নোকিয়া কোন দেশের কোম্পানি | নোকিয়া কোম্পানির ইতিহাস

নোকিয়া কোন দেশের কোম্পানি : মোবাইল জগতের ইতিহাসে নোকিয়া একটা সময় রাজত্ব করেছিল। কেননা যখন সর্বপ্রথম মোবাইল আবিষ্কার হয়।

তখন আমরা অনেকেই মোবাইল মানেই নোকিয়া কে বুঝতাম। যদিও বা বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের মোবাইল প্রস্তুত কারক কোম্পানি রয়েছে।

তবে যে সময় নোকিয়ার বিভিন্ন রকমের মোবাইল তৈরি করত। সেই সময়ে নোকিয়া একচেটিয়া ভাবে তাদের তৈরি করা মোবাইল এর বিজনেস করতে পেরেছিল।

হয়তোবা এখন আমরা বিভিন্ন কোম্পানির মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এমন অনেক মানুষ আছেন যারা মূলত এই নোকিয়া কোম্পানি কে অনেক ভালোবাসে।

আর সেই ভালোবাসার খাতিরে তাদের মনের একটি প্রশ্ন জেগে থাকে। সে প্রশ্নটি হল যে, নোকিয়া কোন দেশের কোম্পানি।

আর আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে আমি আপনাকে জানিয়ে দিবো যে, নোকিয়া কোন দেশের কোম্পানি।

নোকিয়া (Nokia) কি?

আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে Nokia কোন দেশের কোম্পানি সে সম্পর্কে অবশ্যই বিস্তারিত আলোচনা করব।

তবে তার আগে আমি আপনাকে জানিয়ে দিবো যে। এই নোকিয়া আসলে কি। তো এটি হলো এটি বৃহৎ আকারের টেলি যোগাযোগ সম্পর্কিত একটি কোম্পানি।

আর Nokia হল এই পৃথিবীর মধ্যে সর্ববৃহৎ মোবাইল প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান। এই নোকিয়া কোম্পানি টি এতটাই জনপ্রিয়।

যে বর্তমান বিশ্বের প্রায় ১২০টি দেশে তাদের তৈরি করা মোবাইল বিক্রি করে থাকে। এবং বিশ্বের প্রায় অধিকাংশ দেশের মানুষ এই নোকিয়া কোম্পানির মোবাইল ব্যবহার করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে।

তবে আমরা অনেকেই মনে করি যে নোকিয়া কোম্পানি শুধুমাত্র মোবাইল তৈরি করে। বিষয়টা আসলে ঠিক নয় বরং এর বাইরে ও নোকিয়া কোম্পানি নেটওয়ার্কিং পণ্য তৈরি করার কাজ করে থাকে।

নোকিয়া কোন দেশের কোম্পানি?

উপরের স্বল্প আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারলেন যে। নোকিয়া হল বর্তমান বিশ্বের বৃহৎ মোবাইল প্রস্তুতকারক একটি প্রতিষ্ঠান।

এর পাশাপাশি নোকিয়া কোম্পানি টেলি যোগাযোগ এবং নেটওয়ার্কিং পণ্য নিয়েও কাজ করে থাকে। তো এখন অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জাগে।

যে জনপ্রিয় এই নকিয়া কোম্পানি কোন দেশের মধ্যে অবস্থিত, নকিয়া ফোন কোন দেশে তৈরি হয়। তো যদি আপনার মনে এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে।

তাহলে আমি আপনাকে বলব যে, নোকিয়া হলো ফিনল্যান্ডের কোম্পানি।

আর জনপ্রিয় এই কোম্পানি টি ২০১১ সাল পর্যন্ত মানুষের জন্য নতুন নতুন মডেল এবং ফিচার যুক্ত মোবাইল ফোন তৈরি করেছিল।

তবে দুঃখজনক হলেও সত্য যে সময়ের সাথে সাথে নোকিয়া নিজেকে ততটা আপডেট করতে পারেনি। কেননা বর্তমান সময়ের এই টাচ স্ক্রিন স্মার্টফোন এর যুগে।

নোকিয়া সেই আগের আমলের ফোন গুলো তৈরি করতেই ব্যস্ত রয়েছে। যার কারণে নোকিয়া তার জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পারেনি।

নোকিয়া কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা কে?

এতক্ষণে আপনি জানতে পারলেন যে, নোকিয়া হল ফিনল্যান্ডের একটি কোম্পানি। এবং এই নোকিয়া বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মোবাইল প্রস্তুতকারক একটি প্রতিষ্ঠান।

মূলত যে মানুষ গুলো মোবাইল আবিষ্কার এর পর থেকেই নিজের প্রয়োজনে মোবাইল ব্যবহার করেছে। তারা অবশ্যই এই নোকিয়া কোম্পানি কে বেশ ভালোভাবে চিনে থাকবে।

তবে এই নোকিয়া কোম্পানি কে চিনলেও আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন। যারা বলতে পারবে না যে নোকিয়া কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা কে।

আর আপনিও যেন সেই না জানা মানুষদের দলে না থাকেন। সে কারণে এবার আমি আপনাকে জানিয়ে দিবো যে, নোকিয়া কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা কে।

তো এই নোকিয়া কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মূলত তিনজন ব্যক্তি রয়েছেন। আর সেই ব্যক্তিদের নাম হল, Fredrik Idestam, Eduard Polon, Leo Mechelin.

