প্রিয় বন্ধুগণ আপনারা আর্টিকেলের টাইটেল দেখেই হয়তো তোমরা বুঝতে পেরেছ যে আজকের আমাদের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল হতে চলেছে, মেয়েদের জন্য অনলাইন জব বা কাজ গুলোর নিয়ে তালিকা। বর্তমানে বিশ্বে আজ ইন্টারনেট প্রযুক্তির ফলে মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার করার প্রচুর সুযোগ-সুবিধা গুলো হয়ে উঠেছে।
তাই, তুমিও যদি সাধারন ইন্টারনেট এর জ্ঞান থেকে থাকে, তাহলে এই অনলাইন জব ঘরে বসে মেয়েদের টাকা আয় করার উপায় গুলোর মাধ্যমে প্রচুর ইনকাম করতে পারবে।
বর্তমানে যুগে এখন মেয়েদের স্বাবলম্বী হওয়া খুবই প্রয়োজন। শুধুমাত্র অর্থের চাহিদার জন্য নয়। নিজস্বতা, ব্যক্তিত্ব, অন্যের কাছে নিজেকে ছোটো প্রতিপন্ন না হওয়ার জন্য কিংবা পরিবারকে সাহায্য করে মাথা তুলে বাঁচার জন্য, সব কিছুর ক্ষেত্রেই মেয়েদের স্বাবলম্বী হওয়ার দরকার আছে।
আর অন্য মেয়েরা যারা বাড়ির বাইরে সময় দিয়ে চাকরি করতে চান না তারা বেছে নিতে পারেন অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে। যার মাধ্যমে বিজনেস করে কিংবা অন্য কোনো কাজ করে, জব করে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন সাথে নানান আনুষঙ্গিক চাহিদাও মেটাতে পারেন।
মেয়েদের জন্য অনলাইন জব । ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার উপায় সরকারি চাকরি যারা করতে চান না, কিংবা যারা বিবাহিত, ঘর সামলাতে সামলাতে তারাও বেছে নিতে পারেন এই পথ গুলি।
প্রিয় বন্ধুরা আসুন জেনে নিই, কোন ১৫ টি অনলাইন জব আইডিয়া মেয়েদের জন্য সেরা
টপিক সূচিঃ
১) খাবার ডেলিভারি
তুমি নিশ্চয়ই পরিবারের সকলের জন্য রান্না কর। তারা তোমার রান্নায় মুগ্ধ হয়ে তারিফও করে প্রায়শই। সেই চিন্তাকে কাজে লাগান।
রান্না করুন প্রয়োজন অনুযায়ী। অর্ডার নিন। ডেলিভারি দিন বাড়িতে বাড়িতে, কোনো উৎসব বা ফাংশনে, জন্মদিনের বাড়িতে বা দপ্তরে দপ্তরে কাজ করে কর্মীদের।
আপনার ডেলিভারির কাজে জন্য ডেলিভারির জন্য কাউকে রেখে দিন কাজে।
আর নিজের ডেলিভারির জুতসই একটা নাম ও দিয়ে দিন। ব্যাস! তোমার নিজের ব্যবসা দেখুন না কত রমরমিয়ে চলে!
২) বেকারি ব্যবসা
বর্তমানে অনেকেই বেকারি ব্যবসার ও গুরুত্ব খুবই বেড়েছে। তবে বেকারি আর হোম ডেলিভারি দুটিকে এক ভেবে ফেললে ভুল হবে।
হোম ডেলিভারিতে যেখানে তুমি নিজে রান্না করছ, সেখানে বেকারির ব্যবসা তে কিন্তু তুমি নিজে রান্না না করেও করতে পারো।
হ্যাঁ, এবার এটা হতে পারে তুমি নিজে বেকারির ব্যবসা খুলেছ, সেখানে নিজে তুমি জিনিস তৈরি কর বা চাইলে অন্যের থেকে বেকারি আইটেম কিনে সেগুলোকে অধিক দামে বিক্রি কর।
তবে বেকারির ব্যবসা কিন্তু বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় ব্যবসা।
৩) কনটেন্ট রাইটিং
ঘরে বসে অনলাইনে একটি জনপ্রিয় কাজ হলো কনটেন্ট রাইটিং। অনলাইনে এখন অনেক প্লাটফর্ম আছে যারা কনটেন্ট রাইটিং খুঁজে নেয় ও রাইটার খোঁজে। তুমি যদি একজন ভাল কনটেন্ট রাইটিং হও এবং ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদি জায়গাতে টুকিটাকি লেখ, তাহলে অবশ্যই কনটেন্ট রাইটিং তোমার জন্য উপযুক্ত হবে বলে আমি মনে করি।
অনলাইনে যারা কনটেন্ট রাইটার খুঁজছে তাদের সাথে তুমি যোগাযোগ করো। কিংবা যোগাযোগ করো অনলাইনে যে কোন সংবাদপত্র বা নিউজ চ্যানেলের সাথে।
