বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন, আশা করি নিশ্চয়ই ভাল আছেন, বরাবরের মত এবারও আপনাদের মাঝে আরেকটি নতুন আর্টিকেল নিয়ে হাজির হয়েছি । আজকের আর্টিকেলের মূল বিষয় হলো মোবাইল প্রসেসর কি ? (What Is a Processor in Mobile) ?
এখন বর্তমান সময়ে আমরা অনেকেই স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকি, আমরা কিছু কিছু লোকের মুখে বা নিজেদের আশেপাশে প্রতিবেশীদের মুখে অনেকবার শোনা যায় যে,তাদের অনেকের মোবাইলে 2 GHz প্রসেসর আছে বা তার চেয়ে আরো অনেকের মোবাইলে বলে থাকে তাদের মোবাইল ফোনে dual core, octa core বা quad core প্রসেসর আছে।
এবং তাই তারা দাবি করে থাকে যে তাদের মোবাইল সবার থেকে অনেক ভালো এবং ফাস্ট। কি ? এমন কথা অনেকেই বলে তাইতো শোনা যায়?
তখন আপনিও হয়তো তাদের কথা শুনে ভাবেন যে, মোবাইল প্রসেসর কি বা মোবাইলে এই প্রসেসর টি দ্বারা কি কাজ হয় এবং মোবাইল প্রসেসর কাকে বলে, প্রসেসরের কাজ কি, বা কেন মোবাইল প্রসেসর ভালো হলে মোবাইল ফোন ফাস্ট কাম করবে এবং ব্যাটারির চার্জ কম খাবে।
কারণে এ ধরনেরপ্রশ্ন আপনার মনে আসাটা অনেকটাই স্বাভাবিক এবং এগুলো প্রশ্নের উত্তর আমরা নিচে আপনাদের স্টেপ বাই স্টেপ জানাবো।
বন্ধুরা, একটা বিষয় ভালোভাবে মনে রাখবেন যে, আপনি যদি মার্কেট থেকে একটি নতুম মোবাইল কিনতে যাচ্ছেন, তাহলে অবশ্যই অবশ্যই যে কাজটি আপনি প্রথমে দেখে নিবেন তা হল মোবাইলের প্রসেসরের ব্যাপারে।
কারণ আপনাদেরকে আমি আগেই যা বলেছিলাম তা হল, ভাল প্রসেসর দেখে মোবাইল কিনলে আপনার মোবাইল ফাস্ট কাজ করা, ভালো প্রসেসরের কারণে মোবাইল হ্যাং (hang) হয় না, মোবাইল গরম হয়ে যায় না এবং ভালো প্রসেসরের কারণে আপনার মোবাইল ব্যাটারী চার্জ বেশিক্ষন চলে এগুলো সবটাই ডিফেন্স করে মোবাইলের প্রসেসরের ওপরে।
তাই অবশ্যই আপনি প্রসেসরের দিকে ভালো নজর দিবেন?
আর, আপনি যদি আপনার প্রিয় মোবাইল কেনার সময় আপনি প্রসেসরের ওপরে মনোযোগ বা খেয়াল না দেন, তাহলে দেখা যাবে হয়তো আপনার কেনা নতুন স্মার্টফোন আপনাকে অসন্তুষ্ট করতে পারে।
আপনি যদি মোবাইল প্রসেসরের বিষয়ে খেয়াল না দেন তাহলে আপনার মোবাইল স্লো হবে, মোবাইল বেশি বেশি গরম হবে, আপনার মোবাইলের চার্জ বেশি খাবে আর এরকম অনেক অনেক ধরণের সমস্যাতে আপনি পড়তে পারেন।
কারণ, একটা মোবাইলের সবটাই ডিফেন্স করে মোবাইলের processor এর ওপরে নির্ভর।
টপিক সূচিঃ
মোবাইল প্রসেসর কি ? (Mobile processor details in Bangla)
যেমন, একটা ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে CPU কাজ করার জন্য একটি প্রসেসর থাকে, ঠিক তেমনি ভাবে মোবাইল ডিভাইস কাজ করার জন্য একটি প্রসেসরের প্রয়োজন হয়।