মূলত এরা হলেন সেই ব্যক্তি যারা সর্বপ্রথম এই নোকিয়া কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা করেছিলেন। এবং এই কোম্পানি প্রতিষ্ঠাতা করার পরে তারা বিশ্বের বুকে নিজের কোম্পানি কে পরিচিত করতে পেরেছেন।

নোকিয়া কোম্পানির ইতিহাস

আর্টিকেল এর শুরু থেকে এখন অব্দি আমি আপনাকে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

যেমন, প্রথমে আমি আপনাকে বলেছি যে নোকিয়া কোন দেশের কোম্পানি। এর পাশাপাশি এই নোকিয়া কোম্পানি কে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তার নাম গুলো আপনাকে জানিয়ে দিয়েছি।

তবে এই বিষয় গুলো জানার পাশাপাশি আপনাকে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

আর সেটি হল নোকিয়া কোম্পানির ইতিহাস জেনে নেয়া টা আপনার জন্য অনেক বেশি প্রয়োজনীয়।

কারন কোন একটি মোবাইল কোম্পানির সফলতা পাওয়ার পেছনে তার বিরাট একটা ইতিহাস থাকে। ঠিক তেমনি ভাবে আপনি যদি নোকিয়া কোম্পানির সফলতার কারণ এবং ব্যর্থতার কারণ খুঁজতে চান।

তাহলে অবশ্যই আপনাকে নোকিয়া কোম্পানির ইতিহাস জেনে নিতে হবে। চলুন এবার তাহলে নোকিয়া কোম্পানির ইতিহাস জেনে নেওয়া যাক।

বিষয়টা অবাক করার মত হলেও সত্য যে। নোকিয়া কোম্পানি তাদের এই নামটি মোবাইল জগতের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করতে পেরেছে।

কেননা ১৫০ বছর এর বেশি সময় ধরে এই বৃহৎ মোবাইল প্রস্তুত কারক কোম্পানিটি কাজ করে আসছে।

তবে আজকের দিনে আমরা যেমন এই কোম্পানি কে মোবাইল প্রস্তুত কারক প্রতিষ্ঠানে হিসেবে চিনে থাকি। শুরুর দিকে কিন্তু উক্ত কোম্পানি টি মোবাইল ফোন তৈরি করত না।

বরং তারা বিভিন্ন ধরনের রাবারের জুতা, গাড়ির টায়ার, ইলেকট্রিসিটি উৎপাদন, টিভি সহো আরো অনেক ধরনের ইলেকট্রনিক্স পণ্য তৈরি করত।

তবে অন্যান্য সব প্রোডাক্ট এর দিক থেকে নোকিয়া যখন তাদের নিজস্ব কোম্পানির মোবাইল বাজারে ছাড়ে।

তার পরবর্তীতে এই কোম্পানি টি ব্যাপক পরিমাণে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পেরেছিল। এবং সেই সময়ে নোকিয়া এর সাথে প্রতিযোগিতা করার মত অন্য কোন মোবাইল কোম্পানি ছিল না।

তবে একটা সময় মোবাইল বাজারে রাজত্ব করা এই কোম্পানি টি বর্তমান সময়ে আর নিজের জনপ্রিয় তাকে ধরে রাখতে পারছে না।

কেননা সময়ের সাথে সাথে বর্তমান সময়ের মানুষ অনেক আপডেট হয়েছে। কারণ বর্তমান সময়টা হলো ইন্টারনেটের যুগ।

আর একজন ব্যক্তি যদি ইন্টারনেট ব্যবহার করতে চায়। তাহলে অবশ্যই তার নিকট একটি ভালো স্মার্টফোন থাকতে হবে।

যেটার সাহায্য একজন ব্যক্তি ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে। কিন্তু একজন ব্যবহারকারীর এই সুবিধা গুলোর কথা বিবেচনা করে।

অন্যান্য মোবাইল কোম্পানি গুলো ঠিক ই তাদের মোবাইল এর গঠন, বৈশিষ্ট্য, বিল্ড ইন কোয়ালিটি পরিবর্তন করেছে।

সেখানে নোকিয়া এখনো সেই মান্দা আমলের বাটন ফোন প্রস্তুত করে যাচ্ছে। যার ফলে মানুষ নোকিয়া কে ছেড়ে অন্য কোম্পানির টাচ স্ক্রিন স্মার্টফোন গুলো কিনছে।

নোকিয়া এখনো ফোন তৈরি করে?

