্ব কে প্রকাশ করতে পছন্দ করে।

আরো পড়ুন..

কার্টুন ভিডিও তৈরি করুন মোবাইল দিয়ে

ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার 2022

অনলাইন বিজনেস কি | অনলাইনে বিজনেস শুরু করার উপায়?

কেননা, আজকের দিনের সোশ্যাল মিডিয়ার উপর পুরোপুরি ভাবে নির্ভর হয়ে পড়েছি এবং সবাই পড়েছে। আর যে কোনো ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া তে আপনার অপরিচিত মানুষ গুলোর কাছে পরিচিতি বৃদ্ধি করার ।

আর এর একমাএ মাধ্যম হলো Photo এবং Video. এর মাধ্যমে আমরা একে অপরের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারি।

এখন আমি আপনাদের মাঝে ভিডিও নিয়ে অন্য কোনো আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করবো না। কিন্তু আজকে আপনি Photo সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন।

আজকে আমাদের মূল টপিক হলো ছবি সাজানো সফটওয়্যার নিয়ে তাই আজকে শুধু ছবি সাজানো সফটওয়্যার নিয়ে আলোচনা বিষয় হবে। আপনাকে সবার আগে জেনে নিতে হবে যে, এই ছবি সাজানো আসলে কাকে বলে।

তাহলে আপনার পরবর্তী আলোচনা গুলো বুঝতে অনেক সুবিধা হবে।

                                                                                                 ছবি এডিট সফটওয়্যার 

ছবি সাজানো কি?

ধরুন, কোনো একটি মানুষ এর সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য যেমন তাকে বিভিন্ন কাজ করতে হয়।  ঠিক তেমনি ভাবে আপনি যখন আপনার কোনো ছবি এর আর্কষনীয়তা বৃদ্ধি করতে যাবেন।

তখনও কিন্তুু আপনাকে নানা রকমের কাজ করতে হবে সুন্দর্য বৃদ্ধির জন্য। আর কোনো ছবি এর মাধুর্যতা বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্য আপনি যে যে কাজ গুলো করবেন।

এবং কাজ শেষে যখন আপনার এডিট করার ছবির আর্কষনীয়তা বাড়িয়ে তুলবেন।

তখন তাকে বলা হবে ছবি সাজানো। আশা করি এই বিষয়টি আপনার কাছে ক্লিয়ার হয়ে গেছে।

কেন ছবি সাজাবেন?

রাতের আকাশে থাকা মিটিমিটি তারার যেমন কোনো সীমারেখা থাকে না। ঠিক তেমনি মানুষ এর চাহিদার ও কোনো প্রকার সীমারেখা হয় না।

কেননা, আপনার আশেপাশে থাকা একেকটি মানুষ এর চাহিদা কিন্তুু একেক রকমের হয়ে থাকে।

ঠিক তেমনি আপনি এমন অনেক মানুষ কে খুজে পাবেন।

যাদের চাহিদা হলো তারা তাদের নিজের ছবি গুলো কে একেবারে আর্কষনীয় ভাবে সাজিয়ে নিবেন।

মূলত আপনি এমন অনেক মানুষ কে খুজে পাবেন। যারা মূলত নিজের কিংবা অন্যের ছবি তুলতে খুব বেশি পছন্দ করে থাকে।

বলা যায়, তাদের একমাএ শখ হলো ছবি তোলা। কিন্তুু তাদের এই শখ গুলো শুধু মাএ ছবি তোলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না।

বরং তারাও চায় তাদের তোলা ছবি গুলোকে বেশ ভালো ভাবে সাজিয়ে রাখতে।

আপনি যখন Facebook কিংবা Twitter অথবা অন্য কোনো সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করবেন।

তখন আপনি দেখতে পারবেন যে, আপনার নিউজফিডে হুট করে কিছু ছবি চলে আসবে।

মূলত জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা এই সোশ্যাল মিডিয়া গুলো নিজে থেকেই আপনাকে সেই ছবি গুলো Suggested করবে।

