ইঞ্জিনিয়ারিং কি | ইঞ্জিনিয়ারিং কত প্রকার | এর কাজ কি

আপনি কি জানতে চাইছেন ইঞ্জিনিয়ারিং কি (What Is Engineering in Bengali) ? ইঞ্জিনিয়ারিং কত প্রকার ও কি কি এবং ইঞ্জিনিয়ার এর কাজ গুলো কি ?

আপনি আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ইঞ্জিনিয়ারিং কি, ইঞ্জিনিয়ারিং কত প্রকার এবং এর কাজ কি এই প্রত্যেকটি বিষয়ে সকল তথ্য আমরা বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি।

বর্তমান বিশ্বে মানব সভ্যতার সবথেকে অনেক বড় সাফ্যল্যের হাতিয়াড়া ও চাবিকাঠিই হল তাদের উন্নত বিষয় চিন্তাভাবনা এবং অকল্পনীয় আরো উদ্ভাবনী শক্তি।

তাদের এই সকল উদ্ভাবনী শক্তিকে মানুষ একদম সৃষ্টির গোড়া থেকেই সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে এসেছে।

আর এখন বর্তমানের সভ্য জগতের মানুষ এই সকল উদ্ভাবনী শক্তির চর্চাকেই সকলেই নাম দিয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং (Engineering) বা প্রকৌশলবিদ্যার।

ইঞ্জিনিয়ারিং কি ? এর প্রকার এবং কাজ

এখন  বর্তমান সময়ে দেখা গিয়েছে আমাদের ইতিহাসের পাতায় ভালো করে চোখ রাখলেই আমরা দেখতে পাই যে, সারা বিশ্ব জুড়েই রয়েছে অজস্র Engineering এর নিদর্শন।

বিশেষ করে তা হোক বালিঘড়ির ব্যবহারই হোক বা সুদূর ইতালির পিসার হ্যালানো সহ টাওয়ার কিংবা বিশ্বের অষ্টম আশ্চর্যের মতো বিশাল বিশাল যত স্থাপত্যই হোক না কেন,

সেই সকল সমস্ত কিছুর সাথেই সরাসরি যুক্ত আছে Engineering বা প্রকৌশলী বিদ্যা।

তবে, ইতিহাসের পাতায় দেখা গেছে ১৪ শতকের চাকা বা wheel-এর আবিষ্কারকেই Engineering -এর স্পষ্টতম প্রথম ব্যবহারিক নমুনা হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে।

প্রিয় পাঠক, তাই  আজকের এই আমাদের আর্টিকেলে আমরা ইঞ্জিনিয়ারিং বলতে কি বুঝায় আলোচনা করতে চলছি, এবং ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজ ও প্রকারগুলো সম্পর্কে।

চলুন, তাহলে আর বেশি না দেরি করে শুরু করা যাক, ইঞ্জিনিয়ারিং কাকে বলে,

ইঞ্জিনিয়ারিং কি | What Is Engineering

এই সকল প্রকৌশলীবিদ্যা বা Engineering হল আসলে Science, Technology, Engineering এবং ম্যাথেমেটিক্স (STEM education) শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত একটা বিভাগ।

বিশেষ করে এই শাখাতে Engineering বিদ্যার্থীদের মূলত ৪ ধরণের বিষয়ের (STEM) এর উপর বিস্তারিতভাবে তাদের প্রশিক্ষণ বা শিক্ষা দেওয়া হয়ে থাকে।

আর, এই সকল শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের সভ্যতায় প্রায় হাজার-হাজার বছর ধরেই কিন্তু রয়েছে।

প্রধানত, ইঞ্জিনিয়ারিং শব্দটির উৎপত্তিই হয়েছে ল্যাটিন শব্দ থেকে ‘engine’।

অর্থাৎ, যার অর্থ আমরা জানে, সহজাত গুণ, বিশেষত মানসিক শক্তি কিংবা একটা সুকৌশলী বিষয় আবিষ্কার।

সহজ ভাষায় এবং বাংলা  ভাষায় বলতে গেলে, Engineering হল বিজ্ঞান ও অঙ্কের প্রয়োগিক ব্যবহারের মাধ্যমে যে কোন সমস্যা সমাধান করার বিদ্যা বা চর্চা বিষয়ক।

এমনকি দেখা গিয়েছে, এই সকল বিদ্যাতে বিজ্ঞান, অঙ্ক, প্রযুক্তি এবং Engineering শিক্ষার পাশাপাশি আরো অন্যান্য শিল্পকলার (arts) বিষয়েও প্রশিক্ষণ বা শিক্ষা দেওয়া হয়।

