এখন বর্তমান যুগ অনলাইনের যুগ। বর্তমানে ইন্টারনেট উন্নতি হওয়ার ফলে আজ বিশ্ব আমাদের হাতের মুঠোয়।
মোবাইলে কথা বলা ছাড়াও আরো ভিডিও কল, অফিসে সকল প্রকার কাজকর্ম, ঘরে বসে ডাক্তারের পরামর্শ সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল প্রকার কাজ এখন অনলাইনের মাধ্যমে করা যায়।
বর্তমানে ইন্টারনেট ভালো উন্নতি হওয়ার কারণে সারা বিশ্ব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনা ভাইরাস আক্রমণে অনেক লোকজন বেকার হয়ে গেছে। কিন্তু এই মহামারীর কারণে অনলাইন ব্যবস্থাকে আরো অনেক বেশি গতিশীল করে তুলেছে।
বিশেষ করে মানুষ ঘরে বসে চাকরি স্কুল কলেজের ক্লাস সহ সকল কিছু এখন অনলাইনের মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন করছে।
অনলাইন জব করে ঘরে বসে আয় করার উপায়
বর্তমান সময়ে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে অনলাইন জব। আমাদের বাংলাদেশ অনেক বেশি বেকার যুবকদের জন্য এখন অনলাইন জব এনে দিয়েছে দারুণ একটি অনলাইন আয় করা সুযোগ।
আপনি এখন ঘরে বসেই আয় করতে পারবেন, তার জন্য আপনার কিছু দক্ষতা অর্জন করতে হবে। সেই দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে আপনিও অনলাইন জব করে টাকা আয় করতে পারবেন।
এখন বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের অনলাইন প্লাটফর্ম তৈরি হয়েছে যেমন, ওয়েবসাইট এবং অনলাইন রিসোর্স থেকে আপনি শিখতে পারবেন। দেখা যাবে পরবর্তীতে অনলাইন জব করে আপনি ভালোভাবে স্বনির্ভর হতে পারবেন।
আপনি আজকের এই পোস্টে জানতে পারবেন অনলাইন জব কি, আপনার অনলাইন জবের জন্য কি কি দক্ষতা অর্জনের প্রয়োজন হবে।
এখন বর্তমান সময়ে বাংলাদেশী অনলাইন জব খোঁজার ওয়েবসাইট কি, ইত্যাদি আরো বিষয় নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করব। তো বন্ধুরা চলুন, শুরু করা যাক আজকের অনলাইন জব করে আয় করার মূল বিষয়!
টপিক সূচিঃ
অনলাইন জব কি ?
এখন বর্তমান সময়ে দেখা গিয়েছে ইন্টারনেটকে কাজে লাগিয়ে কিছু সংখ্যক লোক মাসে লক্ষ টাকা আয় করছে। সারা পৃথিবী জুড়ে এখন ইন্টারনেটে ছড়িয়ে গিয়েছে।
ইন্টারনেট প্রযুক্তির যুগ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে যেমন বিভিন্ন ডিভাস, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল ও কিছুই ন্টারনেট ডিভাইসের মাধ্যমে সারা বিশ্ব বা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন কোন কোন কোম্পানি বা কোন একক ব্যক্তির অধীনে কাজ করার মাধ্যমে তারা সেই কাজের বিনিময় বা পারিশ্রমিক হিসেবে তারা অর্থ প্রদান করে সেই অর্থ অনলাইনেই টাকা আয় করাকে বলা হয় অনলাইন জব।
অনলাইন জব (Online Job) বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। যেমন,
- চুক্তিভিত্তিক
- মাস ভিত্তিক
- প্রজেক্ট ভিত্তিক
আপনার ইচ্ছা বা সুবিধা মত আপনি যেকোন ধরনের অনলাইন জব বেছে নিতে পারবেন।
