প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা যদি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে টাকা ইনকামের কথা চিন্তা করে থাকেন, তাহলে ইউটিউব সম্পর্কে আপনার ভালোভাবে নিয়ম কানুন জানা অন্তত খুবই জরুরী।
ইউটিউব চ্যানেল খোলার আগে ইউটিউব এর নিয়ম কানুন সম্পর্কে আপনার ভালোভাবে জানা অনেক বেশি জরুরী কারণ ইউটিউব এর নিয়ম কানুন যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে কোন ভাবে একটি ইউটিউব চ্যানেল কে আপনি সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারবেন না।
হয়তোবা আপনার ইউটিউব চ্যানেল সবকিছু যদি ঠিকঠাক থাকা সত্ত্বেও আপনার কিছু না জানা ভুলের কারণে ইউটিউব এর কোন একটি নিয়ম ভঙ্গ করেন তার জন্য আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি আজীবনের জন্য Youtube থেকে ডিলিট হয়ে যেতে পারে।
তাই আপনি যদি একজন সফল ইউটিউবার হতে চান তাহলে আপনাকে ইউটিউবের নতুন আপডেট সম্পর্কে জানতে হবে।
ইউটিউবের নতুন নিয়ম কানুন ২০২৩
আমাদের এই আর্টিকেলে আমরা “ইউটিউবে নতুন নিয়ম কানুন ২০২৩”, ” ইউটিউব কপিরাইট আইন (YouTube Copyright Rules)”, ” ইউটিউব মনিটাইজেশন এর শর্ত (YouTube Monetization Rules)”, “ইউটিউব পলিসি” এর ব্যাপারে আজকের এই পোস্টে বিস্তারিত জানব।
কেন ইউটিউবের আইন বা নিয়ম মানতে হবে?
নতুন বছরে YouTube তাদের ভিডিও প্রকাশকদের জন্য তারা নতুন কিছু নির্দিষ্ট নীতিমালা দিয়ে দিয়েছে, যা নীতিমালা মেনে অবশ্যই তাদের ইউটিউব চ্যানেল ভালোভাবে পরিচালনা করতে হবে।
আপনি যদি YouTube এর সফলতা পেতে চান বা YouTube দ্বারা বর্তমান সময়ে অনলাইন থেকে ভালো কিছু করতে চান, তাহলে আপনাকে ইউটিউব এর নিয়ম নীতি সম্পর্কে ভালো করে মেনে তবেই YouTube এ কাজ করতে পারেন।
আপনি যদি ইউটিউবের নিয়ম কানুন সম্পর্কে না জানেন তাহলে আপনি ইউটিউব থেকে ভালো কিছু অর্জন করা আপনার পক্ষে সম্ভব হবে না।
ইউটিউবের নিয়ম কানুন ২০২৩ (YouTube Rules 2023)
এখন বর্তমান সময়ে দেখা গিয়েছে ইউটিউবের নিয়ম কানুন যতটা কঠিন হয়েছে কিন্তু আগে ততটা কঠিন ছিল না! অনেক ইউটিউবার ইউটিউবে ভিডিও প্রকাশ করার সময় কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে অনেক রকম ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার কারণে YouTube সম্পর্কিত অন্যান্য কিছু কিছু নিয়ম নীতিমালা ভঙ্গ করার কারণেই YouTube এখন এতটা কঠিক হতে বাধ্য হয়েছে।
এতে আমরা ইউটিউবে ভালোমানের ভি পাওয়ার পাশাপাশি প্রকৃত মেধা সম্মৃদ্ধ অনেক ব্যক্তিদের ইউটিউবে তাদের সেই মেধাকে ব্যবহার করে ভালো কিছু করার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
YouTube এর এই নিয়ম-নীতিগুলো YouTube এর দর্শক ও ভিডিও প্রকাশক উভয়েরই লাভ হয়েছে।
# অন্যের ভিডিও, অডিও, ছবি ব্যবহার করবেন না
বিশেষ করে আপনি অবশ্যই অন্য জনের একটি ভিডিও থেকে আপনি ধারণা নিতে পারবেন। কিন্তু সেই ভিডিও থেকে আপনি কোন মতেই সেই ভিডিওতে ব্যবহার করা কোন ভিডিও এবং অডিও মিউজিক, বা ছবি আপনি আপনার ভিডিওতে কোন ভাবেই ব্যবহার করতে পারবেন না।
অন্যের ভিডিওর অংশ এবং অডিওর মিউজিক বা ছবি যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ব্যবহার করলে আপনার YouTube channel টি (Copywright Strike) কপিরাইট স্ট্রাইক এর আওতায় পড়ে যাবে।
