অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা বেশি | কোনটি আপনি করবেন?

আসসালামু আলাইকুম আপনারা সবাই কেমন আছেন আশা করি ভালই আছেন। অনেকেই আছেন যারা অনলাইনে কাজ করতে আগ্রহী বা কোন কাজের ঠিক নির্দেশনা পাচ্ছেন না কোন কাজটি ভালো হবে তা আজ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।

যারা অনলাইন এ কাজ করতে আগ্রহী বা অনলাইনে ইনকাম করতে চান তাদের অনেকের ভিতর একটি কমন প্রশ্ন হচ্ছে, অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা বেশি। কোন কাজ আমাদের করলে ভালো হবে ইত্যাদি?

আজকে আমি আপনাদের বলব অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা বেশি, চলুন তাহলে আর কথা না বলে শুরু করা যাক আজকের আলোচনার মূল বিষয়:

অনলাইনে-কোন-কাজের-চাহিদা-বেশি

অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা বেশি । কোনটি আপনি করবেন?

#১. গ্রাফিক ডিজাইন

গ্রাফিক ডিজাইন কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন ছবি ও প্রাণী বা যেকোনো কিছুর ডিজাইন করাকে গ্রাফিক ডিজাইন বলে।

বর্তমানে, অনলাইন মার্কেটপ্লেসে গ্রাফিক ডিজাইনের প্রয়োজনীয়তা ক্রমাগত বাড়ছে এবং গ্রাফিক ডিজাইনারদের আয়ও বাড়ছে।

কিভাবে গ্রাফিক ডিজাইন শিখবেন, গ্রাফিক ডিজাইনে কত টাকা আয় করবেন, গ্রাফিক ডিজাইনে কোথায় কাজ করবেন।

এই সমস্ত বিষয় বিবরণ গুলো আপনাকে অবশ্যই অবশ্যই জানতে হবে, তা না হলে আপনি কখনই একজন ভাল গ্রাফিক ডিজাইনার হতে পারবেন না।

গ্রাফিক ডিজাইন কাকে বলে ?

কম্পিউটার বা ল্যাপটপের বিভিন্ন সফটওয়্যারের মাধ্যমে চিন্তা ও বিভিন্ন তথ্যের সাথে মিল রেখে দৃশ্য তৈরি বা আঁকার প্রক্রিয়াকে গ্রাফিক ডিজাইন বলে।

ফ্লায়ার, লোগো, বিজ্ঞাপন, পৃষ্ঠা-লেআউট, ব্রোশিওর, ম্যাগাজিন এবং অন্যান্য ডিজাইন বিভিন্ন সফটওয়্যার যেমন ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর, ইনডিজাইন, পাওয়ার পয়েন্ট এবং অন্যান্য সফটওয়্যার ব্যবহার করে তৈরি করা হয়।

গ্রাফিক ডিজাইন সফটওয়্যারের সঠিক ব্যবহার জানা থাকলে খুব সুন্দর ভাবে গ্রাফিক ডিজাইনের মাধ্যমে আপনার ভাবনা প্রকাশ করা সম্ভব।

তাই আমরা জানি গ্রাফিক ডিজাইন কি এবং গ্রাফিক ডিজাইন দিয়ে কি করা যায়।

গ্রাফিক ডিজাইন কেন শিখবো ?

অনেকেই প্রশ্ন করেন গ্রাফিক ডিজাইন কেন শিখব। এর কারণ হল যে বাজারে গ্রাফিক ডিজাইনের ক্রমবর্ধমান চাহিদা রয়েছে।

কারণ এখন সব ধরনের কাজেই গ্রাফিক ডিজাইনের প্রয়োজন হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক অর্থনীতির সকল কার্যক্রমে বিভিন্ন ধরনের ব্যানার এবং গ্রাফিক ডিজাইনের প্রয়োজন হয়।