সারাবিশ্বে মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে বিশ্বে যে সকল বড় বড় প্রতিষ্ঠান গুলো এখন অনলাইনের মাধ্যমে তারা অফিস চালু করেছে। ফলে তাদের অনলাইন জবের ধারনা ও চাহিদায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে।
অনলাইন জব করতে কি কি প্রয়োজন
অনলাইন জব আপনি যেকোন জায়গা থেকে করতে পারবেন। তাই অনলাইন জব যোগাযোগ রক্ষার জন্য আপনার যে সকল জিনিস বা ডিভাইস ধাকা অবশ্যই প্রয়োজন। আপনি যখন অনলাইনে জব শুরু করতে যাবেন তখন আপনার জব করার জন্য যেসব জিনিসের প্রয়োজন সেগুলো হচ্ছে:
- যেকোন একটি মোবাইল বা ল্যাপটপ
- মোটামুটি ইংরেজি ভাষাজ্ঞান
- কমিনিউকেশন স্কিলস
- উচ্চগতি সম্পন্ন স্ট্যাবল ইন্টারনেট কানেকশন
- কিছু সফট স্কিল
অনলাইন জব এর ক্ষেত্রে এখন বর্তমান সময়ে সবচেয়ে মজার বিষয় হল আপনার কিছু একাডেমিক দক্ষতা বা রেজাল্ট এখানে কোন ধরনেরকাজে আসবেনা।
অনলাইন জবের ক্ষেত্রে আপনার দক্ষতার মূল্য বেশি। আপনি যত বেশি অনলাইনে দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন তত বেশি অনলাইনে আপনি আয় করতে পারবেন।
তাই সবথেকে ভালো হয় আপনি যে কোন প্রতিষ্ঠান থেকে অনলাইন জব এর জন্য কোর্স করা আপনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো প্লাস পয়েন্ট হবে।
অনলাইন জব কি আপনাদের সেটা তো বুঝলাম। এখন যেগুলো কিছু নির্দিষ্ট জব বাংলাদেশ থেকে ক সহজেই পাওয়া সম্ভব, এমন কিছু অনলাইন জব নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
অনলাইন টাইপিং জব
শুরুতেই রয়েছে আপনাদের জন্য অনলাইন টাইপইং জব। এখন বর্তমানে দেশের অনেক যুবক অনলাইন টাইপিং জব করে মাসে প্রচুর পরিমানে অনলাইন থেকে টাকা আয় করছে।
অনলাইন টাইপিং জব হচ্ছে মানে কোন নির্দিষ্ট রিসোর্স থেকে কোন কিছুকে নতুন ভাবে টাইপ করা। এখন বর্তমান সময়ে অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের অনলাইন টাইপিং জব রয়েছে। যেমন: ডাটা এন্ট্রি, ছবি থেকে টাইপিং,ফর্ম ফিলাপ, ক্যাপচা এন্ট্রি ইত্যাদি।
অনলাইন টাইপিং জব আপনি পার্টটাইম বা ফুল টাইম আপনি যেভাবে করতে চান সেভাবেই করতে পারবেন। টাইপিং জব এই লেখাটিতে আপনাদের মাঝে আমরা মোটামুটিভাবে ফুল টাইম টাইপিং জব গুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করব।
অনলাইন ডাটা এন্ট্রি জব
অনেক সময় দেখা যায় আপনি যদি বেশ দ্রুত এবং সুন্দর নির্ভুলভাবে কোন লেখা ভালো হবে টাইপ করতে পারেন, তাহলে আপনি ডাটা এন্ট্রি জব আপনার জন্যই ভালো হবে।
দেখা যাবে আপনি এই অনলাইন জবের মাধ্যমে অনলাইন থেকে ভালো পরিমাণ টাকা আয় করতে পারবেন। এখন বর্তমান সময়ে অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি জব মূলত বিভিন্ন ধরনের ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।