আপনি যদি অন্য লোকের ভিডিও এবং অডিও বা কোন ছবি কপি করেন সে চাইলে আপনাকে সঙ্গে সঙ্গে Copywright Strike দিতে পারবে তার YouTube channel থেকে।
এটিই হল (Copywright Strike) কপিরাইট স্ট্রাইক। আপনার YouTube চ্যানেলের যদি একে একে একসাথে তিনটি Copywright Strike এসে পড়ে, তাহলে আপনার YouTube চ্যানেলটি YouTube থেকে ডিলিট হয়ে যাবে সারা জীবনের জন্য। এটাই হল ইউটিউবের কপিরাইট পলিসি।
কপিরাইট ফ্রি ভিডিও ( Copyright free video )
আমি আপনাদের আগেই বলেছি, আপনি চাইলেই অন্য লোকের যেকোন ভিডিও ক্লিপ আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওতে ব্যবহার করতে পারবেন না।
বিশেষ করে আপনি যখন আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপনি যে ভিডিওটি ইউটিউবে আপলোড করবেন সেই ভিডিওর প্রকৃত মালিক আপনাকে হতে হবে।
তা না হলে যে কোন সময় আপনি অন্যের যে ভিডিওটি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করবেন সেই ভিডিওর মালিক যদি চাই তাহলে আপনাকে Copywright Strike দিতে পারে।
তাই আপনাকে নিজের মেধা শক্তি দিয়ে ভিডিও করতে হবে সব সময় ইউটিউবে আপনার নিজের ভিডিও আপলোড করতে হবে।
তবে এখন বর্তমান সময়ে অনলাইনে বেশ কিছু ওয়েবসাইট তৈরি হয়েছে সেই ওয়েবসাইট থেকে আপনি আপনার ইউটিউব ভিডিওর ক্লিপ এবং অডিও সহ আপনার ইউটিউব ভিডিওতে ব্যবহার করতে পারবেন।
ভিডিওর ক্লিপ, অডিও মিউজিক বা ছবি ওই ওয়েবসাইটগুলি তাদের সকল ভিডিও, অডিও, ছবি সবাইকে ইউটিউবে ব্যবহার করার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে।
তাই আপনি চাইলে অন্যের ভিডিও থেকে কপি না করে সে সকল ওয়েবসাইট থেকে ভিডিও ক্লিপ, অডিও মিউজিক, ছবি ডাউনলোড করে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ব্যবহার করলে তারা আপনাকে কোন কপিরাইট স্ট্রাইক (Copywright Strike) দেবে না।
এরকম বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় কপিরাইট ফ্রি ভিডিও ক্লিপ ডাউনলোড ওয়েবসাইট আপনাদের জন্য নিচে দেওয়া হল:
কপিরাইট ফ্রি মিউজিক (Audio)
আপনি যেমন অন্যের লোকের ভিডিও ক্লিপ বা অডিও মিউজিক আপনার ভিডিওতে ব্যবহার করতে পারবেন না। ঠিক তেমনি অন্য লোকেরা আপনার ভিডিওর অডিও বা মিউজিক তারাও ব্যবহার করতে পারবে না।
কোন কারনে আপনি যদি ইউটিউবে কপিরাইট ফ্রি মিউজিক এর নিয়ম নীতিগুলো তোয়াক্কা না করেন, তাহলে হয়তোবা কোন এক সময় গিয়ে আপনার ইউটিউব ভিডিও অডিও মিউজিক এর কারনে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে স্টাইক এসে যেতে পারে।
আপনার ইউটিউব ভিডিওতে মিউজিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনাকে খুবই সতর্কতার সাথে মিউজিক ব্যবহার করতে হবে। তবে আপনি YouTube অডিও লাইব্রেরি থেকেই Copywright Free Music আপনার YouTube চ্যানেলের ভিডিও তে ব্যবহার করতে পারবেন।
YouTube লাইব্রেরীতে (ইউটিউব অডিও লাইব্রেরি) শুধুমাত্র ইউটিউবারদের জন্য “কপিরাইট ফ্রি মিউজিক” YouTube কর্তৃপক্ষ দিয়ে দিয়েছে। যাতে YouTube এরা খুব সহজে মিউজিক ভিডিও তাদের ভিডিওতে ব্যবহার করতে পারেন কোন প্রকার সমস্যা ছাড়া।
