ব্লগিং করবেন নাকি ইউটিউবিং করবেন – আপনার জন্য সেরা কোনটি জানুন!

আমরা আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে এমন একটি বিষয় নিয়ে হাজির হয়েছি। যা অবশ্যই আপনার উপকারে আসবে।

তাই চলুন মূল আলোচনায় ফিরে যাই। বর্তমান সময়ে অনলাইন থেকে ইনকাম করার চিন্তা করলে, প্রথমেই দুইটি প্লাটফর্ম সামনে চলে আসে। একটি হলো ব্লগিং আর অন্যটি হলো ইউটিউব।

এই দুইটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মধ্যে আমরা অনেকেই ব্লগিংকে প্রাধান্য দিয়ে থাকি। আবার অনেকে ইউটিউব কে সেরা বলে মনে করি।

তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব। সত্যি সত্যি অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য ব্লগিং করবেন নাকি ইউটিউবিং করবেন।

ব্লগিং করবেন নাকি ইউটিউবিং করবেন - আপনার জন্য সেরা কোনটি জানুন!
ব্লগিং করবেন নাকি ইউটিউবিং করবেন – আপনার জন্য সেরা কোনটি জানুন!

এক্ষেত্রে আপনারা ব্লগিং বা youtube এ যেখানেই কাজ করেন না কেন। সর্বপ্রথম আপনাকে বলছি,  অবশ্যই নির্দিষ্ট কাজের প্রতি ধৈর্য, ইচ্ছা শক্তি এবং ভালোবাসা না থাকলে, আপনি সামনের দিকে আগাতে পারবেন না।

অফলাইনে আমরা যেমন বিভিন্ন কাজ কঠিনভাবে করে থাকি। তেমনিভাবে অনলাইনে সঠিক উপায়ে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাকে কষ্ট করে কাজগুলো করতে হবে।

আপনি যদি ধৈর্য এবং সময় নিয়ে অনলাইন সেক্রে কাজ করতে পারেন। তাহলে সফলতা অবশ্যই অর্জন করতে পারবেন।

তাই চলুন জেনে নেয়া যাক ব্লগিং করবেন নাকি ইউটিউবিং করবেন। আমার কাছে দুইটি সেরা। এখানে আপনার যে কাজের দক্ষতা বেশি সেক্টর এর কাজ বেছে নিবেন।

ব্লগিং করুন

আমরা প্রথমে ব্লগিং সম্পর্কে কিছু ধারনা দেয়ার চেষ্টা করব। আপনি যদি ধারণা অনুযায়ী ব্লগিং শুরু করতে পারেন তাহলে অনেক লাভজনক হতে পারবেন।

বিশেষ করে যারা লেখালেখি পছন্দ করেন। বিভিন্ন টপিকের উপর লেখালেখি করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। কিন্তু ইউটিউবের ভিডিও তৈরি করার প্রতি তেমন আগ্রহ নেই।

তারা চাইলে সহযোগী ব্লগিং শুরু করতে পারবেন। আর ব্লগিং শুরু করে নিজের পছন্দমত নিশ বেঁচে নিয়ে সহজে ব্লগস্পটে গিয়ে একটি ফ্রি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে, লেখালেখির কাজ শুরু করে দিতে পারবেন।

ব্লগিং শুরু করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। আর ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য আপনারা ব্লগার ডট কমে একটি ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারবেন। ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে নিয়মিত আর্টিকেল লিখতে হবে।

আর ব্লগিং শুরু করার প্রথম অবস্থায় ওয়েবসাইট গুলোতে ভিজিটরের সংখ্যাটা নাই বললেই চলবে। আপনি যদি দুই তিনটি পোস্ট করে বসে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনার পোস্টে তেমন ভিজিটর আসবে না।

আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর না আসলে আপনি কখনোই হতাশা হয়ে, ব্লগিং ছেড়ে দেবেন না। কারণ এটি হচ্ছে ধৈর্যের কাজ। আপনি যত বেশি বেশি পোস্ট শেয়ার করবেন। তত বেশি করে মানে ভিজিটর আসা শুরু করবে।

