ইন্টারনেট কি । ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করে

প্রিয় পাঠক, আপনারা সবাই কেমন আছেন, আশা করি নিশ্চয়ই ভাল আছেন, আজ আপনাদের মাঝে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি এটি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে বলে আমি মনে করি। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক আজকের আলোচনার মূল বিষয়?

আজকের আলোচনার মূল বিষয় হল ইন্টারনেট কি (What Is Internet In Bangla), ইন্টারনেট (Internet), নেটওয়ার্ক (network ) এর এমন একটি বিশাল নেটওয়ার্ক যা পৃথিবী জোরে সারাদেশে আছে এই ইন্টারনেট জাল, যেটা এখন পুরো বিশ্বের (Globally) কম্পিউটার নেটওয়ার্কের (computer network) সাথে এবং সব দেশের সাথে পরস্পরে (interconnected) সংযুক্ত (connected) হয়ে আছে।

এবং, এই (computer network) কম্পিউটার নেটওয়ার্ক পরস্পরে একে আরেকটি ডিভাইসের (device) সাথে পৃথিবীব্যাপী (worldwide) ভাবে সব দেশের সঙ্গে লিংক বা কানেক্ট হওয়ার জন্য “Internet protocol suite (TCP/IP)” ব্যবহার করেন।

বন্ধুরা, এখন, আপনি আমাদের যে, “ইন্টারনেটের বিষয়ে” আমাদের আজকের এই আর্টিকেল পড়ছেন, সেটাও কিন্তু ইন্টারনেটের মাধ্যমে।

যেমন এটি হতেপারে, আপনি একটি স্মার্টফোনের বা ল্যাপটপ ও কম্পিউটারে এই আর্টিকেলটি পড়ছেন।

what is internet

ইন্টারনেট কি । ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করে

কিন্তু আমরা যখন, কোন কিছু জানার জন্য অনলাইন ওয়েবসাইটের সাথে কানেক্ট বা লিংক হওয়ার জন্য তখন আমরা যেকোন ডিভাইসে আপনার সেই কম্পিউটার নেটওয়ার্ক (computer network), যাকে আমরা ইন্টারনেট (Internet) বলি, তার ব্যবহার অবশ্যই করতেই হবে।

এখন বর্তমান সময়ে আমাদের প্রায় সব ধরনের জিনিসের বা অনলাইনে কোন কাজের জন্য আমাদের, এই ইন্টারনেটের ব্যবহার করতেই হয়।

এখন বর্তমান সময়ে আমাদের সবার কাছে ইন্টারনেট রয়েছে ? মানুষদের ঘরে ঘরে, সরকারি বেসরকারি অফিসে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও কার্যালয়ে  এবং আমাদের মোবাইলের মাধ্যমে আমাদের হাতে হাতে ইন্টারনেট (Internet) রয়েছে।

এবং, এই computer নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা একজন লোক আরেকজনের সাথে অতি সহজে সংযুক্ত বা কানেক্ট হয়ে কথাবার্তা বা আলাপ আলোচনা করে থাকতে পারছি। সত্যি বললে, ইন্টারনেট এর ব্যবহার ছাড়া এখন বর্তমান সময়ে কোন কিছুই কাজ কর্ম বা সবার সাথে ভালো সংযোগ রাখা সম্ভব না।

ইন্টারনেট কাকে বলে (Internet Meaning In Bangla) আপনাকে আজকে আমি সবটাই এই ব্যাপারে জানাবো। কিন্তু, তার আগেই ভালো করে জেনে রাখুন, এখন যে বর্তমান সময় সময় রয়েছে তা লোকেরা না খেয়ে থাকতে পারবে, না ঘুমিয়ে থাকতে পারবে, বিনা বিদ্যুৎ সেবায় থাকতে পারবে।

কিন্তু, এই ইন্টারনেট (Internet) ছাড়া একজন ব্যক্তি কখনোই থাকতে পারবেনা।

বন্ধুরা, আপনি হয়তো এখন মনে মনে ভাবছেন, এইটা কেবল মুখের কথা। কিন্তু এখনকার সময়ে ছোট বাচ্চার থেকে young ছেলে মেয়েরা এবং তাদের থেকে আরো উপরের মধ্যম বয়েসের লোকেরা সবাই নিজের নিজের স্মার্টফোন ডিভাইসে সারা দিন অনেক বেশি ব্যস্ত হয়ে থাকেন।

এবং, আপনি যদি তাদের ভালো করে জিজ্ঞেস করেন তাদের আপনি দিনের অর্ধেক মোবাইলে কি করেন, তখন আপনার প্রশ্নের উত্তর পাবেন “Internet“.

তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক (What Is Interne) ইন্টারনেট মানে কি ? কিভাবে কাজ করে , ইন্টারনেট এর লাভ ও সুবিধা এবং এরকম আরো কিছু তথ্য নিয়ে ইন্টারনেটের ব্যাপারে আমরা নিচে বিস্তারিত ভালোভাবে জেনেনেই।

ইন্টারনেট কি ? What Is Internet In Bangla

ইন্টারনেট কি? Internet আধুনিক টেলিযোগাযোগের (Telecommunication) একটি network বা মাধ্যম যেটা telephone line, তার (cables), satellites, বেতার সংযোগ (wireless connections) ব্যবহার করে computer বা অন্য ডিভাইস গুলিকে World Wide Web (www) এর সাথে আমাদের সংযুক্ত গুলোকে ভালোভাবে (connect) করে।

World Wide Web (www) হল ইন্টারনেটে তথ্য গ্রহণের পদ্ধতি। বন্ধুরা, এই পদ্ধতিতে, হাইপারটেক্সট লিংক (hypertext link) এর মাধ্যমে ইন্টারনেটে থাকা বিভিন্ন ডকুমেন্ট (document) বা ফাইল একে একের সাথে ভালোভাবে সংযুক্ত হয়ে থাকে।

দেখা যায় এর ফলে, এই হাইপারটেক্সট লিংক (hypertext link) এর ব্যবহার করে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা তাদের প্রয়োজন হিসেবে, একটি document বা তথ্যের থেকে আরেকটি document ও তথ্যের দিকে এগিয়ে যেতে পারেন।

এবং, প্রয়োজন হিসেবে আপনার নিজের কম্পিউটারে সেই তথ্য বা document গুলি প্রাপ্ত করতে পারেন।

যেমন- এখনকার বর্তমান সময়ে সব ধরণের কম্পিউটার ডিভাইস যেমন modern computer, laptop, smartphone, smart TV বা এন্ড্রয়েড টিভি এবং আরো অন্য ডিভাইস ইন্টারনেটের সাথে কানেক্ট হতে পারে।

সোজা ভাবে ইন্টারনেট কাকে বলে ?

বন্ধুরা, সোজাভাবে ইন্টারনেট কাকে বলে বলতে গেলে ইন্টারনেট এমন একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক (computer network) যেই নেটওয়ার্ক (network) পৃথিবীর সব থেকে বড়ো এবং ব্যস্ত।

সোজা ভাবে যদি বলি বিশ্বের সব কম্পিউটার (computer) গুলি যেই নেটওয়ার্ক (network) দ্বারা একে আরেকটির সাথে সংযুক্ত হয়ে আছে, সেই নেটওয়ার্কটি হল ইন্টারনেট (Internet)।

যখন আমরা আমাদের স্মার্ট ফোনে বা কম্পিউটারের মাধ্যমে, এই নেটওয়ার্কের (Internet) সাথে সংযুক্ত হয়ে যাই, তখন আমরা নেটওয়ার্কের একটি বিশাল জালের ভাগ হয়ে দাড়াই। এবং তখন একে “Global network” বলা হয়।

এখন, যেই Global network এর সাথে আমরা পরস্পরের সাথে সংযুক্ত (connect) হয়ে আছি, তার সাথে কানেক্টেড (connected) যেকোন কম্পিউটারে থাকা যেকোন তথ্য আমরা আমাদের computer বা ডিভাইসে প্রাপ্ত করতে পারি।

প্রিয় বন্ধুরা, আসলে, একটি ডিভাইসের মাধ্যমে, এই Global network এর সাথে connect হয়ে, পৃথিবীর অন্য অন্য কম্পিউটারে থাকা বিভিন্ন তথ্য, ফাইল বা ডকুমেন্ট গ্রহণ করার জন্য ব্যবহার করা কম্পিউটার নেটওয়ার্কটি (computer network) হল ইন্টারনেট (Internet).

