বাচ্চাদের পোশাকের ব্যবসার আইডিয়া : য়া বর্তমান সময়ে বাচ্চাদের বিভিন্ন আইটেমের পোশাক বিক্রি করে সহজে লাভবান হওয়া যায়।
বাচ্চাদের পোশাক ব্যবসা করে অনেকেই সফলতা অর্জন করছে। পোশাক শুধুমাত্র লজ্জা নিবারণের মাধ্যমেই নয়। পাশাপাশি এর মাধ্যমে ফ্যাশন করার বিষয়টি প্রকাশ পায়।
এজন্য, পোশাক ব্যবসা দিন দিন সমৃদ্ধ হওয়া শুরু করছে। তাও আবার আমাদের উন্নয়নশীল বাংলাদেশে। আর তাই বাচ্চাদের পোশাকের চাহিদা সব সময় বেশি থাকে।
এখন আপনি যদি শুধুমাত্র বাচ্চাদের পোশাকের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তারপরও মাসে লাখ টাকা ইনকাম করা শুরু করতে পারবেন।
তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব বাচ্চাদের পোশাকের ব্যবসা আইডিয়া নিয়ে। আপনি যদি আমাদের লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে এই ব্যবসা কিভাবে শুরু করলে বেশি লাভজনক হবেন সার্ভিস ও জানতে পারবেন।
আসুন বাচ্চাদের পোশাকের ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
টপিক সূচিঃ
বাচ্চাদের পোশাকের ব্যবসা আইডিয়া
বাচ্চাদের পোশাক বিক্রি করার জন্য আপনারা বিভিন্ন ধরনের আইটেম বেছে নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। তাই কিভাবে ব্যবসাটি শুরু করবেন। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে নিচে দেওয়া তথ্য গুলো অনুসরণ করুন।
পোশাকের ব্যবসার স্থান নির্ধারণ করুন
বিশেষ করে জনবহুল রাস্তার মোড়ে বাঁচতে নির্দিষ্ট কোন মার্কেটে একটি দোকান স্থাপন করতে হবে। যে জায়গাগুলোতে বেশি মানুষের আনাগোনা রয়েছে।
সে জায়গা গুলোতে আপনি যদি বাচ্চাদের পোশাকের দোকান দিতে পারেন। তাহলে, বেশি বেশি বিক্রি করতে পারবেন এবং বেশি বেশি লাভ করতে পারবেন।
আপনি যদি বাচ্চাদের পোশাকের ব্যবসা শুরু করার জন্য একে দোকান ভাড়া নেন। তাহলে দোকান নেওয়ার আগে অবশ্যই দোকান মালিকের সাথে ভালোভাবে চুক্তিপত্র করে নিবেন।
পোশাকের ব্যবসার প্রচার – প্রচারণা
বাচ্চাদের পোশাক দিকের দোকানটি নেওয়ার পরে। সেখানে আপনার দোকানের একটি ভালো নাম নির্বাচন করবেন। তারপর আপনার দোকানটি আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য ভালো হবে ডেকোরেশন করতে হবে।
দোকানের জায়গায় নির্বাচন করার পরে, দোকানটি অবশ্যই ভালোভাবে সাজানোর চেষ্টা করবেন যাতে করে, আপনার দোকানটি দেখেন মনে হয় এটা শুধুমাত্র বাচ্চাদের।
আপনার যদি একান্ত কোন পছন্দ থাকে তাহলে সেই অনুযায়ী, বা কোন প্রফেশনাল ডিজাইনার দ্বারা বাচ্চাদের পোশাক পেতে দোকানটি ডেকোরেশন করে নিবেন।
দোকানে লাইটিংগুলো ভালোভাবে লাগাবেন। আর ব্যক্তি বাড়ানোর জন্য, দোকানের সামনে ডিসকাউন্ট ব্যানার ঝুলিয়ে দেবে। তারপর আপনারা বিভিন্ন উপায়ে বাচ্চাদের দোকান সম্পর্কে কাস্টমারদের জানাতে প্রচার প্রচারণা চালাতে হবে।
বাচ্চাদের পোশাকের ব্যবসা প্রচার-প্রচারণা চালানোর জন্য আপনারা দুটি ভালো অপশন পেয়ে যাবেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য-
- বাচ্চাদের পোশাক অফলাইনে প্রচার-প্রচারণা করতে পারবেন
- বাচ্চাদের পোশাক অনলাইনে প্রচার-প্রচারণা করতে পারবেন।
বাচ্চাদের পোশাক বিক্রির ব্যবসা অফলাইনে প্রচার-প্রচারণা
আপনি যদি অফলাইনে বাচ্চাদের পোশাক বৃত্তের প্রচার-প্রচারণা করতে চান। সে ক্ষেত্রে মেম্বারশিপ কার্ড প্রদান করবেন। মানে আপনার দোকান থেকে ৩০০০ টাকা বা তার বেশি জানে কোন পোশাক কিনলে একটি ডিসকাউন্ট কার্ড পাবেন।
অফলাইনের ব্যবসা-বাচারণা করার জন্যম দোকানের ভিজিটিং কার্ড প্রদান করুন। দোকান সম্পর্কে লিফলেট প্রদান করুন। বিভিন্ন দেওয়ালে পোস্টার বা বিলবোর্ডের মাধ্যমে, দোকানের বিবরণ দিয়ে প্রচারণা চালাতে পারেন।
বাচ্চাদের পোশাক বিক্রির ব্যবসা অনলাইনে প্রচার-প্রচারণ
আমাদের বাংলাদেশের বর্তমান যে সময় অতিবাহিত হচ্ছে এটি হলো ডিজিটাল যুগ। আপনারা বাচ্চাদের পোশাক বিক্রি করার জন্য দোকানের পাশাপাশি অনলাইনে আপনার উপস্থিতি রাখতে পারবেন।
