৫০ হাজার টাকায় ব্যবসা আইডিয়া (সেরা- 5টি)  

৫০ হাজার টাকায় ব্যবসা আইডিয়া : বর্তমানে বাংলাদেশে ব্যবসা করার জন্য অনেক ব্যবসার আইডিয়া পাওয়া যায়।

কিন্তু ব্যবসা শুরু করার প্রথমে লক্ষ্য করতে হবে, আপনার কাজের পছন্দ এবং অপছন্দ কে।

আপনার যে বিষয় নিয়ে কাজের আগ্রহ এবং দক্ষতা রয়েছে। সেই বিষয় নিয়ে ব্যবসা শুরু করলে অনেক লাভজনক হতে পারবেন।

তাই আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের সুবিধার জন্য এখানে, ৫০ হাজার টাকায় ব্যবসা আইডিয়া জানিয়ে দেব। উক্ত ব্যবসা গুলো সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে পারলে বেশ ভালো পরিমাণের টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

তো আসুন জেনে নেওয়া যাক। বাংলাদেশে ৫০ হাজার টাকায় ব্যবসা আইডিয়া কোন গুলো। যে ব্যবসা গুলো করে মাসে ভালো পরিমাণের টাকা ইনকাম করা যাবে।

৫০ হাজার টাকায় ব্যবসা আইডিয়া (সেরা- 5টি)  
৫০ হাজার টাকায় ব্যবসা আইডিয়া (সেরা- 5টি)

পোল্ট্রি ফার্ম ব্যবসা আইডিয়া

আপনারা চাইলে বাংলাদেশের গ্রাম অঞ্চল গুলোতে বসবাস করে, মাত্র ৫০ হাজার টাকা ইনভেস্ট করে, ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

আমাদের জানাতে মতে, হাস, মুরগী কবুতর ইত্যাদি পোল্ট্রি ফার্ম এর অন্তর্ভূক্ত। পোল্ট্রি ফার্ম বাংলাদেশে অনেক লাভজনক একটি ব্যবসা।

বর্তমান সময়ে ব্রয়লার মুরগী, হাস বিভিন্ন প্রজাতির পাখি এবং ডিম অনেক বেশি দামে বিক্রি হয়।

আপনার বাড়িতে যদি একটি জায়গা থাকে। তাহলে পোল্ট্রি ফার্ম সম্পর্কিত তথ্য জেনে নিয়ে একটি ছোট খামার তৈরি করতে পারেন।

এই ব্যবসাতে প্রথম অবস্থায় আপনি যদি ৫০ টাকা ইনভেস্ট করে, কাজ শুরু করতে পারেন।

তাহলে ভালো লাভবান হতে পারবেন। আর লাভের পরিমাণ বাড়তে থাকলে, আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি আরো বড় পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারবেন।

পোল্ট্রি ফার্ম এর জন্য দরকার হবে-

  • একটি মুরগী পালনের ঘর, যার জন্য খরচ হবে প্রায় ২০-২৫ হাজার টাকা।
  • পোল্ট্রি ফার্মে বাচ্চ উপাদান, শুরুতে ২০০-৩০০ বাচ্চা কিনতে খরচ হবে প্রায় ১০-১৫ হাজার টাকা।
  • ফিল্টার, পানি, বিদ্যুৎ এবং অন্যান্য খরচ হবে ৭-১০ হাজার টাকা।

একটি ব্রয়লার মুরগী ১ কেজি তৈরি করতে, মুরগীর বাচ্চা ও খাবার সহ খরচ লাগবে ১৩০/- টাকার মতো। পাইকারি দামে বর্তমানে ১ কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম প্রায় ১৬০-২০০ টাকা।

পোল্ট্রি ফার্ম শুরু করার পরে, অল্প কয়েক মান কোন ইনকাম না থাকলেও। মুগীর বাচ্চা উৎপাদন, মাংস উৎপাদন এবং মুরগীর ডিম বিক্রি করে, ভালো পরিমাণের টাকা আয় করা সম্ভব হবে।

ছাগলের খামার ব্যবসা

বর্তমানে, ছোট বড় গবাদি পশুর মধ্যে ছাগল পালন অনেক সহজ এবং বেশি লাভজনক। আপনারা চাইলে, মাত্র ৫০ টাকায় ব্যবসা করার জন্য ছাগল উৎপাদন করে, নিজের আর্থিক অবস্থা অনেক ভালো করে তোলতে পারবেন।

আপনার বাড়িতে যদি ছোট একটি ঘর থাকে। সেখানে কয়েকটি ছাগলের বাচ্চা নিযে লালন পালন করা শুরু করতে পারবেন।

ছাগলের খাদ্য ব্যয় অনেক কম। দিন দিন গবাদি পশুর চাহিদা অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সঙ্গে দামও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনারা বাজারে গেলেই বিষয়টি বুঝতে পারবেন।

ছাগল পাল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে ব্যবসা শুরু করলে, আরো বেশি লাভজনক হতে পারবেন।

