ইন্টার্নশিপ কি? (what is internship in Bengali) ? আপনি ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিকেল, সাংবাদিকতা বা অন্যান্য যেকোনো Stream এর শিক্ষার্থী হয়ে থাকেননা কেন, আপনি যখন আপনার নিজের কলেজে পড়ালেখার সময়কালীন এই ইন্টার্নশিপ (Internship) শব্দটি হয়তো অবশ্যই শুনেছেন।
ইন্টার্নশিপ মানে কি এর সুবিধা ও লাভ
কলেজ কিংবা নিজের ডিগ্রী সম্পূর্ণ কমপ্লিট করার পরেই বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরাই এই Internship করার পথে এগিয়ে যান।
এরা অনেকেই বিশ্বাস করে থাকেন যে, ইন্টার্নশিপ এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে তারা নিজের ক্যারিয়ার অনেক উন্নতি তৈরি ক্ষেত্রে প্রচুর ভালো ভালো সুযোগ পেয়ে থাকবেন।
চলে গিয়েছে সেই দিনগুলি ও আগের সময়, যখন কোন একটি ভালো চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে কেবল ভালো ধরনের ডিগ্রির প্রয়োজন হতো।
বর্তমানে এখনকার দিনে ভালো ভালো ডিগ্রী প্রায় প্রত্যেকের কাছেই রয়েছে, তবে এখন বর্তমান সময়ে কাজের অভিজ্ঞতা কজনের কাছে আছে ?
বর্তমানে এখনের সময়ে ভালো চাকরি পেতে হলে ডিগ্রির সাথে সাথে আপনার ব্যক্তিত্ব (পার্সোনালিটি) আকর্ষণীয় হওয়া, ভালো যোগ্যতা ও ভালো যোগাযোগের দক্ষতা এবং কাজের অভিজ্ঞতা থাকা অন্তত বেশি জরুরি।
এছাড়াও, আপনি যেই ধরনের চাকরি করার কথা চিন্তাভাবনা করছেন সেই ধরনের সাথে জড়িত বিভিন্ন বিষয়ে আপনার জানা ও জ্ঞান এবং দক্ষতা (skills) জানা অবশ্যই থাকতে হবে।
একজন নতুন করে graduate হওয়া শিক্ষার্থী বা পড়াশোনা করতে থাকা অবস্থায় যেকোনো চাকরির (jobs) সাথে জড়িত বিষয়গুলো কিভাবে জানতে পারবেন ?
এখেত্রেই চলে আসছে internship (ইন্টার্নশীপ) এর ভূমিকা।
শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাকটিক্যাল ভাবে কাজ করে কাজের অভিজ্ঞতা, জ্ঞান ও দক্ষতা (skills) এবং নিজের যোগাযোগের দক্ষতা ভালোভাবে বৃদ্ধি করার উপায়ই হলো এই “internship”.
প্রিয় পাঠক, আপনি চিন্তা করবেননা, আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা, internship কি বা internship মানে কি (internship meaning in Bengali), ইন্টার্নশীপ এর প্রকার, internship এর বৈশিষ্ট্য এবং ইন্টার্নশিপ কিভাবে করবেন ? তা আপনাদের মাঝে বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি।
তাই আজকে আমাদের আর্টিকেল আপনাকে একদম শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে পড়তে হবে তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন ইন্টার্নশিপ কি?
টপিক সূচিঃ
ইন্টার্নশিপ কি – What Is Internship in Bengali ?
সরল এবং সোজা ভাবে বলতে গেলে internship এর মানে ভালোভাবে বুঝতে গেলে বলা যেতে পারে যে ইন্টার্নশিপ এটা হলো এক ধরণের প্রশিক্ষণ (training).