তাছাড়াও এখন বর্তমান সময়ে আপনি অনলাইনে কিছু ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন সেখান থেকেও আপনি খুব সহজেই কপিরাইট ফ্রি অডিও মিউজিক আপনার ইউটিউব ভিডিওর জন্য ডাউলোড করে আপনার ভিডিওতে ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারবেন, এতে বিশেষ করে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে কোন রকম সম্যসা হবে না।
কেননা অনলাইনে সেই সকল ওয়েবসাইটগুলো ইউটিউবারদের জন্য কপিরাইট ফ্রি ইউটিউব অডিও তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে।
নিচে আপনাদের জন্য কয়েকটি ওয়েবসাইটের নাম লিস্ট করে দেওয়া হল
কপিরাইট ফ্রী ছবি (Picture)
YouTube video প্রকাশকদের জন্য তাদের video তে ছবি ব্যবহার ক্ষেত্রে একই নিয়ম প্রযোজ্য থাকে যে রকম ভিডিও অডিওর ক্ষেত্রে। ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও আপনাকে অনেক বেশি সতর্ক হতে হবে, আপনার YouTube ভিডিওতে ব্যবহারকৃত ছবির যেন প্রকৃত মালিক বিশেষ করে আপনি হন।
আর তা না হলে YouTube video এর audio-ভিডিও ব্যবহারের নিয়ম অনুযায়ী আপনি আপনার ইউটিউব ভিডিওতে অন্যের ছবি ব্যবহার করার জন্য কপিরাইট স্ট্রাইক (Copywright Strike) পেয়ে যেতে পারেন।
তবে এখন বর্তমান সময়ে অনলাইনে অনেক ওয়েবসাইট তৈরি হয়েছে যেখানে কপিরাইট ফ্রী ইমেজ ডাউনলোড করা যায়। আপনি সেই সকল ওয়েবসাইট ভিজিট করে আপনার ইউটিউব ভিডিওর জন্য আপনি খুব সহজে কপিরাইট ফ্রি ইমেজ ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন।
বিশেষ করে আপনি সরাসরি গুগল থেকে ছবি অনুসন্ধান করে “Creative Commons licenses” এ ক্লিক করে কপিরাইট ফ্রি ইমেজ ডাউনলোড করে আপনার ইউটিউব ভিডিওর জন্য ব্যবহার করতে পারবেন।
# অশ্লীল ভিডিও বা ছবি ব্যবহার করবেন না
একটা কথা ভালো করে মনে রাখবেন ইউটিউব পর্নোগ্রাফি বা অ্যাডাল্ট কন্টেন্টের জন্য কিন্তু নয়। আপনি যদি আপনার ইউটিউব ভিডিওতে যদি পর্নোগ্রাফি এই ধরনের কোন কিছু থাকে, তাহলে ভিডিওটি আপনার নিজের হওয়া সত্বেও সেই ভিডিওটি আপনি ইউটিউবে আপলোড করতে পারবেন না।
আর যদি আপনি ভিডিওটি আপলোড করে থাকেন, তাহলে আপনার সেই ভিডিওটি Nudity & sexual content policies আওতায় পড়ে যাবে।
এই প্রসঙ্গে আপনি ভালভাবে মনে রাখবেন যে YouTube আইন প্রয়োগকারীদের সাথে যথাসম্ভব সহায়তা করে এবং শিশুদের শোষণের ঘটনা দেখতে পেলে অভিযোগ জানাই।
অনেক সময় আমরা ইউটিউবে গেলে দেখতে পাই অনেকেই সেক্স ভিডিওর বা ছবি ব্যবহার করে থাকে সেটি আপনি করবেন না।
আপনি যদি ইউটিউব থেকে ভালো কিছু করতে চান তাহলে আপনাকে ইউটিউবের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে আগে ভালোভাবে জানতে হবে।
আপনি যদি সকল বিষয়ে জেনেশুনে ইউটিউবিং শুরু করেন তাহলে আপনি জীবনে ক্যারিয়ার করতে পারবেন।
# অসম্পর্কিত ভিডিও টাইটেল বা ছবি ব্যবহার করবেন না
কোনভাবেই আপনি আপনার ইউটিউব ভিডিওতে অসম্পর্কিত ভিডিও টাইটেল বা ছবি ব্যবহার করবেন না, ইউটিউবে অসম্পর্কিত ভিডিও টাইটেল বা ছবি ব্যবহার কিন্তু স্প্যাম এর আওতায় পড়ে।
এ বিষয়ে আপনাকে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে, অনেকেই ইউটিউবে বেশি ভিউ পাওয়ার আশায় এই ধরনের আজেবাজে শব্দ ভিডিও টাইটেল এবং ডেসক্রিপশনে ব্যবহার করে?
