আমাদের বাংলাদেশের মানুষের প্রধান খাদ্য হলো ভাত। এখন এই প্রধান খাদ্য ধান ও চালের ব্যবসা শুরু করলে, ব্যবসায় লোকশান হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম।
কারণ এই খাদ্য মানুষের প্রতিদিন প্রয়োজন হয়। তো যাই হোক, আপনারা ধান চালের ব্যবসার চাহিদা বেশি থাকলেই হুটহাট করে শুরু করে দেবেন না।
কারণ আপনি ধানচালের ব্যবসা করুন বা অন্য কোন ব্যবসা করুন। যে ব্যবসা করেন না কেন? ব্যবসা করার আগে অবশ্যই ব্যবসার বিষয়ে সঠিক পরিকল্পনা এবং ব্যবসা সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিতে হবে।
কারণ আপনি যদি নির্দিষ্ট ব্যবসার সঠিক পরিকল্পনা না করতে পারেন। তাহলে কিন্তু ব্যবসার সহজ হওয়ার ক্ষেত্রেও আপনি ব্যবসায়ী অনেক লোশন করে ফেলবেন।
এক্ষেত্রে আপনি যদি ধান চালের ব্যবসা নিয়ে আগ্রহী থাকেন। তাহলে আপনারা নির্দিষ্ট টাকা ইনভেস্ট করে ব্যবসাটি শুরু করে দিতে পারেন।
তো ধান চালের ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন এ বিষয়ে জানতে, আমাদের লেখাটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করুন।
টপিক সূচিঃ
ধান চালের ব্যবসা আইডিয়া – কিভাবে ধান চালের ব্যবসা শুরু করবেন?
আমাদের বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী ভারত এর প্রধান খাদ্য হলো ভাত। তাই আপনি যদি এ ব্যবসাটি শুরু করেন তাহলে দ্রুত লাভজনক হয়ে উঠতে পারবেন।
আমি এখন আপনাদের ধান চালের ব্যবসা আইডিয়া দেয়ার পাশাপাশি। কিভাবে ধান চালের ব্যবসা শুরু করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
কিভাবে ধান চালের ব্যবসা শুরু করবেন?
বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের প্রতিদিনের খাদ্য হিসেবে চাল নিত্য প্রয়োজনীয় একটি পণ্য। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় ভাত থাকে। তাই চাল ছাড়া ভাত পাকানো সম্ভব নয়।
এক্ষেত্রে আপনারা ধান চালের ব্যবসা শুরু করতে চাইলে, প্রথমে ধান চাল সম্পর্কে ভালো ধারণা অর্জন করতে হবে।
বাজারে বিভিন্ন ধরনের ধান এবং চাল পাওয়া যায়। কোন ধরনের ধান এবং চাল এর চাহিদা বেশি সে বিষয়ে জানতে হবে। তারপর সব ধরনের চাল নিয়েই ব্যবসা কার্যক্রম শুরু করতে হবে। কারণ সব ধান এবং চালের দাম একই রকম নয়।
বর্তমান বাজারে দুই ধরনের চাল পাওয়া যায় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য-
- আতপ চাল।
- সিদ্ধ চাল।
আতপ চাল ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন পিঠা এবং পোলাও তৈরি। তে আর সিদ্ধ চাল ব্যবহার করা হয় ভাত রান্না করার জন্য। সিদ্ধ চালের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্রকার। তার মধ্যে কিছু ধারণা হলো-
- বোরো
- আমন
- ইরি
- নাজির
- বাসমতি
- কালিজিরা
- চিনি গোরা
- তুলসীমা লাই ইত্যাদি।
ধান চালের ব্যবসা শুরু করার আগে অবশ্যই প্রতিটি চাল ভালোভাবে চিন্তা হবে। বাজারের দাম যাচাই করতে হবে। কোন ধরনের ধান এবং চাল বিক্রি করলে বেশি লাভজনক সে বিষয়ে জানতে হবে।
আপনার ইনভেস্ট করার ক্ষমতা বেশি থাকলে একটি আরত দিয়ে ধান চালের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। আর অল্প টাকা ইনভেস্ট করার সামর্থ্য থাকলে আপনারা অল্প চাল কেনে খুচরায় বিক্রি করতে পারবেন।
ইনভেস্ট এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
