সঠিকভাবে বাংলা দরখাস্ত লেখার নিয়ম – দরখাস্ত লেখার নিয়ম ও নমুনা

সঠিকভাবে বাংলা দরখাস্ত লেখার নিয়ম – আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কোনো না কোনো কাজে দরখাস্ত লেখার প্রয়োজন পড়ে। তবে আমরা অনেকেই সঠিকভাবে বাংলা দরখাস্ত লেখার নিয়ম জানিনা।

যার ফলে আমাদের বিভিন্ন অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। দরখাস্ত এর ইতিকথা সৃষ্টি থেকেই প্রচলিত হয়ে আসছে।

প্রাচীন ইতিহাস দেখলে জানা যাবে, বিভিন্ন ভাষায় বিভিন্ন ধরনের আবেদন পত্র এর উৎসব খুঁজে পাওয়া যাবে। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাকে সঠিকভাবে বাংলা দরখাস্ত লেখার নিয়ম এবং নমুনা জানিয়ে দেব।

সঠিকভাবে বাংলা দরখাস্ত লেখার নিয়ম - দরখাস্ত লেখার নিয়ম ও নমুনা
সঠিকভাবে বাংলা দরখাস্ত লেখার নিয়ম – দরখাস্ত লেখার নিয়ম ও নমুনা

আবেদন পত্র বা দরখাস্ত কিভাবে লেখবো ?

দরখাস্ত বা আবেদন পত্র লেখার বিভিন্ন ফরমেট রয়েছে। মানুষের প্রয়োজন অনুযায়ী দরখাস্ত লিখেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য- চাকরির দরখাস্ত, অফিসে বিশেষ প্রয়োজনে দরখাস্ত, অফিসে এবং স্কুল-কলেজে ছুটির দরখাস্ত ইত্যাদি বিষয়ে মানুষ আবেদন পত্র লিখেন।

বাংলায় যত ধরনের দরখাস্ত থাকুক না কেন। আপনি যদি সঠিকভাবে একটি দরখাস্ত লেখার নিয়ম জানতে পারেন তাহলে আপনি যেকোনো ধরনের দরখাস্ত লিখতে পারবেন একই নিয়ম।

সঠিকভাবে বাংলা দরখাস্ত লেখার নিয়ম

বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির কল্যাণে এখন আপনারা চাইলে যে কোন সময় দরখাস্ত লেখার সঠিক নিয়মকানুন জেনে নিতে পারবেন গুগলে সার্চ করে।

তাই আপনাদের সুবিধার্থে আমাদের এই ওয়েবসাইটে সঠিকভাবে বাংলা দরখাস্ত লেখার নিয়ম নিয়ে হাজির হয়েছে। তো চলুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে সঠিকভাবে বাংলায় দরখাস্ত লেখা যায়।

আপনি যদি বাংলায় দরখাস্ত লিখতে চান তাহলে দরখাস্ত লেখার নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম আছে। সে নিয়মগুলোর কোন একটি বাদ দেওয়া সম্ভব হবে না।

আপনি যেকোন দরখাস্ত লেখেন না কেন? দরখাস্ত লেখার সময় আপনাকে নিচে দেয়া নিয়মগুলো অনুসরণ করে দরখাস্ত লিখতে হবে। যেমন-

  • দরখাস্তের সঠিক তারিখ লিখতে হবে।
  • প্রাপক, যার কাছে দরখাস্ত লিখবেন তার নাম, পদবী এবং ঠিকানা লিখবেন।
  • আবেদনের সুন্দর একটি বিষয় লিখবেন।
  • জনাব, স্যার, ম্যাডাম, সম্ভাষণ ইত্যাদি যুক্ত করবেন।
  • আবেদনের বিষয়ে গঠনমূলক বর্ণনা করবেন।

উপরে দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী দরখাস্ত লিখতে পারেন। তাহলে সঠিকভাবে বাংলায় দরখাস্ত লিখে ফেলতে পারবেন। তো চলুন এখন জেনে নেয়া যাক বাংলায় দরখাস্ত লেখার নিয়ম ও নমুনা সম্পর্কে।

দরখাস্ত লেখার নিয়ম ও নমুনা

যেকোনো কাজের ধরন অনুযায়ী বাংলা দরখাস্ত লেখার নিয়ম ভিন্ন হয়ে থাকে। কেউ চেষ্টা করলে সব ধরনের দরখাস্ত নমুনা একসাথে শেয়ার করতে পারবে না।

কিন্তু দরখাস্ত লেখার ফরমেট একই ধরনের। তারপরও সকলের সুবিধার জন্য, বেশি ব্যবহার হওয়ার দরখাস্তের নমুনা এখানে শেয়ার করব। যা অনুসরণ করলে আপনারা সহজেই বাংলা দরখাস্ত লিখে ফেলতে পারবেন।

বোনের বিয়ের জন্য ছুটির আবেদন

তারিখ : ৩১/০১/২০২৫ ইং
বরাবর,
প্রধান শিক্ষক,
……………… উচ্চ বিদ্যালয়।

বিষয়ঃ বোনের বিবাহ অনুষ্ঠানের জন্য ছুটির আবেদন।

জনাব,

সবিনয় নিবেদন এই যে, আমি আপনার বিদ্যালয়ের নিয়মিত একজন শিক্ষার্থী। আমি নবম শ্রেণীর একজন ছাত্র। আমার ক্লাস রোল – ০১। আগামী ০২/০২/২০২৫ ইং তারিখে আমার বড় বোনের বিবাহ উদযাপন হতে যাচ্ছে।