বন্ধুরা, তাহলে ইন্টারনেট বলতে কি বুঝায় বা “ইন্টারনেট মানে  কি” এ ব্যাপারে আপনার কিছু জ্ঞান হয়তো এখন হয়েছে।

ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করে ?

বন্ধুরা আপনাদের মনে এখন প্রশ্ন এটাই আসে যে, নেটওয়ার্ক (network) এর এই বিশাল জাল, যাকে আমরা সোজা ভাবে বলি ইন্টারনেট সেটা কাজ কিভাবে করে ? তাহলে আমরা ইন্টারনেটের সাথে কিভাবে কানেক্ট হতে পারি ? মানে ইন্টারনেটের কাজ করার উপায় বা প্রক্রিয়া কি।

আমি আপনাদেরকে উপরে বলেছি, ইন্টারনেট হল সেই কম্পিউটার নেটওয়ার্ক (computer network) যেটা পৃথিবীর বিভিন্ন কম্পিউটারের সাথে যোগ বা (connect) হয়ে আছে।

ঠিক সেভাবেই, যেভাবে আমাদের ঘরের ল্যান্ডলাইন ফোন (landline phone) একে আরেকটির সাথে তারের মাধ্যমে যোগ বা connect হয়ে আছে।

এখন ইন্টারনেটের সঠিক ভাবে কাজ করার জন্য তাকে তার গ্লোবাল নেটওয়ার্কে (Global network) এর সাথে তার (wire) বা বেতার (wireless) যেকোন একটির  মাধ্যমে ভালোভাবে সংযুক্ত হয়েই থাকতে হবে।

এবং এরপর, গ্লোবাল নেটওয়ার্কে (Global network) জড়িত থাকা বিভিন্ন কম্পিউটারের সাথে আমাদের কম্পিউটার “Router” এবং “Server” এর মাধ্যমে সংযোগ (connect) হয়ে, তা আবার বিভিন্ন data এবং information সংগ্রহ করে নেয়। এভাবেই কাজ করে ইন্টারনেট (internet)।

এখন, ইন্টারনেট (internet) কাজ করার জন্য ৩ টি জিনিসের প্রয়োজন। 

  1. একটি ডিভাইস (device) যেখান থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার বা চালু করা যাবে।
  2. Internet service provider (ISP) থেকে ইন্টারনেট সেবা গ্রহণ করা।
  3. একটি ওয়েব ব্রাউসার (Web browser) বা এপ্লিকেশন।

1. একটি ডিভাইস (Device) এর প্রয়োজন 

ইন্টারনেট কাজ করার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন হবে একটি ডিভাইস (device) এর। সেই ডিভাইস (device) , একটি কম্পিউটার (Computer), ল্যাপটপ (Laptop), স্মার্টফোন (smartphone) বা ট্যাবলেট (Tablet) যেকোন একটি হতে পারে।

বর্তমান সময়ে বিভিন্ন স্মার্ট টিভি বের হয়ে গেছে যে গলিতেও এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়।

এখন, একটি ডিভাইসের (device) পর আমাদের প্রয়োজন হবে একটি ইন্টারনেট ইন্টারনেট কানেকশনের (connection).

2. ISP থেকে ইন্টারনেট সেবা নিতে হবে 

যখন আমরা ইন্টারনেট কানেক্শন (Internet connection) নেয়ার পর আমরা আমাদের ডিভাইস বা কম্পিউটারকে ইন্টারনেটের সাথে ভালোভাবে সংযুক্ত করে, গ্লোবাল নেটওয়ার্কে (Global network) এর সেই বিশাল জালের সাথে কানেক্ট করতে পারি।

এখন আমরা অনেক সহজেই আমাদের আসে পাশে থাকা Internet Service Provider (ISP) গুলির থেকে ইন্টারনেট সেবা (internet service) নিয়ে নিতে পারি। Airtel, বাংলালিংক, গ্রামীণফোন, রবি বা টেলিটক এই কোম্পানি গুলি আমাদের telecommunication services দেয়ার সাথে সাথে internet service ও প্রদান করেন।

তাই, এগুলিও একটি internet service provider বা ISP.