মূলত একটি নতুন ওয়েবসাইট রেংকিং করানোর জন্য, ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত লেগে যায়। এই সময়ের মধ্যে আপনাকে বেশি বেশি পোস্ট করতে হবে।

প্রতিদিন নিয়মিত অন্তত একটি পোস্ট করতে হবে। তাহলে দ্রুত ওয়েবসাইট র‌্যাংক হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। আপনারা হাল ছেড়ে না দিয়ে কাজ চালিয়ে যাবেন। আপনার ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিটর আসার পর, ইনকাম করা শুরু করতে পারবেন।

তো চলেন ব্লগিং করে কিভাবে ইনকাম করবেন সে বিষয়ে জেনে আসি।

ব্লগিং করে ইনকাম করার জন্য আপনাদের ওয়েবসাইটে google adsense approval নিতে হবে। বর্তমান সময়ে বাংলা এবং ইংরেজি কনটেন্ট লিখে, একটি ওয়েবসাইটে ২০ থেকে ২৫ টি পোস্ট পাবলিশ করে গুগল এডসেন্স।

আপনার ওয়েবসাইটে ইউনিক আর্টিকেল লিখে গুগল অ্যাডসেন্স অনুমোদন নিতে পারবেন। আর এডসেন্স অনুমোদন হয়ে গেলে, বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে, এবং ক্লিক করনের মাধ্যমে ইনকাম করা শুরু করতে পারবেন।

ইউটিউবিং করুন

উপরের আলোচনায় জানতে পারলেন ব্লগিং সম্পর্কে বিস্তারিত। এখন আপনি যদি ব্লগিং না করে ইউটিউবিং করতে চান? তাহলে এ বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা রাখতে হবে।

আমরা জানি ইউটিউব হলো সবথেকে জনপ্রিয় একটি ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম। এখানে আপনার নিজের প্রতিভা কাজে লাগিয়ে নির্দিষ্ট টপিকের ওপর ভিডিও তৈরি করে, গুগল এডসেন্সের বিজ্ঞাপন দ্বারা ইনকাম করতে পারবেন।

তাই আমি পরামর্শ দিব আপনার যারা লেখাপড়া করছেন এবং লেখাপড়া শেষ করে বেকার অবস্থায় বসে রয়েছেন। তারা চাইলে পার্টটাইম হিসেবে ইউটিউবিং শুরু করতে পারেন।

কারণ ইউটিউব চ্যানেল শুরু করলে আপনারা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। বিশেষ করে youtube চ্যানেল থেকে ইনকাম করার জন্য ইউটিউবের যে শর্ত রয়েছে। অর্থাৎ youtube এর শর্ত অনুযায়ী নিয়মিত ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করতে হবে।

এবং চলতি এক বছরের মধ্যে এক হাজার সাবস্ক্রাইবার এবং ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম পূরণ করে এডসেন্স এপ্রুভাল দিতে পারবেন। আর এডসেন্স এপ্রুভাল হয়ে গেলে আপনারা youtube এর প্রতিটি ভিডিওতে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে ইনকাম করা শুরু করতে পারবেন।

তবে youtube থেকে বেশি বেশি ইনকাম করতে চাইলে আপনাদের অবশ্যই ভিজিটরের কথা চিন্তা করে তাদের চাহিদার মত ভিডিও তৈরি করে আপলোড করতে হবে।

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা উপরে উল্লেখিত আলোচনা অনুসরণ করে, আপনারা ব্লগিং এবং ইউটিউবিং সম্পর্কে ধারণা নিতে পেরেছেন। এখন আপনি ব্লগিং করবেন নাকি ইউটিউবিং করবেন। সেটি পুরোপুরি আপনার উপর নির্ভর করছে।

আপনারা দুই সেক্টরে ধৈর্য সহকারে কাজ করতে পারলে সফলতা অর্জন করতে পারবেন। তবে ব্লগিং কিভাবে শুরু করবেন, এবং ইউটিউবিং কিভাবে শুরু করবেন। এ বিষয়ে সম্পূর্ণ আর্টিকেল আমাদের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করা রয়েছে।

আপনারা চাইলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে ব্লগিং সম্পর্কে এবং ইউটিউব সম্পর্কে বিস্তারিত করে আসতে পারেন।

ধন্যবাদ।

Leave a Comment