বর্তমান সময়ের তরুণরা চাকরির পেছনে ছুটে ছুটে জীবন শেষ করে দিচ্ছে। কিন্তু আপনি পড়াশোনার পাশাপাশি এবং পড়াশোনা শেষ করে, নিজেকে একজন উদ্যোগে হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ব্যবসায়ী হতে পারে।
কারণ আমাদের বাংলাদেশে এমন কতগুলো ব্যবসা রয়েছে যেগুলো স্টুডেন্ট থাকা অবস্থায় সহজেই শুরু করা যায়।
তাই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে তরুণদের জন্য এমন কিছু ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে হাজির হয়েছি। যে ব্যবসাগুলোতে অল্প পরিমাণে ইনভেস্ট করে প্রচুর পরিমাণ টাকা লাভ করতে পারবেন।
তো আপনারা কোন ব্যবসা শুরু করার আগে, যে ব্যবসা করতে চান সে ব্যবসার সম্পূর্ণ আইডিয়া জেনে নিবেন। আমি আপনার কয়েকটি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া জানিয়ে দেবো।
এখন আপনি যদি তরুণদের জন্য ব্যবসা আইডিয়াগুলো সম্পন্ন জানতে চান। আমাদের লেখাটি শেষ পর্যন্ত ধৈর্য সহকারে পড়ুন।
টপিক সূচিঃ
তরুনদের জন্য ব্যবসা আইডিয়া – আপনিও শুরু করতে পারেন
স্টুডেন্ট থাকা অবস্থায় আপনি চাইলে অবসর সময়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। তরুণদের জন্য সবচেয়ে লাভজনক কয়েকটি ব্যবসার আইডিয়া এখানে উল্লেখ করা হবে।
উক্ত ব্যবসায় আইডিয়া গুলো নিয়ে, আপনার যদি সঠিকভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন। তাহলে ব্যবসা করে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন।
তো চলুন তরুণদের জন্য ব্যবসা আইডিয়া গুলো সম্পর্কে জেনে আসি।
অনলাইনে সিজনাল প্রডাক্ট বিক্রি করার ব্যবসা
বর্তমান সময়ে, অনেক স্টুডেন্ট রয়েছে যারা পড়াশোনার পাশাপাশি। অনলাইনে ব্যবসা করেন। তো অনলাইনে ব্যবসার মধ্যে আপনারা সব থেকে লাভজনক ব্যবসা হিসেবে সিজনাল প্রোডাক্ট নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
বিশেষ করে আপনার যদি ফেসবুক এবং ইনস্টাম পরিচালনা করার দক্ষতা থাকে তাহলে, সিজনাল প্রোডাক্ট গুলো সহজে বিক্রি করে, ইনকাম করতে পারবেন।
আপনারা অনলাইনের সিজনাল প্রডাক্ট হিসেবে শীতকালের বিভিন্ন পোশাক, শীতের খাবার এবং খেজুরের রস ইত্যাদি বিক্রি করতে পারেন। অন্যদিকে গরম সিজনে আপনারা ইলেকট্রনিক পাখা ইত্যাদি প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারেন।
আবার আপনার চাইলে রাজশাহী এবং পাবনা থেকে নিয়ে আসা সুস্বাদু আম সংগ্রহ করে সেগুলো অনলাইনে বিক্রি করতে পারবেন।
এছাড়া আপনি যদি সমুদ্র সৈকতের আশেপাশে বসবাস করেন। সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন জাতের সামুদ্রিক মাছ বিক্রির ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
আমরা উপরে অনলাইনে সিজনাল প্রোডাক্ট বিক্রির যে সকল আইডিয়া দিলাম এগুলো আপনারা সহজেই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুকের মাধ্যমে, কাস্টমারদের কাছে বিক্রি করতে পারবেন।
আপনার বিক্রি করার প্রোডাক্টগুলো কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পৌঁছে দিয়ে কাস্টমারের কাছে, টাকা সংগ্রহ করতে পারবেন। তাই আমি আশা করব আপনি যদি স্টুডেন্ট থাকাকালীন ব্যবসা পরিচালনা করতে চান, তাহলে অনলাইনে প্রডাক্ট বিক্রি করা শুরু করুন।
ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি তৈরি করে ব্যবসা
ইভেন ম্যানেজমেন্ট ব্যবসার সঙ্গে আমরা অনেকেই পরিচিত নয়। ইভেন ম্যানেজমেন্ট ব্যবসা হচ্ছে বিভিন্ন অনুষ্ঠান যেমন- বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠান, রাজনৈতিক অনুষ্ঠান, জন্মদিনের অনুষ্ঠান, বিভিন্ন পূজার উৎসব, ইফতার মাহফিল এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানের ম্যানেজমেন্ট এর দায়িত্ব পালন করাকেই ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট বলা হয়।
