অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে ২০২৩: মোবাইল দিয়ে অনলাইনে আয় করতে চান, সেক্ষেত্রে এই মোবাইল ইনকাম গাইড আপনাকে ভালোভাবে অনুসরণ করতে হবে। এই পোস্টে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকামের উপায় এবং কিভাবে মোবাইলে টাকা আয় করা যায় তা নিয়ে আজকে এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আপনি যদি মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আপনাকে আজকে আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে । চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক আজকের আলোচনার মূল বিষয়।
টপিক সূচিঃ
মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায় কি?
মোবাইল দিয়ে টাকা আয়ের এখন বর্তমান সময়ে একাধিক উপায় রয়েছে। বিশেষ করে যা আপনি ভালো ভালো মানের একটি ফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে কিন্তু আপনি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম শুরু করতে পারেন। মোবাইল দিয়ে ইনকাম করার উপায় সমুহ নিচে ভালোভাবে আলোচনা করা হল:
- ইউটিউব ভিডিও তৈরী করে টাকা ইনকাম
- ব্লগিং করে আয়
- ফ্রিল্যান্সিং করে আয়
- ফটোগ্রাফ বা ভিডিও বিক্রি করে আয়
- অনলাইন টিউশন করে আয়
- ফেসবুক ই-কমার্স দ্বারা আয়
- রিসেলিং ব্যবসা করে আয়
- ইন্সটাগ্রাম থেকে আয়
- মাইক্রোওয়ার্ক সাইট থেকে টাকা আয়
- ইনভেস্টমেন্ট সাইট থেকে আয়
- ডেলিভারি সার্ভিস এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম
- ড্রাইভিং করে আয়
- টাকা ইনকাম করার অ্যাপস দিয়ে টাকা আয়
- মোবাইল দিয়ে বিকাশ থেকে ইনকাম করার উপায়
ইউটিউব ভিডিও তৈরী করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
আপনি যদি মোবাইল দিয়ে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চান তাহলে আপনার হাতের স্মার্টফোনটি কিন্তু অনেক বেশি শক্তিশালী হতে হবে। কারণ ভিডিও রেকর্ড থেকে শুরু করে এবং আপনার মোবাইল দিয়ে কিন্তু ভিডিও এডিট ও আপলোড পর্যন্ত সম্পূর্ণ এ টু জেড কাজগুলো শুধুমাত্র আপনার মোবাইল দিয়ে করা যায়।
মোবাইল দিয়ে ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করে গুগল অ্যাডসেন্স প্রোগ্রামে যোগ দিয়ে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এছাড়াও, আপনার youtube চ্যানেলে যদি অনেক বেশি সংখ্যক সাবস্ক্রাইবার থাকে, তবে আপনি স্পন্সর করা ভিডিও করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এখন আপনার প্রশ্ন হতে পারে যে কি কি বিষয়ে ইউটিউব ভিডিও তৈরি করলে ভালো হয়। ও কি কি বিষয়ে কনটেন্ট তৈরি করতে হবে, বর্তমানে ইউটিউবে সব ধরনের ভিডিও কন্টেন্টের চাহিদা এবং অনেক দর্শক রয়েছে। একটি নির্দিষ্ট বিষয় নির্বাচন করে মোবাইলে সেই বিষয়ে ভিডিও তৈরি করে যে কেউ মোবাইলে ইউটিউবের মাধ্যমে আয় করতে পারে।
ইউটিউব চ্যানেলে গুগল অ্যাডসেন্স যুক্ত করার এই প্রক্রিয়াটি ইউটিউব মনিটাইজেশন নামে পরিচিত। একটি YouTube চ্যানেল মনিটাইজ করতে আপনার যা প্রয়োজন হবে তা হল:
- মোট ১০০০ সাবস্ক্রাইবার
- বিগত ৩৬৫ দিনে ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম
উপরের উল্লিখিত দুটি শর্ত পূরণ হলেই ইউটিউব থেকে আয় শুরু হয়। আমি আগেই বলেছি, আপনার চ্যানেল যদি একটু সাবস্ক্রাইব সংখ্যা বেশি বাড়তে শুরু করে, তাহলে আপনি YouTube মনিটাইজেশনের পাশাপাশি বিভিন্ন স্পন্সরশিপ থেকেও আয় করতে পারবেন। এছাড়াও, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আয়ের আরও উপায় রয়েছে।