মোবাইলে প্রসেসর কি ? কোন মোবাইল প্রসেসর ভালো
মোবাইল প্রসেসর হল আপনার মোবাইলের বোর্ডে লেগে থাকা ছোট্ট একটি চিপ (chip) যে মোবাইলে সব ধরণের বড় এবং ছোট কাজ করার জন্য সবচেয়ে গুর্রুতপূর্ণ ভূমিকা গুলো ভালোভাবে পালন করে।
যদি আপনাদেরকে সোজাসুজিভাবে বলি তাহলে এইটা আপনার মোবাইলের brain এর মতো যে কোন সব ধরনেক ছোট বড় কাজ করে থাকে শুরু করে, যেমন video দেখা, বড় বড় গেম খেলা পাবজি, ফ্রী ফায়ার ইত্যাদি , ইন্টারনেট ব্যবহার করা এবং প্রয়োজনীয় কাজগুলো করা, গান শোনা সহ আরো ইত্যাদি বিষয় করতে মোবাইলকে সাহায্য করে।
কারণ মোবাইলে একটি ভালো প্রসেসর না থাকলে তাহলে আপনার মোবাইলে প্রয়োজনীয় কাজ গুলো করা কখনো সম্ভব হবেনা।
বিশেষ করে আর তাই, যখন আপনার মোবাইলের প্রসেসর যদি ভালো না হয় তাহলে তখন আপনার মোবাইলে সব ধরণের কাজ করতে অনেক বেশি অসুবিধা হবে।
যেমন আপনার মোবাইল স্লো হবে, মোবাইল হ্যাং হবে, মাঝে মাঝে মোবাইল গরম হবে এবং অনেক জল্দি মোবাইলে ব্যাটারী চার্জ শেষ হয়ে যাবে।
কারণ, যা আমি আপনাদেরকে অনেক আগেই বললাম এই ধরনের কাজ গুলি মোবাইলের প্রসেসরের দ্বারা ভালোভাবে সম্পন্ন হয়।
তাই, মোবাইলের প্রসেসর ভালো না হলে এ ধরনের কাজগুলি আপনার মোবাইল ভালোভাবে করতে কখনোই পারবেনা এবং আপনার কাজে অনেক ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে।
আপনার মোবাইলে যতটা ভালো এবং ফাস্ট প্রসেসর থাকবে ততটাই আপনার মোবাইল smooth এবং fast ভাবে আপনি নিজের হাতে থাকা স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারবেন বা তাতে আপনার মোবাইল দিয়ে ভালো ভালো গেম গুলো খেলতে পারবেন।
যদি কোন কারণ বশত আপনার মোবাইল বেশি বেশি গরম হচ্ছে, এবং আপনার মোবাইল hang বা lag হচ্ছে, মাঝে মাঝে মোবাইল স্লো কাজ করছে কিংবা আপনার মোবাইল চালানোর সময় অনেক ব্যাটারী ব্যবহার হচ্ছে,তাহলে তখন আপনি বুঝাযাবেন যে আপনার মোবাইল ফোনে ভালো কোন প্রসেসর লাগানো নেই।
কারণ, এগুলো সমস্যা দেখা দেয় বিশেষকরে একটি ছোট এবং কমজোর এবং কম ক্ষমতার প্রসেসরের সংকেত।
মোবাইলের প্রসেসর কত রকমের ?
বন্ধুরা, হয়তো আপনি জানেন না যে, আপনার স্মার্টফোনে (smartphone) প্রসেসর অনেক রকমের থাকতে পারে। তা আপনাকে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে আপনার মোবাইলে কি ধরনের প্রসেসর রয়েছে।
এদের মধ্যে রয়েছে কিছু অনেকটাই ফাস্ট এবং আবার কিছু রয়েছে মোটামোটি ভালো এবং কিছু আবার একদম স্লো।
কোরের (Core) এর সংখ্যার পার্থক্য
মোবাইলে প্রসেসর বিশেষ করে ৪ রকমের হয়ে থাকে।
- ডুয়াল কোর (dual core).
- কোয়াড কোর (quad core).
- হেক্সা কোর (hexa core). এবং
- অক্টা কোর (octa core).