ডিজাইনের প্রতি আপনার মন ভালো থাকলে গ্রাফিক ডিজাইনে মনোযোগ দিতে পারেন।

বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে জানা যায় যে গ্রাফিক ডিজাইনের অবস্থান বর্তমানে দুই নম্বরে এবং সেইসব আন্তর্জাতিক ও জাতীয় মার্কেটপ্লেসে গ্রাফিক ডিজাইনারের জন্য ক্রমাগত চাকরির পোস্টিং রয়েছে।

#২. ওয়েব ডিজাইন এন্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্ট

নতুন ওয়েবসাইট এবং নতুন ওয়েব ডিজাইন এবং ওয়েব ডেভেলপারদের জন্য একটি ক্রমাগত প্রয়োজন আছে,

বলা বাহুল্য, আপনি যদি একজন ওয়েব ডিজাইনার বা ওয়েব ডেভেলপার হতে পারেন, তাহলে আপনি অনলাইনে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ওয়েব ডিজাইন এন্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি ?

ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্টের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে, তবে তাদের কাজ এবং কাজের ধরন অনুসারে ভাগ করা যেতে পারে।

আপনার বোঝার সুবিধার্থে, ওয়েব ডিজাইন কী এবং ওয়েব ডেভেলপার কী তা নীচে আলাদাভাবে বলা হয়েছে।

ওয়েব ডিজাইন কি?

কোন ওয়েবসাইটের ডিজাইন কেমন হবে বা কালার কি হবে, ডিজাইনে কতগুলো ছবি থাকবে, বিষয়বস্তু কিভাবে সাজানো হবে

অথবা একটি ওয়েবসাইটের ফিনিশড ডিজাইন কেমন হবে তা একজন ওয়েব ডিজাইনার করে থাকেন। আর যারা এই ওয়েব ডিজাইনের কাজ করেন তাদের বলা হয় ওয়েব ডিজাইনার।

আর যারা ওয়েবসাইট ডিজাইন করেন তাদের বলা হয় ফ্রন্ট-এন্ড ওয়েব ডেভেলপার।

একটি ওয়েবসাইটের প্রাথমিক কাঠামো তৈরি করার জন্য একটি ফ্রন্ট-এন্ড ওয়েব ডেভেলপার অবশ্যই প্রয়োজন।

একজন ওয়েব ডিজাইনার অর্থাৎ ফ্রন্ট এন্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্টের আজকের মার্কেটপ্লেসে অনেক বেশি চাহিদা রয়েছে।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি ?

একটি ওয়েবসাইটের গঠন বা ডিজাইনের পরে, ওয়েবসাইটটিকে বিকাশের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়াশীল বা গতিশীল হতে হবে।

আর বিভিন্ন পেজের এডমিন ও মেম্বাররা কিভাবে মুভ করবে বা কোন উপায়ে কি কি কাজগুলো করবে। সকালের কাজগুলো একজন ওয়েব ডেভেলপার দ্বারা করা হয়।

একজন ওয়েব ডেভেলপার সহজেই ওয়েব সাইটের বিভিন্ন বাগ খুঁজে বের করতে পারেন এবং ওয়েব ডেভেলপারই তা ঠিক করার জন্য যথেষ্ট।

এবং আপনার ওয়েবসাইটকে আরও সুন্দর দেখাতে এবং বিভিন্ন নতুন ফাংশন যোগ করার জন্য ওয়েব ডেভেলপারদের অনেক বেশি প্রয়োজন।

আর যারা ওয়েব-ডেভেলপমেন্টের কাজ করে তাদের বলা হয় ব্যাক-এন্ড ডেভেলপার।

ওয়েব ডিজাইন এন্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কেন শিখবো ?