ISP গুলির থেকে ইন্টারনেট Internet সেবা কিনে বা নিয়ে আমরা এরপর তার (wire) বা বেতার (wireless) যেকোন মাধ্যমে নিজেদের কম্পিউটারে ইন্টারনেট সেবা কানেক্ট করে নিতে পারি।

বন্ধুরা, ইন্টারনেট কানেক্ট হয়ে যাওয়ার পরের অবস্থাটাকে “অনলাইন” বলা হয়।

3. ডিভাইসে একটি ওয়েব ব্রাউজারের প্রয়োজন 

প্রিয় বন্ধুরা, মনে রাখবেন, যেকোন ডিভাইসে কিন্তু ইন্টারনেট (Internet) কাজ করার জন্য বা ইন্টারনেট Internet ব্যবহার করার জন্য, আপনার একটি ওয়েব ব্রাউজার (web browser) বা অন্য কিছু এপ্লিকেশন (application) এর প্রয়োজন হবে।

বন্ধুরা, ওয়েব ব্রাউজার এমন একটি অ্যাপস বা সফটওয়্যার, এপ্লিকেশন যে আপনাকে আপনার কম্পিউটার বা ব্যবহার করা ডিভাইস থেকে ইন্টারনেটের সেই নেটওয়ার্কের জালের সাথে ভালোভাবে সংযুক্ত হতে দেয় যাকে আমরা বলি “গ্লোবাল নেটওয়ার্ক” (Global network)।

এবং, এরপর ডোমেইন (Domain), আইপি (IP) এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে (Global network) বা গ্লোবাল নেটওয়ার্কের সাথে কানেক্টেড অন্য অন্য কম্পিউটার থেকে তথ্য ফাইল বা ডকুমেন্ট দেখতে বা গ্রহণ করতে পারি।

একটা বিষয় ভালো করে মনে রাখবেন, আধুনিক এই ইন্টারনেটের সেবার দ্বারা আমরা অন্য অনেক কাজ করতে পারি। যেমন- অনলাইনে ভিডিও কল (video call), অনলাইন মেসেজে চ্যাটিং (online chatting), ফটো বা ভিডিও শেয়ার করা, ভিডিও দেখা ছাড়াও আরও অনেক।

এবং, ইন্টারনেটের এই আলাদা আলাদা আরো অনলাইন সেবা ব্যবহার করার জন্য আপনার কিছু আলাদা আলাদা আরো অনেক ধরনের এপ্লিকেশন বা সফটওয়্যারের প্রয়োজন হতে পারে।

কেবল, ওয়েব ব্রাউসার দিয়েই সবটা ব্যবহার করা সম্ভব না।

বন্ধুরা, তাহলে, ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করে, এ ব্যাপারে হয়তো আপনি ভালো করেই এখন বুঝে গেছেন।

আরও পড়ুন..

ইন্টারনেটের ইতিহাস (History Of Internet)

বন্ধুরা, এই ইন্টারনেটের আবিস্কার করাটা কিন্তু এতটাও সহজ কাজ কখনোই ছিলোনা। এবং, কেবল একজনের পক্ষেও এই টেকনোলজি (Technology) খুঁজে বের করা সহজ কোন কাজ না। ইন্টারনেট (Internet) আবিস্কার করার জন্য অনেক programmer, scientist এবং engineer দেড় প্রয়োজন হয়েছিল।

বন্ধুরা, আমেরিকার একটি এজেন্সী (american agency) ARPANET স্থাপনা হয়েছিল ১৯৬৯ সালে। এবং, এই এজেন্সির কাজ ছিল একটি কম্পিউটার কে আরো একটি কম্পিউটারের সাথে সংযোগ বা কানেক্ট করার।

পরে, ১৯৮০ সালের পরে গিয়ে এই টেকনোলজির নাম হল (Internet) পড়ে সেটি “ইন্টারনেট” হয়ে দাঁড়ালো।