ছাগল এর খামার এর জন্য যা দারকার হবে –

  • একটি ছোট-খাটো ঘর- যার জন্য খরচ হবে ১৫-২০ হাজার টাকা।
  • ৫-৬ টি ছাগলের বাচ্চা- কিনতে প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হবে।
  • ছাগলের খাবার- ৫ হাজার টাকা খরচ করে, খাবার এবং ঔষুধ কিনতে হবে।

আপনারা একটি ছাগল ২৫০০ থেকে ৩০০০ হাজার এর মধ্যে কিনে, সেটি যদি ৬ মাস পর্যন্ত লালন পালন করতে পারেন। তাহলে সেটি বিক্রি করে প্রায় ৬-৮ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারবেন।

তাই বলা যায় পশু পালনে ছাগল পালন করলে বেশি লাভবান হওয়া যায়।

মাছ চাষ ব্যবসা

আপনার এলাকায় নিজস্ব যদি কোন ছোট পুকুর থাকে। তাহলে আপনারা ৫০ হাজার টাকায় মাছ চাষ ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন।

মাছ চাষ করার করার আগে পুকুর এর পাশি পরিশোধন করে, সেখানে জৈব সার এবং অন্যান্য উপাদন দিয়ে পুকুর এর তলদেশ ইত্যাদি ঠিকঠাক করতে হবে।

তারপরে, পুকুরে নির্দিষ্ট মাছের পোনা বাছাই করে, সেই অনুপাতে খাদ্য এবং ঔষুধ প্রয়োগ এর মাধ্যমে মাছ চাষ উৎপাদন ভালো করে শুরু করতে পারলে দ্রুত লাভজনক হতে পারবেন।

মাছ চাষ শুরু করতে যা দরকার হবে –

  • একটি পুকুরে মাছ চাষ করার জন্য, প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার মাছের পোন ছাড়তে হবে।
  • মাছের খাবার এবং অন্যান্য উপাদানের জন্য ১০-১৫ হাজার টাকা খরচ করত হবে।

আপনি যদি ৫০ টাকা খরচ করে, মাছ চাষ ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। তাহলে মাছ নির্দিষ্ট পরিমাণে বড় করে, সেগুলো কয়েম মাসের মধ্যেই ১ লাখ থেকে ১ লাখ ৫০ টাকা বিক্রি করতে পারবেন।

কফি শপ ব্যবসা

অল্প পরিসরে ব্যবসা শুরু করতে চাইলে, অনেকেই কফি শপ এর ব্যবসা বেছে নিতে পারেন।

কারণ এই কফি শপ ব্যবসাটি মাত্র ৫০ টাকা দিয়েই শুরু করা যাবে। এই ব্যবসা করার জন্য আপনাকে ভালো কোন লোকালয় এর স্থানে একটি দোকান নিয়ে, দোকানটি হালকা করে সাজিয়ে, কফি মেশিন এবং অন্যান্য সরঞ্জাম সংগ্রহ করে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

অল্প ঝামেলা পূর্ণ ব্যবসাটি অল্প টাকায় শুরু করার সুযোগ পাবেন।

কফি শপ ব্যবসার জন্য যা দরকার হবে –

প্রথমে একটি কফি মেশিন কিনতে হবে- যার জন্য খরচ হবে ২০ হাজার টাকা।

  • কফি শপ দোকান ভাড়া- ৫-৭ হাজার টাকা।
  • কফি শপ ডেকোরেশন খরচ- ১০-১৫ হাজার টাকা।
  • ওয়ান টাইম কাপ, কফি, দুধ এবং অন্যান্য উপাদানের জন্য খরচ হবে- ৫-৭ হাজার টাকা।

গিফট শপ ব্যবসা

বর্তমানে লাভজনক একটি ব্যবসার নাম হলো- গিফট শপ ব্যবসা। গিফট শপ ব্যবসাটি বেশি বড় মনে হলেও, আপনি চাইলে, মাত্র ৫০ হাজার টাকা ইনভেস্ট করে শুরু করতে পারবেন।

বর্তমানে স্থানীয় বাজার গুলোতে গিফট শপ ব্যবসা করলে লাভ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

গিফট শপ ব্যবসার জন্য যা দরকার হবে –

  • একটি ভালো জায়গায় দোকান নিতে হবে।
  • উন্নত মানের এবং চাহিদা সম্পন্ন গিফট এবং শো পিস রাখতে হবে।
  • বাজার রিসার্চে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

এখন আপনি যদি গিফট শপ ব্যবসা শুরু করেন। তাহলে এখানে ডাবল লাভ করার সুযোগ পেয়ে যাবেন।

শেষ কথাঃ

তো আজকের এই পোস্টে, আমরা আপনাকে জানিয়ে দিলাম। ৫০ হাজার টাকায় ব্যবসা আইডিয়া গুলো সম্পর্কে।

এখন আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে মাত্র ৫০ টাকা টাকা ইনভেস্ট করে, ব্যবসা শুরু করতে চান?

তাহলে উপরে উল্লিখিত যে কোন একটি ব্যবসার আইডিয়া বেছে নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন।

সেই সঙ্গে আমাদের লেখাটি আপনার যদি ভালো লাগে। তাহলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করবেন। আর আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্ট টি শেয়ার করে, তাদেরকে ব্যবসা করার বিষয়টি জানিয়ে দিন।

আমাদের পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে জানায় অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Leave a Comment