প্রতিদিন হাজার হাজার নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করা হচ্ছে এবং তাদের ওয়েব ডিজাইনার এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট প্রয়োজন।

তথ্য প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে, ব্যবসা থেকে শিক্ষা পর্যন্ত সব ধরনের কাজের জন্য প্রায়শই ওয়েবসাইটগুলির প্রয়োজন হয়।

সংক্ষেপে, লোকেদের আরও পরিচিত করতে ওয়েবসাইটে তাদের নিজস্ব ব্যবসায়িক সংস্থার প্রয়োজন।

আর আপনি যদি একজন ওয়েব ডিজাইনার হন এবং ভালোভাবে ডেভেলপমেন্ট শিখেন তাহলে মার্কেটপ্লেস সহ অন্যান্য উপায়ে অনলাইনে আয় করতে পারবেন।

#৪. আর্টিকেল রাইটিং

প্রযুক্তির এই যুগে, অনেক ধরনের লোকেরা ব্লগিং বা ওয়েবসাইটের জন্য ক্রমাগত পোস্ট লেখকদের সন্ধান করছে। আপনি যদি ভালো আর্টিকেল লিখতে পারেন তাহলে অনলাইনে আয় করতে পারবেন।

কিন্তু আর্টিকেল বা ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তু লেখার আগে অবশ্যই এসইও সম্পর্কে একটু ধারণা থাকতে হবে।

আপনি যদি ইংরেজিতে ভালো লিখতে পারেন তাহলে ইংরেজিতে বিভিন্ন কনটেন্ট লিখে আয় করতে পারবেন।

আবার বাংলায় লিখতে পারলে বাংলায় লিখে বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা ব্লগের মালিক থেকে আয় করতে পারবেন।

এমনকি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট রয়েছে যারা পোস্ট লেখকদের জন্য নিয়মিত চাকরির পোস্ট করে, আপনি সেই ওয়েবসাইটগুলিতে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে তাদের সাথে ডিল করে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

আর্টিকেল রাইটিং কি

আমরা যদি কোন কিছু সম্পর্কে না জানি বা আমরা এটি সম্পর্কে না শুনি, তাহলে সম্ভবত আমরা যা করি তা হল গুগলে টেক্সট বা প্রশ্ন লিখি এবং সার্চ বাটনে ক্লিক করার পর আমরা অসংখ্য ফলাফল পাই।

তারপর যখন আপনি কোনো ওয়েবসাইটে ক্লিক করেন এবং তথ্য বা উত্তর পান, তখন তাকে বলা হয় বিষয়বস্তু বা কনটেন্ট।

আর যারা আর্টিকেল লেখেন অর্থাৎ আপনি যদি আর্টিকেল লেখেন তাহলে আপনাকে লেখক বলা হয় রাইটার এবং আপনি যে কন্টেন্ট লেখেন তাকে আর্টিকেল রাইটিং বলা হয়।

কেন আর্টিকেল এর চাহিদা বেশি কেন?

সহজ কথায়, প্রতিটি ওয়েবসাইট বা ব্লগের অবশ্যই একটি পোস্ট থাকতে হবে, কারণ একটি পোস্ট ছাড়া, কোনও ওয়েবসাইট বা ব্লগ কখনই Google এবং তারা যাই বলুক না কেন লোকেদের কাছে পরিচিত হবে না।

একজন ওয়েবসাইটের মালিক ক্রমাগত তার ব্লগ সাইটের জন্য আর্টিকেল রাইটার খুঁজছেন, অর্থাৎ, তিনি তার ওয়েবসাইটে যত বেশি আর্টিকেল লিখে পোস্ট প্রকাশ করবেন, তত বেশি দর্শক পাবে।

আর যেকোন ওয়েবসাইট বা ব্লগের ভিজিটর আশা মানে সেই ওয়েবসাইটের র‌্যাঙ্কিং বাড়বে এবং আয়ের পরিমাণও বাড়বে।

আপনি যদি ইংরেজি ভাষায় একজন ভাল বিশেষজ্ঞ হন, আপনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বাজারে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন এবং ইংরেজিতে বিষয়বস্তু বা পোস্ট লিখে আয় করতে পারেন।

কিন্তু ইংরেজি ভালো না বুঝলে, বাংলায় লিখতে চাইলে বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ ও ওয়েবসাইটের মালিকের সঙ্গে লেনদেন করে কনটেন্ট রাইটিং লিখে আয় করতে পারেন।