তোমার কনটেন্ট রাইটিং এর উপর প্রতিশব্দ পিছু তারা আপনাকে অর্থ দেবে। এবং তারা তোমাকে যে টপিকস ও দিয়ে দেবে তুমি কি বিষয়ে কনটেন্ট রাইটিং করবে।
তোমার মধ্যে ক্রিয়েটিভ কিছু জিনিস থাকলে, বা তুমি নিজে ক্রিয়েটিভ হলে কিংবা তোমার লেখার মধ্যে ক্রিয়েটিভিটি থাকলে তুমি অবশ্যই কনটেন্ট রাইটিং এ এক্সপার্ট হয়ে ঘরে বসেই করতে পারবেন টাকা উপার্জন।
৪) ফ্রীল্যান্স রাইটিং
এখন বর্তমানে অনলাইনে আয় করার সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় এটি। যেসব ওয়েবসাইটে ফ্রিল্যান্স থেকে আয় করা যায় সেই সব ওয়েবসাইটে প্রথম তোমাকে নিজের নাম নথিভুক্ত করতে হবে বা অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
এবার নিজের দক্ষতা অনুযায়ী কাজের জন্যে অ্যাপ্লাই করতে হবে তোমাকে।
কি কি পারেন ও কি কি করেন সেই তালিকা দেখে নিয়ে তোমাকে তারা কিছু প্রজেক্ট দেবে। আবার ক্ষেত্রে তোমাকেই কাজ গুলো বেছে নিতে হবে।
টাইমলি কমপ্লিট করতে পারলে ঘন্টা হিসেবেও ইনকাম করা যায় এখান থেকে।
৫) অনলাইন টিউশন
অনলাইন টিউশন করেও তুমি টাকা উপার্জন করতে পারবে। উদাহরণ যেমন, তুমি অনেক উচ্চশিক্ষিত, বাড়িতে বসে আসো, চাকরি চাকরি পাও নাই বা চাকরীর চেষ্টা করতেছো।
নিচু ক্লাস থেকে শুরু করে উঁচু ক্লাস পর্যন্ত যে কোন বোর্ডের ছেলে মেয়েদের পড়াতে পারো।
সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন একটি করে ব্যাচ করবে। মান্থলি তোমার ভালো টাকা ইনকাম হবে। তোমার চাকরির চেষ্টাতেও পড়াশোনা গুলি অনেক সাহায্য করবে।
৬) ইউটিউব চ্যানেল
অনেকে বলেন ইউটিউব চ্যানেল খুলে টাকা উপার্জন হয় না। হ্যাঁ ইউটিউব চ্যানেল খোলা মাত্রই তুমি টাকা উপার্জন করতে পারবে না। টাকা উপার্জন করতে গেলে যে কোন জিনিসের উপরেই বিশ্বাস, ভরসা ও ধৈর্য্য রাখতে হবে তোমার।
তুমি যে জিনিস গুলি করতে ভালোবাস যেমন, সে রান্না থেকে শুরু করে যেকোনো জিনিস হতে পারে, হতে পারে কবিতা পাঠ, হতে পারেন নাচ অথবা গান কিংবা পড়াশোনা অথবা খাওয়া-দাওয়া, হতে পারে কোন এক্সপেরিমেন্ট, যেকোনো কিছু করতে ও মানুষ জনকে দেখাতে তোমার নিজের ইউটিউব চ্যানেল খুলুন।
ধীরে ধীরে তোমার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার ও ভিউয়ার্স বাড়লে তুমি বছর দুয়েক পর থেকেই লাখ টাকাও ইনকাম করতে পারবে? এখনতো অনেকে খাওয়া-দাওয়া করে নিজের ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা উপার্জন করে।
৭) সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলিং অথবা সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার
বর্তমানে এখন অনেক বড় বড় কোম্পানি রয়েছে যারা তাদের নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যান্ডেল করার জন্য বা বিজনেস করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ম্যানেজার হিসেবে অনেক কে নিযুক্ত করে।
এবং তার জন্য তারা তোমাকে অনেক পেমেন্ট করবে।
বাড়িতে বসে নিজের ফোন থেকে বা নিজের ল্যাপটপ থেকে খুব সহজেই তুমি এই উপায়ে টাকা উপার্জন করতে পারবে।
৮) কোন অ্যাকাডেমির শিক্ষক হিসেবে অনলাইন জব, অনলাইন শিক্ষকতা
আন অ্যাকাডেমি, ওয়াইফাই স্টাডি, বাইজুস ইত্যাদি নানা বড় বড় অ্যাকাডেমীর প্লাটফর্ম রয়েছে ইউটিউবে, সাথে নানা অ্যাপসের মাধ্যমে তারা নিজেদের পড়াশোনা ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে পৌঁছে দেয়।