আপনারা একই ব্যবসা অফলাইনে এবং অনলাইনে পরিচালনা করে, বেশি বেশি প্রোডাক্ট সেল করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনারা নির্দিষ্ট দোকানের দিকে বেশি নজর রাখবেন।
আপনারা অনলাইনে ব্যবসা করতে চাইলে, প্রথমে অনলাইনে কিভাবে ব্যবসা শুরু করতে হয়। সে বিষয়ে জেনে নিবেন তার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন।
অনলাইনে বাচ্চাদের পোশাক ব্যক্তির ব্যবসা প্রচার-প্রচারণা করতে চাইলে, সহজ পক্ষে হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক বেছে নিতে পারেন। কারণ ফেসবুকে এত পরিমানের কাস্টমার পাওয়া যায় যা কল্পনার বাইরে।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুকের পাশাপাশি। আপনারা অনলাইনে বাচ্চাদের পোশাক প্রচার-প্রচারণা করতে চাইলে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।
আপনি যদি দ্রুত বাচ্চাদের পোশাক বিক্রি করতে চান। তাহলে অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে ব্যবসার প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারে।
যার ফলে আশেপাশে থাকা কাস্টমারদের আপনি দোকানে আসার জন্য আহ্বান করতে পারবেন। আবার অনলাইনের মাধ্যমে সরাসরি কাস্টমারদের কাছে বাচ্চাদের পোশাক বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন।
পোশাকের ব্যবসার জন্য পুঁজি কেমন লাগবে?
যেকোনো ব্যবসা শুরু করার আগে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পুজি। পুজির ওপর ভিত্তি করে, আপনি ব্যবসায়ী কি পরিমাণে লাভ করতে পারবেন তা নির্ভর করবে।
আপনার নির্দিষ্ট ব্যবসায়ী যদি বেশি পরিমাণে পুজি খাটাতে পারেন তাহলে বেশি পরিমাণে লাভ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনি যদি বাচ্চাদের পোশাকের ব্যবসা শুরু করতে চান।
তাহলে প্রথম অবস্থায় ২ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা ইনভার্স করতে হবে। তাহলে আপনি ভালোভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে।
পরবর্তীতে যখন দেখবেন আপনার পোশাকের ব্যবসাটি ভালো পজিশনে যাচ্ছে। তখন 5 থেকে 10 লাখ টাকা ইনভেস্ট করে। বাচ্চাদের বিভিন্ন কোয়ালিটির পোশাক দোকানে উত্তোলন করবেন।
তারপর অনলাইনের মাধ্যমে প্রচার করে এবং অফলাইনের মাধ্যমে বা সরাসরি দোকান থেকে বাচ্চাদের পোশাক বিক্রি করে লাভবান হতে পারে।
স্টক লট পোশাক ব্যবসা
আপনারা বাচ্চাদের পোশাকের ব্যবসার জন্য শুধুমাত্র পাইকারি কাপড় কিনলেই চলবে না। পাইকারি পোশাক কেনার পাশাপাশি আপনাদের যে জায়গাগুলোতে স্টক লটের কাপড় বিক্রি করা হয় সেদিকে নজরে রাখতে হবে।
তার কারণ আপনি পাইকারি দামের যে পোশাকগুলো কিনতে পারবেন তার থেকে অর্ধেক নামে স্টক লটের পোশাকগুলো কেনে নিতে পারবেন।
আর বর্তমানে স্টক লটের কাপড় গুলো তুলনামূলকভাবে অনেক ভালো হয়। অনেক সময় দেখা যায় বিদেশী ক্লায়েন্টরা বিনা কারণে গার্মেন্টসের অর্ডারগুলো বন্ধ করে দেয়। যার ফলে ভালো মানের পোশাক গুলো তারা বিক্রি করতে পারেনা।
সেই সময় পোশাকগুলো স্টক লট আকারে বিক্রি হয়। আপনি যদি স্টক লট ব্যবসা সম্পর্কে অবগত না থাকেন। সেক্ষেত্রের পরবর্তী আর্টিকেলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বিস্তারিত জানতে পারছি।
শেষ কথাঃ
আপনারা যারা বাচ্চাদের পোশাকের ব্যবসা শুরু করতে চান। তাহলে অবশ্যই কোয়ালিটি সম্পন্ন ভালো পোশাকগুলো আপনার দোকানে উত্তোলন করার চেষ্টা করবেন।
কারণ প্রতিটি অবিভাবক তাদের বাচ্চাদের পোশাক গুলো শুধু সৌন্দর্য দেখে কিনবে না। সে পোশাকগুলো বাচ্চাদের পড়তে কতটা আরামদায়ক হবে সে বিষয়ে অনেকেই মনোযোগী হবে।
তাই আপনাকে বাচ্চাদের যে পোশাকগুলো করলে সবদিক থেকে ভালো লাগবে, সে অনুযায়ী মানসম্মত পোশাকগুলো রাখতে হবে। তাহলেই মোটামুটি করে লাভবান হতে পারবেন।
ধন্যবাদ।