ব্লগিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
অনলাইনে লেখার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। সে কথা মাথায় রেখে আপনি আপনার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে একটি ব্লগ খুলতে পারেন। আপনি আপনার ব্লগে Google AdSense অনুমোদন পেলেই আয় শুরু হবে।
ব্লগিং শুরু করতে প্রথমে ব্লগার, ওয়ার্ডপ্রেস বা অন্য কোন ব্লগিং ওয়েবসাইট ব্যবহার করে আপনার ব্লগিং সাইট সেটআপ করুন। তারপর ধীরে ধীরে কন্টেন্ট পোস্ট করুন এবং ব্লগে পর্যাপ্ত মানসম্পন্ন কন্টেন্ট থাকলে গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করুন।
একবার Google AdSense অনুমোদিত হলে, আপনি আপনার ব্লগে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে তা আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ব্লগে স্পন্সর পোস্ট এবং অ্যাফিলিয়েট পোস্টিংয়ের মাধ্যমে আয়ের সুযোগও রয়েছে।
উল্লেখ্য, মোবাইল ব্লগিং এর মাধ্যমে আয় করার ক্ষেত্রে ব্লগের ডোমেইন এবং হোস্টিং এর জন্য প্রথমে কিছু টাকা খরচ হবে। আপনি যদি এই খরচগুলি বহন করতে অক্ষম হন তবে আপনি অন্য ব্লগে টাকার বিনিময়ের জন্য লিখতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
ফ্রিল্যান্সিং শুধু একটি নির্দিষ্ট কাজ নয়। কোনো প্রতিষ্ঠানের অধীনে না থেকে স্বাধীনভাবে নিজের দক্ষতা ব্যবহার করে টাকা ইনকাম করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলে। ফ্রিল্যান্সাররা বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে মোবাইলের মাধ্যমে প্রচুর টাকা ইনকাম করে।
আপনিও যদি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে চান, তাহলে আপনার কিছু দক্ষতা থাকতে হবে। একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি এক বা একাধিক কাজ করতে পারেন।
মোবাইল দিয়ে করা যায় এমন জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো তালিকা আপনাদের জন্য নিচে দেওয়া হল:
- ফোরাম পোস্টিং (Forum posting)
- ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট (Virtual Assistant)
- প্রুফরিডিং (Proofreading)
- প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন রাইটিং (Product Description Writing)
- কনটেন্ট রাইটিং (Content writing)
- ট্রান্সলেশন (translation)
- কপিরাইটিং (Copy writing)
- ব্লগ কমেন্টিং (Blog commenting)
- ট্রান্সক্রিপশন (Transcription), ইত্যাদি
ফটো ও ভিডিও বিক্রি করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
যদি আপনার ফোন ভালো ছবি তুলতে সক্ষম হয় এবং ফটোগ্রাফি সম্পর্কে আপনার ধারণা থাকে, তাহলে আপনি আপনার মোবাইল ফোনে তোলা ছবি বা ভিডিও বিক্রি করে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
হতে পারে ফটোগ্রাফি আপনার শখ, এই শখ ব্যবহার করে আপনিও মোবাইল দিয়ে আয় করতে পারেন। এখন বর্তমানে ইন্টারনেটে ছবি এবং ভিডিও বিক্রির জন্য অসংখ্য ওয়েবসাইট রয়েছে।
আপনাদের জন্য অনলাইনে এমন মোবাইল ফটোগ্রাফি ছবি বিক্রির কিছুর জনপ্রিয় ওয়েবসাইট বা সার্ভিস নিচে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করা হলো:
- স্ন্যাপওয়্যার (Snapware)
- শাটারস্টক (Shutterstock)
- ফোপ (fop)
- আইএম (Im)
- ড্রিমসটাইম (Dreamstime)
