আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করব শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্ক নিয়ে। এখন আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন। সে ক্ষেত্রে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আমরা সবাই একটু সময় স্কুলে পড়াশোনা করে বড় হয়েছি। আবার কেউ কেউ এখনো পড়াশোনা করছে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির গুরুত্ব কতটুকু আমাদের সকলের জেনে রাখা উচিত।
কারণ শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। বর্তমানে শিক্ষার অনেক উন্নতি ঘটেছে। তাই শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলটি প্রস্তুত করা হয়েছে।
তোর শিক্ষা ক্ষেত্রে আমাদের প্রযুক্তি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারের উপকারিতা, সেক্ষেত্রে ব্যবহৃত একটি প্রযুক্তির নাম, শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারের অপকারিতা, প্রাথমিক শিক্ষাই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার, একজন শিক্ষার্থীর কতটুকু জানা প্রয়োজন সে বিষয়ে বলব।
টপিক সূচিঃ
প্রাথমিক শিক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার
শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড এ কথাটির সাথে আমরা সবাই পরিচিত। শিক্ষা মানুষের মনুষত্ব বিকাশ করে মানুষের চলার একটি চাবিকাঠি। আত্মবিশ্বাস জীবন সংগ্রামের একটি নির্দেশনা দেয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
শিক্ষার কারণে মানুষ এর মনোভাব উন্নেষ ঘটে। তাই প্রাথমিক অবস্থায় একজন শিক্ষার্থী জ্ঞানের আলোয় প্রবেশ করে ধীরে ধীরে।
মানুষের জীবন যেমন ডায়নামিক সময় এর সাথে চলমান কেমনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে বিভিন্নভাবে রূপ ধারণ করছে।
বর্তমান সময়ে শিক্ষাক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট হচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। এখন সারা বিশ্বকে মনে করা হচ্ছে গ্লোবাল ভিলেজ।
এই বিকাশের অগ্রগতির জন্য বর্তমান সময়ে কে বিশ্বজোরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগ বলা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে উচ্চতার মর্যাদায়।
তাই শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি- মোবাইল, কম্পিউটার, ল্যাপটপ এবং ইন্টারনেট তৈরিতে মানব সভ্যতাকে পৌঁছে দিচ্ছে, ভবিষ্যৎ জীবন উজ্জলের দিকে।
প্রাথমিক শিক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার করে শিক্ষকরা মানসম্মত শিক্ষা প্রদান করতে পারছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে মান উন্নয়ন প্রধান ভূমিকা রাখে গুণগতমান বাংলাদেশের সম্মান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তো বাংলাদেশ সরকার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ল্যাপটপ এবং কম্পিউটার সরবরাহ করা হচ্ছে। আর গত ২০১০ সাল থেকে শিক্ষকদের মাল্টিমিডিয়ার ক্লাস রুম সফটওয়্যার ব্যবহার করে ডিজিটাল সেবা প্রদান করে যাচ্ছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সংবাদ প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় ডিজিটাল ক্লাসরুম এবং ৬৫ হাজার বিদ্যালয়ে প্রায় ৫৪ হাজারটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি করে ল্যাপটপ এবং ২২ হাজার এরও বেশি মাল্টিমিলিয়া ক্লাসের জন্য প্রজেক্টর প্রদান করা হয়েছে।
তাই ডিজিটাল সার্ভিস পেতে প্রাথমিক শিক্ষাই তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার অনেক বেশি।
শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির গুরুত্ব কতটুকু
বর্তমানে বাংলাদেশের শিক্ষার মান উন্নত হয় আমাদের সমাজের শিক্ষার্থীরা ব্যাপকভাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার করা চলছে। তাই আমরা যদি লক্ষ্য করি তবে প্রতিটি মিনিটে প্রযুক্তির ব্যবহার করছি।
বর্তমানে সমাজ যেভাবে অগ্রগতির দিকে যাচ্ছে, তা সংক্ষিপ্তভাবে বলে বোঝানো সম্ভব নয়।
পৃথিবীতে যে সকল দেশ বেশি উন্নত। তারা আজকে এই প্রযুক্তির কারণে উন্নতি সাধন করছে। তার যখন উন্নত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ আইসিটির দিক থেকে বহুমুখী।
তাই আমাদের বাংলাদেশে এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ নামে পরিচিত হয়েছে। এখন আমরা প্রয়োজনীয় কাজের সাথে সকল কাজের জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি।
আমাদের নিজেদের কাজের পাশাপাশি এখন শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। স্কুল এবং কলেজে মাল্টিমিডিয়ায় প্রজেক্টরের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেয়া হচ্ছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পর্কে স্টুডেন্টরা বিশেষভাবে জ্ঞান অর্জন করতে পারছে। প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে বাচ্চাদের হাসিখুশি রাখার মাধ্যমে পড়াশোনা শেখানো হচ্ছে।
তাই সবদিক বিবেচনা করে বলা যায়, শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব অপরিসীম।
শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার
তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির ইংরেজি সেন্টেন্স হল Information and Communication Technology (ICT).