এমতাবস্থায়, আমি আগামী ০১/০২/২০২৫ ইং তারিখ হতে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে পারবো না। তাই আপনার নিকট একখানা আবেদন করিলাম।

অতএব, মহোদয়ের সমীপে আকুল আবেদন এই যে, আমার বড় বোনের বিবাহ আগামী ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সালে উদযাপন হতে যাচ্ছে। তাই আমাকে আগামী ০১/০২/২০২৪ ইং হতে ০৩/০২/২০২৫ ইং পর্যন্ত তিন দিনের ছুটি মঞ্জুর করে বাধিত করবেন।

নিবেদক
আপনার একান্ত অনুগত ছাত্র
আবেদনকারীর নাম
নবম শ্রেণী
রোল নং – ০১।

অফিসিয়াল ছুটির আবেদন [অনুপস্থিতির জন্য দরখাস্ত]

তারিখ : ৩১/০১/২০২৫ খ্রিঃ

বরাবর,
ব্যবস্থাপক,
ডাচ বাংলা ব্যাংক লিঃ,
………………………..।

বিষয়ঃ অনুপস্থিতির জন্য ছুটির আবেদন

মহোদয়,

যথাবিহিত সম্মান প্রদর্শনপূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী আপনার অধীনস্থ ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, …………. শাখা, ………… এর একজন সিনিয়র অফিসার। আমার শারীরিক অসুস্থতার জন্য গত ২৫/০১/২০২৫ ইং হেত ৩০/০১/২০২৫ ইং পর্যন্ত মোট ০৬ (ছয়) দিন অফিসে উপস্থিত থাকতে পারিনি।

অতএব, মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন, আমার অসুস্থতা জনিত বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিতে বিবেচনা করে অনুপস্থিতিকালে ০৬ (ছয়) দিন ছুটি মঞ্জুর করতে আপনার সদয় মর্জি হয়।

নিবেদক

আপনার বিশ্বস্ত/ একান্ত বাধ্যগত

আবেদনকারীর নাম

সিনিয়র অফিসার

ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড।

চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম

তারিখ : ৩১/০১/২০২৫ ইং
বরাবর,
সভাপতি,
……………….।
ঢাকা, বাংলাদেশ।

বিষয়ঃ কম্পিউটার অপারেটর পদের জন্য আবেদন।

জনাব,

বিনীত নিবেদন এই যে, আমি গত ২৫/০১/২০২৫ ইং তারিখে দৈনিক যায়যায়দিন, অনলাইন ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে, “কম্পিউটার অপারেটর পদে” আপনার প্রতিষ্ঠানে একজন লোক নিয়োগ করা হবে। আমি উক্ত পদের জন্য একজন আগ্রহী প্রার্থী হিসেবে আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা সহ সকল আনুষঙ্গিক তথ্যাদি মহোদয়ের নিকট উপস্থাপন করিলাম।

০১। নামঃ
০২। পিতার নামঃ
০৩। মাতার নামঃ
০৪। বর্তমান ঠিকানাঃ গ্রাম: …, ডাকঘর: …, উপজেলা: …, জেলা: …।
০৫। স্থায়ী ঠিকানাঃ গ্রাম: …, ডাকঘর: …, উপজেলা: …, জেলা: …।
০৬। জন্ম তারিখঃ ০১/০১/১৯৯০ ইং
০৭। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশি
০৮। ধর্মঃ ইসলাম

০৯। শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ

পরীক্ষার নাম বোর্ডের নাম পাশের সাল প্রাপ্ত গ্রেড
এস.এস.সি ঢাকা ২০১০ জিপিএ- ৪.০০
এইচ.এস.সি ঢাকা ২০১২ জিপিএ- ৪.৪০
অনার্স ঢাকা ২০১৬ প্রথম শ্রেণী
এম.এস.সি ঢাকা ২০১৮ প্রথম শ্রেণী

অতএব, ব মধু সমীপে আকুল আবেদন এই যে, আমাকে আপনার প্রতিষ্ঠানে “কম্পিউটার অপারেটর” হিসেবে নিয়োগ পেতে আপনার সু-আজ্ঞা হয়।

সংযুক্তঃ

  • ০২ কপি পাসপোর্ট সাইজ এর রঙিন ছবি।
  • সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র এর ফটো-কপি।
  • চেয়ারম্যান কর্তৃক নাগরিকত্বের সনদ পত্র।

নিবেদক

আপনার স্নেহময়

আবেদনকারীর নাম

মোবাইল নাম্বার

টিন সার্টিফিকেট তৈরী এবং টিন সার্টিফিকেট ডাউনলোড করার উপায়

শেষ কথাঃ

আপনারা যারা সঠিক ভাবে বাংলা দরখাস্ত লেখার নিয়ম জানতে চেয়েছেন। তাদের সুবিধার জন্য আমরা এখানে স্কুল- কলেজ, অফিস এবং চাকরির জন্য দরখাস্ত লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে দিয়েছি।

এখন উক্ত দরখাস্ত লেখার নিয়ম ও নমুনা অনুযায়ী আপনার প্রয়োজনীয় আবেদন পত্র লিখে নিন।

ধন্যবাদ।

Leave a Comment