এসব সাইটে স্টক ছবি ছাড়াও প্রায় সব ধরনের ছবিই কেনা-বেচা হয়। আপনি যে ধরনের ছবি তুলুন না কেন, এই সাইটগুলিতে মোবাইল ফটো বিক্রি করে টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
অনলাইন টিউশন করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার কারণে অনলাইন শিক্ষার গুরুত্ব বাড়ছে। আপনি যদি কোনো বিষয়ে ভালো হন, তাহলে আপনি মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইনে অন্যদের শিখিয়ে আয় করতে পারেন।
অনলাইন টিউশনের পাশাপাশি, আপনি বিভিন্ন কোর্স তৈরি করতে পারেন, যা আয় করার জন্য বিক্রিও করা যেতে পারে। আপনি যে বিষয়ে দক্ষ সেই বিষয়ে পরামর্শক হিসাবে কাজ করেও ইনকাম করতে পারেন।
ধরুন আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং ভালো বোঝেন। সেক্ষেত্রে আপনার জন্য একাধিক আয়ের পথ খোলা আছে, তাও মোবাইল দিয়ে। প্রথমত আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা দিয়ে আয় করতে পারেন। তাহলে আপনি অনলাইনে অন্যদের ডিজিটাল মার্কেটিং শিখিয়েও আয় করতে পারবেন।
আরো দেখুন : ডিজিটাল মার্কেটিং কি ? এখানে কি কি শেখানো হয় ? কিভাবে শিখব
ফেসবুক ই-কমার্স দ্বারা মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
আগে ব্যবসা শুরু করা একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া ছিল। তবে ফেসবুক ব্যবহার করে ঘরে বসেই যেকোনো ধরনের অনলাইন ব্যবসা বা ই-কমার্স শুরু করা সম্ভব। দেশে ফেসবুকের অনেক ব্যবহারকারী রয়েছে। প্রতিটি ব্যবহারকারী ই-কমার্স ব্যবসায় আপনার গ্রাহক হতে পারে।
Facebook ব্যবহার করে একটি ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করতে আপনাকে কিছু পণ্য কিনতে বিনিয়োগ করতে হবে। তারপরে আপনার ফেসবুক ই-কমার্স পৃষ্ঠার ক্যাটালগে পণ্যটি যুক্ত করুন এবং বিক্রয় করা সম্ভব এমন জায়গায় শেয়ার করুন। ব্যবহারকারীরা ইচ্ছুক হলে, আপনার পণ্য বিক্রি হতে বেশি সময় লাগবে না।
বর্তমানে অনলাইনে কেনাকাটার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির কারণে ফেসবুকের অনলাইন শপ পেজ থেকে পণ্য কেনার হার ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এই সরবরাহের চাহিদা মাথায় রেখে, আপনি মোবাইল দিয়ে একটি অনলাইন ব্যবসা শুরু করেও টাকা ইনকাম করতে পারেন।
ফেসবুক মনিটাইজেশন দ্বারা মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
ইউটিউবের মতো ফেসবুকেও রয়েছে মনিটাইজেশন সুবিধা। ফেসবুক পেজ মনিটাইজ করা এবং পেজে পোস্ট করা ভিডিও থেকে আয় করা সম্ভব। ফেসবুক পেজ মনেটাইজ করতে আপনার যা যা করা প্রয়োজন হতে পারে। যেমন,
- গত ৬০ দিনের মধ্যে ৬০০,০০০ মিনিট ওয়াচ টাইম
- সর্বনিম্ন ৫টি একটিভ ফেসবুক ভিডিও
- ১০ হাজার পেজ ফলোয়ার।
আপনি Facebook এবং YouTube এর জন্য একই সামগ্রী তৈরি করতে পারেন এবং উভয় প্ল্যাটফর্মে আপলোড করতে পারেন। সেক্ষেত্রে সাফল্যের সম্ভাবনা বেশি।
Facebook থেকে আয়ের একাধিক মডেল রয়েছে, যেমন ইন-স্ট্রীম বিজ্ঞাপন, ফ্যান সাবস্ক্রিপশন, ব্র্যান্ডেড কন্টেন্ট এবং সাবস্ক্রিপশন গ্রুপ। যেহেতু ফেসবুকে ভিডিও শেয়ার করা খুব সহজে ভাইরাল করা যায়, তাই সময় দিলে ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন তুলনামূলকভাবে সহজ।
রিসেলিং ব্যবসা করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
রিসেলিং (Reselling) ব্যবসাকে সবচেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। ধরুন আপনি 50 টাকায় এক ডজন কলম কিনেছেন এবং 65 টাকায় বিক্রি করেছেন। আপনি যে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করবেন, সেটাই আপনার লাভ। এটি মূলত রিসেলিং বিজনেস মডেল।