এছাড়াও, Engineering কে একটি অত্যন্ত মানসম্মত ও সম্মানীয় জনপ্রিয় পেশা হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়।

যেখানে Science এবং Mathematics ব্যবহার করে অনেক বড় বড় ধরনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ মেশিন ডিসাইন, তৈরী এবং টেস্ট করা হয়।

আর, এই সকল Engineering বিদ্যাকে কাজে লাগিয়ে অনেকেই আছেন যারা এই ধরণের সাইন্স এবং ম্যাথমেটিক্স কাজে লাগিয়ে তারা আবিষ্কারগুলো করেন বা যন্ত্রপাতির রক্ষণাবেক্ষরণের পাশাপাশি তারা আরও অনেক নানান ধরণের সমস্যার সমাধান করে থাকেন, তারাই হলেন Engineering বা প্রকৌশলবিদ।

প্রিয় পাঠক, আমি তাহলে আশা করছি, আপনি বুঝতে পেরেছেন ইঞ্জিনিয়ারিং মানে কি।

ইঞ্জিনিয়ারিং কত প্রকার

বর্তমানে এখন Engineering হল এমন একটা পেশা, যেখানে অনেক বেশি একাধিক শাখা রয়েছে এবং সেই সকল শাখার জন্য আলাদা-আলাদাভাবে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনারও দরকার পড়ে।

তবে, এখানে আমরা বেশ কিছু পরিচিত Engineering এর ধরণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম –

১। মেকানিক্যাল (mechanical)

এখন বর্তমান সময়ে দেখা গিয়েছে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে অনেক বেশি বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও অনেক বেশি  মেশিনারি উপাদান থাকে,

বিশেষ করে যেমন, যেকোনো গাড়ি, ইঞ্জিন, ওয়েপন সিস্টেম, মহাকাশযানের যন্ত্রপাতি সহ ইত্যাদির নকশা তৈরী, বানানো, এবং তার রক্ষনাবেক্ষণের ব্যাপারগুলো অনেক বেশি জড়িয়ে থাকে।

এছাড়াও আরো রয়েছে রোবোটিক্স, ফার্ম মেশিনারি, টারবাইন এবং আরও অন্যান্য নানান ধরণের মেশিনের যন্ত্রাংশ তৈরির বিষয়গুলোও এই ধরণের ই Engineering এর মধ্যে পড়ে থাকে।

বিশেষ করে এই শাখাতে  Engineering রা যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য কন্ট্রোল সিস্টেমের ব্যবস্থাপনাও করে থাকে।

২। ইলেকট্রিকাল (Electrical)

দেখা গিয়েছে এই Electrical ইঞ্জিনিয়ারিং শাখায় অনেক ধরনের এবং নানা রকমের Electrical, ইলেকট্রনিক ডিভাইস, মেশিন ও সিস্টেমের ডিসাইন তৈরী ও কন্ট্রোল এবং মনিটরিং বিশেষ করে করা হয়ে থাকে।

মাইক্রোচিপের মতো একদম আরো ছোট ছোট যন্ত্রাংশ থেকে শুরু করে আরো লার্জ ট্রান্সমিশন এবং পাওয়ার তৈরির অন্যান্য  সিস্টেম পর্যন্ত সবকিছুই এই ধরণের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সাহায্যে নিয়ে ভালোভাবে তৈরী করা হয়।

বিশেষ করে এই ধরণের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মধ্যে টেলিকম্যুনিকেশন (Telecommunications) এবং কম্পিউটার সিস্টেম, ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ডিভাইস তৈরী, ও ব্রডকাস্ট Engineering -এর মতো বিষয়গুলোও অন্তর্ভুক্ত থাকে।

৩। সিভিল (civil)

এখন বর্তমান সময়ে Civil Engineering হল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সবথেকে জনপ্রিয় একটা শাখা।

বিশেষ করে এই ধরণের Engineering এর সাথে বিভিন্ন ধরণের ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রজেক্ট, যেমন- মেট্রোরেল রেলওয়ে, রেলওয়ে, রাস্তা, ব্রিজ, ড্যাম কিংবা টানেলের ডিসাইন তৈরী করা এবং কনস্ট্রাকশন করা ও মেরামত করা এবং ইন্সপেকশনের মতো আরো অনেক গুলো কাজ যুক্ত থাকে।

এই ধরনের কাজের জন্য ইঞ্জিনিয়াররা অনেক বড় বড় সরকারি ও বেসরকারি প্রজেক্ট সামলানোর পাশাপাশি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উপশাখা; যথা- সার্ভেয়িং, স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং ও এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়েও কাজ করেন।

৪। এরোস্পেস (Aerospace)