তথ্য সংশোধন, তথ্য সংরক্ষণ, তথ্য প্রক্রিয়াকরণ প্রযুক্তির অংশগুলোর একটি। যেমন কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল, ইন্টারনেট, নেটওয়ার্ক, সাইবার সুরক্ষায় ইত্যাদি।
তো আজকে আমরা শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে বলে দেব। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রযুক্তির ব্যবহার হল-
01. দূরবর্তী শিক্ষা গ্রহণ করা
তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে স্টুডেন্টরা দূরবর্তী স্থান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করার সুযোগ পায়। স্টুডেন্টরা অনলাইনের মাধ্যমে পাঠ্য বই, অনলাইন কোর্স, অনলাইন সাময়িক পরীক্ষা, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দূরবর্তী ক্লাস করানো যায়।
02. শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে যোগাযোগ মাধ্যম
ইসিটি’র মাধ্যমে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে যোগাযোগ করার ব্যবস্থা করা হয়। যেকোনো সমস্যার সম্মুখীন স্টুডেন্টরা প্রযুক্তির ব্যবহার করে ওয়েব কনফারেন্স, ইমেইল, চ্যাটিং অ্যাপ এবং ফোন কলের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ করার সুযোগ পায়।
03. শিক্ষায় মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টের ব্যবহার
শিক্ষা ক্ষেত্রে বর্তমানে এখন স্কুল কলেজগুলোতে আইসিটি ক্লাস নেওয়ার জন্য, গবেষণামূলক বিজ্ঞান বিষয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক ক্লাস গুলোর মধ্যে, স্কুল ল্যাব গুলোতে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে ক্লাস নেওয়া হয়।
যার ফলে শিক্ষার্থীরা সহজেই সকল বিষয় বুঝতে পারে। তাই প্রতিটি স্কুল-কলেজ গুলোতে কম্পিউটার ল্যাপ করা হয়েছে।
04. বই সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহার
অনলাইনের মাধ্যমে যে কোন বই শিক্ষার্থীরা পিডিএফ আকারে, ডাউনলোড করার সুবিধা পায়। কারণ প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য শিক্ষার্থীরা বাসায় বসে অনলাইনে তাদের পড়াশোনা কার্যক্রম চালাতে পারে।
05. শিক্ষার্থীদের কর্মক্ষমতা ব্যবহার
শিক্ষার্থীরা কর্মক্ষমতা বাড়ানোর জন্য, তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে যাচ্ছে। তারা তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ই লার্নিং প্ল্যাটফর্ম গুলোতে সময় দিয়ে শিক্ষার্থী ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম গুলোতে সঠিক তথ্য জানতে পারছে।
শিক্ষা ক্ষেত্রে কি কি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়?
শিক্ষা ক্ষেত্রে বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থীরা এন্ড্রয়েড মোবাইল ব্যবহার করে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন অ্যাসাইনমেন্ট করছে।
যে সকল অ্যাসাইনমেন্টগুলোর শিক্ষক অনলাইনের মাধ্যমে বাসায় বসে দেখতে পারছে। যদি করোনা মহামারীর কথা বলা হয়, তাহলে সে সময়ে সকল স্কুল কলেজ বন্ধ ছিল।
সেই করুণা মহামারী চলাকালীন সময়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনার কার্যক্রম অনলাইন প্লাটফর্ম দ্বারা চালিয়েছে।
তাই বলা যায় শিক্ষা ক্ষেত্রে, প্রযুক্তির অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আর শিক্ষা ক্ষেত্রে যে প্রযুক্তি এগুলো ব্যবহার করা হয় তার উল্লেখযোগ্য-
- ইন্টারনেট
- কম্পিউটার,
- ল্যাপটপ,
- স্মার্টফোন,
- ট্যাব,
- মাল্টিমিডিয়া ইত্যাদি।
শেষ কথাঃ
আমরা আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের জানিয়ে দিলাম শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে। আমাদের বাংলাদেশে শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও প্রযুক্তির অনেক ব্যবহার রয়েছে।
যার প্রতিটি প্রযুক্তি ব্যবহার করে, স্টুডেন্ট’রা তাদের শিক্ষা কার্যক্রম সহজেই পরিচালনা করতে পারছে।
তো আলোচনা শেষে, আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে। তাহলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
ধন্যবাদ।