প্রথমটিমটি হচ্ছে যেমন, ফ্রিল্যান্সিং (মুক্ত পেশা) করে অনেকেই নিজের ক্যারিয়ার তৈরি করেছে। ফ্রিল্যান্সিং আবার দুই ধরনের হতে পারে, একটা হচ্ছে পার্টটাইম আর ফুলটাইম জব।
তাছাড়া দেখা যাবে আপনি বিভিন্ন জব পোর্টাল গিয়ে নানান কোম্পানির জন্যও কাজ করতে পারবেন।
দেখা গিয়েছে অনেক সময়ে বাংলাদেশে বর্তমানে ডাটা এন্ট্রির কাজ তেমন নাও থাকলে পার্শ্ববর্তী দেশ ইন্ডিয়াসহ আশে পাশের সকল দেশের মার্কেটপ্লেস গুলোতে আপনি এরকম পার্ট টাইম অনলাইন ডাটা এন্ট্রি জব অনেক পাবেন। যেমন
- Upwork.com
- indeed.com
- fiverr.com
এই সকল সাইট গুলিতে আপনি ডাটা এন্ট্রির কাজের জন্য প্রচুর পরিমাপ বিজ্ঞাপন দেখতে পারবেন। তাছাড়া আপনি আরোও বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইটেও ডাটা এন্ট্রির কাজ আপনি তাড়াতাড়ি পেয়ে যাবেন।
আপনি ঘরে বসে যে কোন দেশে থাকেন না কেন অনলাইন ডাটা এন্ট্রি জব পাওয়ার জন্য আপনার প্রথমত কাজটি ভালোভাবে ও দক্ষতার সাথে শিখতে হবে।
কাজ শেখার পর আপনাকে অনলাইন মার্কেট প্লেস গুলোতে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে ফ্রীলান্সিং শুরু করতে হবে। আপনি যদি কোন নির্দিষ্ট দক্ষতা অর্জন করে তারপর কাজে নামলে অনেক বেশি ভালো হবে।
ফুলে তখন দেখা যাবে যেকোন কাজের ক্ষেত্রে আপনি অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোতে ভালো পরিমাণ টাকা আয় করতে পারবেন। অনলাইন Data Entry Job আপনি সহজে কোথায় শিখতে পারবেন সেটি দেখতে আজকের এই পোস্ট ভালোভাবে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
কপি টাইপিং জব
দেখা গিয়েছে এখন যারা অনলাইন জবের ক্ষেত্রে একদম একেবারেই নতুন, তারা প্রথম অবস্থাতে কপি টাইপিং জব শুরু করতে পারেন।
কপি টাইমিং জব হচ্ছে মানে মূলত নির্দিষ্ট কোন ডকুমেন্ট বা পেপার থেকে ঠিক সেটিকে হুবহু কপি টাইপ করে নতুন ফাইলে ভালোভাবে রূপান্তর করা।
এখন বর্তমান সময়ে দেখা গিয়েছে অনলাইনে কপি টাইপিং জবের প্রচুর পরিমাণ চাহিদা রয়েছে।
পুরাতন জিনিসকে ডিজিটালে রূপান্তরিত করার জন্য অনেক লোকই বিভিন্ন দুষ্প্রাপ্য ও পুরনো বই পুস্তক বা ডকুমেন্টকে সংরক্ষণ করার জন্য তারা নতুন ভাবে সেগুলোকে টাইপ করিয়ে থাকেন এবং ডিজিটাল বই হিসেবে বাজারে প্রকাশ করেন।
তাই শুধুমাত্র আপনি যদি ভাল এবং দ্রুত গতিতে টাইপিং করতে পারেন তাহলে আপনি কপি টাইপিং জব শুরু করতে পারেন।
অপেক্ষাকৃত কাজ কিছু সহজ হওয়ায় এই কাজে পেমেন্ট কিছুটা কম হলেও এবং প্রতিযোগীতা কিন্তু অনেক বেশি থাকে।
তাই দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে আপনি নিজেকে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে উপস্থাপন করতে হবে।
অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেট প্লেস রয়েছে, তার মধ্যে সবথেকে ভালো অনলাইন মার্কেট প্লেস, যেমন: Fiverr, Upwork, freelancer, indeed ইত্যাদি সাইটে কপি টাইপিং এর প্রচুর কাজের ভালো ভালো অফার পাওয়া যায়।