সত্যি বলতে এই সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে এমন সব প্রোগ্রামিং দিয়ে তৈরি করা রোবোট থাকে।

যারা নিজে থেকেই বুঝতে পারে যে, কোন ছবি গুলো কি পরিমান আর্কষনীয়।  আর সেই সোশ্যাল মিডিয়া তে আপলোড করা যে ছবি গুলো অনেকে বেশি নজর কাড়ে।

এই সোশ্যাল মিডিয়া গুলো শুধুমাএ সেই ছবি কে অন্য ইউজার এর নিকট Suggested করে থাকে।

আর বর্তমান সময়ে যতো গুলো সোশ্যাল মিডিয়া ইউজার রয়েছে। তারা কিন্তুু সবাই চায় নিজের ব্যক্তিত্ব কে সবার সামনে তুলে ধরতে।

আর সে কারনে আপনার ছবি গুলো কে এমন ভাবর সাজিয়ে নেয়া উচিত। যাতে সবার কাছে আপনার সাজানো ছবি গুলো অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি আর্কষনীয় হয়।

কিভাবে ছবি সাজাবেন?

উপরের আলোচনা থেকে আপনি ছবি সাজানো কাকে বলে এবং কেন আপনার ছবি সাজিয়ে নেয়া উচিত। সে বিষয়ে একটা পরিস্কার ধারনা পেয়ে গেছেন।

তো এবার আপনাকে জানতে হবে যে, আপনি যদি কোনো ছবি কে সাজিয়ে নিতে চান। তাহলে আপনি কিভাবে কেনো ছবি কে সাজিয়ে নিবেন।

দেখুন, একটি মানুষ এর শরীর যেমন বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় অঙ্গ প্রত্যঙ্গের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়।

ঠিক তেমনি ভাবে কোনো একটি সাজানো ছবি তে কিন্তুু বিভিন্ন রকমের কাজ করা হয়ে থাকে।

আর যখন সঠিক ভাবে কোনো ছবি তে উক্ত কাজ গুলো করা হয়। তখন সেই ছবির আর্কষনীয়তা পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।

তো আপনি যদি আপনার কোনো ছবি কে সাজিয়ে নিতে চান। তাহলে কিন্তুু আপনাকে আপনার ডিভাইস এ Photo Editing রিলেটেড বেশ কিছু সফটওয়্যার ব্যবহার করার প্রয়োজন হবে।

মূলত এই ধরনের ফটো এডিট করার সফটওয়্যার গুলোতে অনেক বেশি পরিমানে ফিচার দেয়া থাকে।

যেগুলোর মাধ্যমে আপনি যে কোনো ধরনের ছবি কে সাজিয়ে নিতে পারবেন।

তবে শুধুমাএ ছবি সাজানোর জন্য সফটওয়্যার গুলো আপনার ডিভাইসে ইনস্টল করলেই হবে না।

বরং সেই সফটওয়্যার গুলো কে কিভাবে ব্যবহার করতে হবে। সেখানে বিদ্যমান থাকা ফিচার গুলো কিভাবে Use করতে হয়। তা সম্পর্কে আপনার পূর্নাঙ্গ ধারনা থাকতে হবে।

তো যদি আপনি সেই ছবি সাজানো সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে চান। এবং পিকচার সাজানো সফটওয়্যার গুলোর সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে সঠিক ধারনা নিতে চান।

তাহলে আজকের পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন৷

ছবি সাজানো সফটওয়্যার আছে কি?

আজকের দিনে আপনি অনলাইনে এমন অনেক ধরনের সফটওয়্যার পাবেন। যেগুলোর মাধ্যমে আপনি যে কোনো ধরনের ছবি কে আপনার নিজের ইচ্ছেমতো সাজিয়ে নিতে পারবেন ৷

এবং আপনার বা আমার মতো এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা মূলত এই ধরনের সফটওয়্যার গুলো কে ব্যবহার করে আসছে।

এখন হয়তবা আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, ভাই মোবাইল এর জন্য কি কোনো ধরনের ছবি সাজানো অ্যাপস আছে কি?