যেকোন কাজের ভালো অভিজ্ঞতা অর্জন করার উদ্দেশ্যে বা নিজের যোগ্যতা ভালোভাবে বৃদ্ধির ক্ষেত্রে, একটি সংগঠন (organization) এর মধ্যে যখন কোন ছাত্র-ছাত্রী বা একজন প্রশিক্ষণার্থী (trainee) হিসেবে কাজ করে থাকেন, তখন কিন্তু সেই কাজের সময়কাল টিকেই internship বলে হলে হয়।
ইন্টার্নশিপ এর ক্ষেত্রে অনেক সময় শিক্ষার্থীদের তাদের সেই কাজের বিপরীতে কোন ধরণের মাইনে (salary) দেওয়া হয়না।
আবার দেখা যায়, অনেক সময়ে কাজের বদলে শিক্ষার্থীদের কিছু সামান্য পরিমানে টাকা দেওয়া হয়ে থাকে।
ইন্টার্নশিপ এমনিতে অনেক কম সময় নিয়ে সীমিত সময়ের জন্য করা হয়ে থাকে।
যেমন, এক মাস থেকে ছয় মাস বা ১ বছরের মধ্যে internship এর কাজের সময় সীমা দেওয়া বা থেকে থাকে।
internship কে আমরা অনেকেই ভাবি এক ধরণের প্রফেশনাল শিক্ষার অভিজ্ঞতা (professional learning experience) বলেও আমরা বলতে পারি, যেখান থেকে আপনার বাছাই করা জীবনের ক্যারিয়ার বা আপনার কাজের সাথে জড়িত ব্যবহারিক কাজের অভিজ্ঞতা (practical work related experience) গ্রহণ করা সম্ভব।
ইন্টার্নশিপ এর মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী বা ট্রেইনী কর্ম জীবনের তার বিভিন্ন অভিজ্ঞতা গুলো অর্জন করে নতুন নতুন কৌশল গুলো ভালোভাবে শিখতে পারেন।
ইন্টার্নশিপ মানে কি – internship meaning in Bengali
ইন্টার্নশিপ এর মানে হল, “short-term work experience”.
মানে হচ্ছে, দেখা যায় অনেক কম সময়ের জন্য বা সীমিত সময়ের জন্য একটি সংগঠন, কোম্পানির জব বা কোন ফার্ম এর জন্য কাজ করে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করার প্রক্রিয়া।
শিক্ষার্থীরা মূলত internship করার ক্ষেত্রে অনেক বেশি আগ্রহী হয়ে থাকেন।
ইন্টার্নশিপ এর মাধ্যমে একটি বিশেষ career, industry বা field এর ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক বাস্তব কাজের অনুভব, অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা উন্নত করা সম্ভব।
এমন আরো অনেক কোর্স গুলো রয়েছে, যেগুলোর ক্ষেত্রে internship কিন্তু বাধ্যতা মূলক দেওয়া থাকে। যেমন, MBA, BBA , MBBS ইত্যাদির ক্ষেত্রে।
internship মূলত final year এর মধ্যে করতে বলা হয়।
ইন্টার্নশিপ করার পর, আপনাকে এই বিষয়ের একটি রিপোর্ট, মানে ফাইনাল internship রিপোর্ট বানিয়ে নিজের কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়-তে জমা করতে হয়।
আপনার internship রিপোর্ট এর মধ্যে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো ভালোভাবে উল্লেখ থাকতে হয়,
- আপনি কি কোন কোম্পানি বা সংগঠনের সাথে Internship করেছেন।
- সেই Internship এর মধ্যে আপনাকে কি কি কাজ দেওয়া হয়েছিল।
- আপনি সেখান থেকে কি কি শিখতে পেরেছেন ?
- কোম্পানি বা সংগঠনের দ্বারা দেওয়া সার্টিফিকেট দিতে হবে।
আপনার এই ইন্টার্নশিপ রিপোর্ট এর ওপর ভিক্তি করে আপনাকে মার্কস (marks) দেওয়া হবে।
তাহলে আপনি এখন হয়তো ভালো করে বুঝতেই পেরেছেন যে “ইন্টার্নশিপ কি“.