১৯৮৩ সালের ১ তারিখে ইন্টারনেটের আরম্ভ হয়েছিল। ইন্টারনেট (Internet) শুরু হওয়ার সময় একে বলা হতো  “Network of network” যদিও আজকের modern society তে এর নাম “ইন্টারনেট ” হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কিন্তু, আগেই অনলাইনের দুনিয়া এতো ভাবে স্বীকার করার যোগ্য (recognizable) ছিলোনা। কিন্তু, ১৯৯০ সালের পর যখন “computer scientist Tim Berners-Lee” উদ্ভাবিত (invented) করলো world wide web (www) এর, তখন মানুষদের জন্য এই ইন্টারনেট অনেক কাজের, মজার এবং স্বীকার করার যোগ্য হয়ে দাঁড়ালো।

ইন্টারনেটের মালিক কে ?

বন্ধুরা, এখন যদি আমরা বলি যে, ইন্টারনেট (Internet) কে আবিস্কার করেছে বা ইন্টারনেটের মালিক কে, তাহলে তার কোন সঠিক জবাব নেই।

যা আমরা উপরে বললাম, ARPANET নামের এজেন্সিতে অনেক scientist, programmer এবং engineer কাজ করেছে। এবং, তারাই ইন্টারনেটের বিষয়ে সঠিক গবেষণা (research) করা শুরু করলেন। এবং, সত্যি বললে এরা সবাই ইন্টারনেটের উদ্ভাবনের জন্য দায়ী।

কিন্তু, ইন্টারনেট (internet) বললে আমরা এর সবথেকে জরুরি ভাগ “TCP/IP PROTOCOL” টাকেই ভাবি। এবং, এই “TCP/IP PROTOCOL” টি উদ্ভাবন (invent) করেছিলেন Vincent Cerf [sic] and Robert Kahn.

ইন্টারনেট এর ব্যবহার | Uses Of Internet

আজ 2020 এ, ইন্টারনেটের ব্যবহার এবং কাজের কোন সীমা নেই। এই প্রত্যেকটি কাজের জন্য আমরা অনলাইন টেকনোলজির (Online technology) ব্যবহার করছি।

আমরা সেই সকল অনলাইন ওয়েবসাইটে গিয়ে data, information বা document গ্রহণ করার থেকে লাইভ ভিডিও কল করা থেকে শুরু করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে টিভি দেখা, আত্মীয়-স্বজনদের সাথে ও দেশ বিদেশের মানুষদের সাথে call বা messages এর মাধ্যমে কথা বলা এবং ঘরে বসেই শিক্ষা গ্রহণ করা।

এই সবগুলো কাজ করা সম্ভব হচ্ছে শুধুমাত্র ইন্টারনেটের ব্যবহার করে।

বন্ধুরা, এখন বর্তমান সময়ে যেকোন জিনিসের ব্যাপারে আমরা নিমিষের মধ্যেই অনেক ধরনের জ্ঞান পেয়ে যেতে পারি শুধুমাত্র ইন্টারনেট ব্যবহার করে। এবং, এরকম আরও অনেক ধরণের কাজ আমরা করতে পারি যেগুলি কাজ আমরা কোনোদিন ধারণাও করতে পারিনি।

বন্ধুরা, এই ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহার এবং এই ইন্টারনেট আমাদের জীবন অনেক সহজ এবং সোজা কোরে দিতে পারে।

তাহলে  চলুন, এবার আমরা নিচে ইন্টারনেটের কিছু ব্যবহার জেনে নেই, যেগুলি এখনকার দিনে অনেক বেশি বেশি গুরুত্বপূর্ণ বা প্রচলিত।

ইন্টারনেটের ৭ টি সেরা ব্যবহার ও লাভ

Electronic mail (Email):

আমরা অনেকেই ইন্টারনেট ব্যবহার করে email বা electronic mail ভালোভাবে পাঠাতে পারি। ইমেইল অনলাইন যোগাযোগের একটি অনেক বিখ্যাত (famous) মাধ্যম।

এখনকার বর্তমান সময়ে ৯০ % ইন্টারনেট ব্যবহার কারীরা, সহজ এবং দ্রুত যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ইমেইল বা electronic mail service এর ব্যবহার করেন।