ব্লগিং (Blogging)
এখন বর্তমান সময়ে অনলাইন জব থেকে টাকা আয় করার ক্ষেত্রে ব্লগিং-Blogging সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি অনলাইন প্লাটফর্ম।
অনলাইনে আপনার দক্ষতা ও বিভিন্ন বিষয়ে নিজের মত প্রকাশ করা এবং বিভিন্ন ধরনের তথ্য প্রযুক্তি ছাড়াও আরো অনেক কিছু তথ্য শেয়ার করা ও দৈনন্দিন জীবনের নানান দিক নিয়ে ভালোভাবে বুঝিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার অন্যতম একটি জনপ্রিয় স্থান হল ব্লগিং (Blogging)।
বর্তমানে এখন ব্লগিং-Blogging এর মাধ্যমে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করা যায় বলে এর চাহিদা ক্রমশই দিন দিন বেড়েই চলেছে।
দেখা গিয়েছে যারা সাধারনত, ব্লগে পোস্ট করেন তাকে বলা হয় ব্লগার-Blogg। এই ব্লগাররা প্রতিনিয়ত তাদের নিজস্ব ব্লগ সাইটে বিভিন্ন কনটেন্ট যুক্ত করে থাকে আর ব্যবহারকারীরা সেখান থেকে তাদের সে সকল প্রয়োজনীয় তথ্য নেন।
অনেক সময় ব্লগে ব্যবহারকারীদের মন্তব্য বা অভিবাক্তি তারা প্রকাশ করতে পারেন। এছাড়াও বর্তমান সময় ব্লগিং, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকতার একটি অন্যতম যোগাযোগ মাধ্যম হয়ে উঠছে।
সাম্প্রতিক কোন ঘটনা সমূহ নিয়ে এক বা একাধিক Blogg রা এটি নিয়মিত আপডেট করে থাকেন।
Blogging শুরু করে সেখান থেকে আয় করতে চাইলে আপনাকে বেশ কয়েকটি সামান্য কিছু ধাপ অতিক্রম করতে হবে।
প্রথমত, আপনার ব্লগের জন্য সঠিক নাম বা ডোমেইন নাম নির্বাচন করতে হবে। ব্লগ সাইট তৈরি করার পর প্রথম কাজটি হল, একটি ব্রান্ড-এবল , উচ্চারনে সহজ ও শ্রুতিমধুর এবং সবার সহজে মনে থাকবে, এমন একটি নাম ব ডোমেইন নাম আপনাকে নির্বাচন করতে হবে।
দ্বিতীয়ত, ব্লগ সাইটের জন্য আপনাকে একটি ভালো মানের হোস্টিং সার্ভিস ব্যবহার করতে হবে। Domain নাম নির্বাচন করার মত একটি ভালো মানের Hosting সার্ভিস ক্রয় করাও ব্লগের জন্য অনেক জরুরি।
তৃতীয়ত, আপনার ব্লগটি সুন্দরভাবে ডিজাইন করতে হবে। Domain ও Hosting নেওয়ার পর আপনার ব্লগ ভালোভাবে ডিজাইন করতে হবে।
ওয়েবসাইট বা ব্লগ ডিজাইন করার জন্য, প্রথমে হোস্টিং Cpannel এ ওয়ার্ডপ্রেস আপনাকে ইন্সটল করে নিতে হবে। এরপর আপনাকে ভালো একটি থিম ইনস্টল করতে হবে।
তারপর আপনার প্রয়োজনীয় থিম কাস্টমাইজ করে পছন্দমতো ডিজাইন করতে হবে। থিম গুলো কিভাবে আপনি কাস্টমাইজ করবেন সে বিষয়ে অনলানেই এবং ইউটিউবে সার্চ করলে প্রচুর ফ্রি ভিডিও পাবেন।
এগুলো দেখে আপনি তো খুব সহজেই নিজেই ব্লগটি ডিজাইন করতে পারবেন।
চতুর্থ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনাকে কোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয় এর উপর কন্টেন্ট লিখতে হবে এবং সেগুলো আপনার ঐ ব্লগে পাবলিশ করতে হবে।
