৩০ হাজার টাকায় ব্যবসা আইডিয়া (সেরা- 05 টি)

৩০ হাজার টাকায় ব্যবসা আইডিয়া – আপনার চাইলে বাংলাদেশে বসে মাত্র ৩০ হাজার টাকা ইনভেস্ট করে আপনার পছন্দের ব্যবসা গুলো শুরু করতে পারবেন।

এমনিতে বাংলাদেশ অনেক অল্প টাকা ইনভাইট করে ব্যবসার আইডিয়া খুঁজে পাওয়া যায়। তাই আপনি যদি মোটামুটি মানের একটি ভালো ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে ৩০ হাজার টাকায় যথেষ্ট।

বর্তমান সময়ে বিনিয়োগ করে ব্যবসা করার জন্য অনেক বেশি লাভজনক ৩০ হাজার টাকায় যে ব্যবসা গুলো করা যাবে সে সম্পর্কে আলোচনা করব।

তাই আশা করব, ৩০ হাজার টাকায় ব্যবসা আইডিয়া জানতে, আমাদের লেখাটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।

৩০ হাজার টাকায় ব্যবসা আইডিয়া (সেরা- 05 টি)
৩০ হাজার টাকায় ব্যবসা আইডিয়া (সেরা- 05 টি)

৩০ হাজার টাকায় ব্যবসা আইডিয়া

আপনারা বাংলাদেশে বসবাস করে মাত্র 30 হাজার টাকায় অনেক গুলো ব্যবসার আইডিয়া পেয়ে যাবেন। কিন্তু যে ব্যবসা গুলোতে ৩০ হাজার টাকা ইনভেস্ট করলে বেশি লাভ পাওয়া যায় সেই ব্যবসাগুলো সম্পর্কে আমরা আলোচনা করব।

তাই চলুন আর সময় নষ্ট না করে জেনে আসি বিস্তারিত।

ফলের ব্যবসা আইডিয়া

আমাদের বাংলাদেশে যে কোন মৌসুমের জন্য ফল একটি লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া। স্থানীয় বাজারে আমরা অনেক ধরনের ফলের দোকান দেখতে পারি। তাই বলা যাই এর চাহিদা কখনোই শেষ হয় না বরং দিন দিন ফলের চাহিদা বাড়তে আছে।

বিভিন্ন ধরনের পাইকারি বাজার থেকে কম দামে মৌসুমী ফল, গ্রীষ্মকালে আম, কাঁঠাল, তরমুজ, কমলা, জাম, পেঁপে, আপেল ইত্যাদি ফলের ব্যবসা সহজে শুরু করা যায়।

এই ফলের ব্যবসায়ী আপনি যত বড় করতে চান? তার উপর নির্ভর করবে আপনার ইনভেস্টের পরিমাণ। কিন্তু আপনারা চাইলে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের ফলের ব্যবসা শুরু করার জন্য মাত্র ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা ইনভাইট করলে ছোট করতে পারবেন।

ফুলের দোকানের ব্যবসা আইডিয়া

বর্তমান সময়ে মানুষ অনেকটাই ক্লাসিক হয়ে গেছে। বিভিন্ন বিয়ের অনুষ্ঠান, স্কুল-কলেজের বিভিন্ন প্রোগ্রাম, বাংলাদেশের বিভিন্ন দিবসে একে অন্যকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো এখন একটি প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আপনি চাইলে বাংলাদেশে বসবাস করে মাত্র 30 হাজার টাকা ইনভেস্ট করে ফুলের দোকান ব্যবসার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

ফুলের দোকান এর অন্যতম সুবিধা হচ্ছে, প্রতিটি এলাকাতে ফুল পাওয়া যায় না। দেশের বিভিন্ন এলাকায় ফুলের দরকার হলে অনেকে শহর থেকে নিয়ে আসে। তাই সেরকম এলাকাতে এই ব্যবসা অনেক বেশি লাভজনক।