বিশেষ করে আপনি ইউটিউবে বেশি ভিউ পাওয়ার জন্য ইউটিউবে আজেবাজে শব্দ ভিডিও টাইটেল ভিডিও ডিসক্রিপশনে ব্যবহার করবেন না।
বিশেষ করে অসম্পর্কিত ভিডিও টাইটেল বলতে বুঝায় আপনার ইউটিউব ভিডিও হচ্ছে এক বিষয়ের আর আপনি কিন্তু ভিডিওর টাইটেল লিখলেন অন্য বিষয়ে, মানে যেটি আপনার ইউটিউব ভিডিওর সাথে যায় না।
# হ্যাকিং সম্পর্কিত ভিডিও বানাবেন না
হ্যাকিং বিষয়ে বা হ্যাকিং সম্পর্কিত ইউটিউবে আপনি যেকোনো ভিডিও আপলোড করতে পারবেন না। যদিও সেই ভিডিওর সেটির প্রকৃত মালিক আপনি হন।
তাই আপনার যদি হ্যাকিং সম্পর্কিত বিষয় ইউটিউবে ভিডিও থাকে বা আপনি ভিডিও তৈরি করে থাকেন তাহলে আজকেই সেই টপিক চেঞ্জ করে আপনি অন্য কোন ভালো একটি টপিক নির্বাচন করুন ইউটিউবিং শুরু করেন।
# সোশ্যাল মিডিয়াতে অতিরিক্ত শেয়ার করবেন না
আমরা অনেকেই জানি অতিরিক্ত কোন জিনিস ভালো না। ঠিক তেমনি ইউটিউব ভিডিও ক্ষেত্রেও সেই একই কথা প্রযোজ্য। আপনার ইউটিউব ভিডিও বার বার সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশি বেশি অতিরিক্ত শেয়ার করার কারণে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের মনিটাইজেশন ডিজেবল হয়ে যেতে পারে।
অনেকেই আছেন যারা ইউটিউব ভিডিওর বেশি বেশি ভিউ পাওয়ার আশায় অনেক সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করে থাকেন কিন্তু আপনি সে ধরনের কাজ কখনোই করবেন না?
কারণ গুগল স্মার্ট google চাই সব সময় কোয়ালিটি ভিজিটর বা ট্রাফিক। আপনার ইউটিউব ভিডিওর কোয়ালিটি ট্রাফিক বলতে বোঝায় আপনার ইউটিউবের টপিক এর বিষয়ে যারা সার্চ করে আপনার ভিডিওতে এসে থাকে সেসকল ভিজিটরকে বোঝায়।
অনেক সময় দেখা যায় আমরা ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামসহ আরো অন্যান্য বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে ইউটিউব ভিডিও শেয়ার করে থাকে কিন্তু সেটি কোয়ালিটি ট্রাফিক হবে না।
আর ইউটিউবের ভিডিও শেয়ার করতে হয় তবে সেটা অনেক কম। আমাদের এজন্য খেয়াল রাখতে হবে ইউটিউব অতিরিক্ত সোশ্যাল মিডিয়াতে ভিডিও শেয়ার পছন্দ করেনা।
ইউটিউব মনিটাইজেশন নীতিমালা ২০২৩
আপনি যদি ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে চান, তাহলে আপনার ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা আয় করার জন্য সর্বপ্রথম আপনার ইউটিউব চ্যানেলের মনিটাইজেশন আগে পেতে হবে।
আপনার ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন পাওয়ার জন্য ইউটিউব মনিটাইজেশন এপ্লিকেশন এর নতুন কন্ডিশন আপনাকে ভালোভাবে পূরণ করতে হবে।
২০১৮ সালের পূর্বে ইউটিউবে মনিটাইজেশন পাওয়া অনেক বেশি সহজ ছিল কিন্তু এখন বর্তমান সময়ে অনেক কঠিন হয়ে গিয়েছে। কেননা সেই সময় একটা কোন রকম ইউটিউব চ্যানেলের জন্য সর্বমোট ১০,০০০ ভিও হলে ওই চ্যানেল থেকে ইউটিউব মনিটাইজেশন এর জন্য আবেদন করা যেত।
কিন্তু এখন বর্তমান সময়ে একটি ইউটিউব চ্যানেলের গুগল এডসেন্স মানে মনিটাইজেশন পাওয়ার জন্য আপনাকে ধাপে ধাপে অনেক শর্ত পূরণ করতে হয়। যা আমি মনে করি একজন ইউটিউবার অনেক ধৈর্য্য ও শ্রমের মাধ্যমে এই সফলতা অর্জন করা সম্ভব।