তুমি তাদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের এডুকেটর হিসেবে নিজেকে নিযুক্ত করতে পারলে বাড়িতে বসেই সেই অ্যাকাডেমির শিক্ষক হিসাবে অর্থ উপার্জন করতে পারবে।
৯) অনলাইন ডাটা এন্ট্রি জব অথবা ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
এখন বর্তমানে অনলাইনে নানা ওয়েব সাইট থেকে পার্ট টাইম বা ফুল টাইম ডাটা এন্ট্রি জব নিতে পারেন।
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট ও হতে পারেন।
শুধুমাত্র স্মার্টফোনের সদ্ব্যবহারে তুমি মাস গেলে উপার্জন করতেই পারবে সহজেই।
১০) অনলাইন ফর্ম ফিল আপ বা তথ্য মিত্র কেন্দ্র খোলা
অনলাইন আর টাইপিং -এ পারদর্শী হলে, তুমিও পারো তথ্য মিত্র কেন্দ্র খুলতে।
আজকাল র্যাশন থেকে আঁধার কার্ড, প্রুফ সংশোধন থেকে চাকরির ফির্ম ফিলাপ অথবা পর্চা তোলা, প্যন কার্ড তৈরি ইত্যাদি নানা কারণে তুমি যদি একটি তথ্য মিত্র কেন্দ্র কিংবা অনলাইন ক্যাফে খোলেন তাহলে দৈনিক তোমার ইনকাম হবেই। মান্থলি ও অনেক হবে।
আজকালের এই অনলাইনের বাজারে এই তথ্য মিত্র কেন্দ্র যে কত কার্যকরী তা তোমার দোকান খুলতে ইনকামের মাধ্যমেই বুঝে যাবেন।
শুধু দরকার একটি ফোন, ল্যাপটপ বা কম্পিউটার আর কিছু পুঁজি সাথে অনলাইন জ্ঞান ও অনলাইন ট্রানজেকশন সম্পর্কে কিছু সম্যক জ্ঞান থাকা আবশ্যক।
১১) অনলাইন বিজনেস
শাড়ি, জামাকাপড় থেকে শুরু করে কসমেটিক্স বা নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি নিয়ে বিজনেস শুরু করতে পারেন।
অনলাইনে আজকাল এইসব অনেকেই করছেন।
প্রথমত ফেসবুক কিংবা হোয়াটসঅ্যাপ থেকে নিজের জিনিসপত্র বিজ্ঞাপন দিয়ে নিজের জিনিসপত্র বিক্রি করতে পারেন।
হোম ডেলিভারি দিতে পারেন শিপিং চার্জ নিয়ে।
এই বিজনেসে অনেক মহিলাকেও নামিয়ে তাদেরও স্বনির্ভর করে তুলতে পারেন।
মাঝেমধ্যে ফেসবুকে লাইভে এসে সেইসমস্ত জিনিসপত্রের বিজ্ঞাপন নিয়ে আসতে পারেন। অনলাইনে অর্থ উপার্জন করার ভাল পদ্ধতি এটি।
১২) ওয়েব ডিজাইন
তোমরা সকলেই জানো ওয়েবসাইটে ও নানান ব্লগে নানারকম ডিজাইন করা থাকে।
বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্যও নানারকম টুকিটাকি কাজ লাগে।
আর বড় বড় কোম্পানির কিংবা বড় নামী দামী ব্লগের জন্য যদি তুমি ওয়েবডিজাইনার হিসাবে কাজ করতে পারো, সাফল্য তোমার শিখরে।
ওয়েব ডিজাইন কোর্স অনলাইনে অ্যাভেলেবেল।
কাজ গুলি শিখে নিন, দরকার হলে কোর্স কমপ্লিট করে নিন। বছরে লক্ষ টাকাও ইনকাম করতে পারবে এইটা থেকে।
১৩) অনলাইন টাইপিং
ব্লগার বা কন্টেন্ট যারা নেন তাদের প্রত্যেকের এই টাইপিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কিন্তু তারা কাজের ফাঁকে বা নিজের কাজ ছেড়ে টাইপিং – এ মন দিতে পারে না।
তারা অনলাইনে টাইপিং করে দেবে এমন কাস্টমার খোঁজে।
তুমি সেইগুলি খুঁজতে পারো। প্রতিশব্দ বা প্রতি বাক্যের জন্য তোমরা তা থেকে টাকা উপার্জন করতে সক্ষম হবে।
১৪) ট্রান্সলেটর
ট্রান্সলেটর কি ? কোনো ভাষার বইকে অন্য কোনো ভাষায় ট্রান্সলেট করার জন্য ট্রাইন্সলেটর নেওয়া হয়।
যেকোনো পাব্লিশিং হাউস এটা নিয়ে থাকে।
যদি তোমার কোনো ভাষার উপর দক্ষতা থাকে, মানে ধরুন তুমি বাংলায় দক্ষ, ইংরাজি বা হিন্দির বইকে বাংলায় ট্রান্সলেট করলেন, যাতে তুমি অনলাইনে বাড়িতে বসেই করতে পারবেন ইনকাম?