আপনারা চাইলে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট তৈরি করে বিভিন্ন কমিউনিটির সেন্টার সহ বড় বড় অনুষ্ঠান পরিচালনা করবার সুযোগ পাবেন। তো ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি তৈরি করতে চাইলে আপনার কয়েকজন জনবল প্রয়োজন হবে।
আপনি চাইলে আপনার বন্ধুবান্ধব তরুণদের নিয়ে একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি তৈরি করতে পারেন। যেখানে এ ধরনের এজেন্সির কাজ হবে অনুষ্ঠানগুলো সম্পূর্ণভাবে ম্যানেজ করা।
তথা যে কোন অনুষ্ঠানের সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পন্ন করা। বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি গুলোর অনেক চাহিদা রয়েছে।
ফুলের ব্যবসা
বাংলাদেশের তরুণদের জন্য আরও একটি জনপ্রিয় ব্যবসার আইডিয়া হল ফুলের ব্যবসা। বাংলাদেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সময় বিশেষ করে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান, বিয়ের অনুষ্ঠান, জন্মদিনের অনুষ্ঠান, বাংলাদেশের বিভিন্ন এবং আন্তর্জাতিক দিবসে ফুলের দরকার হয়।
এছাড়া অনেক মানুষ তাদের প্রিয় জনকে উপহার হিসেবে ফুল দেয়ার জন্য বিভিন্ন ফুলের দোকান থেকে ফুল ক্রয় করেন।
আপনি যদি অল্প পরিমাণের টাকা ইনভেস্ট করে ফুলের ব্যবসা শুরু করতে পারেন তাহলে অল্প সময়ের মধ্যে লাভজনক হতে পারবেন।
আর আপনি চাইলে, আপনার ব্যবহার করার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম অর্থাৎ ফেসবুক ব্যবহার করে, বিভিন্ন ধরনের ফল বিক্রি করার সুযোগ পাবেন।
আর আপনি যদি শহর এলাকায় বসবাস করেন সেক্ষেত্রে, শহরের গলিতে একটি ভ্যানে করে, ফুল বিক্রি করা শুরু করতে পারেন। আর যখন আপনি ভুল বিক্রি করে, মোটামুটি লাভজনক হতে পারবেন তখন একটি দোকান ভাড়া নিয়ে, সেখানে ফল বিক্রি করা শুরু করতে পারেন।
ক্যাটারিং ব্যবসা
ক্যাটারিং ব্যবসা বলতে বুঝানো হয় খাবার তৈরির ব্যবসা। আপনি কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য খাবার তৈরি করে পরিবেশন করবেন তখন তাকে ক্যাটারিং ব্যবসা বলা হবে।
বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ক্যাটারিং ব্যবসাগুলোর অনেক কম পরিমাণে প্রতিযোগিতা হয়।
তাই আপনি চাইলে অনেক সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি অফিস আদালত, বেচেলার ম্যাচ, গার্মেন্টস এবং কারখানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে, টাকার বিনিয়োগে খাবার বিতরণ করার সার্ভিস চালু করতে পারেন।
তো আপনার কাছে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণের টাকা থাকে। তাহলে কিছু পরিমাণের লোকবল নিয়োগ দিয়ে ক্যাটারিং ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
এই ব্যবসায়ী আপনার কাজ হবে কাস্টমারদের সুস্বাদু খাবার সার্ভিস প্রদান করেনা। আপনি এই ক্যাটারিং ব্যবসা নিয়ে কাজ করলে দ্রুত সময়ের মধ্যে লাভজনক হয়ে উঠতে পারবে।
শেষ কথা
সুপ্রিয় দর্শক এই ছিল আজকের আর্টিকেল তরুণদের জন্য লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে। তো আপনারা যারা অবসর সময় বসে রয়েছেন তারা চাইলে, পড়াশোনার পাশাপাশি বেকারত্ব দূর করার জন্য এই ধরনের ব্যবসাগুলো পরিচালনা করা শুরু করতে পারেন।
এছাড়া আমাদের এই ওয়েবসাইটে ইনভেস্ট করে, এবং ইনভেস্ট করা ছাড়া ব্যবসার আইডিয়া জানতে চাইলে, ভিজিট করুন।
ধন্যবাদ।