লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া

লাভজনক পাইকারি ব্যবসা আইডিয়া – বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে লাভজনক ব্যবসা করতে চাইলে প্রথমে চলে আসে পাইকারি ব্যবসার কথা। কারণ পাইকারি ব্যবসা করার সুবিধা হচ্ছে এই ব্যবসায়ী লাভের পরিমাণ বেশি। যদিও এই পাইকারি ব্যবসা গুলোতে বিনিয়োগের হার একটু বেশি করতে হয়।

সাধারণত যাদের টাকা বেশি তারা পাইকারি ব্যবসা সহজে শুরু করতে পারবেন। পাইকারি ব্যবসা করার মাধ্যমে ব্যবসাকে দ্রুত সম্প্রসারণ করা সম্ভব হয়।

টাকা বেশি থাকলে এবং নিজের যানবাহন থাকলে, পাইকারি ব্যবসা গুলো করে দ্রুত সময়ের মধ্যে লাখপতি থেকে কোটিপতি হওয়া যায়।

তো যাই হোক, আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সুবিধার্থে বাংলাদেশে পাইকারি বাজার যাচাই করে, কিছু লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে হাজির হয়েছি।

লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া
লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া

তো যারা অল্প টাকায় পাইকারি ব্যবসা গুলো শুরু করতে পারবেন, তারা এই লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া গুলো অনুসরণ করতে পারেন।

বিশেষ করে আপনি যদি একজন উদ্যোক্তা হতে চান। তাহলে কিভাবে একজন সফল উদ্যোক্তা হবেন এ বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্য জানতে পারবেন।

লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া

আপনি যদি বাংলাদেশে থেকে লাভজনক পাইকারি ব্যবসা আইডিয়া গুলো খুজে থাকেন। তাহলে, বাংলাদেশে এমন কতগুলো পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া রয়েছে।

যা আপনারা মোটামুটি ভালো পরিমাণের টাকা ইনভেস্ট করতে পারলে, পাইকারি ব্যবসা করে দ্রুত লাভজনক হয়ে উঠতে পারবেন।

তাই চলুন এমন কিছু জনপ্রিয় লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া জেনে নেয়া যাক।

পাইকারি কাপড়ের ব্যবসা আইডিয়া

আপনি যদি বাংলাদেশ পাইকারি কাপড়ের ব্যবসা শুরু করতে চান? তাহলে কমপক্ষে আপনাকে ৮ লক্ষ টাকার মত ইনভেস্ট করতে হবে। আর আপনার পাইকারি কাপড় সংগ্রহ করার জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এবং বাংলাদেশ ব্যতীত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পাইকারি কাপড় নিয়ে এসে বিক্রি করতে পারবেন।

আপনি যদি পাইকারি কাপড়ের ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে ঢাকার ইসলামপুর পানকারী কাপড়ের বাজারের জন্য বিখ্যাত।

আপনারা ইসলামপুর গেলে বুঝতে পারবেন, তারা কোথায় থেকে কাপড় ক্রয় করে। মূলত কয়েকটি পদক্ষেপে পাইকারদের নিকট কাপড় চলে আসে। সেখান থেকে তারা পাইকারি দামে এবং খুচরায় বিক্রি করে থাকে।

কিন্তু আপনাকে প্রথমে ঠিক করে রাখতে হবে, আপনি কোন ধরনের কাপড় নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চান। কাপড় ব্যবসায়ী থাকতে পারে- থ্রি পিস, শাড়ি, লুঙ্গি, ছেলেদের প্যান্ট, গেঞ্জি, বাচ্চাদের পোশাক ইত্যাদি।

আপনি যে কাপড় নিয়ে ব্যবসা করবেন। প্রথমে খোঁজখবর নেবেন কাপড়ের মূল প্রশ্নগুলো। যেমন জামদানের জন্য আপনি নারায়ণগঞ্জের খোঁজখবর নিলে সহজেই জামদানি কাপড় সংগ্রহ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ইসলামপুর বা পাইকারি মার্কেট ব্যবসা করলে, আপনার জন্য এ ব্যবসাটি সব থেকে লাভজনক হবে।