হ্যাঁ ! এবার আপনার সেই বিষয়টিও ক্লিয়ার করা যাক।

দেখুন, আমি এর আগে বেশ কিছু আর্টিকেলে এটা স্পষ্ট করে বলেছি যে, আজকের দিনের মোবাইল ডিভাইস গুলো বেশ উন্নত করা হয়েছে।

যার ফলে আপনি আপনার হাতে থাকা মোবাইল ডিভাইস দিয়ে অনেক বড় বড় কাজ গুলো করতে পারবেন ৷

অতীতের দিন গুলো তে শুধুমাএ কম্পিউটার ডিভাইস এর জন্য ছবি সাজানো সফটওয়্যার ছিলো। কিন্তুু আমরা তো এখন উন্নত বিশ্বে বাস করছি।

আর সেই সুবাদে এখন সমান তালে প্রতিযোগীতা করে আসছে মোবাইলের এপস ডেভলপার গুলো।

আর সেই সুবাদে অনলাইনে এমন অনেক ধরনের মোবাইল এপস রয়েছে। যার মাধ্যমেও আপনি আপনার পছন্দ মতো ছবি কে সাজিয়ে নিতে পারবেন।

সেরা পিকচার সাজানো সফটওয়্যার

তো দেখতে দেখতে আপনি আর্টিকেল এর মূল টপিকে ফিরে এসেছেন।

শুরুতে আপনি জানতে পেরেছেন যে, ছবি সাজানো কাকে বলে এবং এরপর আপনি জেনেছেন, কেন আপনার ছবি সাজানো উচিত।

এরপর আপনি জেনেছেন যে, বেশ কিছু সফটওয়্যার আছে। যার মাধ্যমে আপনি যে কোনো ধরনের ছবি সাজিয়ে নিতে পারবেন। তবে প্রশ্ন হলো যে, এমন কোন ধরনের সফটওয়্যার রয়েছে।

যার মাধ্যমে আপনি আপনার নিজের চাহিদা মতো যে কোনো ধরনের ছবি কে সাজিয়ে নিতে পারবেন? – তো চলুন এবার জেনে নেয়া যাক সেই পিকচার সাজানো সফটওয়্যার গুলো সম্পর্কে।

Note: আজকের আর্টিকেলে আমি যেসব পিকচার সাজানো সফটওয়্যার নিয়ে আলোচনা করবো। সেগুলো কোনো ধরনের প্রমোশনাল টাইপ রিভিউ নয়।

বরং আমি নিজেই ঐ সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করে তারপর এই আর্টিকেলটি লিখেছি।

 Adobe Photoshop Express

বর্তমান সময়ে যে কোনো ধরনের ছবি সাজানো সফটওয়্যার এর মধ্যে বেশ অন্যতম একটি জনপ্রিয় সফটওয়্যার হলো Adobe Photoshop Express.

যার মাধ্যমে আপনি যে কোনো ধরনের ছবি কে একটা আলাদা রকমের লুক দিতে পারবেন। কেননা, এই সফটওয়্যার এ রয়েছে অসাধারন সব ফিচার ৷

প্রথমত আপনাকে জেনে নিতে হবে যে, আপনি যদি Adobe Photoshop Express ব্যবহার করতে চান ৷ তাহলে অবশ্যই আপনার হাতে একটি এন্ড্রয়েড ডিভাইস থাকতে হবে।

কেননা, এই এপসটি শুধুমাএ মোবাইল ডিভাইস এর জন্য ডেভলপ করা হয়েছে।

তবে এটি মোবাইল ডিভাইস এর জন্য ডেভলপ করা হলেও। এর মধ্যে আপনি চমৎকার সব ফিচার দেখতে পারবেন। যেমনঃ

Adjustment Photo: সচারচর যখন আপনি কোনো ফটো এডিট করবেন। তখন ঐ ফটো কে বিভিন্ন ভাবে এডজাস্ট করার প্রয়োজন হয়ে থাকে।

যেমন, আপনার ছবির সাইজ অনেক বড় হলে৷ সেটি কে Crop করতে হবে। তো এই ধরনের ছোটো খাটো কাজগুলো আপনি খুব সহজেই করতে পারবেন।

Filter & Looks: আমরা সবাই জানি যে, Photo Filters হলো এমন এক ধরনের ফিচার। যার মাধ্যমে একটি ছবি কে অনেক বেশি আর্কষনীয় করা যায়।

আর এই সুবিধাটি আপনি খুব সহজেই উক্ত এপস এর মধ্যে পাবেন ৷

আরো পড়ুন..

মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ইনকাম করার কয়েক টি সহজ উপায় | Dailytk.com

অনলাইন জব ২০২২: ঘরে বসে ১৩টি সেরা জব করুন

অনলাইনে ইনকাম ২০২২: আয় করার সেরা উপায়

Photo Collage : আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা মূলত দুটি ছবি কে একসাথে জোড়া করতে চায়।
তাদের জন্য এই অ্যাপসটি অনেক বেশি কার্যকরি ভূমিকা পালন করবে।

কেননা, আপনি এখানে অনেক ধরনের Presets Photo Collage Template পাবেন ৷

যার মাধ্যমে আপনি শুধুমাএ কয়েকটা ক্লিকের মাধ্যমে এক বা একাধিক ছবিকে জোড়া লাগিয়ে নিতে পারবেন।

Share & Multi-Layer: সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, উক্ত অ্যাপসে আপনি অনেক গুলো লেয়ার নিয়ে কাজ করতে পারবেন।

এর পাশাপাশি আপনার এডিট করা ছবি গুলো কে Quick Share করার জন্যেও সোশ্যাল শেয়ার এর অপশন পাবেন।

Note : দেখুন, আপনি এই ছবি সাজানো সফটওয়্যার এ Free এবং Premium এই দুটি অপশন ই দেখতে পারবেন। যদি আপনি প্রিমিয়াম ফিচার এর সুবিধা ভোগ করতে চান।

তাহলে অবশ্যই আপনাকে বেশ ভালো পরিমান অর্থ ব্যয় করতে হবে।

তো এগুলো ছিলো আমার কাছে ভালো লাগা ফিচার গুলোর একাংশ। তবে এগুলো ছাড়াও আরও অনেক ধরনের ফিচার রয়েছে।

যখন আপনি ব্যবহার করবেন, তখন আপনি নিজে থেকে সব কিছু বুঝে নিতে পারবেন।

 Adobe Lightroom 

কোনো একটি পিকচার সাজিয়ে নেয়ার অন্যতম একটি সফটওয়্যার হলো Adobe Lightroom.

যা শুধু আপনি নন। বরং আপনার মতো মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ তাদের ছবি কে সাজিয়ে আর্কষনীয় করার জন্য এই সফটওয়্যার টি ব্যবহার করে আসছে।

কেননা, ফটো এডিটিং করার জন্য এটি সবচেয়ে শক্তিশালী একটি সফটওয়্যার।

 

কেননা, যদি আপনার পূর্বে থেকে ফটো এডিট করার স্বল্পতম ধারনা থাকে। তাহলে আপনি আপনার ছবি কে একেবারে প্রফেশনাল পর্যায়ে নিয়ে আসতে পারবেন।

কারন, এই এপসটি ডেভলপ করার পর থেকে আজ পর্যন্ত। যতো মানুষ এই Adobe Light Room কে ব্যবহার করেছে। তারা সবাই ভালো ভালো ফিডব্যাক প্রদান করেছে।

মূলত, উক্ত সফটওয়্যার টি আপনি মোবাইল এবং কম্পিউটার এই দুই ধরনের ডিভাইসে ব্যবহার করতে পারবেন। কারন, এতো বেশি ফিচারের সুবিধা যেন মোবাইল ইউজাররা কোনো ভাবে বাদ না পড়ে।

সে দিকে যথেষ্ট খেয়াল করেছে Adobe কোম্পানির ডেভলপাররা। তো চলুন এক নজরে দেখে নেয়া যাক Adobe Lightroom এ থাকা ফিচার গুলো সম্পর্কে।

