বাংলাদেশ থেকে রাশিয়া যাওয়ার উপায় || রাশিয়া যেতে কত টাকা লাগে?

বাংলাদেশ থেকে রাশিয়া যাওয়ার উপায় এবং রাশিয়া যেতে কত টাকা লাগে এ বিষয়ে অনেকেই জানতে চায়। তাই তাদের সুবিধার্থে আজকের আর্টিকেলে আমরা জানিয়ে দিব, রাশিয়া দেশ সম্পর্কে বিস্তারিত।

রাশিয়া দেশ হলো বিশ্বের সবথেকে বৃহত্তম দেশ। পূর্ব ইউরোপ এর মধ্যে বেশিরভাগ জায়গা জুড়ে রাশিয়া দেশটি অবস্থিত রয়েছে। রাশিয়াকে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী এবং তেল, গ্যাস উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে বলা হয়।

অন্যান্য দেশের চেয়ে রাশিয়া একটি উন্নত প্রযুক্তিগত দেশ। আমাদের বাংলাদেশের অনেক মানুষের স্বপ্ন রয়েছে রাশিয়া দেশে যাওয়ার।

এক্ষেত্রে সবাই চাইলেই উন্নত প্রযুক্তির দেশে কাজের উদ্দেশ্যে গমন করতে পারবে না। কারণ রাশিয়া যেতে চাইলে আপনাদের অবশ্যই নির্দিষ্ট কিছু নিয়মকানুন মানতে হবে।

বাংলাদেশ থেকে রাশিয়া যাওয়ার উপায় || রাশিয়া যেতে কত টাকা লাগে?
বাংলাদেশ থেকে রাশিয়া যাওয়ার উপায় || রাশিয়া যেতে কত টাকা লাগে?

বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ায় প্রতিবছর সরকারিভাবে কাজের জন্য শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হয়। আপনি যদি রাশিয়ার কোন সার্কুলার অনুযায়ী, রাশিয়া যাওয়ার জন্য ভিসা আবেদন করেন সেক্ষেত্রে আপনি অল্প খরচের রাশিয়ায় গমন করতে পারবেন।

তো আপনারা যারা বাংলাদেশ থেকে রাশিয়া যাওয়ার উপায় করছেন এবং রাশিয়া যেতে কত টাকা লাগে? এ বিষয়ে জানতে চান, তারা নিজেদের তথ্যগুলো ধাপে ধাপে অনুসরণ করুন।

রাশিয়া কাজের ভিসা

বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ এখন রাশিয়ার প্রবাসী। আবার নতুন করে অনেকেই কাজের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ায় যেতে চান।

তবে রাশিয়ায় কাজের ভিসা করলে কত টাকা খরচ হবে এবং কি কি কাজ সম্পন্ন করতে হবে। এ বিষয়গুলো জানানোর জন্য আমরা আজকে হাজির হয়েছি।

আপনি যদি কাজের জন্য রাশিয়ায় গমন করতে চান। সেক্ষেত্রে আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। কারণ আপনি বৈধ পথ ছাড়া অবৈধ পথে রাশিয়া গেলে, আইনি অপরাধের সাথে লিপ্ত হয়ে যাবেন। তাই আপনারা বৈধ পথে রাশিয়া যাওয়ার চিন্তা করবেন।

তো বাংলাদেশ থেকে রাশিয়া গেলে যে কাজ গুলো করতে পারবেন। সেগুলোর কিছু উদাহরণ হল-

  • ফুট প্যাকেজিং অপারেটর
  • কার্পেন্টার
  • ক্লিনার
  • কনস্ট্রাকশন
  • মেকানিক্যাল
  • ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদি।

রাশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

আপনি যদি রাশিয়ায় কাজের উদ্দেশ্যে গমন করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। রাশিয়ায় প্রতিবছর শ্রমিকদের জন্য ওয়ার্ক পারুইন ভিসা প্রদান করে থাকে।