পাইকারি কাঁচামালের ব্যবসা আইডিয়া

আপনি যদি বাংলাদেশে বসে কাঁচামালের পাইকারি ব্যবসা করতে চান? তাহলে এই ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রথমে আপনাকে কমপক্ষে ৫ লক্ষ টাকা ইনভেস্ট করতে হবে।

আপনার যদি টাকা ইনভেস্ট করার সামর্থ্য থাকে তাহলে, পাইকারি কাঁচামালের ব্যবসা হিসেবে কাওরানবাজার বা শ্যামবাজার যারা পাইকারি ব্যবসা করছে।

তারা কৃষকদের থেকে পণ্য কিনে আনে না। তাদের নিকট আরেকটি অংশ থাকে যারা ট্রাকে করে, কৃষক বা আরবদারদের নিকট থেকে প্রোডাক্ট নিয়ে আসে। তারপর সেগুলো পাইকারি দামে পাইকারদের নিকট বিক্রি করে থাকে।

এখন আপনি যদি এই সব জায়গায় কাঁচামালের ব্যবসা করতে চান? তাহলে, কাঁচামাল সংগ্রহ করাতে তেমন কোনো কঠিন ব্যাপার হবে না।

পাইকারি মুদি সামগ্রীর ব্যবসা আইডিয়া

আপনি যদি নিজের এলাকায় পাইকারি মোদী সামগ্রী ব্যক্তির ব্যবসা শুরু করতে চান। তাহলে ব্যবসার জন্য প্রায়ই ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকা ইনভেস্ট করতে হবে।

পাইকারি মোদী সামগ্রিক ব্যবসা করার জন্য আপনি যদি নির্দিষ্ট পরিমাণের টাকা ইনভেস্ট করতে পারেন তাহলে, মোদি সামগ্রী পাইকারি ব্যবসা করার জন্য সহজ উপায় হবে পণ্যের ডিলারশিপ গ্রহণ করা।

তাছাড়া আপনি চাইলে, শুধুমাত্র চাউলের পাইকারি ব্যবসা শুরু করে দিতে পারবেন। সে সাথে আপনার চাইলে মসলাম তেল এবং অন্যান্য পণ্য নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

পাইকারি চালের ব্যবসা আইডিয়া

আপনি যদি নিজের এলাকায় চাউলের পাইকারি ব্যবসা শুরু করেন। এ ক্ষেত্রে আপনাকে প্রায়ই প্রথম অবস্থায় ৮ লক্ষ থেকে দশ লক্ষ টাকা ইনভ্যাস করতে হবে।

আপনার যদি পাইকারি চালের ব্যবসা আইডিয়া নিয়ে কাজ করেন। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে চাল সংগ্রহ করতে পারবেন।

বাংলাদেশের চালের পাইকারি ব্যবসার জন্য বিখ্যাত বাদামতলী, বাবুবাজার। এই এলাকাতে এসে আপনারা সহজেই পাইকারি ব্যবসা শুরু করার জন্য চাউল সংরক্ষণ করতে পারবেন।

শেষ কথাঃ

আজকের আর্টিকেলে এই ছিল পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া। আপনি যদি ওপরে দেয়া পাইকারি ব্যবসা গুলো শুরু করতে চান? তাহলে অবশ্যই একটি পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া সঠিকভাবে পরিকল্পনা করে পরে ব্যবসায় নামবেন।

আর সঠিকভাবে পাইকারি ব্যবসা গুলো পরিচালনা করতে পারলে, অল্প সময়ের মধ্যে লাভজনক হয়ে উঠবেন।

এখন পাইকারি ব্যবসা সম্পর্কে যদি কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

ধন্যবাদ।

Leave a Comment