ইউটিউব মনিটাইজেশন শর্তগুলো হচ্ছে:
- আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওয়ের মিনিট সর্বমোট দেখার পরিমান ৪,০০০ ঘন্টা হতে হবে। অর্থাৎ আপনার ইউটিউব ভিডিও যখন ইউটিউব দর্শকরা আপনার ইউটিউবের সকল ভিডিও মিলে ৪,০০০ ঘন্টা দেখবে ( 4,000 hours watch time ) তখন আপনার ইউটিউব এনালাইটিক্স এর হিসাব অনুযায়ী গত এক বছরে তখন আপনি ইউটিউব মনিটাইজেশন এর জন্য আপনি আপনার চ্যানেলের জন্য আবেদন করতে পারেন।
- আপনার ইউটিউব চ্যানেলের জন্য ১,০০০ সাবস্ক্রাইবার অর্জন করতে হবে শেষ এক বছরের ভিতরে। যেদিন ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করবেন সেদিন থেকে হিসাব শুরু,
- আপনার ইউটিউব চ্যানেল এর সকল অফিশিয়াল নিয়ম নীতি অনুযায়ী ঠিক থাকতে হবে।
ইউটিউব চ্যানেল Verification Badge এর নিয়ম
ইউটিউব চ্যানেল “Verification Badge” এর কারণে একটি ইউটিউব চ্যানেলকে অনেক বেশি ট্রাস্ট এর ভ্যালু তৈরি করে আপনার ভিওয়ারদের কাছে।
YouTube channel “Verification Badge” হচ্ছে আপনি যখন “Verification Badge” আলা ইউটিউব চ্যানেলে ভিজিট করবেন তখন আপনি দেখতে পাবেন YouTube channel এর নামের উপরে একটি টিকমার্ক রয়েছে। ওই টিকমার্ক টি হল “YouTube Channel Verification Badge”।
ইউটিউব চ্যানেল Verification Badge
YouTube channel “Verification Badge” পেতে হলে আপনাকে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে।
- ইউটিউব চ্যানেল “Verification Badge” এর জন্য আপনি যদি আবেদন করতে চান তাহলে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের কমপক্ষে ১ লক্ষ সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে। আপনার যদি এক লক্ষ সাবস্ক্রাইবার না থাকে তাহলে আপনি ইউটিউব চ্যানেল “Verification Badge”” আবেদন করতে পারবেন না।
- আপনার ইউটিউব চ্যানেলের কভার ফটো থাকতে হবে।
- আপনার ইউটিউব চ্যানেল ভালো লোগো থাকতে হবে।
- আপনার ইউটিউব চ্যানেলে কোন রকম কমিউনিটি গাইডলাইন ও স্ট্রাইক বা কপিরাইট স্টাইক থাকা যাবে না।
ইউটিউব নিয়ম কানুন FAQ
#কপিরাইট ক্লেইম কি?
কপিরাইট ক্লেইম হচ্ছে “ইউটিউব কপিরাইট স্ট্রাইক” (YouTube Copywright Strike) এর মত। তবে বিশেষ করে সব চ্যানেলে কিন্তু কপিরাইট ক্লেইম দিতে পারেনা।
কারন ইউটিউবে যে সকল চ্যানেল গুলির কনটেন্ট আইডি রয়েছে শুধু সেই সকল YouTube channel গুলো কপিরাইট ক্লেইম অন্য YouTube চ্যানেলকে দিতে পারে।
আমাদের কথা,
আমি আশাকরি আমাদের আজকের এই পোস্টটি যারা এখন বর্তমান সময়ে ইউটিউবে ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাদের জন্য অনেক উপকারে আসবে এবং হেল্পফুল হবে।
প্রিয় বন্ধুরা, আর আপনার যদি “ইউটিউব নিয়ম কানুন” সম্পর্কে আপনার মনে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে নিচে কমেন্ট বক্সে করে লিখে আপনার প্রশ্নটিই করে যাবেন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো আপনার প্রশ্নের সমস্যা সমাধান করার জন্য।
শুভ হোক আপনার ইউটিউব জগতে রঙিন পথ চলা।