১৫) অনলাইন ব্লগ তৈরি করো
তোমরা অনলাইনে ব্লগ তৈরি করো। ব্লগার হয়ে যান। কিছু রান্নার টিপস, কোনো ক্রিয়েটিভ জিনিস যা কিছু মাথায় আসে তা লিখতে থাকুন। তবে হ্যাঁ অন্য কোথাও থেকে কপি করবেন না, কপি করা কনটেন্ট নিলেও, তাতে ইনকাম হয় না।
ব্লগ তৈরি করুন, ব্লগের ভিউয়ার্স বাড়ার সাথে সাথে তোমার ইনকাম ও ভালো হবে।
হ্যাঁ, তবে প্রথমে এটা ভাববেন না ব্লগ করেছি মানে কাল থেকে আমার ইনকাম হবে।
সব কিছুর জন্যই ধৈর্য্য লাগবে। আর তোমরা তা জানো।
প্রথমে কি কাজ তোমার পক্ষে সুইটেবল আগে সেটা ঠিক ডিসাইড করে নিন।
তারপর সেটা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে, অনলাইনে ব্যবসায় বা কোন অনলাইন জবে কতটা সফলতা – অসফলতা দেখে নিজের পছন্দের ও আগ্রহের কাজে পা বাড়ান। নিশ্চিত সফলতা আসবেই। প্যাশন থাকলে তুমি ঠিক দাঁড়িয়ে যাবে।
আমাদের কথা,
অনলাইন ব্যবসা অনেকে বলেন, সফলতা নেই। দেখুন অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট, মিশো, মিন্ত্রা এই সমস্ত কোম্পানিদের।
আজ পর্যন্ত তাদের দোকান হয়তো খুব কম মানুষ দেখেছে, কিন্তু জিনিস প্রায় সবার ঘরে।
কারণ কম দামে, অতি অল্প শিপিং চার্জে যখন আপনি আপনার পছন্দের জিনিস পাবেন তখন আরো কিনবেন।
অর্থাৎ তাদের ব্যবসার চাহিদা বাড়ছে।
একই ভাবে তুমি ও তোমার ব্যবসা খুললে একদিন ঠিক প্রতিষ্ঠা পাবে।
তবে বারবার একটাই কথা বলব পরিশ্রম ও ধৈর্য্য রাখতেই হবে।
আজ এই কাজটা করলাম, দেখলাম ইনকাম কম, এটাকে ফেলে রেখে অন্য কাজে নেমে গেলাম, আবার সেটা ছেড়ে অন্য একটায় গেলাম, এটা কিন্তু কোনো সঠিক উপায় নয়।
দীর্ঘদিনের মেহনত, শ্রম, ধৈর্য্য, ভালোবাসা ব্যবসা হোক বা জব, তারপ্রতি একটা আলাদা টান থাকলে একদিন না একদিন সে তোমাকে অনেক কিছুই দেবে। রাতারাতি বড়োলোক হবার স্বপ্ন থাকলে সেটা কোনো উপায়েই সম্ভব নয় লটারি ছাড়া।
আশা করছি, মেয়েদের জন্য অনলাইন জব গুলোর তালিকা আমারে অবশই পছন্দ হয়েছে।
আজ ছেলেদের বা মেয়েদের জন্য অনলাইন কাজ প্রচুর রয়েছে, তবে তোমাকে নিজের ইন্টারেস্ট হিসেবে কাজ বেছেনিতে হবে।