#৫. এসইও এক্সপার্ট

আপনি অনলাইনে যাই করুন না কেন, যদি আপনার এসইও সম্পর্কে কিছু জ্ঞান না থাকে, তাহলে আপনি দ্রুত সফল হতে পারবেন না।

হতে পারে আপনি লিখুন বা একটি অনলাইন ব্যবসা চালান বা একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইটের জন্য কাজ করুন।

আপনি যেই এসইও করুন না কেন আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে বা আপনার সাইটটি সবার সামনে পাওয়ার জন্য এসইও বিকল্প নেই।

আপনি যদি নিজেকে একজন বিশেষজ্ঞ তৈরি করতে পারেন তবে আপনি অনলাইনে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারেন কারণ প্রতিটি কাজের জন্য এসইও প্রয়োজন।

এসইও কি

এসইও এর পূর্ণ অর্থ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। সার্চ ইঞ্জিন বলতে আমরা বুঝি তিনটি প্রধান সার্চ ইঞ্জিন ওয়েবসাইট গুগল, ইয়াহু এবং বিং।

আরও অনেক সার্চ ইঞ্জিন আছে কিন্তু এই তিনটি সার্চ ইঞ্জিন তাদের অধিকাংশের চেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।

বেশিরভাগ সময় ডিজিটাল মার্কেটাররা অন্যান্য ব্লগ সাইটের মালিকদের সাথে তাদের ব্লগ বা ব্যবসাকে অপ্টিমাইজ করে বিভিন্ন উপায়ে তাদের ওয়েবসাইটে গুগল সার্চকে টার্গেট করে।

যাতে তাদের ওয়েবসাইট বা ব্লগ এবং অন্যান্য ব্যবসার বিষয়বস্তু সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পৃষ্ঠায় থাকে প্রথম পৃষ্ঠায় থাকা মানে তাদের ব্যবসা এবং ব্লগ সাইটে ভিজিটর পাওয়া।

সহজ কথায়, আপনার ওয়েবসাইট বা ব্যবসাকে গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পৃষ্ঠায় টার্গেট করে নিয়ে আসাকে SEO অপটিমাইজেশন বা SEO বলে।

এসইও কেন শিখবেন ?

আপনার যদি নিজস্ব ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইট বা কোনো ব্যবসায়িক ওয়েবসাইট থাকে। তাহলে আপনি খুব সহজেই গুগল র‍্যাঙ্ক আনতে পারবেন।

বাকিটা আপনি বুঝবেন কি করতে হবে বা কিভাবে আপনার ওয়েবসাইটকে ভালো করা যায়।

আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মালিকদের সাথে চুক্তির বিনিময়ে তাদের ওয়েবসাইটে SEO করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। এতে করে আপনি কোথায় প্র্যাকটিস করবেন।

মুলত আপনি যদি ভালো কিছু শিখতে পারেন তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন এবং আপনার উপর অন্য কারো চাপ থাকবে না আপনি নিজের ঘরে থেকে আয় করতে পারবেন।

#৬. ডিজিটাল মার্কেটিং

আধুনিকতার ছোঁয়ায় সবকিছুই মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছেছে এবং এখন মানুষ ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করে।

আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হবে যাতে আপনার পণ্য এইভাবে কেনা-বেচা না হয় এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য অনেক লোক নিয়োগ করে।

আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর একজন সদস্য হন তবে অবশ্যই এই কাজটি আপনার ক্যারিয়ারের একটি অংশ হতে পারে।

অন্যান্য কাজের পাশাপাশি আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় করতে পারেন এবং বাজারের চাহিদা ব্যাপক।

ডিজিটাল মার্কেটিং কী ?