File download করা:

আমরা অনেকেই আছি যারা অতি সহজে বিভিন্ন server বা website থেকে file, video, গান, ছবি, সফটওয়্যার, ডাউনলোড করে নিজের কম্পিউটার বা মোবাইলে ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারি।

ঠিক এভাবে করে আমরা যেকোন ফাইল ঘরে বসেই অনেক সহজে পেয়ে যাচ্ছি।

Educational benefits:

এখন বর্তমান সময় যেকোন জিনিসের বিষয়ে যদি আপনি যে কোন তথ্য জানতে চান বা শিখতে চান, তাহলে আপনি কোন চিন্তা করবেন না। A to Z সব জিনিসের বিষয়ে এখন আপনি ইন্টারনেট থেকে শিখে নিতে পারবেন। এখন বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটে আপনি সব কিছুর information পাবেন।

Online shopping:

আমাদের জন্মের কিছু বছর আগে, এই ব্যাপারে কোন রকমের ভাবও কারো মনে ছিলোনা। কিন্তু এখন বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইন শপিং বা অনলাইন কেনাকাটা (online shopping) করাটা এক ধরণের স্মার্ট প্রচলন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বন্ধুরা, আপনি একবার ভাবুন তো, আপনি ঘরে বসেই ইন্টারনেটের ব্যবহার করে আপনি যা যা কিনতে চান, সেগুলি নিজ ঘরে থেকে মোবাইলেই দেখে অর্ডার (order) করছেন।

এবং, ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনি যেগুলো মোবাইলের মাধ্যমে দেখে অর্ডার দিয়েছিলেন সেই আপনার অর্ডার করা জিনিস আপনার কাছে মুহূর্তের মধ্যেই এসে যাচ্ছে।

মর্ডান ইন্টারনেট টেকনোলজির এ এক ধরণের উপহার বললে আমি ভুল হবোনা।

যোগাযোগ করার মাধ্যম (Fast communication):

বন্ধুরা, এখন বর্তমান সময়ে আমরা ইন্টারনেটের অধিক ব্যবহার করে একে আরেকজনের সাথে অনলাইন যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করি। বিশেষ করে এর মাধ্যমে আমরা দেশে বিদেশের যেকোন জায়গার থেকে আমাদের আমাদের পরিবারের প্রিয়জনের সাথে অতি সহজে এবং খুব দ্রুত সময় যোগাযোগ করতে পারি।

সেগুলো হল যেমন, ভিডিও কল, সোশ্যাল মিডিয়া চ্যাটিং, ইমেইল বা ভয়েস কল যেকোন মাধ্যমে হতে পারে।

Entertainment বা বিনোদনের জন্য:

এখনকার বর্তমান সময়ে ৬০% ইন্টারনেট ব্যবহার কারীরা কেবল entertainment বা মনোরঞ্জনের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। এবং এই মনোরঞ্জনের এবং মডার্ন টেকনোলজির সামনে আমাদের এখন আর অন্য কোন মাধ্যম ভালো লাগেনা।

আজ, একে অপরের সাথে ভিডিও কথাবার্তা বলা, সিনেমা দেখা, গান শুনা, সিরিয়েল দেখা, সবটাই হাথের আঙুলে রয়েছে। আপনার যেটা দেখার বা শোনার মন চাবে, কেবল আপনি আপনার নিজের মোবাইল বা কম্পিউটারে মাধ্যমে ইন্টারনেটে সার্চ করলেই মুহূর্তের মধ্যে পেয়ে যাবেন।

যদি আপনি বর্তমান সময়ে আলোচিত YouTube এর ব্যাপারে জানেন, তাহলে হয়তো এখন আপনি ভালো করেই বুঝে গেছেন, আমি কি বলতে চাই।

এখনকার যুগের ছেলে মেয়েরা টিভি (TV) বা  dvd এগুলির ব্যাপারে কোন ধরনের রুচি রাখেনা। কারণ, এখন স্মার্ট ইন্টারনেটের সুবিধা থাকতে, তাদের আর অন্য কোন entertainment এর মাধ্যমের প্রয়োজন হয়না।