এরোস্পেস এটি হল Electrical and Mechanical ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের একটা বিশেষ বিভাগ।

Aerospace ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে এয়ারক্র্যাফট ও স্পেশক্রাফ্টের যন্ত্রাংশের ডিসাইন তৈরী এবং নির্মাণ ও ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজগুলো করা হয়।

বিশেষ করে এখানে ইঞ্জিনিয়াররা বড় বড় যানবাহনের এরোডিনামিক্স তাছাড়া আরও পাওয়ার প্লান্টস, Electrical ও ইলেকট্রনিক সিস্টেম, Electrical কন্ট্রোল, নেভিগেশন সিস্টেমের উপরেও তারা ভালোভাবে কাজ করে থাকেন।

৫। নিউক্লিয়ার (Nuclear)

Nuclear ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শাখাতে বিশেষ করে ইঞ্জিনিয়াররা পারমাণবিক শক্তিকে ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে নানান ধরণের যন্ত্রপাতি, সিস্টেম এবং পদ্ধতির তৈরির নকশা ও নির্মাণ করেন এবং ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান।

বিশেষ করে এই বিভাগের সকল ইঞ্জিনিয়াররা পার্টিসেল এক্সেলারেটর, Nuclear পাওয়ার প্লান্ট রিয়েক্টর, Nuclear ওয়েস্টের স্টোরেজ ও নজরদারির কাজ করে থাকেন।

যাতে, কোন ক্ষতিকারক ও পারমাণবিক রশ্মি আমাদের পৃথিবীর কোন ক্ষতি না করতে পারে।

৬। বায়োমেডিক্যাল (Biomedical)

এখন বর্তমান সময়ে দেখা গিয়েছে হেলথকেয়ার কিংবা মেডিসিন সেক্টরে যেসব যন্ত্রপাতি ও ডিভাইস গুলো ব্যবহার করা হয়, সেই সব সকল যন্ত্রপাতি নির্মাণের দায়িত্ব থাকে Biomedical ইঞ্জিনিয়ারদের উপর।

বিশেষ করে এই ফিল্ডের ইঞ্জিনিয়াররা ডাক্তার, থেরাপিস্ট, এবং রিসার্চারদের সাথে ভালোভাবে কাজ করে ও স্বাস্থ্য বিভাগের নানান ধরণের বৈজ্ঞানিক সকল যন্ত্রপাতির চাহিদাগুলো পূরণ করে থাকেন।

৭। কেমিক্যাল (chemical)

বিশেষ করে কেমিকাল বিভাগের engineer রা Physics, Biology, Chemistry and Engineering -এর শর্ত অনুযায়ী নানান প্রয়োজনীয় সকল যন্ত্রপাতি ও সিস্টেম এবং পদ্ধতির ব্যবস্থা করে থাকেন।

মূলত, এই ধরণের Engineering কাঁচা উপাদানের মিশ্রণ ও কেমিকাল পদার্থের কম্পাউন্ডিং এবং প্রসেসিংয়ের উপর ভালো করে কাজ করে।

বিশেষ ভাবে দেখা গিয়েছে কেমিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সাহায্যে নিয়ে ইঞ্জিনিয়াররা পেট্রোলিয়াম রিফাইন করা থেকে শুরু করে আরো বায়োমলিকিউল তৈরী করা এবং ফার্মেন্টেশন পদ্ধতি সম্পূর্ণ করা পর্যন্ত আরো নানা ধরনের কাজ করেন।

৮। কম্পিউটার (Computer)

Computer ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ইঞ্জিনিয়াররা তারা কম্পিউটারের সকল প্রকার হার্ডওয়্যার, সিস্টেম, সফ্টওয়্যার এবং নেটওয়ার্ক তৈরী কাজগুলো করে থাকেন।

এছাড়াও আরো এই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উপশাখা হিসেবে Computer সায়েন্স, Software Engineering ও ডিজাইনিংও রয়েছে।

৯। ইন্ডাস্ট্রিয়াল (Industrial)

বর্তমান সময়ে Industrial ইঞ্জিনিয়াররা বিভিন্ন পরিষেবা ও যন্ত্রপাতি, সিস্টেমগুলো ডিসাইন সহ এবং সকল পর্যালোচনা করে থাকে।

যাতে, বিশেষ করে বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে তারা মেটেরিয়াল প্রসেসিং ও ম্যানুফ্যাচারিংয়ের জন্যে সেরা application নিয়ে ভালো করে আসতে পারে।

১০। এনভায়রনমেন্টাল (Environmental)