ডিজিটাল মার্কেটিং হল বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেস বা সোশ্যাল মিডিয়ায় পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের প্রচার, অর্থাৎ অনলাইনে কোনো কিছুর প্রচার করাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে।

যেহেতু মানুষ দোকানে বা বাজারে গিয়ে তাদের পণ্য বাজারজাত করছে। অনলাইন মার্কেটিংকে বলা হয় ডিজিটাল মার্কেটিং।

তাই বিজ্ঞাপন প্রচারে আপনার ভালো অভিজ্ঞতা থাকলে ডিজিটাল মার্কেটিং হতে পারে আপনার আয়ের উপায়।

আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং কি বা কিভাবে করতে হয় সে সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে জানতে চাইলে সেখান থেকে আমার অন্য আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।

কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করবেন বা কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করবেন বিস্তারিত জানতে পারবেন।

#৭. ইমেইল মার্কেটিং

আজকাল, ইমেল মার্কেটিং একটি জনপ্রিয় মাধ্যম কারণ এটি নির্দিষ্ট লোকেদের কাছে নির্দিষ্ট পণ্য অফার করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

অর্থাৎ, আপনি শুধুমাত্র ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার মার্কেটিং উপাদান মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন।

আপনি যদি ভালোভাবে ইমেইল মার্কেটিং করতে পারেন তাহলে অনলাইনে খুব সহজেই ভালো টাকা আয় করতে পারবেন।

তবে এর জন্য আপনার বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার নেই, আপনার যদি ইমেইল মার্কেটিং সম্পর্কে জ্ঞান থাকে তাহলে আপনি ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন এবং মার্কেটপ্লেসে ইমেইল মার্কেটিং এর চাহিদা অনেক বেশি।

ইমেইল মার্কেটিং কি

সহজ কথায়, ইমেইলের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পণ্যের প্রচারকে ইমেইল মার্কেটিং বলে।

অর্থাৎ নির্দিষ্ট পণ্যের প্রচার সম্পর্কে একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে অবহিত করতে হবে। একে ইমেইল মার্কেটিং বলে।

ইমেল মার্কেটিং ক্রমাগত জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে কারণ এইভাবে লক্ষ্যবস্তুদের প্রচারের মাধ্যমে পণ্য সম্পর্কে সহজেই অবহিত করা যায়।

অতএব, আপনি যদি অনলাইন থেকে আয় করতে আগ্রহী হন, তাহলে আপনি ইমেইল মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় করতে পারেন।

#৮. ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিট্যান্ট (Virtual Assistants)

আধুনিকতার এই যুগে মানুষ প্রতিনিয়ত অনলাইনে যাচ্ছে এবং অনলাইনের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসাও বাড়ছে।

একজন ব্যক্তি কখনই তার ব্যবসাকে একা সমর্থন করতে পারে না, তাই একজন ভার্চুয়াল সহকারীর প্রয়োজন।

আপনি যদি চান ভার্চুয়াল সহকারী চাকরির মাধ্যমে বাড়ি থেকে কাজটি করতে পারেন এবং শুধুমাত্র অনলাইনের মাধ্যমে মাস শেষে ভাল পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ভার্চুয়াল অ্যাসিট্যান্ট কি

সহজ ভাষায়, ভার্চুয়াল সহকারী এমন একটি জিনিস যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের অনলাইন শপ, ফেসবুক পেজ এবং অন্যান্যকে সমর্থন করে।

অর্থাৎ তিনি বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বা করেন। হতে পারে কারো একটি হোস্টিং ডোমেইন সম্পর্কিত ওয়েবসাইট আছে এবং চুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের গ্রাহক সহায়তা প্রদান করে।

ওয়েবসাইটের মালিক আপনাকে একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সব ধরণের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য ছেড়ে দিয়েছেন।

যেখানে বিভিন্ন ধরণের ফোরাম মন্তব্য বা ব্লগের উত্তর দেওয়া হয় বা বিভিন্ন ধরণের ফেসবুক গ্রুপ বা ফেসবুক পেজের মালিকরা বিভিন্ন ধরণের প্রচারের লিঙ্কগুলি শেয়ার করে এবং এগুলোকে ভার্চুয়াল সহকারী বলা হয়।

#৯. সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট

আজকাল সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট অনলাইন কাজের একটি বড় অংশ হয়ে উঠেছে। একটি সফ্টওয়্যার ডেভেলপমেন্ট মানের অনেক বেশি চাহিদা আছে,

কারণ সরকার থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য সফটওয়্যার ডেভেলপারদের প্রয়োজন হয়। অনলাইনে সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকা চাকরিগুলির মধ্যে একটি।

আপনার ভবিষ্যত ক্যারিয়ার হিসাবে সফ্টওয়্যার development অবশ্যই একটি যৌক্তিক কাজ হবে কারণ সফ্টওয়্যার ডেভলপমেন্ট ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট কি ?

সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কি? সাধারনত বলতে শোনা যায়, অনেকেই এত সুন্দর সুন্দর ছবি এডিট করেছেন এবং সফটওয়্যার দিয়ে কি করেছেন।

আপনি কি মনে করেন যে এই সফ্টওয়্যারগুলি একা তৈরি করা হয়? অবশ্যই, আপনার এবং আমার মতো লোকেরা এই সমস্ত লোকেরাই সফটার ডেভেলপমেন্ট করে থাকে।

এমনকি কম্পিউটারসহ বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যারও মানুষ তৈরি করে এবং যারা এই সফটওয়্যারগুলো তৈরি করে তাদের বলা হয় সফটওয়্যার ডেভেলপার।

আপনি যদি একজন ভালো মানের সফটওয়্যার ডেভেলপার হন, তাহলে আপনাকে অবশ্যই আপনার কাজের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না।

আপনি যখন কাজ পেতে শুরু করবেন, আপনি দেখতে পাবেন কীভাবে আপনার কাছে সুবিধা আসতে শুরু করে অর্থাৎ আপনি তার ডেভলপমেন্টের মাধ্যমে আরও অনেক বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

#১০. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

এফিলিয়েট মার্কেটিং অনলাইনে টাকা ইনকামের অন্যতম কারণ, আপনি যত বেশি মার্কেটিং করতে পারবেন।

অর্থাৎ আপনি যত বেশি পণ্য বিক্রি করতে পারবেন, তত বেশি আয় করতে পারবেন।

মার্কেটিং প্রধানত আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের মাধ্যমে করা যেতে পারে অথবা আপনি ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে এটি করতে পারেন এবং আপনি এটি বিভিন্ন উপায়ে করতে পারেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং মূলত একটি কমিশন ভিত্তিক অনলাইন আয় মানে আপনাকে একটি ওয়েবসাইট থেকে একটি নির্দিষ্ট পণ্য নির্বাচন করতে হবে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং লিঙ্ক পেতে আপনাকে অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে এবং সেই ওয়েবসাইটের মালিক আপনাকে একটি লিঙ্ক প্রদান করবেন।

যদি কোন গ্রাহক আপনার লিঙ্ক থেকে কিছু কেনেন তাহলে ক্রয় কমিশন আপনার অ্যাকাউন্টে জমা হবে এবং এভাবে আপনি যত বেশি বিক্রি করবেন তত বেশি আয় করতে পারবেন।

আমাদের শেষ কথা,

আমাদের এই ব্লগ সাইটটি মূলত অনলাইন আয়ের বিস্তারিত এবং সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায় আলোচনা করার জন্য।

আপনি কি আজ খুঁজে পেয়েছেন যে, অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা বেশি ?

এই লেখাটি সম্পর্কে আপনার কোন মতামত বা পরামর্শ থাকলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আমরা আপনার মন্তব্য মূল্যায়ন করব এবং সেই অনুযায়ী উত্তর দেব।

অনলাইন আয় এবং অন্যান্য পোস্ট সম্পর্কে আরও অনেক পোস্ট পড়তে নিয়মিত আমাদের সাইটে যান।

এবং আপনি যদি এই পোস্টটি পছন্দ করেন বা আপনার বন্ধুকে রেফার করতে চান, তবে অবশ্যই এই পোস্টটির লিঙ্কটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।

যাতে আপনার বন্ধু উপকৃত হতে পারে কিভাবে বা কি কাজ অনলাইনে দ্রুত ইনকাম করা যায়। ধন্যবাদ ?

Leave a Comment