বন্ধুরা, এই ৪ ধরনের প্রসেসরে একটি সাধারণ পার্থক্য আছে মূলত সেটা হলো, সবটিতেই কিন্তু কোরের (core) সংখ্যা আলাদা আলাদা।
যেমন, ডুয়াল কোরে দুইটা কোর থাকে, কোয়াড কোরে ৪ টা, হেক্সা কোরে ৬ তা আর অক্টা কোর প্রসেসরে ৮ টা কোর থাকে।
এবং তা আপনি ভালোভাবে মনে রাখবেন, আপনার প্রসেসরে কোরের সংখ্যা যতটাই বেশি হবে, তার কাজ করার বিষয়টা অনেক শক্তিও বেশি হবে।
এবং আপনার মোবাইল ফাস্ট কাজ করবে এবং আপনার ফোন বেশি গরম হওয়া, মোবাইল হ্যাং হওয়া, মোবাইল ব্যাটারির বেশি চার্জ খাওয়া এগুলি অসুবিধা আপনি কখনোই পাবেননা।
কারণ, প্রসেসরে এক একটা কোর একটা হাথের মতো।
তাই, মোবাইল প্রসেসরে কোর (core) যতটাই থাকবে ঠিক সে ততটাই হাথের শক্তি দিয়ে ভালোভাবে কাজ গুলো তা করতে পারবে এবং তাতে তার performance (কার্যক্ষমতা) গুলো অনেক অনেক ভালো হবে।
বন্ধুরা, তাহলে, যদি আপনি কোন কারণবশত মার্কেটে গিয়ে আপনার স্বপ্নের নতুন মোবাইল কিনতে চাচ্ছেন, তাহলে অবশই অবশ্যই আপনাকে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে মোবাইলে কত কোরের প্রসেসর লাগানো আছে তা অবশই মনোযোগ সহকারে ধ্যান দিবেন।
অক্টা কোর বা কোয়াড কোর থাকাটা আপনার মোবাইলের জন্য কিন্তু অনেকটাই বেশি ভালো হবে।
Note : আপনি কাউকে জিজ্ঞেস না করা ছাড়াও আপনি মোবাইল সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে পারবেন, মোবাইল ফোনে কোন প্রসেসর লাগানো আছে, সেটা কিভাবে জানবেন তা হল আপনি মোবাইলের বাক্সর পেছনে “specification” অংশতে মোবাইলে সম্পর্কে ভালোভাবে দেখতে পারবেন।
আবার অনেক সময় দেয়ার সময় না থাকলে সেগুলো না দেখেও আপনি সরাসরি যে মোবাইল মার্কেটে গিয়ে কিনতে চাচ্ছেন সেই মোবাইলের মডেল নম্বর দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ করুন আপনি সেই মোবাইলের বিষয়ে সকল স্পেসিফিকেশন সবটাই ভালোভাবে তা আপনি জানতে পারবেন।
কোম্পানির (Company) পার্থক্য
Core বা কোরের বাইরেও কিন্তু দেখা যায় মোবাইল প্রসেসর আলাদা আলাদা কোম্পানির ওপরেও তা কিন্তু ভাগ করা যেতে পারে।
মানে তা হল, ৪ টি মূল এবং সবচেয়ে ভালো কোম্পানি আছে যারা মোবাইলের processor manufacture করেন। যেমন,
- MediaTek
- Samsung / Exynos
- Qualcomm / snapdragon
- Nvidia
কিন্তু সেগুলো আলাদা আলাদা মোবাইল কোম্পানি ওপরে দেয়া এই ৪ টি কোম্পানির বানানো প্রসেসর ব্যবহার করে থাকে।
GHz (frequency) এর পার্থক্য
কিন্তু আবার এর বাইরেও, processor এ GHz এর ওপরেও পার্থক্য থাকে। কিছু, ১ GHz, ১.৫ GHz বা কিছু ২ GHz এর বা তার থেকে আরো অনেক বেশিও থাকে।
বন্ধুরা তাই আপনি মনে রাখবেন, যত বেশি GHz এর সংখ্যা বেশি হবে, ঠিক ততটাই আপনার mobile processor ফাস্ট (fast) হবে এবং তার সবচেয়ে বেশি কার্যক্ষমতা অনেক হবে। একে আমরা frequency ও বলতে পারি।
সাধারণে ১.৫ GHz এর বা ২ GHz বা তার থেকে বেশি GHz এর প্রসেসর ভালো কাজ করে থাকে।
তাই মোবাইল কেনার সময় এতে করে থাকা প্রসেসরের GHz speed এর মনোযোগ বা ধ্যান রাখবেন।
আরও দেখুন..