বর্তমানে এই ধরণের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রধান লক্ষ্যই বেশি থাকে পরিবেশকে দূষণমুক্ত করে তারা বসবাসের উপযোগী করে তোলা।

দূষণের মাত্রা নির্ণয় করা ও তাদের দূষণের উৎস খুঁজে বের করা, এবং দূষণে আক্রান্ত এলাকাগুলোকে তাদের দূষণমুক্ত করাই Environmental ইঞ্জিনিয়ারদের মূল প্রধান কাজ।

বিশেষ করে এই ধরণের ইঞ্জিনিয়াররা সরকারের দ্বারা ঘোষিত নিয়ম অনুযায়ী তারা ভালোভাবে কাজ করে থাকেন।

১১। মেরিন (Marine)

Marine Engineering প্রধানত সামুদ্রিক এক জগৎকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে এই মেরিন।

বিশেষ করে এই ধরণের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে শিপিং, সাবমেরিন, প্ল্যান্ট তেল শোধনাগার, অন-বোর্ডিং এবং ইত্যাদি ডিসাইন ও নির্মাণ ও তারা করে থাকে।

আর, Marine ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সাথে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আরো নানান শাখা ভালোভাবে যুক্ত থাকে, যেমন- Civil, Electrical, Mechanical Engineering এবং প্রোগ্রামিং।

১২। ফুড (food)

food ইঞ্জিনিয়াররা মূলত কৃষি (Agricultural)-সংক্রান্ত উপাদান এবং আরো বেশি খাদ্যের উৎপাদন, ডিস্ট্রিবিউশন, প্রসেসিং এবং স্টোরিংয়ের সুবিধার জন্য নানান ধরণের ডিসাইন ও অ্যাপ্লিকেশনের ডেভেলপমেন্ট তারা করে থাকে।

এই অ্যাপ্লিকেশনগুলো মাধ্যমে তারা খাদ্যের মান ও খাদ্য সুরক্ষার উপর নজর রাখার পাশাপাশি, বায়োরিফাইনিং, ওষুধপত্র এবং ইকো-ফ্রেন্ডলি প্যাকেজিং-এর ব্যবস্থাও তারা ভালোভাবে কাজ করে থাকে।

১৩। এগ্রিকালচারাল (Agricultural)

Agricultural বা biosystem ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে কৃষির কাজের প্রতি আরও উন্নতির উদ্দেশ্য করে তারা নানা ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে থাকে।

মূলত এই শাখাটি হল আসলে কেমিক্যাল, সিভিল, এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিকাল, ফুড সায়েন্স এবং আরও অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শাখার সাথে পরস্পর সম্পর্ক যুক্ত।

ইঞ্জিনিয়ার-এর কাজ কি

আসলে, আধুনিক সময়ে এখন Engineering পেশার এতো শাখা ও উপশাখা রয়েছে, যে আলাদা আলাদা করে ইঞ্জিনিয়ারদের কাজগুলোকে সঠিক ভাবে বর্ণনা করা একেবারেই সহজ হবে না।

তবুও, অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে বিভিন্ন শাখার Engineering রা আমাদের নানান ধরণের পরিষেবা দিয়ে থাকে।

যেমন- তারা নিত্যনতুন প্রযুক্তির ওপরঅ্যাডভান্সড প্রস্থেটিকসের উপর কাজ করে, তারা নতুন নতুন মেটেরিয়াল তৈরি করেন,

এবং আরো ইঞ্জিনের ক্ষমতা বৃদ্ধি ও বিভিন্ন ধরণের জ্বালানির অনুসন্ধান ভালোভাবে করে, তারা আরো স্বচ্ছ জলের সিস্টেম তৈরী করেন, কিংবা তারা ব্রিজ নির্মাণ করে।

এর পাশাপাশি তারা আরো সেল মেমব্রেন থেকে স্যাটেলাইট ইঞ্জিনিয়ার পর্যন্ত সকলেই বিজ্ঞান ও অঙ্কের ব্যবহার করেই পৃথিবীর সকল সব আশ্চর্য ও জটিল সমস্যাগুলোর সমাধান তারা খোঁজার চেষ্টা করে।

যেকোন ইঞ্জিনিয়ারেরই কাজের প্রাথমিক মূল শর্তই হল মানব জীবনকে তারা আরও অনেক বেশি করে এবং আরামদায়ক করে তোলার উদ্দেশ্য নিয়ে তারা দৈনন্দিন কাজে সমস্যাগুলোর বিজ্ঞান সম্মত সমাধান করা।

এছাড়াও, আরো বিভিন্ন ধরণের প্রোডাক্ট ডিসাইন, পরিবর্তন করা, পর্যবেক্ষণ করা, মূল্যায়ন, তৈরী, পরীক্ষা করা এবং রক্ষণাবেক্ষণ করাও ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ।