ধান চালের ব্যবসা করতে গেলে ইনভেস্ট কেমন প্রয়োজন পড়বে। প্রাথমিক অবস্থায় আপনি যদি 300 বস্তা চাল কিনতে চান সেক্ষেত্রে প্রায়ই দুই লক্ষ থেকে তিন লক্ষ টাকার মত খরচ হবে।
এখানে সাধারণত যত বেশি ইনভেস্ট থাকবে তত বেশি লাভ করা যাবে।
আপনারা অল্প অল্প করে আনতে গেলে বেশি খরচ পড়ে যাবে। কারণ আপনি যদি 200 বস্তা চাল গাড়িতে করে, নিয়ে আসেন যে খরচ লাগবে। সেখানে আপনি যদি 300 বস্তা গাড়িতে করে নিয়ে আসেন একই ভাড়া খরচ হবে।
আপনি যদি বাসমতি, চিনিগোরা এবং কালোজিরা চাল নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চান? তাহলে ইনভেস্ট এর পরিমাণ বেশি করতে হবে। আর সাধারণ ভাতের চাল নিয়ে ব্যবসা শুরু করলে ইনভেস্টের পরিমাণ কম হবে।
কিন্তু ব্যবসা শুরু করতে গেলে আপনাকে দোকানে বেশি দামের চাউল এবং কম দামে চাউল রাখতে হবে।
তো এখানে ধান চালের ব্যবসা নয় যেকোনো ব্যবসা শুরু করতে গেলে, আপনার ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রয়োজন হবে।
ব্যবসার জন্য প্রথমত যে কাগজটি প্রয়োজন হয়। সেটি হলো ট্রেড লাইসেন্স। ছোট বড় সব ব্যবসাটি ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন হয়।
তবে যারা খোলামেলায় ব্যবসা করেন তাদের ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স দরকার পড়ে না। কিন্তু আপনি যদি ধান চালের একটি আরত নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। তাহলে আপনাকে ট্রেড লাইসেন্স করতে হবে।
আর আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যদি ট্রেড লাইসেন্স থাকে। তাহলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যবসার জন্য লোন গ্রহন করতে পারবেন।
ধান চাল বিক্রি বৃদ্ধির উপায়
আপনার ধানচাল ব্যবসা শুরু করার পরে বেশি বেশি প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। আশেপাশে মুদির দোকানগুলোর সাথে সবসময় যোগাযোগ রাখতে হবে।
আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভালো মানের চাল রাখতে হবে। আশেপাশে থাকা দোকান বা আরবদাররা চালের দাম কেমন রাখছে সে বিষয়ে নজরদার দাবি করতে হবে।
ধানচাল ব্যবসা শুরুর প্রথমদিকে, বাজার ধরার জন্য বাড়ানোর জন্য তুলনামূলক কম দামে, ধান চাল বিক্রি করার চেষ্টা করতে হবে অল্প লাভ করে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মানুষের কাছে পরিচিত হলে কাস্টমার কে সে আপনাকেই খুঁজে বের করবে। এটি হলো নতুন সফল বিক্রয় কর্মের গুণাবলী।
ধান চাল ব্যবসায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে?
ধানচাল ব্যবসা একটি প্রতিযোগিতা মূলক ব্যবসা হিসেবে পরিচিত। এই ব্যবসাতে অনেক সময় বাজারে টাকা বাকি থাকে। সে টাকা উদ্ধার করতে অনেক সময় সমস্যা দেখা দেয়।
কিন্তু চালের ব্যবসা শুরু করার সময় চাল সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। এবং ভালো ভালো কাস্টমারদের কাছে চাল, বিক্রি করতে হবে যাতে করে বাকি দেয়ার পর তারা সঠিক সময়ে, চাউলের টাকা পরিশোধ করে দেয়।
আরো দেখুন……
- কৃষি ব্যবসা আইডিয়া – কৃষি ব্যবসা করে সফল হওয়ার কয়েকটি আইডিয়া
- ছোট ফ্যাক্টরি ব্যবসার আইডিয়া – প্রতিদিন ২০০০/- টাকা ইনকাম করুন
শেষ কথাঃ
আমরা আশা করি উপরে উল্লেখিত আলোচনা অনুসরণ করে, ধান চালের ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়েছেন। এখন আপনি যদি ধান চাল ব্যবসা করার আইডিয়াটি পছন্দ করেন। তাহলে, নির্দিষ্ট পরিমাণের টাকা ইনভেস্ট করে ব্যবসাটি শুরু করে দিন।
ধন্যবাদ।