- Android মোবাইলকে কম্পিউটারের মতন বানানোর সহজ উপায়
- অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ফ্রি লাইভ টিভি কিভাবে দেখবেন ? (৪টি ফ্রি Apps)
- ভিডিও গান এবং সিনেমা (Movies) ডাউনলোড করার ওয়েবসাইট ( ৩ টি )
কোন মোবাইল প্রসেসর ভালো ? (Best and fast mobile processor)
এখন আরেকটা কথা হলো, মোবাইলে কিন্তু অনেক ধরনের প্রসেসর লাগানো থাকতে পারে।
এদের মধ্যে থেকে আপনি কোনটি ভালো বা কোনটি ভালো কাজ করবে সেটা কিভাবে জানতে পারবেন।
তাহলে এর জবাব কিন্তু আমি এখন আপনাদের বলে দিবো।
প্রিয় বন্ধুরা, আমি আপনাদেরকে অনেক আগেই বলেছি যে আপনি যখন মার্কেটে গিয়ে ক্রয় করবেন তখন মোবাইল কেনার সময় সবসময় প্রসেসরের কোর কত সেটা আগে ভালোভাবে দেখবেন।
একটি মোবাইল ফোনে কোয়াড কোর, হেক্সা কোর বা অক্টা কোর প্রসেসর অবশই ভালো কাজ করে।
কারণ এগুলোতে কোরের সংখ্যা অনেক বেশি এবং তাই এরা ৪ গুন্, ছয় গুন্ এবং আট গুন্ শক্তি দিয়ে তা ভালোভাবে কাজ করতে পারে।
কিন্তু একটি ভালো মানের processor ১০০% কেবল কোরের ওপরেই নির্ভর করেনা।
আরো অনেক কিছু আছে যেগুলো দেখে আপনি অবশ্যই আপনার জন্য একটি ভালো মানের প্রসেসর সহ মোবাইল কিনে নিতে পারবেন।
সেগুলো বিষয় হলো:
Processor architecture (গঠন)
একটা কথা মনে রাখবেন যে প্রসেসরের আর্কিটেকচার বা গঠন বা ডিসাইন দেখাটা অনেক টা বেশি জরুরি।
যেমন, সব ধরণের electronic জিনিস অনেক সময়ে দেখা যায় সময়ে সময়ে অনেক বেশি উন্নত হতে থাকে ঠিক তেমন mobile processor গুলিও আস্তে আস্তে উন্নত হতে থাকে।
সেগুলির প্রসেসরের আকার আকৃতি গঠন এবং কাজ করার ক্ষমতা সব কিছু তা সময়ে সময়ে উন্নত এবং ভালো হতে থাকে।
তাই, অবশই আমাদেরকে ভালোভাবে মনে রাখতে হবে যে, যখনই আমরা মোবাইল কিনতে যাব বা কোনো মোবাইল কিনার চিন্তা-ভাবনা করব বোলে আমরা ভেবে থাকি তখন তাতে থাকা প্রসেসর latest architecture দ্বারা সম্পন্ন আছে কি না তা আমাদের মনোযোগ বা ধ্যান রাখতে হবে।
Processor যে latest architecture এর সেটা আপনি তা অনেক খুব সহজে ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।
এর জন্য আপনার প্রসেসরের cortex নাম্বার দেখতে হবে।
মোবাইল বক্সের পেছনে specification লিস্টে বা ইন্টারনেটে যদি আপনি মডেল নম্বর দিয়ে সার্চ করে কিন্তু আপনি মোবাইলের প্রসেসরের cortex নম্বরটি দেখুন।
যদি আপনার মোবাইলে প্রসেসরে ARM cortex A53 বা ARM cortex A57 লেখা থাকে তাহলে সেই প্রসেসর লেটেস্ট এবং উন্নত মানের প্রসেসর।
ARM cortex এর সংখ্যা যতটা বেশি হবে ঠিক ততটাই মোবাইল প্রসেসর architecture ততটাই latest বা উন্নত হবে।
প্রসেসরের প্রযুক্তি (Technology)
এখন বর্তমান সময়ে প্রসেসরের technology বা প্রযুক্তি অনেকটাই বেশি উন্নত হয়ে গেছে। বর্তমান সময়ে প্রসেসরে অনেক ছোট ছোট nano transistor লাগানো থাকে।
বর্তমান সময়ে যতটাই ছোট প্রসেসরের এই ট্রান্সিস্টার হয়ে গেছে ঠিক ততটাই ভালো এদের কাজ এবং ততটাই উন্নত এবং ফাস্ট এরা।