বিশেষ করে তারা আরো মেটেরিয়াল ও পদ্ধতি ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়ার সাথে-সাথে বিভিন্ন প্রোডাক্ট তৈরীর পদ্ধতিও মনিটর করে থাকে।

এমনকি, তারা ব্যর্থ গবেষণাকে সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করে তা ভালোভাবে কাজে লাগানোও তাদের অন্যতম প্রধান দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

আর, কলমে ও খাতায় বর্ণনা করতে গেলে, বিভিন্ন আরো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত পেশাদার ইঞ্জিনিয়াররা বেশ কিছু সাধারণ শর্ত মেনে কাজ করে যেমন

সেগুলো হল:

  • যেমন কোন প্রজেক্টের স্পেসিফিকেশন, পরিকল্পনা ও বিস্তারিত ড্রয়িং এবং খরচের অনুমান ভালো করে প্রস্তুত করা।
  • Engineering অনুসন্ধানকে তারা ভালোভাবে কাজে লাগিয়ে বাস্তবিক সমস্যা সমাধানের জন্য সকল পরিকল্পনা তৈরী ও সম্পাদন করা।
  • Engineering হিসাব নিকাশ, ডায়াগ্রাম এবং টেকনিকাল রিপোর্ট বানানো।
  • প্রয়োজনীয় তাদের সকল টেকনিক্যাল ও রেগুলেটরি ডকুমেন্ট ভালোভাবে সম্পূর্ণ করা।
  • Engineering এর কাজ নির্দিষ্ট বাজেটের মধ্যে সময় মতো প্রজেক্ট সম্পূর্ণ করা।
  • চাহিদা মতো টেকনিকাল লিড, সিনিয়র লিডার বা তাদের ক্লায়েন্টদের প্রজেক্টের সমাধান ও অ্যানালাইসিস রেজাল্ট দেওয়া।

ইঞ্জিনিয়ারের সমাজের প্রতি নানান ধরণের দায়িত্ব-কর্তব্য থাকে

প্রথমত, ইঞ্জিনিয়াররা তারা নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে নিয়ে বিশ্বের সকল সমস্যাগুলো সমাধানের কাজে দায়িত্ববদ্ধ থাকেন।

দ্বিতীয়ত ভালো, প্রত্যেক ইঞ্জিনিয়ারকে তার সামাজিক সকল দূরত্ব বিচার সম্পর্কে সচেতন থাকতে হয়।

কারণ, তাদের তৈরী সকল নতুন পণ্য যাতে সমাজে সকলের কাছেই খুব সহজে উপলব্ধ হয় এবং তা ভবিষ্যতের পৃথিবীকেও সুরক্ষিত রাখতে সক্ষম হয়।

সেই সমস্ত বিষয়েও ইঞ্জিনিয়ারদের খেয়াল রাখতে হয়।

তৃতীয়ত হচ্ছে, যেকোন সমস্যার সমাধানের আগে সমস্যা সম্পর্কে অনুসন্ধান করাটা ইঞ্জিনিয়ারদের একান্তই জরুরি।

বিশেষ করে এর মাধ্যমে ইঞ্জিনিয়াররা তারা সহজেই সমস্যার কারণ এবং তার জটিলতা সম্পর্কে সহজে জেনে নিয়ে সেরা সমাধানটা খুঁজে ভালোভাবে বের করতে পারে।

তবে, এইটুকুর মধ্যে কখনওই একজন engineer এর দায়িত্ব ফুরিয়ে যেতে পারে না।

কারণ, মানব সভ্যতার অগ্রগতিতে সমস্ত engineer রা তাদের যথেষ্ট পরিশ্রম দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও সঠিক দায়িত্ব পালন করে থাকেন, যা সর্বোত ভাবে তা ভাষায় প্রকাশ করাটা একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়বে।

শেষ কথা,

প্রিয় পাঠক, আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের লেখা ইঞ্জিনিয়ারিং কি, ইঞ্জিনিয়ারিং কত প্রকার এবং এর কাজ কি এখানেই শেষ হল।

আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন ইঞ্জিনিয়ারিং কি এবং এর কাজ নিয়ে লেখাটি আপনাদের অনেক পছন্দ হয়েছে।

ইঞ্জিনিয়ারিং কি এর বিষয়ে লিখা এই ওয়েবসাইটের আজকের আর্টিকেলটি আপনার যদি পছন্দ হয়েছে থাকে, তাহলে অবশই কমেন্ট বক্সে লিখে জানাবেন। ধন্যবাদ

Leave a Comment