ইন্টার্নশিপ এর প্রকার – Types Of Internship
এখন আমরা নিচে Internship এর বিভিন্ন প্রকার গুলো কি কি এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি।
Paid Internships
Paid internship গুলো হচ্ছে মূলত private sector এবং large organization গুলোর মধ্যে থাকা বেশি দেখা যায়, যাদের কাছে শিক্ষার্থীদেরকে কাজ শেখার বিপরীতে টাকা দেওয়ার মতো টাকা থেকে থাকে।
ইন্টার্নশিপ করার বিপরীতে আপনার পারিশ্রমিক হিসেবে যেই টাকা আপনাকে দেওয়া হয় সেটাকে “stipend” বলে বলা হয়।
তবে একটা কথা মনে রাখবেন, Internship এর বিপরীতে দেওয়া এই stipend amount কিন্তু এতটা বেশি থাকেনা।
তবে, এই টাকা দিয়ে আপনি আপনার কিছু প্রয়োজনীয় সাধারণ হাত খরচ চালিয়ে নিতে পারবেন।
Unpaid Internship
এই ধরণের Internship এর থেকে আপনি অনেক বেশি কাজের অভিজ্ঞতা এবং সার্টিফিকেট সবটাই পেয়ে যাবেন,
তবে, এই Internship এর থেকে আপনি কোন ধরনের টাকা আয় করতে পারবেননা। মানে কোনো ধরণের stipend amount এখানে আপনাকে দেওয়া হবেনা।
যেহেতু এখানে টাকা দিতে হয়না, তাই শিক্ষার্থীদের দিয়ে কাজ করানোর ক্ষেত্রে এই ধরণের Internship গুলো উপলব্ধ থাকেই।
Unpaid internship গুলো আপনি মূলত Non – Profit Organisation (NGO) গুলোতে পেয়ে যাবেন।
এছাড়া আরো বিভিন্ন ব্যাক্তিগত প্রতিষ্ঠান গুলোতেও দেখা যায় এই ধরণের unpaid internship সহজে পাওয়া সম্ভব।
Summer Internships
এটা অনেক জনপ্রিয় একটি Internship এর প্রকার, কারণ এই ধরণের Internship গুলো গরমের বন্ধতে করা হয়ে থাকে।
এতে, স্টুডেন্টরা পড়াশোনার কোনো ধরণের চিন্তা না করেই এ ধরনের কাজের প্রাকটিক্যাল অভিজ্ঞতা নিতে পারেন।
এই ধরণের Internship পার্ট-টাইম বা ফুল-টাইম দুইভাবেই করা সম্ভব হয়,যেটা মূলত 2 থেকে 3 মাস পর্যন্ত চলতে পারে।
Work Research
এই ধরণের Internship মূলত final year এর স্টুডেন্টরা করে থাকেন।
এক্ষেত্রে, ইন্টার্ন (intern) এর একটাই মূল কাজ থেকে থাকে, তাকে সেই Company এর ওপরে ভালো করে রিসার্চ (research) করতে হয় যেখানে সে Internship করছেন।
রিসার্চ (research) করার পর আপনাকে একটি ভালো করে রিপোর্ট তৈরি করতে হয় যাকে বলা হয়, “Research report”.
Virtual Internship
এই ধরণের Internship ঘরে বসে বসে আপনি বা যেকোনো জায়গার থেকেই ইন্টার্নশিপ করতে পারবেন।
এই ধরনের Internship গুলোকে “remote internship” বলেও বলা হয়।
এগুলো মূলত বেশিরভাগ অনলাইনে ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে।
এক্ষেত্রে ফোন কল এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে কাজ গুলো ভালোভাবে সম্পন্ন করা হয়।
Internship করলে কি কি লাভ হবে ?