আপনি একটি অনলাইন দোকান খুলতে এবং পণ্য তালিকা করতে পারেন। তারপর যখনই অর্ডার পাবেন, কম দামে পণ্য কিনে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেবেন। পুনঃবিক্রয় ব্যবসার সুবিধা হল যে আপনাকে পণ্য সংরক্ষণ করার জন্য কোন অর্থ ব্যয় করতে হবে না। আপনি শুধুমাত্র ফোন ব্যবহার করে বাড়িতে থেকে এই ব্যবসা করতে পারেন।
মোবাইল দিয়ে ইনস্টাগ্রাম থেকে টাকা আয় করুন
ইনস্টাগ্রাম শুধুমাত্র একটি ছবি বা ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম নয় এটি থেকে আয় করাও সম্ভব। ইনস্টাগ্রাম থেকে আয় করার একাধিক উপায় রয়েছে।
ইন্সটাগ্রাম থেকে যদি আপনি টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে আয় করার উপযোগী প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। যেমন,
- আপনাকে একটি ভালো এবং আকর্ষণীয় প্রোফাইল বায়ো তৈরী করুন
- আপনাকে নিয়মিত নির্দিষ্ট বিষয় এর আঙ্গিকে পোস্ট করতে হবে
- আপনার পোস্ট এর কোয়ালিটি বজায় রাখুন
- একই ধরনের অন্য প্রোফাইলের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করুন
- ফলোয়ারদের সাথে এনগেজমেন্ট স্থাপন করুন
আপনি যদি instagram থেকে টাকা ইনকাম করতে চান, এবং ইন্সটাগ্রাম থেকে টাকা আয় করতে আপনার যা যা দরকার হবে যেমন, একটি মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগের। ইন্সটাগ্রাম থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার কিছু সেরা উপায় হলো:
- স্পন্সরড পোস্ট করে
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে
- টাকার বিনিময়ে অন্যের একাউন্ট প্রোমোট করে
- নিজের প্রোডাক্ট বিক্রি করে, ইত্যাদি।
অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের মতো, ইনস্টাগ্রামে সামগ্রীর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আপনি যদি এই অন-ডিমান্ড কন্টেন্ট সরবরাহ করতে পারেন, তাহলে আপনার Instagram প্রোফাইল কিছু সময়ের মধ্যেই জনপ্রিয় এবং মনিটাইজেশন হয়ে যাবে।
মাইক্রোওয়ার্ক সাইট থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা আয়
কিছু সাইট সাধারণ কাজের জন্য অর্থ প্রদান করে যেমন পোস্ট শেয়ার করা, ভিডিও দেখা, মন্তব্য করা, অ্যাপ ইনস্টল করা ইত্যাদি। এই সাইটগুলোকে মাইক্রোওয়ার্ক সাইট বলা হয়। এই সাইটগুলির সুবিধা হল যে কেউ এই সাইটগুলি থেকে যেকোনো ডিভাইস এমনকি মোবাইল দিয়েও আয় করতে পারে। আপনাদের মাঝে বেশ কিছু জনপ্রিয় মাইক্রোওয়ার্ক সাইট হল:
- মাইক্রোওয়ার্কার্স (Microworkers)
- পিকোওয়ার্কার্স (Picoworkers) ইত্যাদি
ইনভেস্টমেন্ট বা ট্রেডিং সাইট থেকে মোবাইল দিয়ে ইনকাম
আমরা সবাই জানি যে ব্যাংক টাকা জমার বিনিময়ে সুদ দেয়। কিন্তু ব্যাংক থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ পেতে হলে বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হয়। এছাড়া অনেকে আগ্রহ থাকে এবং আবার অনেকেই অপছন্দ করেন। বিনিয়োগ সাইটগুলি বর্তমানে অর্থ বিনিয়োগের বিনিময়ে আপনাকে লাভের প্রস্তাব দিতে পারে।
অনেক ইনভেস্টমেন্ট সাইট থাকলেও অনেক ইনভেস্টমেন্ট সাইট প্রতারণার সম্ভাবনা লুকিয়ে রাখে। তাই যেকোন ইনভেস্টমেন্ট সাইটে যেকোন পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে সাইটটি আসলেও রিয়েল কিনা।
ডেলিভারি সার্ভিস এর মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে টাকা আয়