Gradient Effects: যারা মূলত ফটো এডিট সম্পর্কে কিছুটা হলেও জানেন৷ তারা বেশ ভালো ভাবে Gradient Effect সম্পর্কে জেনে থাকবে ৷

কেননা, আপনি যদি আপনার কোনো ছবি কে সাজিয়ে নেয়ার জন্য এই ইফেক্ট গুলো কে ব্যবহার করেন ৷ তাহলে আপনি নিজেই আপনার ছবি এডিটর দেখে অবাক হয়ে যাবেন ৷

আর ভাবতে থাকবেন যে, কি করে আপনি এতো ভালো ভাবে ছবি সাজাতে পারলেন।

Brush Tools: মূলত কম্পিউটার ডিভাইসে ব্যবহার করা Photoshop এ এই ব্রাশ টুলস টি অনেক বেশি জনপ্রিয়। যার মাধ্যমে আপনি কোনো ছবি কিংবা যে কোনো সাদা ব্যাগগ্রাউন্ডে পেইন্টিং করতে পারবেন।

এর ফলে আপনি আপনার ছবিকে সাজিয়ে নেয়ার জন্য যে কোনো ধরনের Objects কে যুক্ত করতে পারবেন।
Bluer Effects: আপনি প্রায় সময় ফেসবুকে এমন অনেক ধরনের ছবি দেখতে পারবেন। যে ছবি গুলোতে মূলত মেইন অবজেক্ট কে ফোকাসে রেখে বাকি অংশ গুলো কে ঘোলা করে দেয়া হয়।

আর একে বলা হয় Bluer Effect. আর আপনি একেবারে বিনামূল্যে এই ইফেক্টটি ব্যবহার করতে পারবেন।

TIPS: যদি আপনি চমৎকার এই ছবি সাজানো সফটওয়্যার টি আপনার ফোনে ব্যবহার করতে চান। তাহলে কিন্তুু আপনাকে টাকা দিয়ে এই এপস টি কিনে নিতে হবে।

তবে আপনার টাকা খরচ না করে বরং গুগলে Mod Version নামিয়ে নিলে একেবারে বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন।

Snapseed

এবার আমি আপনাকে এমন একটি পিকচার সাজানো সফটওয়্যার নিয়ে আলোচনা করবো। যা দেখে আপনিও রিতীমতো অবাক হয়ে যাবেন ৷

কেননা এই সফটওয়্যার এর মূল ডেভলপার হলো Google স্বয়ং নিজেই। আর সেই পিকচার সাজানো সফটওয়্যার এর নাম হলো Snapseed.

হ্যাঁ, বেশ কয়েক বছর আগে থেকে এই সফটওয়্যার টি চরম জনপ্রিয়তা বহাল রেখে আসছে। আর এই ছবি সাজানো সফটওয়্যার এ এমন সব উন্নতমানের ফিচার রয়েছে।

যেগুলো দিয়ে আপনি অনেক উন্নত মানের ছবি এডিট করে নিতে পারবেন।

এখন হয়তবা আপনার মনে হতে পারে যে, ভাই এই এপসে এমন কি কি আছে?

যেগুলো দিয়ে আর্কষনীয় ফটো এডিট করা সম্ভব। তো যদি আপনার মনেও এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে আপনাকে Snapseed এ থাকা ফিচার গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

চলুন, এবার সেই ফিচার গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

Easy Interface: আপনাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা আসলে ফটো এডিটিং সম্পর্কে তেমন কিছু জানে না।
এ কারনে যখন তারা নতুন কোনো এপস ইনস্টল করবে। তখন তারা বেশ বিপাকে পড়ে যাবে। তো এই সমস্যা থেকে আপনি বেশ দুরত্ব বজায় রাখতে পারবেন।

যদি আপনি Snapseed ব্যবহার করেন। কেননা, এখানে আপনি অনেক সহজ একটা Interface দেখতে পারবেন।
Editing Toolsআমরা সবাই জানি যে, প্রায় প্রত্যেকটা ফটো এডিট করার সফটওয়্যার গুলো তে বিভিন্ন ধরনের টুলস দেওয়া থাকে।