ইন্টার্নশিপ, আপনি যেই industry-তে বা job role নিয়ে কাজ শুরু করতে চাইছেন তার একটি দারুন পরিচয় হতে পারে।
কারণ, এর মাধ্যমে আপনি ফুলটাইম জব করার বা পাওয়ার আগেই নিজের পছন্দের কাজের বিষয়ে ভালো ভাবে জেনেনিতে পারছেন।
আপনার সেগুলো পছন্দের কাজে কি কি বিষয়, দক্ষতা, কৌশল, কাজের ভালো-মন্দ ভূমিকা ইত্যাদি জড়িত রয়েছে, সবটাই আপনি সঠিকভাবে জানতে পারছেন।
Internship এর মাধ্যমে আপনি নিজেকে নিজের future job বা career এর জন্যে প্রশিক্ষণ (training) দিয়ে আগের থেকে নিজেকে ভালোভাবে তৈরি করতে পারবেন।
তাই, Internship এর লাভ ও সুবিধা প্রচুর রয়েছে, যেগুলোর বিষয়ে আমরা নিচে আরো ভালো ভাবে আলোচনা করতে চলেছি।
১. কাজের অভিজ্ঞতা
শিক্ষার্থীদের জন্যে Internship করার মূল উদ্দেশ্যটি হল কাজের প্রতি ভালো অভিজ্ঞতা (job experience) অর্জন করা।
যদি আপনি কেবল মাত্র কলেজ বা ডিগ্ৰী শেষ করেছেন এবং পড়াশোনার পর প্রথম বারের জন্যে প্রাকটিক্যাল ভাবে কোন কাজ করতে চলেছেন,
তাহলে এখন পর্যন্ত কিন্তু আপনার কোন রকম কাজের এক্সপেরিয়েন্স নেই বলাই যাবে।
আর তাই, Internship এর মাধ্যমে আপনি আপনাকে নিজের মধ্যে থাকা এই সীমাবদ্ধতাটি ভালোভাবে পূর্ণ করতে পারছেন।
একটি ব্যবসাতে কিভাবে কাজ করে, টিম Management, মিটিং গুলোতে অংশ গ্রহণ, আপনাকে মিটিংয়ে যাওয়ার আগে দেওয়া কাজ গুলো সম্পূর্ণ করা,
সবটাই আপনাকে নিজের ফিল্ডে অধিক দক্ষ এবং অধিক অভিজ্ঞতা থাকা একজন প্রার্থী হিসেবে তৈরি করতে বেশি সাহায্য করবে।
২. কাজ পেতে সুবিধা
মনে রাখবেন, যখন আপনি Internship করছেন, তখন কিন্তু আপনি একটি বিশেষ বা নির্দিষ্ট ফিল্ডে প্রাকটিক্যাল ভাবে কাজ করে ভালো অভিজ্ঞতা অর্জন করছেন।
এক্ষেত্রে, আপনার আরো বেশি কাজের অভিজ্ঞতা অবশ্যই সেই প্রার্থীর থেকে বেশি থাকছে, যে কেবল ডিগ্রি বা গ্রাজুয়েশন বা নিজের ক্লেগ শেষ করে ইন্টারভিউ দিতে এসেছে।
তাই, একজন ফ্রেশ প্রার্থীর তুলনায় যেহেতু আপনার কাজের অভিজ্ঞতা একটু রয়েছে, তাই আপনাকেই সেই JOB দেওয়া হবে, এর সুযোগ প্রচুর অধিক থেকে যাচ্ছে।
৩. সুপারিশ
Internship করার সময় আপনার সুপার ভাইজার এবং পরামর্শদাতা দের সাথে যদি আপনি ভালো সম্পর্ক তৈরি করতে পারেন,
তাহলে সেই সম্পর্ক আপনাকে ভবিষ্যতে আরো ভালো ভালো ফুল-টাইম-চাকরি পেতে সাহায্য করতে পারে।
আপনি যত অধিক ভালো করে কঠোর পরিশ্রম করবেন, কাছে মনোযোগ দিবেন এবং পসিটিভ থেকে কাজ করবেন, আপনার ততই ভালো ছবি তৈরি হবে।
এতে, আপনি যেই Company তে ইন্টার্নশিপ করছেন সেই Company তে বা অন্যান্য Company তে থাকা বিভিন্ন open positions গুলোর জন্য আপনার রেফারেন্স দেওয়া হয়ে থাকে।
তাই, Internship এর মাধ্যমে একটি ভালো ফুল-টাইম চাকরি পাওয়াটা অনেক সহজ বিষয় হয়ে পরে।
৪. আত্মবিশ্বাস তৈরি হওয়া
আপনি আপনার নিজের পড়াশোনা শেষ করেই সাথে সাথে যদি একটি ফুল-টাইম চাকরি করতে চলেছেন,