কিন্তু অন্যান্য ভিসার থেকে ওয়ার্পেট ভিসা করতে একটু বেশি খরচ প্রয়োজন হয়। তাই আপনি যদি সরকারিভাবে রাশিয়া ভিসা পেয়ে যান তাহলে অনেক কম খরচে গমন করতে পারবেন।

বাংলাদেশ থেকে যেকোনো এজেন্সির মাধ্যমে রাশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে চাইলে আপনাকে বেশি টাকা দিয়ে ভিসা সংগ্রহ করতে হবে। কারণ বাংলাদেশের এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা খরচ দুই গুণ হয়ে থাকে।

বর্তমান সময়ের রাশিয়া ভিসা করার জন্য খরচ করতে হবে। প্রায়ই দশ লাখ থেকে 15 লাখ টাকা পর্যন্ত।

সরকারি ভাবে রাশিয়া যাওয়ার উপায়

অনেক অল্প টাকায় সরকারি ভাবে রাশিয়া যাওয়া যায়। বিভিন্ন লোক রয়েছে কাজের জন্য রাশিয়া যেতে আগ্রহী। তবে রাশিয়া কাজের ভিসা পাওয়া খুবই কঠিন, হওয়ার কারণে আপনারা যারা রাশিয়া ভিসা পাচ্ছেন না।

তারা চাইলে রাশিয়ার কর্মী নিয়োগের সার্কুলার টি সংগ্রহ করতে পারেন। কারণ রাশিয়া থেকে প্রতিবছর বাংলাদেশী বিভিন্ন কাজের জন্য শ্রমিকদের নিয়োগ দেয়া হয়।

আপনার ছেলে অনলাইনে খোঁজাখুঁজি করে রাশিয়া যাওয়ার সরকারি সার্কুলার অনুযায়ী আবেদন করতে পারবেন। আপনি যদি সরকারি ভাবে রাশিয়া যেতে চান তাহলে অনলাইনের মাধ্যমে ভিসার জন্য আবেদন করার দরকার হবে।

তারপর, নির্দিষ্ট একটি এজেন্সির মাধ্যমে, ভিসা আবেদন ফি জমা দিয়ে ভিসা প্রসেসিং করতে হবে। তারপর আপনারা অল্প সময় অপেক্ষা করার ফলে রাশিয়া ভিসার সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।

বাংলাদেশ থেকে রাশিয়া যেতে কত টাকা লাগে?

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ থেকে রাশিয়া যেতে চাইলে, অনেক বেশি টাকা প্রয়োজন হবে। তার কারণ আপনাকে অবশ্যই এজেন্সির মাধ্যমে, রাশিয়ার ভিসা সংগ্রহ করতে হবে।

এক্ষেত্রে আপনার যদি রাশিয়ায় কোন পর্যন্ত মানুষ থাকে, সেক্ষেত্রে তাদের মাধ্যমে ভিসা করলে অনেক কম খরচে ভিসা পাবেন। আবার আপনি যদি কোন বাংলাদেশের দালালের মাধ্যমে রাশিয়া ভিসা করেন, সেক্ষেত্রে খরচের পরিমাণ একটু বেশি লাগবে।

তাই সকল দিক বিবেচনা করে বলা যায়। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে রাশিয়া ভিসা করতে চান? তাহলে প্রায়ই সর্বোচ্চ 15 লক্ষ টাকার মতো খরচ হবে।

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা আপনারা যারা বাংলাদেশ থেকে রাশিয়া যাওয়ার উপায় খোঁজছিলেন। তারা উপরে উল্লেখিত আলোচনায় জানতে পারলেন রাশিয়া কাজের ভিসা কিভাবে করতে হয় এবং বাংলাদেশ থেকে রাশিয়া যেতে কত টাকা লাগে।

এখন বাংলাদেশ থেকে রাশিয়া যাওয়ার জন্য আপনার যদি 10 থেকে 15 লক্ষ টাকা খরচ করার সামর্থ্য থাকে তাহলে, ভালো একটি এজেন্সির মাধ্যমে ভিসার কার্যক্রম সম্পন্ন করে নিতে পারেন।

ধন্যবাদ।

Leave a Comment