ট্রান্সিস্টার হল প্রসেসরের মধ্যে লেগে থাকা সেই ছোট ছোট micro chip (মাইক্রো চিপ). এই মাইক্রো চিপ গুলি যত আকারে বেশি ছোট হয় তত ফাস্ট আপনার মোবাইল কাজ করে, আপনার মোবাইল হ্যাং হয়না, এক সাথে কিন্তু তা সহজে অনেক কাজ গুলো ভালোভাবে করা যায়,
এবং high graphic গেমসগুলো ভালোভাবে খেলতে পারবেন এবং মোবাইল ব্যাটারির চার্জ কম খেয়ে অনেক কাজ গুলো আপনি করেনিতে পারবেন।
কারণ, ছোট transistor (ট্রান্সিস্টর) মানে হল latest technology এবং উন্নত প্রসেসর। তাই, এদের বর্তমান সময়ে দামি এবং ভালো smartphone এ অনেক ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
এখন বর্তমান সময়ে Samsung/exynos কোম্পানি সবথেকে ছোট ট্রান্সিস্টর থাকা প্রসেসর বানায় যাতে করে ১৪ nano miters এর micro chip থাকে।
এরপর, qualcomm বানায় ২০ ন্যানো মিটার এর মাইক্রো চিপের প্রসেসর।
শেষে, আবার MediaTek বানায় ২৬ এবং ২৮ ন্যানো মাইটার এর মাইক্রো চিপ থাকা প্রসেসর।
যদি তাই এগুলো বলতে গেলে Samsung/exynos কোম্পানি সবথেকে ভালো প্রযুক্তির (technology) মোবাইল প্রসেসর বানায় এবং এরপর qualcomm কোম্পানি।
তাই আপনি একটা বিষয় ভালোভাবে খেয়াল রাখবেন মোবাইলে থাকা প্রসেসরের কোম্পানি দেখে মোবাইল নেয়াটা অনেক জরুরি যদি আপনি একটি ভালো মানের প্রসেসর চান।
Processor frequency (ফ্রিকোয়েন্সি)
বন্ধুরা, এ সব ব্যাপারে আপনাদেরকে আমি ওপরে আগেই বলেছি। আপনার স্মার্টফোনে থাকা প্রসেসরের GHz বা frequency অবশই ১.৫ থেকে ২ GHz বা তার থেকে বেশি থাকাটা অনেক বেশি লাভজনক।
এতে করে আপনার মোবাইল দ্রুত গতিতে কাজ করবে এবং আপনার মোবাইল ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারবেন।
আমাদের কথা,
আমি আশা করি আপনি আমাদের আজকের এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারলেন মোবাইলের প্রসেসর কাকে বলে এবং কোন প্রসেসর ভালো।
আপনি যদি একটি ভালো মানের মোবাইল প্রসেসর চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই অবশ্যই মোবাইল কেনার আগে বা কেনার সময় মোবাইল ফোনে থাকা প্রসেসরের বিষয়টা অবশই ভালোভাবে জেনে নিবেন।
সেটা যাতে অবশ্যই কোয়াড কোর বা অক্টা কোরের হোক, তার frequency বা GHz যাতে থাকে ১.৫ থেকে বেশি থাকুক, Samsung বা MediaTek কোম্পানির হলে অনেক লাভজনক, প্রসেসরের cortex নম্বর যাতে ARM cortex A57 বা ARM cortex A53 থাকুক।
আপনি কিন্তু আমি যা বলেছি ঠিক এগুলো মনোযোগ বা ধ্যান রেখে যদি আপনি মোবাইল কিনেন তাহলে আপনার মোবাইল অনেক ভালো কাজ করবে, আপনার মোবাইল hang হবেনা, মোবাইল বেশি বেশি গরম হবেনা, আপনার মোবাইল ব্যাটারী চার্জ বেশি ব্যবহার হবেনা।
কারণ, এই ধরণের সম্যসা গুলো আপনার মোবাইল প্রসেসরের সাথে তা কিন্তু জড়িত থাকে। এবং মোবাইলের প্রসেসর ভালো হলে আপনার মোবাইল এগুলি সমস্যা দেখা দিবেনা।
আপনাদেরকে তাহলে বোঝাতে পারলাম মোবাইলে প্রসেসর কি এবং কোন প্রসেসর ভালো।
যদি মোবাইল প্রসেসর কি আপনার এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকে, তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন, ধন্যবাদ ।