তথ্য খোঁজার জন্য (search information):

এখন বর্তমান সময়ে লোকেরা অনলাইনে অনেক বেশি সময় কাটাচ্ছেন বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য (information) খোঁজার জন্য। যা আমি আপনাদের আগেই বলেছি , ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনি যেকোন দেশ ও বিদেশের যেকোন তথ্য নিমিষের মধ্যে পেয়ে যেতে পারেন।

ইন্টারনেট আপনার কাছে থাকতে, যেকোন ইনফরমেশন (information) আপনি মুহূর্তের মধ্যেই পেয়ে যাবেন।

ঘরে বসেই ইনকামের মাধ্যম (online income):

বন্ধুরা, ওপরে আমি বলা ইন্টারনেট ব্যবহার গুলির বাইরেও ইন্টারনেটের একটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার এখনের সময়ে অনেক দেখা যাচ্ছে। এবং সেটা হল, অনলাইনে টাকা আয়।

হ্যাঁ, এটা একদম হান্ডেট পার্সেন্ট সত্যি এবং ঘরে বসে টাকা আয়ের অনেক সুবিধা ও লাভজনক মাধ্যম।  আজ এখনকার সময়ে অনেকেই, YouTube channel, blogging, Freelancing এবং আরো অন্য অনেক মাধ্যম ব্যবহার করে ইন্টারনেট থেকে টাকা ইনকাম করছে।

তাই, আজকাল দিনে ইন্টারনেটের এমন অনেক লাভজনক ব্যবহারের ব্যাপারে কিন্তু কখনোই ভাবা যায় নেই। কিন্তু, এতে করে হচ্ছে এবং অনেকেই ইন্টারনেট কে নিজের ইনকামের আয়ের মাধ্যম বানিয়ে নিয়েছে।

বন্ধুরা, তাহলে, ইন্টারনেটের লাভ ও ব্যবহার এবং সুবিধা গুলি হয়তো আগে আপনি ঠিকঠাক ভাবে জানতেন না। আশা করি, আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাকে ইন্টারনেটের বিষয়ে অনেক কিছুই জানিয়ে দিতে পারলাম।

ইন্টারনেটের ব্যাপারে জানাটা কেন জরুরি ?

এখনকার বর্তমান সময়ে, ইন্টারনেটে সবথেকে বেশি পরিমানে knowledge এবং information মুহূর্তের মাধ্যমেই পাওয়া যেতে পারে। এবং, সব ধরণের লোকেরা নতুন নতুন জিনিসের ব্যাপারে বা আরও অন্যান্য কিছু জানার অনেক ইচ্ছুক থাকেন।

তাছাড়া, ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইন ভিডিও বা article এর মাধ্যমে আমরা যেকোন বিষয়ে শিখে নিয়ে নিজের দক্ষতা (skill) এবং ক্ষমতা বাড়িয়ে নিতে পারি।

এখনকার বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের লোকেরা ইন্টারনেট থেকে রোজ কিছু নতুন নতুন কাজ শিখে সেগুলি নিজের বাস্তব জীবনে প্রয়োগ (apply) করছে।

এবং, অনেকেই আজ ইন্টারনেট থেকে নতুন নতুন কিছু শিখে সফল হয়ে দাঁড়িয়েছেন।

তাছাড়া, এখন বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট যোগাযোগের জন্য সব থেকে বেশি ব্যবহার হচ্ছে। তাই, আপনি যদি এখনকার বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটের বেপারে জ্ঞান না রাখেন, তাহলে আপনি অনেক পিছিয়ে থাকবেন এবং এতে আপনার জ্ঞানের দিক থেকে ক্ষতি। এখনকার সময়ে, এই ইন্টারনেটের যোগাযোগের মাধ্যম আপনি আপনার প্রয়োজনীয় অনেক কাজ কাজে লাগতে পারে।

শেষে, এখন বর্তমান সময়ে অফিস (office) এর কাজেও কিন্তু ইন্টারনেট অধিক পরিমানে ব্যবহার করা হয়। তাই, ইন্টারনেট বিষয়ে আপনার জ্ঞান না থাকলে আপনার চাকরি পেতেও এখনকার সময়ে অনেকটাই অসুবিধা হতে পারে।

ইন্টারনেট আসক্তি কি ?