কন্টেন্ট লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই তথ্যবহুল লেখা প্রাধান্য পাবে এবং সেই ক্ষেত্রে আর্টিকেলটি সার্বিকভাবে উপস্থাপন করতে হবে। ওয়েবসাইট বা ব্লগে কন্টেন্ট পাবলিশ করার পর সেগুলো বিভিন্ন সোসাল মিডিয়াতে শেয়ার করলে আপনার ব্লগ সাইডে অনেক বেশি ভিজিটর পাবেন।
সর্বশেষ, ৪ টি ধাপ যখন আপনি সম্পন্ন করবেন এবং করার পর আপনার ব্লগে অধিক সংখ্যাক ভিজিটর বা পাঠক আসতে শুরু করবে । তখন আপনি গুগল এডসেন্স একাউন্ট তৈরি করে ও অন্যান্য কোম্পানি থেকে অ্যাডসেন্স এর জন্য আবেদন করবেন।
এরপর সেটা আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইটের সাথে কানেক্ট করে সেখান থেকে আপনি নিদির্ষ্ট পরিমাণ রেভিনিউ প্রতি মাসে অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন।
তাছাড়া যখন আপনার ব্লগটি অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে গেলে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের বিজ্ঞাপনের জন্য আপনার সাথে কন্টাক যোগাযোগ করবে।
দেখা যাবে আপনি সেখান থেকেও বেশ বড় অংকের টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
সুতরাং ব্লগিং এর ক্ষেত্রে আপনাকে অনেক ধৈর্য ধরে লেগে থাকতে হবে যদি আপনি সবসময় লেগে থাকেন তাহলে অনলাইন জব থেকে প্রচুর টাকা আয় করা সম্ভব।
ব্লগিং এর ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার চেয়ে ইংরেজি ভাষার ব্লগিং এ দ্রুত আয় করা সম্ভব।
ভার্চুয়াল এসিস্টেন্ট অনলাইন জব
এখন বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটের এই যুগে চাইলেই আপনি ঘরে বসে পার্সোনাল Assistant এর কাজ গুলো করা সম্ভব। এই Assistant জব যেকোনো বিজনেস পার্সন বা বড় কোন কোম্পানির হতে পারে।
এসিস্টেন্টদের মূলত প্রত্যেক দিনের যে নিত্য প্রয়োজনীয় কাজ গুলো থাকে সেগুলোর দেখাশোনা ভালো হবে করতে হয়। দেখা যায় ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্টদের ক্ষেত্রে অনলাইন কাজ গুলো করতে হয়।
ফলে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট অনলাইন জব এই কাজের জন্য আপনাকে সশরীরে উপস্থিত না থাকলেও চলবে।
Virtual Assistant হিসেবে যে কাজ গুলো আপনি ঘরে বসে রিমোটলি ভালোভাবে করতে পারবেন সেগুলো হল:
এছাড়া আপনি আরও বিভিন্ন ধরনের কাজ অনলাইনে রয়েছে যেগুলোর জন্য বিভিন্ন কোম্পানি বা বিজনেসম্যান রা ব্যক্তিগতভাবে পার্টটাইম বা ফুল টাইম Virtual Assistant নিয়োগ করতে চায়।
upwork.com, Fiverr, Guru.com ইত্যাদি সহ আরো অনেক অনলাইন ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসেই Virtual Assistant এর কাজ পাওয়া যায়। উপরের দেওয়া এই সাইটগুলোতে আপনি একাউন্ট খুলে সার্চ করলেই আপনি Virtual Assistant এর জব পেয়ে যেতে পারেন।
অনলাইনে পার্ট টাইম জব
আপনি অনলাইন বা ইন্টারনেট ব্যবহার করে অনলাইনে পার্টটাইম জব হিসেবে অন্য কোন ব্যক্তির অধীনে যেকোন ধরনের কাজ করে দেওয়াকে ফ্রিল্যান্স কাজ বলা হয়।