বাংলাদেশে অনলাইন শপিং মার্কেটপ্লেসের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার সাথে, ডেলিভারি পরিষেবা প্রদানের জন্য জনবলের প্রয়োজন বাড়ছে। যদি আপনার কাছে একটি সাইকেল বা একটি বাইক এবং একটি স্মার্টফোন হাতে থাকে, তাহলে আপনি ফুডপান্ডা, সহজ ফুডের মতো খাবার বিতরণ পরিষেবাগুলিতে যোগ দিতে পারেন।
আপনি এই ডেলিভারি পরিষেবাটি পার্ট-টাইম বা ফুল-টাইম করতে পারেন, আপনি যেভাবে চান।
ড্রাইভিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা আয়
সম্প্রতি দেশে রাইড শেয়ারিং সেবা যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক উন্নতি এনেছে। আপনার যদি একটি রাইড শেয়ারিং গাড়ি এবং একটি স্মার্টফোন থাকে তবে আপনি এখনই ইনকাম শুরু করতে পারেন।
পাঠাও, উবারের মতো রাইড শেয়ারিং সার্ভিসেও পার্টটাইম কাজ করা যায়। আপনি যদি আয়ের ভিন্ন উৎস খুঁজছেন, তাহলে আপনি রাইড শেয়ারিং পরিষেবার জন্য ড্রাইভিং করে মোবাইল থেকে আয় করতে পারেন।
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার অ্যাপস
এখন বর্তমান সময়ে মোবাইল দিয়ে আয় করার অনেক অ্যাপ রয়েছে। আপনি চাইলে এই অ্যাপস থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। আপনাদের জন্য আমি নিচে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার কিছু উল্লেখ্যোগ্য অ্যাপ সম্পর্কে আলোচনা করছি যেমন,
পোল পেঃ এই অ্যাপটি মূলত বিভিন্ন বিষয়ে ব্যবহারকারীর মতামতের জন্য টাকা প্রদান করে। এটি একটি মতামত এবং উত্তর পুরস্কারের অ্যাপ। অর্জিত ক্রেডিটগুলি Google Play, Netflix, Amazon, Xbox ইত্যাদির জন্য উপহার কার্ড হিসাবে খালাস করা যেতে পারে ৷ আপনি চাইলে এই উপহার কার্ডটি ব্যবহার করতে বা বিক্রি করতে পারেন ৷
গুগল অপিনিওন রিওয়ার্ডঃ মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকামের জন্য এই অ্যাপটি খুবই জনপ্রিয়। অ্যাপটি মূলত বিভিন্ন সার্ভে সম্পূর্ণ করার জন্য Google Play ক্রেডিট দেয়।
মোবাইল দিয়ে বিকাশ থেকে ইনকাম
হ্যাঁ, বিকাশ অফার থেকেও মোবাইলে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। উন্নয়ন থেকে টাকা ইনকাম করা খুব সহজ। মূলত বিকাশ অ্যাপ রেফার করে বিকাশ আয় করতে পারেন। বিকাশ অ্যাপ রেফার করে আপনি 100 টাকা পর্যন্ত বোনাস পেতে পারেন। আপনি যদি বিকাশ অ্যাপ দিয়ে মোবাইলে ইনকাম করতে চান, তাহলে আপনাকে যে কাজগুলি করতে হবে তা যেমন,
- বিকাশ অ্যাপে প্রবেশ করে ডানদিকের বিকাশ লোগোতে ক্লিক করুন
- ‘রেফার বিকাশ অ্যাপ’ অপশন থেকে ‘রেফার’ এ ক্লিক করুন
এসএমএস, ই-মেইল, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো ইত্যাদির মতো যেকোনো মাধ্যমে অ্যাপের লিংক শেয়ার করুন।
রেফারেল লিংক ব্যবহার করে, যে কেউ তার জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি তুলে বিকাশ অ্যাপে অ্যাকাউন্টে লগ ইন করবেন, তিনি তাৎক্ষণিক 25 টাকা বোনাস পাবেন।
এর পরে, বিকাশ অ্যাপ থেকে প্রথমবার রিচার্জ বা ক্যাশ আউট করলে তিনি আরও 25 টাকা ক্যাশব্যাক বোনাস পাবেন। গ্রাহক মোট বোনাস পাবেন 50 টাকা।
আজকের আলোচনার উপরের উল্লেখিত মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ইনকাম করার সেরা কয়েকটি উপায়ের মধ্যে কোনটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে? তা আপনি আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন এবং আপনার বন্ধুবান্ধবদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন ধন্যবাদ।