আপনি যদি ফুলের দোকান ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তাহলে এখানে ৪০% থেকে ৮০% পার্সেন্ট লাভ করতে পারবেন। আপনি একটি গোলাপ ফুল পাইকারিতে ৫০ টাকা দিয়ে কিনেছেন।

এখন এটি আপনি কোন নির্দিষ্ট জায়গায় বসে বা দাঁড়িয়ে খুচরায় বিক্রি করার সময় ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে পারবেন।

মোবাইল সার্ভিসিং ব্যবসা আইডিয়া

মোবাইল সার্ভিসিং একটি সাদা মূলক ব্যবসা। আপনারা চাইলে বাংলাদেশ মাত্র ৩০ হাজার টাকায় ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন। এই ব্যবসাতে খরচের তুলনায় ইনকামের পরিমাণ অনেক বেশি।

সর্বপ্রথম মোবাইল সার্ভিসিং সম্পর্কে একটি প্রাথমিক ধারনা নেওয়ার জন্য কোর্স করতে হবে। তারপর নিজের এলাকায় কোন বাজারে নির্দিষ্ট দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসাটি শুরু করে দিতে পারবেন।

আপনি যদি দক্ষতা অনুযায়ী মানুষের নষ্ট মোবাইল গুলো সার্ভিসিং করে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঠিক করে দিতে পারেন। তাহলে পারিশ্রমিক হিসেবে দৈনিক ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

কবুতর পালন ব্যবসা আইডিয়া

বাংলাদেশে কবুতর পালন একটি সৌখিন বিষয় হলেও বর্তমানে এটি একটি লাভজনক ব্যবসা হিসেবে পরিণত হয়েছে। আপনার বাড়িতে ছোট একটি জায়গা হলে কবুতর পালন ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

অল্প সময়ের মধ্যে কবুতর এবং একটি জায়গা তৈরি করে, মাত্র 30 হাজার টাকায় ব্যবসাটি শুরু করা যাবে।

বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের দেশি এবং বিদেশি কবুতর এখন স্থানীয় বাজারে অনেক অল্প দামে বিক্রয় করা হয়। আপনারা ভাল জাতের কবুতরগুলো কিনে নিয়ে কবুতর ব্যবসাটি শুরু করে দিতে পারেন।

আগরবাতি তৈরির ব্যবসা আইডিয়া

বাংলাদেশে আগরবাতি তৈরি করার ব্যবসা করার জন্য ৩০ হাজার টাকা নয়, আপনারা দশ থেকে বিশ হাজার টাকা ইনভেস্ট করেই ব্যবসা শুরু করে লাভজনক হতে পারবেন।

আর আপনি যদি পুরো 30 হাজার টাকা দিয়ে আগরবাতি তৈরির ব্যবসা শুরু করেন তাহলে, দেখা যাবে আপনি সেই ৩০ হাজার টাকা ইনভেস্ট করার বিনিময়ে 10 থেকে 15 হাজার টাকা প্রাথমিকভাবে লাভ করতে পারবেন।

বিশেষ করে আপনি যদি এক লক্ষ টাকার আগরবাতি তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। তাহলে সেখান থেকে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আয় হবে।

শেষ কথাঃ

আপনারা যারা বাংলাদেশ থেকে ৩০ হাজার টাকায় ব্যবসা আইডিয়া খুঁজছিলেন। তাদের সুবিধার্থে আমরা বিভিন্ন ব্যবসার আইডিয়া জানিয়ে দিয়েছি।

আমাদের দেখানো ব্যবসাগুলো মাত্র ৩০ হাজার টাকায় শুরু করতে পারবেন। এখন আপনার কোন ধরনের ব্যবসা আইডিয়া সব থেকে বেশি ভালো লাগে। সে ব্যবসাটি বেছে নিয়ে ব্যবসাটির পরিকল্পনা করুন তারপর, নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ইনভেস্ট করে ব্যবসা শুরু করুন।

ধন্যবাদ।

Leave a Comment