অনেকে এটিকে অনলাইন পার্ট টাইম জব বলে থাকেন। অনলাইনের পার্টটাইম জবের ক্ষেত্রে যে লোক কাজের জন্য নিয়োগ দেন তাকে বলা হয় ক্লায়েন্ট বা বায়ার।
আর যিনি সেই লোকের হয়ে সঠিকভাবে কাজ করে দেন তাকে বলা হয় সেলার।
কাজের মাধ্যমে আপনি কোন ভালো ক্লায়েন্টের কাজ করে দিয়ে যদি ভালো কাজ করে ক্লায়েন্টের সুনজরে পড়ে গেলে তাহলে আপনি অনেক বেশি লাভবান হতে পারবেন।
এমনকি আপনি আরো অনেক বিভিন্ন বিশ্বখ্যাত কোম্পানিও ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনাকে নিয়োগ করতে পারে। তাই দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে আপনি ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইনে পার্ট টাইম জব আপনার জন্য সবচেয়ে একটি আদর্শ টাকা আয় করার মাধ্যম হতে পারে।
ইতোমধ্যে অনেকে আমরা বেশ কিছু ফ্রিল্যান্সিং বা পার্ট টাইম জবের ক্ষেত্র উপরে আলোচনা করেছি। এখন সংক্ষিপ্ত আকারে নিচে কিছু ফ্রিল্যান্সিং কাজের নাম উল্লেখ করছি। আপনি এই কাজ গুলো পার্ট টাইম করতে পারবেন। যেমন,
- Search engine optimization (SEO)
- Programming
- Photography
- Graphic design
- Web design
- Video editing
- Sound design
বাংলাদেশী অনলাইন জব
দেখা গিয়েছে অনলাইন জবের ক্ষেত্র নানা বিষয় নিয়ে এতক্ষনে হয়তো আপনারা জেনেছেন। কিন্তু বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সার, বিশেষ করে যারা এখন একদম নতুন অনলাইন জব শুরু করেছেন তাদের ক্ষেত্রে গ্লোবাল মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়াটা অনেক বেশি কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
তাছাড়া দেখা যাবে পেমেন্ট মেথড নিয়েও অনেকে সমস্যায় পড়তে পারেন। এক্ষেত্রে আপনারা বাংলাদেশী অনলাইন জব প্ল্যাটফর্ম গুলো নতুন অবস্থায় ব্যবহার করতে পারেন।
সিনিয়র বিডি আর্নিং প্রোগ্রাম
বাংলাদেশী অনলাইন জব প্ল্যাটফর্ম গুলোর মধ্যে সিনিয়র বিডি আর্নিং প্রোগ্রাম শীর্ষস্থানীয় একটি ভালো প্রতিষ্ঠান। সিনিয়র বিডি আর্নিং প্রোগ্রামে মেম্বার হিসেবে যুক্ত হয়ে আপনি নির্দিষ্ট কোন টপিকে ওপর আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে অনলাইন জব থেকে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।
তাছাড়া আপনি পেমেন্ট মেথডের ক্ষেত্রেও বিকাশ, রকেট, নগদ সহ যেকোন পেমেন্ট মেথড ব্যবহার করতে পারবেন।
সিনিয়র বিডি আর্নিং প্রোগ্রামের মেম্বারশিপ
সিনিয়র বিডি আর্নিং প্রোগ্রাম এর মেম্বার হতে চাইলে প্রথমত, আপনার একটি স্মার্টফোন, কম্পিউটার, ট্যাব বা ল্যাপটপের প্রয়োজন হবে।
তাছাড়া এটির সঙ্গে একটি স্ট্যাবল ইন্টারনেট কানেকশন প্রয়োজন হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, আপনার আর্টিকেল লেখার মোটামুটি ভাবে কিছু ভালো অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