তাহলে সেটা দেখা যায় অনেকের কাছেই excitement, anxiety, hope এবং ambition ইত্যাদির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, কলেজের পরেই ভালো চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দিতে গেলে আমাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস এর প্রচুর অভাব দেখা যায়।
যেহেতু, প্রাকটিক্যাল কাজের প্রতি বা বিষয়ে আমাদের কোন জ্ঞান থাকেনা তাই,
যখন আমরা কোন চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দেই দেখা যায় তখন ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় ভয় লাগা এবং আত্মবিশ্বাস না থাকা, এগুলো অনেক সাধারণ ব্যাপার যার জন্য আমরা চাকরি সময়ে পেতে পারিনা।
আর যখন আপনি কেবল কলেজ শেষ করেই শুরুতে কিছু মা সময়ে বা মাসের জন্যে কোনো কোম্পানিতে Internship করে থাকবেন,
তখন সেই Internship করা সময়ে আপনি সেই ধরনের কাজ শিখবেন এবং বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন কৌশল শিখবেন, যেগুলো তখন আপনার মধ্যে ধীরে ধীরে প্রচুর আত্মবিশ্বাস তৈরি করবে।
আর যদি আপনার মনে আত্মবিশ্বাস থাকে, ভবিষ্যতে আপনি আরো অনেক সহজেই ভালো ভালো কোম্পানিতে ইন্টারভিউ দিয়ে অধিক মাইনের সাথে ভালো চাকরি পেতে পারবেন।
৫. একটি শক্তিশালী রিজিউম
আপনি যখন কাজের সঠিক অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞান পাওয়ার পর আপনাকে নিজের একটি দারুন রিজিউম তৈরি করতে কোন ধরনের সমস্যা হবেনা।
তখন আপনি সততা এবং নির্দিষ্টতার সাথে নিজের একটি আকর্ষণীয় রিজিউম ভালোভাবে তৈরি করতে পারবেন।
তাই অবশই, Internship করার পর আপনি আপনার একটি শক্তিশালী রিজিউম তৈরি করার ভালো সুযোগ পেয়ে থাকেন।
ইন্টার্নশিপ এর মধ্যে আপনি কি কি কাজ শিখলেন ও দেখলেন এবং প্রজেক্ট গুলো সম্পূর্ণ করেছেন, সেগুলোর উল্লেখ করুন।
আপনি কোন কোন পসিশনে থেকে কাজ করেছেন এবং আপনি আরো কি কি নতুন কৌশল গুলো শিখেছেন, সবটা নিজের রেজিউমে যোগ করুন।
এতে করে, একজন ফ্রেশ প্রার্থীর তুলনায় আপনার রিজিউম আরো প্রচুর শক্তিশালী দেখাবে এবং আপনি সবার এবং প্রত্যেকের কাছে পছন্দের ব্যক্তি হয়ে দাঁড়াবেন।
৬. টাকা ইনকাম করার সুযোগ
যা আমরা ওপরে আলোচনা করলাম, পেইড Internship এর মাধ্যমে আমরা কিছু পরিমান টাকা অবশই ইনকাম করার সুযোগ পেয়ে থাকি। অবশই সেটা অনেক কম হলেও, তা থেকে কাজ শিখতে শিখতে কিছুটা ইনকাম করাটাও অনেক।
শেষ কথা,
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জানলাম “Internship কি (what is internship in Bengali)” এবং এর লাভ ও সুবিধা গুলো কি কি।
Internship অবশই আপনাকে নিজের ভালো ক্যারিয়ার এবং পছন্দের ফিল্ডে একটি দারুন চাকরি পেতে অনেক বেশি সাহায্য করে থাকে।
তাই, আপনি চেষ্টা করবেন যাতে নিজের ছাত্রজীবন শেষ করার পর বা ছাত্রজীবন এর সাথে সাথেই Internship এর মাধ্যমে কাজের অভিজ্ঞতা গুলো ও নতুন নতুন কাজের কৌশল গুলো ভালোভাবে শিখতে।
আশা করছি, ইন্টার্নশিপ নিয়ে লিখা আমাদের আজকের আর্টিকেল আপনার অনেক পছন্দ হয়েছে।
Internship এর বিষয়ে আপনার আরো অন্যান্য প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে নিচে কমেন্ট করে অবশই জানাবেন। ধন্যবাদ