বন্ধুরা, ইন্টারনেট আসক্তি এখন বর্তমান সময়ে একটি অনেক সাংঘাতিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ধরণের ইন্টারনেট  আসক্তির কারণে অনেক ছাত্রছাত্রীরা নিজের পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে ভালোভাবে পারেননা, তাদের কোন কাজের প্রতি মন মনোযোগ থাকেনা।

এবং কেবল তারা তাদের নিজের মোবাইলে বা ল্যাপটপ ও কম্পিউটারে ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহার করার অভ্যাস জন্ম নিতে থাকে।

বর্তমানে এই ধরনের আসক্তিতে ছাত্রছাত্রীরা অন্তর্ভুক্ত থাকছে, যেমন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সোশ্যাল মিডিয়ার অত্যধিক ব্যবহার, অনলাইন কিছু কিছু গেমিং, বা আরো অনেক বাধ্যতামূলক ইন্টারনেট ব্রাউজিং।

এছাড়া, অনেকেই আছেন যারা কোন কারণ বা প্রয়োজন ছাড়া YouTube-এর মতো online platform গুলোতে গিয়ে দৈনিক video দেখে বা নতুন নতুন ভিডিও খোঁজা, এতে করে ইন্টারনেট আসক্তির কারণে হতে পারে।

এই ধরণের ইন্টারনেট আসক্তি ব্যক্তির ব্যক্তিগত সম্পর্ক ও কাজ এবং তাদের দৈনন্দিন জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে থাকে।

তাই, বর্তমান সময়ে কোন কিছু জানার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার অবশই করুন, এই আধুনিক প্রযুক্তির সুযোগ সুবিধা লাভ করার আমাদের সবার অধিকার রয়েছে, তবে আপনার ইন্টারনেটের ব্যবহার যতটুকু প্রয়োজন আপনি ততটুকুই ব্যবহার করবেন কিন্তু অতিমাত্রায় করবেননা।

কেননা, আপনি সাধারণ ইন্টারনেটের ব্যবহার থেকে একবার যদি বেশি মাত্রা ইন্টারনেট আসক্তিতে পরিণত হন, তাহলে আপনি কিন্তু সত্যি বিপদে পড়তে পারেন।

FAQ

ভিপিএন দিয়ে ফ্রি ইন্টারনেট ব্যবহার সম্ভব ?

উত্তর: ভিপিএন (VPN) এর কাজ হল একটি কম্পিউটার ডিভাইস (computer device) এবং কম্পিউটার নেটওয়ার্ক (computer network) এর মধ্যে নিরাপদ সংযোগ স্থাপন করা। আর তাই, ভিপিএন (VPN)-দিয়ে ফ্রি ইন্টারনেট ( Internet) ব্যবহারের বিষয়টা সম্ভব না।

ইন্টারনেট স্পিড চেক কিভাবে করেন ?

বন্ধুরা আপনি এই Speedtest.net এবং Fast.com, ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি আপনারা নিজের ইন্টারনেটের স্প্রিট চেক করতে পারবেন।

ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করে ?

ইন্টারনেট (Internet) কাজ করে কিছু নেটওয়ার্কের সিরিজ এর দ্বারা যেটা বিভিন্ন ডিভাইস (device) গুলোকে একে অপরের সাথে বা পরস্পরে সাথে ভালো করে সংযুক্ত করে থাকে টেলিফোন লাইন এর দ্বারা।

শেষ কথা,

বন্ধুরা, আপনি আজকেরই আর্টিকেল পড়ে জানতে পারলেন, Internet কাকে বলে। ইন্টারনেট বলতে কি বুঝায়, ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করে এবং এর কিছু ব্যবহার ও লাভ কি, আপনি হয়তো ভালোভাবে ইন্টারনেট সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গেছেন।

আপনার যদি আমাদের এই internet বিষয়ে আপনার মনে কোন ধরনের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকে, তাহলে নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আমাদের জানান। আজকের এই ইন্টারনেট নিয়ে আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে শেয়ার করবেন।

Leave a Comment