অর্থাৎ খুব সহজেই আপনি সিনিয়র বিডি আর্নিং প্রোগ্রাম এর মেম্বার হিসেবে যুক্ত হতে পারবেন।
সিনিয়র বিডি আর্নিং প্রোগ্রাম থেকে আয় করার উপায়
সিনিয়র বিডি আর্নিং প্রোগ্রাম থেকে অনলাইন জবের মাধ্যমে আপনি ৩টি ভাবে টাকা আয় করতে পারবেন। এগুলো হল:
- আর্টিকেল লিখে আয়
- আর্টিকেল ভিউয়ের মাধ্যমে আয়
- রেফার করে আয়
আপনি নির্দিষ্ট কোন টপিকের উপর আর্টিকেল লিখে সিনিয়র বিডি সাইটে সাবমিট করার পর, সেই লেখাটি প্রকাশিত হলে আপনি সাথে সাথেই সিনিয়র বিডি আর্নিং প্রোগ্রাম থেকে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।
পরবর্তীতে, লেখাটিতে যখন আপনার ১০০০ ভিউ এর জন্য আপনাকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বোনাস দেওয়া হবে। অর্থাৎ আপনার লেখা আর্টিকেল যত বেশি লোকেরা দেখবে বা পড়বে আপনি তত বেশি ইনকাম করতে পারবেন।
তাছাড়া সিনিয়র বিডিতে যখন আপনি মেম্বার হবেন, মেম্বার হওয়ার সাথে সাথেই আপনাকে একটি রেফারেল কোড দেওয়া হবে।
আপনি সেই কোড ব্যবহার করলে বা কেউ যদি মেম্বার হয় তার আয়ের ৩০% সরাসরি আপনার একাউন্টে চলে যাবে। অর্থাৎ আপনি রেফার করার মাধ্যমেও আপনি বেশ বড় অংকের টাকা আয় করার সুযোগ পাবেন।
সিনিয়র বিডি আর্নিং প্রোগ্রাম থেকে টাকা উত্তোলনের উপায়
সিনিয়র বিডি আর্নিং প্রোগ্রাম থেকে আয় করা টাকা আপনি নগদ,বিকাশ, রকেট, সিওরক্যাশ ও মোবাইল রিচার্জসহ আরো যেকোনো উপায়ে আপনি টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
এখানে কোন ধরনের হিডেন চার্জ নেই ৷ সুতরাং আপনি আর দেরি না করে, অনলাইন জব করে টাকা আয় করা শুরু করতে চাইলে নির্দ্বিধায় এখনই আপনি সিনিয়র বিডি আর্নিং প্রোগ্রামে যুক্ত হোন।
শেষ কথা,,
Online Job বা অনলাইন থেকে টাকা আয় করা এখন বর্তমান সময়ে সারাবিশ্বেই অনেক যুবকদের বিকল্প কর্মসংস্থানের সু্যোগ সৃষ্টি হয়েছে।
দেখা গিয়েছে অনেক গ্লোবাল মার্কেটপ্লেস গুলোতে বিভিন্ন ধরনের অনলাইন জব গুলো রয়েছে। আপনার যদি কিছু দক্ষতা থাকে এবং সুনির্দিষ্ট দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে আপনিও অনলাইন জব করে টাকা আয় করতে পারেন।
এখন দেশের বাজারেও সিনিয়র বিডি ডটকম আর্নিং প্রোগ্রামসহ আরো অনেক বেশ কিছু বাংলা দেশীয় মার্কেটপ্লেস সাইট রয়েছে যেগুলো ওয়েবসাইটে কাজ করে দেশীয় লোকেরা অনলাইন থেকে টাকা আয় করছে।
দেশী প্ল্যাটফর্মে কাজ করলে দেখা গিয়েছে পেমেন্টের ক্ষেত্রেও কোন ধরনের সমস্যা থাকেনা।
প্রিয় বন্ধুরা, আজকের এই আর্টিকেলে আমরা অনলাইন জব কি, অনলাইন জব কি কি ধরনের রয়েছে, বাংলাদেশী অনলাইন জব প্ল্যাটফর্ম সহ বেশ কিছু বিষয় অনলাইন জব সম্পর্কে তুলে ধরেছি।
অনলাইন জব বিষয় আপনার আরো কোন কিছুর জিজ্ঞাসা বা প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে লিখে জানাবেন!