যার মাধ্যমে আপনি কাজ করে যে কোনো ছবি কে অনেক আর্কষনীয় ভাবে এডিট করে নিতে পারবেন। আর মজার বিষয় হলো যে, Snapseed নামক  টুলস এর কোনো কমতি নেই।

Healing & Brush: একটি ছবি কে সাজিয়ে নেয়ার জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু টুলস হলো Healing. কেননা, কোনো একটি ছবির পুরো লুকটা কে পরিবর্তন করার জন্য এটি বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে।

আরও রয়েছে Brush নামক অসাধারন একটি টুলস। যার মাধ্যমে আপনি একটি পিকচার উপর নিজের চাহিদা মতো পেইন্টিং করে নিতে পারবেন।

Other Feature: এগুলো ছাড়াও আপনি আরও অনেক ধরনের নতুন নতুন ফিচার দেখতে পারবেন। যেমন, White Balance, Colour Effect, Glamour Glue ইত্যাদি।

 Tips: যদি আপনি একেবারে বিনামূল্যে কোনো প্রফেশনাল ছবি সাজানো সফটওয়্যার খুজে থাকেন। তাহলে আমার মতে আপনার Snapseed কে ব্যবহার করা উচিত।

কেননা, এটি হলো গুগল এর নিজস্ব প্রোডাক্ট। আর গুগল এর Products যে ভালো মানের হবে। সেটা নিয়ে তো কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই।

 Photo Editor Pro

আজকের আলোচিত সব গুলো ছবি সাজানো সফটওয়্যার এর মধ্যে অনেক পাওয়ার ফুল একটি এপস হলো Photo Editor Pro.

মূলত কোনো ছবি কে প্রফেশনাল ভাবে এডিট করার জন্য যেটুকু ফিচার থাকার প্রয়োজন। তার প্রায় সবটুকু ফিচার রয়েছে এই এপস এর মধ্যে।

এখন হয়তবা আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, ভাই আপনি তো উপরের ছবি সাজানো সফটওয়্যার গুলোকেও ভালো বললেন। আবার এই সফটওয়্যার কেও ভালো বলছেন।

আরো পড়ুন…

Tik Tok থেকে ইনকাম | টিকটক থেকে প্রতিদিন 1000 টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়

ওয়েবসাইট থেকে আয় করার সহজ উপায় ২০২

Google AdMob কি? গুগল এডমোব থেকে আয় করার সকল উপায়

এখন আমরা কোনটি কে ব্যবহার করবো? – যদি আপনার মনে এমন কোনো প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে নিচে উল্লেখ করা ফিচার গুলো দেখে নিন।

তাহলে নিজে থেকে সবকিছু বুঝে নিতে পারবেন।

More Filters: আমি উপরেই একটা কথা বলেছি যে, ফটো ফিল্টার হলো এমন এক ধরনের ফিচার। যার মাধ্যমে কোনো একটি ছবি কে একেবারে চরম লেভেলে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।

আর এই সফটওয়্যারে আপনি একেবারে বিপুল পরিমানে Filter দেখতে পারবেন ৷ যেগুলো ব্যবহার করলে আপনার পছন্দের ছবি গুলো অনেক বেশি আর্কষনীয় হয়ে উঠবে।

Photo Adjustment: কোনো একটি ছবি কে এডজাস্টমেন্ট করা ছাড়া ঐ ছবিটি কে কখনই ভালোভাবে এডিট করা যায়না।
আর যেকোনো ধরনের ছবি কে একেবারে এডিট  এর জন্য উপযুক্ত করতে আপনি এখানে অনেক ধরনের টুলস দেখতে পারবেন। যেমন, Cropper Tools, Colour Adjustment, Saturation ইত্যাদি।

Picture Blender: আমরা অনেকেই এক বা একাধিক ছবি কে জোড়া লাগাতে চাই। কিন্তুু উপযুক্ত সফটওয়্যার এর অভাবে এই কাজটি করতে পারি না।

