কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা – কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন জানুন!

কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা – বর্তমানে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ এখন কুরিয়ার সার্ভিসের বিষয়ে জানেন। কারণ এই কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আমরা সহজেই উপকৃত হচ্ছি।

কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আমরা দূর দূরান্ত থেকে পাঠানোর জিনিসপত্র সহজেই নিজের ঘরে বসেই রিসিভ করতে পারছি।

আমাদের যে সকল পরিবার-পরিজন/ প্রিয়জন অনেক দূরে বসবাস করে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য আমরা অনেক সময় তাদের জিনিসপত্র পাঠাই এবং তারও আমাদের বিভিন্ন জিনিসপত্র পাঠায়। আর কুরিয়ার সার্ভিসের সাহায্যে অতি সহজেই আমরা যে কোন জিনিস পাঠাতে পারি এবং গ্রহণ করতে পারি।

বাংলাদেশের যদি এ কোরিয়ার সার্ভিস না থাকতো। তাহলে আমাদের পরিবার-পরিজন এবং প্রিয়জন মানুষদেরকে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো নিজে গিয়ে দিয়ে আসতে হতো। যার ফলে আমাদের অনেক সময় এবং টাকা ব্যয় হতো।

তাই কুরিয়ার সার্ভিসের গুরুত্ব আমাদের বাংলাদেশে অনেক বেশি। তাই আপনি যদি চান বাংলাদেশে বসে একটি কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠান তৈরি করে ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন।

কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা - কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন জানুন!
কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা – কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন জানুন!

কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন জানুন

আপনি কি কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা করতে চান। কিভাবে কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা করবেন চিন্তা করছেন। আপনারা সহজ কিছু নিয়ম অনুসরণ করে চলতে পারলে, আপনি সফলভাবে কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

তো কুরিয়ার ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন এ বিষয়ে জানতে নিচে দেওয়া তথ্য গুলো অনুসরণ করুন।

ব্যবসার জন্য ভালো একটি জায়গা খুঁজে বের করতে হবে?

আপনি যদি কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসায়ী বেশি লাভজনক হতে চান। সে ক্ষেত্রে আপনাকে একটি ভালো জায়গা খুঁজে বের করতে হবে। ভালো জায়গায় বলতে বোঝানো হচ্ছে যে জায়গা গুলোতে পৌঁছানোর জন্য গ্রাহকদের বেশি সুবিধা হয়।

কটিয়ার সার্ভিস এর অফিস আসতে যাতে করে গ্রাহকদের অসুবিধা না হয়। গ্রাহকরা যাতে কুরিয়ার সার্ভিস ব্যতীত অন্য কোন মাধ্যমে তাদের ডেলিভারি করানোর চিন্তা না করতে পারে।

তাই আপনাকে এমন একটা জায়গায় কুরিয়ার সার্ভিস অফিস স্থাপন করতে হবে। যে জায়গাতে মানুষ সহজেই তাদের বিভিন্ন মালামাল নিয়ে আসতে পারে।

আপনারা চেষ্টা করবেন আপনার কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা টি বড় কোন শপিংমল এর পাশে, কোন পার্কের পাশে, হসপিটালের পাশে স্থাপন করতে পারেন তাহলে গ্রাহকরা সহজেই আপনার অফিসটি খুঁজে বের করতে পারবে।

তাই গ্রাহকরা কাছে পাওয়া কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবহার করে তাদের মালামাল পৌঁছে দিতে পারবেন।

কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসার জন্য সরকারি লাইসেন্স নিতে হবে?

কোরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা শুরু করতে চাইলে প্রথমে আপনাকে ব্যবসা জন্য একটি সরকারি লাইসেন্স করতে হবে। সরকারি লাইসেন্স পেলে আপনি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

ব্যবসা করার কথা চিন্তা করলে, আপনাকে সরকারি লাইসেন্স নেয়ার কথা চিন্তা করতে হবে। সরকারি লাইসেন্স নেয়ার জন্য আপনাদের প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হবে। তাহলে দ্রুত সময়ের মধ্যে লাইসেন্স পেয়ে যাবেন ব্যবসা শুরু করার জন্য।

কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসার সরকারি লাইসেন্স করতে যে কাগজপত্র গুলো লাগবে :

  • ট্রেড লাইসেন্স।
  • এসোসিয়েশন এর সদস্য সনদ পত্র।
  • অঙ্গিকারনামা।
  • ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন।
  • যানবাহন এর তালিকা।
  • আয়কর সনদ পত্র।
  • ব্যক্তির ছবি, সিভি, মোবাইল নাম্বার, ইমেইল এড্রেস ইত্যাদি।

বিশ্বাস যোগ্য কর্মচারী নিয়োগ দিতে হবে?

কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসার মূল বিষয় হচ্ছে এক গ্রাহক এর থেকে জিনিস সংগ্রহ করে সেটি সঠিক ভাবে অন্য গ্রাহককের কাছে পৌছে দেওয়া। উক্ত কাজ করার জন্য আপনার কিছু সংখ্যক বিশ্বাস যোগ্য কর্মচারী নিয়োগ করতে হবে। যাতে করে তারা গ্রাহকদের মালামাল সঠিক ভাবে পৌছে দিতে পারে।

কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসায় একজন বিশ্বাসযোগ্য কর্মচারী থাকলে। আপনারা ব্যবসায় সহজে উন্নতি করতে পারবেন। তবে আপনার ব্যবসা যদি অবিশ্বাস যোগ্য কর্মচারী থাকে।

তবে আপমি ব্যবসায় উন্নতি ঘটাতে পারবেন না। তাই যাচাইবাছাই করে, কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসায় ভালো কর্মচারী নিয়োগ করবেন।

গ্রাহকদের আকর্ষণ করতে হবে?

বর্তমানে যে কোন ব্যবসা শুু করার পূর্বে। আপনাকে জানতে হবে। কিভাবে আপনি গ্রাহকদের কে টার্গেট, আকর্ষণ করবেন। কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা শুরু করার পূর্বে আপনার চিন্তা করতে হবে। আপনি কোন গ্রাহকদের টার্গেট করবেন।

উক্ত গ্রাহক আকর্ষণ সম্পূর্ণ ভরসা করে, আপনার প্রডাক্ট নির্ধারণ এর উপর। আপনি যদি তাদের দেওয়া প্রডাক্ট গুলো সহজেই নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে পৌছাতে পারেন।

তাহলে তারা আপনার কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মালামাল পাঠাতে আগ্রহী হবে। আর এরকম ভাবে একজন গ্রাহক নিজে এবং অন্যকে আপনার কুরিয়ার সার্ভিস এর মাধ্যমে মালামাল পাঠাতে উৎসাহিত করবে।

পার্সেল ডেলিভারির জন্য সঠিক যানবাহন নির্ধারণ করতে হবে?

কুরিয়ার সার্ভিস শুরু করার পূর্বে আপনার একটি যানবান বা গাড়ির ব্যবহার করতে হবে। আপনার পার্সেল গুলো ডেলিভারি দেওয়ার জন্য।

কুরিয়ার সার্ভিস এর কাজ হলো দূর দূরান্তের পার্সেল পৌছে দেওয়া। তাই পার্সের পৌছানোর জন্য একটি গাড়ি প্রয়োজন হবে।

যান বাহন হিসেবে আপনারা, পিকআপ, ট্রাক বা অন্যান্য গাড়ি ব্যবহার করে, কাস্টমারদের পার্সেল ডেলিভারি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারেন।

শেষ কথাঃ

কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা নতুন আইডিয়া হলেও। এটি বাংলাদেশে অনেক চাহিদা সম্পন্ন। এই কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসার আইডিয়াটি সহজে ব্যবহার করে লাভজনক হওয়া যায়।

তাই আপনি যদি কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তাহলে দ্রতু সময়ের মধ্যে লাভজনক হতে পারবেন। এখন এই বিষয়ে যদি কোন প্রশ্ন থাকে। আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন।

ধন্যবাদ।

Leave a Comment