তো যেহেতু আপনি জানতে এসেছেন যে নোকিয়া কোন দেশের কোম্পানি। সেহেতু অবশ্যই আপনি একজন নকিয়া প্রেমী মানুষ।

তো আপনার মত এই ধরনের নোকিয়া কোম্পানির প্রতি আকর্ষিত ব্যক্তিদের মনে বারবার একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাবে।

আর সেই প্রশ্ন টি হল যে, নোকিয়া কি এখনো ফোন তৈরি করে? নাকি এই কোম্পানি টি ফোন তৈরি করা বন্ধ করে দিয়েছে?

কারণ কয়েক বছর ধরে নোকিয়া তাদের নতুন ফোন আসার কোন প্রকারের আপডেট দেয়নি। যার কারণে আমরা অনেকেই ধরে নিয়েছি যে, নোকিয়ার অধ্যায় হয়তোবা শেষ হয়ে গেছে।

তো যদি আপনিও এই বিষয় টি ভেবে থাকেন তাহলে বলবো যে আপনার এই ভাবনা সম্পূর্ণ ভুল। কারণ নোকিয়া একবারে শেষ হয়ে যায়নি।

বরং তারা এখনও নতুন নতুন মডেলের স্মার্ট ফোন তৈরি করার কাজ করে যাচ্ছে। তো যখন মাইক্রোসফট এর সাথে নোকিয়া কোম্পানির চুক্তি শেষ হয়।

ঠিক তখনই nokia কোম্পানি থেকে বলা হয়েছিল যে। তারা আবার ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন নতুন মডেলের স্মার্টফোন তৈরি করবে।

এর পাশাপাশি নোকিয়া তাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় ৩৩১০ মডেলের ফোনটি আবার পুনরায় বাজারে ছাড়ার ঘোষণা করেন।

আর যখন নোকিয়া কোম্পানি থেকে এই ঘোষণা করা হয়। তখন মানুষের মধ্যে একটা আলাদা অনুভূতি কাজ করছিল।

আর এইসব দিক বিবেচনা করলে এটা নিশ্চিত হয়ে বলা যায় যে। নোকিয়া একবারই শেষ হয়ে যায়নি বরং এই কোম্পানি টি এখনো মানুষের মনে জায়গা করে নেওয়ার জন্য।

নতুন নতুন মডেলের স্মার্ট ফোন তৈরি করার কাজে ব্যস্ত রয়েছে।

নোকিয়া কি অ্যান্ড্রয়েড ফোন তৈরি করবে?

দেখুন বর্তমান সময়ে মানুষ অনেক আপডেট হয়েছে। মানুষ যখন এন্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করে। আর বিষয় গুলো সম্পর্কে নোকিয়া বেশ ভালোভাবেই জানে।

কিন্তু নোকিয়া কোম্পানি সঠিক ভাবে পরিচালিত না হওয়ার কারণে। তারা অন্যান্য মোবাইল কোম্পানি গুলোর তুলনায় অনেক বেশি পিছিয়ে পড়েছে।

তবে নোকিয়া এখন বাটন ফোনের দিকে তেমন একটা গুরুত্ব না দিয়ে। অ্যান্ড্রয়েড স্মার্ট ফোন তৈরিতে অধিক পরিমাণে গুরুত্ব দিবে বলে জানা গেছে।

কেননা তারা এই ভুলটি বুঝতে পেরেছে যে। বাটন ফোনের উপর গুরুত্ব না দিয়ে যদি স্মার্টফোন এর উপর গুরুত্ব দেওয়া হতো।

তাহলে তাদেরকে আজ এই পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হত না। আর বর্তমান সময়ে যেন তারা আবার মার্কেটে ঘুরে দাঁড়াতে পারে।

সে কারণে নোকিয়া কোম্পানি থেকে ঘোষণা করা হয়েছে যে। নোকিয়া মোট তিন টি মডেলের টাচ স্ক্রিন স্মার্টফোন বাজারে ছাড়বে ।

এবং সেই তিনটি মডেল এর নাম হলো, নোকিয়া ৩ নোকিয়া ৫ নোকিয়া ৬. এবং তারা বিশ্বাসের সাথে বলেছে। যে এই নতুন মডেলের টাচ স্ক্রিন স্মার্টফোন গুলো ব্যবহারকারীদের কাছে অনেক বেশি ভালো লাগবে।

নোকিয়া সম্পর্কে আমাদের কিছু কথা

প্রিয় পাঠক, আপনি যদি নোকিয়া মোবাইল কোম্পানি কে অনেক পছন্দ করে থাকেন। তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক বেশি প্রয়োজনীয়।

কারণ আজকের আর্টিকেলে আমি নোকিয়া কোম্পানি সম্পর্কে বিভিন্ন অজানা বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

যেমন আজকের এই আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারবেন যে, নোকিয়া কোন দেশের কোম্পানি। নোকিয়া কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা কে। এবং নোকিয়া ভবিষ্যতে মোবাইল তৈরি করবে কি না।

তো আপনি যদি এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো জানতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে আজকের পুরো লেখা টি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।

এবং টেকনোলজি রিলেটেড অজানা বিষয় গুলো কে খুব সহজে জানতে হলে। অবশ্যই আপনাকে আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করতে হবে।

Leave a Comment