কিন্তুু এই কাজটি আপনি অনেক সহজেই করতে পারবেন Photo Blender এর মাধ্যমে। কেননা, এই এপস এর মাধ্যমে আপনি শুধুমাএ কয়েকটা ক্লিকের মাধ্যমে এই কাজটি করতে পারবেন ৷

Body Retouch: মনে করুন আপনি মোটা একজন মানুষ। কিন্তুু আপনি চাচ্ছেন ছবি তে যেন আপনাকে অনেক চিকন দেখা যায়।

তাহলে আপনার এই কাজটি করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে Body Retouch নামক এই ফিচারটি। এর মাধ্যমে আপনি আপনার শরীর এর পুরো বডিকে নিজের মতো করে গঠন তৈরি করে নিতে পারবেন।

এগুলো ছাড়াও আপনি যখন এই পিকচার সাজানো সফটওয়্যার টি ব্যবহার করবেন। তখন আপনি নিজে থেকেই এর ভিতরে থাকা ফিচার গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।

এবং আমার বিশ্বাস যে আপনারও এই সফটওয়্যার টি অনেক বেশি ভালো লাগবে।

ছবি সাজানো সফটওয়্যার এর নাম

আপনার মূল্যবান সময় বাঁচানোর জন্য আমি শুধুমাএ ৪ টি ছবি সাজানো সফটওয়্যার নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি।

তবে এগুলো ছাড়াও এমন অনেক এপস আছে। যেগুলো দিয়ে আপনি যে কোনো ধরনের ছবি কে সাজিয়ে নিতে পারবেন। যেমনঃ

  • AirBrush
  • PhotoDirector
  • Photo Lab Picture editor
  • PicsArt
  • LightX Photo Editor
  • Picskit Photo Editor
  • MagPic

যদি আপনি ভালো কোনো ফটো এডিটিং সফটওয়্যার খুজে থাকেন। তাহলে অবশ্যই উপরে আলোচিত ছবি সাজানো সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করে দেখতে পারবেন।

আশা করি এই সফটওয়্যার গুলো আপনার ও অনেক বেশি ভালো লাগবে।

তাহলে,আপনি কি কি শিখলেন? 

আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলে আপনি এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জেনেছেন।

আর সেই বিষয় গুলো যেন আপনি কোনোভাবে ভুলে না যান। সেজন্য উপরের বিষয় গুলো কে আরেকবার রিপিড করবো। যেমনঃ

  • ছবি সাজানো ফাইল
  • দুই ছবি একসাথে করার সফটওয়্যার ডাউনলোড
  • ছবি সাজানো ক্যামেরা
  • পিকচার সফটওয়্যার
  • জিও ফোনে ছবি সাজান
  • ফটো সফটওয়্যার ডাউনলোড
  • ছবি সাজানো ফাইল
  • ছবি দিয়ে গান বানানোর সফটওয়্যার ডাউনলোড
  • এডিট করার জন্য পিকচার
  • ছবি এডিট করার সফটওয়্যার ডাউনলো

তো আপনি যদি পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়েন। তাহলে অবশ্যই এই বিষয় গুলো বেশ ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন।

আর যদি পুরো আর্টিকেলটি না পড়ে থাকেন। তাহলে রিকুয়েষ্ট থাকবে পুনরায় আরেক বার পড়ার।

ছবি সাজানো সফটওয়্যার নিয়ে আমাদের কিছু কথা 

আজকের আর্টিকেলে আমি ছবি সাজানো সফটওয়্যার নিয়ে বেশ বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি।

আশা করি আজকের পিকচার সাজানো সফটওয়্যার গুলো সম্পর্কে ক্লিয়ার একটা ধারনা পেয়ে গেছেন।

তবে এরপরও যদি আপনার মনে কোনো প্রশ্ন থাকে। তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।

আর এমন সব ইন্টারেস্টিং টপিক সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই Dailytk.com এর সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ ?

Leave a Comment